মাদারীপুর প্রতিনিধি
‘আমরা পাঁচজন রোমানিয়ায় দালালদের হাতে আটকা আছি। একটা রুমের মধ্যে আমাগো আটকে রাখছে। আমাগো ১৫ দিন ধইরা খাওন দেয় না। যেমনেই হোক, আম্মেরা আমাগো বাঁচান। এইডাই আম্মেগো কাছে আমাগো আবেদন। যেমনেই হোক, আমাগো পাঁচটা জীবন বাঁচান।’
জীবন বাঁচাতে পরিবারের কাছে পাঠানো ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তায় এভাবেই কষ্টের কথা বলছিলেন রোমানিয়ায় দালালদের হাতে বন্দী মাদারীপুরের পাঁচ তরুণ। এই ভিডিওগুলো পরিবারের কাছে পাঠিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। এরই মধ্যে তাঁদের রোমানিয়া থেকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন দালাল চক্রের সদস্যরা। বর্তমানে রোমানিয়ার অজ্ঞাত একটি স্থানে তাঁদের আটকে রেখে আরও মুক্তিপণ দাবি করছেন দালালেরা।
রোমানিয়ায় দালালদের হাতে বন্দী পাঁচ তরুণ হলেন মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের মৃত সৈয়দ সালামের ছেলে মো. তানভীর হোসেন (২২), সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বাবুল মাতুব্বরের ছেলে বায়েজিদ মাতুব্বর (২২), মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাশেদ হাওলাদার (২৪) ও মৃত তারেক হাওলাদারের ছেলে মোফাজ্জেল হাওলাদার (২৩) এবং খোয়াজপুর ইউনিয়নের মো. শাজাহান মুনশির ছেলে মিলন মুনশি (২৩)।
এদিকে এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা করেছে ভুক্তভোগী একটি পরিবার। এতে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। থানায় অভিযোগের পরে প্রধান অভিযুক্ত দালাল আল-আমিনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহার ও থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে তুরস্ক হয়ে গ্রিসে যান ওই পাঁচ তরুণ। গ্রিস থেকে রোমানিয়া হয়ে ইতালিতে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এই পাঁচজনের পরিবারের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয় একটি দালাল চক্র। এই চক্রের মূল হোতা মাদারীপুর সদর উপজেলার হাজিরহাওলা এলাকার জাফর ব্যাপারীর ছেলে আল-আমিন (২৯)। আল-আমিনের সঙ্গে এই চক্রে জড়িত আছেন সদর উপজেলার রাস্তি এলাকার শামিম আকন (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী সুমি বেগম (২৮), একই এলাকার বাসিন্দা সিরাজ আকন (৬০), সদরের হাজিরহাওলা এলাকার জাফর ব্যাপারী (৪০) ও তাঁর স্ত্রী রীনা বেগম (৩০), হাজির হাওলা এলাকার সিরাজ আকনের স্ত্রী রানু বেগম (২৮)।
অভিযুক্ত দালালেরা গত ৩ আগস্ট ভুক্তভোগী পাঁচ তরুণের পরিবারে কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা করে নেন। টাকা দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ওই পাঁচ তরুণকে গ্রিস থেকে রোমানিয়ায় নিয়ে যায় চক্রটি। সর্বশেষ রোমানিয়ায় ওই পাঁচ তরুণকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। মুক্তিপণের টাকা না পাঠালে রোমানিয়ায় অবস্থানরত দালালেরা ওই পাঁচ তরুণের ওপর নির্যাতন চালান। নির্যাতনের সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দেশে থাকা স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণের টাকা পাঠাতে বলা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ওই পাঁচ তরুণের পরিবার মাদারীপুর সদর থানায় আসে পুলিশের সহযোগিতা নিতে। পরে পুলিশের পরামর্শে তারা দালালদের অভিযুক্ত করে একটি মামলা করে। এতে বাদী হন রোমানিয়ায় দালালদের হাতে বন্দী মো. তানভীর হোসেনের ভাই সৈয়দ শাহীন। মামলায় ইতালিতে যাওয়ার উদ্দেশে মাদারীপুরের আরও পাঁচ তরুণ অনেক দিন ধরে সার্বিয়ায় দালালদের হাতে বন্দী বলেও উল্লেখ করা হয়।
রোমানিয়ায় বন্দী বায়েজিদ মাতুব্বরের মা মাজেদা বেগম বলেন, ‘দালালেরা মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মিলায়া আমার পোলারে বন্দী করে রাখছে। আরও ১০ লাখ টাকা না দিলে আমার পোলারে মাইরা ফেলাবে। আমি এহন এত টাকা কই পামু? কে দেবে আমারে টাকা?’
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত দালাল আল-আমিনের স্ত্রী সুমি বেগম বলেন, ‘আমি আমার বাবার বাড়িতে আছি। আল-আমিন কার থেকে কী টাকা এনেছে, জানি না।’
এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার উপপরিদর্শক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘রোমানিয়া ও সার্বিয়ায় ১০ বাংলাদেশি বন্দী আছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। তবে রোমানিয়ার পাঁচজন সম্প্রতি দালালদের খপ্পরে পড়ে বন্দী আছেন বলে আমরা জেনেছি।’
এদিকে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘মানব পাচার কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। কেউ অভিযোগ দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রোমানিয়া ও সার্বিয়ায় আটকের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যত শক্তিশালীই হোক না কেন, দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
‘আমরা পাঁচজন রোমানিয়ায় দালালদের হাতে আটকা আছি। একটা রুমের মধ্যে আমাগো আটকে রাখছে। আমাগো ১৫ দিন ধইরা খাওন দেয় না। যেমনেই হোক, আম্মেরা আমাগো বাঁচান। এইডাই আম্মেগো কাছে আমাগো আবেদন। যেমনেই হোক, আমাগো পাঁচটা জীবন বাঁচান।’
জীবন বাঁচাতে পরিবারের কাছে পাঠানো ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তায় এভাবেই কষ্টের কথা বলছিলেন রোমানিয়ায় দালালদের হাতে বন্দী মাদারীপুরের পাঁচ তরুণ। এই ভিডিওগুলো পরিবারের কাছে পাঠিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। এরই মধ্যে তাঁদের রোমানিয়া থেকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন দালাল চক্রের সদস্যরা। বর্তমানে রোমানিয়ার অজ্ঞাত একটি স্থানে তাঁদের আটকে রেখে আরও মুক্তিপণ দাবি করছেন দালালেরা।
রোমানিয়ায় দালালদের হাতে বন্দী পাঁচ তরুণ হলেন মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের মৃত সৈয়দ সালামের ছেলে মো. তানভীর হোসেন (২২), সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বাবুল মাতুব্বরের ছেলে বায়েজিদ মাতুব্বর (২২), মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাশেদ হাওলাদার (২৪) ও মৃত তারেক হাওলাদারের ছেলে মোফাজ্জেল হাওলাদার (২৩) এবং খোয়াজপুর ইউনিয়নের মো. শাজাহান মুনশির ছেলে মিলন মুনশি (২৩)।
এদিকে এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা করেছে ভুক্তভোগী একটি পরিবার। এতে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। থানায় অভিযোগের পরে প্রধান অভিযুক্ত দালাল আল-আমিনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহার ও থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে তুরস্ক হয়ে গ্রিসে যান ওই পাঁচ তরুণ। গ্রিস থেকে রোমানিয়া হয়ে ইতালিতে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এই পাঁচজনের পরিবারের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয় একটি দালাল চক্র। এই চক্রের মূল হোতা মাদারীপুর সদর উপজেলার হাজিরহাওলা এলাকার জাফর ব্যাপারীর ছেলে আল-আমিন (২৯)। আল-আমিনের সঙ্গে এই চক্রে জড়িত আছেন সদর উপজেলার রাস্তি এলাকার শামিম আকন (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী সুমি বেগম (২৮), একই এলাকার বাসিন্দা সিরাজ আকন (৬০), সদরের হাজিরহাওলা এলাকার জাফর ব্যাপারী (৪০) ও তাঁর স্ত্রী রীনা বেগম (৩০), হাজির হাওলা এলাকার সিরাজ আকনের স্ত্রী রানু বেগম (২৮)।
অভিযুক্ত দালালেরা গত ৩ আগস্ট ভুক্তভোগী পাঁচ তরুণের পরিবারে কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা করে নেন। টাকা দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ওই পাঁচ তরুণকে গ্রিস থেকে রোমানিয়ায় নিয়ে যায় চক্রটি। সর্বশেষ রোমানিয়ায় ওই পাঁচ তরুণকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। মুক্তিপণের টাকা না পাঠালে রোমানিয়ায় অবস্থানরত দালালেরা ওই পাঁচ তরুণের ওপর নির্যাতন চালান। নির্যাতনের সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দেশে থাকা স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণের টাকা পাঠাতে বলা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ওই পাঁচ তরুণের পরিবার মাদারীপুর সদর থানায় আসে পুলিশের সহযোগিতা নিতে। পরে পুলিশের পরামর্শে তারা দালালদের অভিযুক্ত করে একটি মামলা করে। এতে বাদী হন রোমানিয়ায় দালালদের হাতে বন্দী মো. তানভীর হোসেনের ভাই সৈয়দ শাহীন। মামলায় ইতালিতে যাওয়ার উদ্দেশে মাদারীপুরের আরও পাঁচ তরুণ অনেক দিন ধরে সার্বিয়ায় দালালদের হাতে বন্দী বলেও উল্লেখ করা হয়।
রোমানিয়ায় বন্দী বায়েজিদ মাতুব্বরের মা মাজেদা বেগম বলেন, ‘দালালেরা মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মিলায়া আমার পোলারে বন্দী করে রাখছে। আরও ১০ লাখ টাকা না দিলে আমার পোলারে মাইরা ফেলাবে। আমি এহন এত টাকা কই পামু? কে দেবে আমারে টাকা?’
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত দালাল আল-আমিনের স্ত্রী সুমি বেগম বলেন, ‘আমি আমার বাবার বাড়িতে আছি। আল-আমিন কার থেকে কী টাকা এনেছে, জানি না।’
এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার উপপরিদর্শক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘রোমানিয়া ও সার্বিয়ায় ১০ বাংলাদেশি বন্দী আছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। তবে রোমানিয়ার পাঁচজন সম্প্রতি দালালদের খপ্পরে পড়ে বন্দী আছেন বলে আমরা জেনেছি।’
এদিকে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘মানব পাচার কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। কেউ অভিযোগ দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রোমানিয়া ও সার্বিয়ায় আটকের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যত শক্তিশালীই হোক না কেন, দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
২ ঘণ্টা আগে