সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে খুনের ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে কেবলই আসামি জোবায়ের। অজানা অচেনা একজন মানুষ কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটাল তার কূল কিনারা মেলাতে পারছেন না অনেকে। খোদ জোবায়েরের পরিবারই স্তব্ধ হয়ে আছে ছেলের কার্যকলাপে। এমন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত তাও বুঝে উঠতে পারছেন তা জোবায়েরের বাবা আলাউদ্দিন।
নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকায় বাড়ি জোবায়েরের। আলাউদ্দিন ও শায়লা বেগমের একমাত্র ছেলে জুবায়ের। পৈতৃক সম্পত্তির এক শতাংশ জমির ওপর বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন জোবায়েরের বাবা আলাউদ্দিন। বর্তমানে উপার্জনের মাধ্যম লবণের ব্যবসা। যদিও করোনাকালের ক্ষতি এখনো পুষিয়ে উঠতে পারেননি আলাউদ্দিন। ফলে আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনা করেই চলতে হতো তাদের। জোবায়ের করোনার আগে টিউশনি করে বাবার লবণের ব্যবসায় সময় দিত। তবে করোনার কারণে টিউশনিগুলোও হাতছাড়া হয়ে যায়।
জোবায়েরের মা শায়লা বেগম বলেন, ২০২০ সালের শেষে ধারদেনা করে ওষুধ বিক্রির ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু এই ব্যবসাতেও বিপুল ক্ষতি হয় তার। ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে না পেরে ঋণদাতার কাছে বিভিন্ন সময় নানা কটূক্তি শুনত জোবায়ের। লজ্জায় একসময় বাড়ি থেকে বের হওয়াই বন্ধ করে দেয় সে।
শায়লা বেগম বলেন, ‘তবে জোবায়ের ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিল। সবার সাথে ভালো ব্যবহার করত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। সে কীভাবে এমন কাজ করল বুঝতে পারছি না।’
ঘটনার দিনের বিবরণ দিয়ে শায়লা বেগম বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুর ২টায় না খেয়েই বাসা থেকে বের হয়ে যায় জোবায়ের। আমি ফোন দিলাম। বলল আসতাছি, আইসা খাব। একটু পর ওর আব্বা আইসা কইল ‘‘ও (জোবায়ের) নাকি কারে খুন করছে’’। ওর যদি টাকা লাগত, তাইলে আরও টাকা দিতাম। এই কাজ কেন করতে গেল?
জোবায়েরের বাবা আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘পোলার সম্পর্কে আমার কিছু বলার নাই। মান সম্মান যা ছিল, সবই শেষ। জোবায়ের আমার একমাত্র পোলা। যা চাইছে, তাই দিসি। কোনো বাজে অভ্যাস ছিল না। নামাজ পড়ত, পড়ালেখাতেও ভালো ছিল।’
জোবায়েরের স্কুলের বন্ধু মিনহাজ আমান বলেন, ‘জোবায়েরকে আমরা জোবায়েদ নামে চিনতাম। আমরা একসাথে নারায়ণগঞ্জের আদর্শ স্কুলে পড়ালেখা করছি। মোটা ছিল অনেক। ছেলেরা সবাই মোটা বলে খেপাত। আর খুবই হাবাগোবা বা শান্ত ছিল। স্কুল-কলেজে ভালো ছাত্রই ছিল। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে। ও মানুষ কেন, একটা কুকুর পিটায়া মারার সাহস রাখতে পারে বলে মনে হতো না।’
জোবায়েরের নানি বাড়ি এলাকার ছোটবেলার বন্ধু মুবিন বলেন, ‘ছোটবেলায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ব্যাপারীপাড়ার যেই বাসায় আমরা থাকতাম, সেখানে ওর নানী ও খালার বাসা ছিল। ফলে প্রায়ই আমাদের বাসায় আসত জোবায়ের। আমরা চতুর্থ শ্রেণি থেকে এসএসসি পর্যন্ত একসাথে পড়ালেখা করেছি। খুবই মোটা আর শক্তিশালী ছিল সে। কিন্তু শান্তশিষ্ট ছিল অনেক। ওর মতো ছেলে এমন ঘটনা ঘটাবে, তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।’
মুবিন বলেন, ‘আমার সাথে ৫ বছর আগে একটি বাসে শেষ দেখা হয়েছিল। তখন ও আমাকে বলেছিল, ‘‘ভাই আমি চিটাগাং রোড থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত হেঁটেছি নিজে কিছু করা বা চাকরির জন্য। কিন্তু কিছুই পাইনি। আমার ধারণা ব্যক্তিগত জীবনে প্রচণ্ড হতাশ ছিল সে।’
মামলা ডিবিতে হস্তান্তরের নির্দেশ
এদিকে জোড়া খুনের মামলার তদন্তভার পুলিশ থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু।
আমির খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জোবায়েরের ধর্মীয় বিষয়টি নিয়ে প্রথম দিনেই ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বর্তমানে তাঁকে রিমান্ডে এনে তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পাশাপাশি তাঁর ব্যবহৃত ল্যাপটপ, মোবাইল, ঘরে পাওয়া বইগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। তবে উগ্রগোষ্ঠির সাথে কোনো সম্পর্ক বা যোগাযোগের কোন সংশ্লিষ্টতা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।’
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে খুনের ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে কেবলই আসামি জোবায়ের। অজানা অচেনা একজন মানুষ কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটাল তার কূল কিনারা মেলাতে পারছেন না অনেকে। খোদ জোবায়েরের পরিবারই স্তব্ধ হয়ে আছে ছেলের কার্যকলাপে। এমন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত তাও বুঝে উঠতে পারছেন তা জোবায়েরের বাবা আলাউদ্দিন।
নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকায় বাড়ি জোবায়েরের। আলাউদ্দিন ও শায়লা বেগমের একমাত্র ছেলে জুবায়ের। পৈতৃক সম্পত্তির এক শতাংশ জমির ওপর বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন জোবায়েরের বাবা আলাউদ্দিন। বর্তমানে উপার্জনের মাধ্যম লবণের ব্যবসা। যদিও করোনাকালের ক্ষতি এখনো পুষিয়ে উঠতে পারেননি আলাউদ্দিন। ফলে আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনা করেই চলতে হতো তাদের। জোবায়ের করোনার আগে টিউশনি করে বাবার লবণের ব্যবসায় সময় দিত। তবে করোনার কারণে টিউশনিগুলোও হাতছাড়া হয়ে যায়।
জোবায়েরের মা শায়লা বেগম বলেন, ২০২০ সালের শেষে ধারদেনা করে ওষুধ বিক্রির ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু এই ব্যবসাতেও বিপুল ক্ষতি হয় তার। ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে না পেরে ঋণদাতার কাছে বিভিন্ন সময় নানা কটূক্তি শুনত জোবায়ের। লজ্জায় একসময় বাড়ি থেকে বের হওয়াই বন্ধ করে দেয় সে।
শায়লা বেগম বলেন, ‘তবে জোবায়ের ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিল। সবার সাথে ভালো ব্যবহার করত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। সে কীভাবে এমন কাজ করল বুঝতে পারছি না।’
ঘটনার দিনের বিবরণ দিয়ে শায়লা বেগম বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুর ২টায় না খেয়েই বাসা থেকে বের হয়ে যায় জোবায়ের। আমি ফোন দিলাম। বলল আসতাছি, আইসা খাব। একটু পর ওর আব্বা আইসা কইল ‘‘ও (জোবায়ের) নাকি কারে খুন করছে’’। ওর যদি টাকা লাগত, তাইলে আরও টাকা দিতাম। এই কাজ কেন করতে গেল?
জোবায়েরের বাবা আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘পোলার সম্পর্কে আমার কিছু বলার নাই। মান সম্মান যা ছিল, সবই শেষ। জোবায়ের আমার একমাত্র পোলা। যা চাইছে, তাই দিসি। কোনো বাজে অভ্যাস ছিল না। নামাজ পড়ত, পড়ালেখাতেও ভালো ছিল।’
জোবায়েরের স্কুলের বন্ধু মিনহাজ আমান বলেন, ‘জোবায়েরকে আমরা জোবায়েদ নামে চিনতাম। আমরা একসাথে নারায়ণগঞ্জের আদর্শ স্কুলে পড়ালেখা করছি। মোটা ছিল অনেক। ছেলেরা সবাই মোটা বলে খেপাত। আর খুবই হাবাগোবা বা শান্ত ছিল। স্কুল-কলেজে ভালো ছাত্রই ছিল। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে। ও মানুষ কেন, একটা কুকুর পিটায়া মারার সাহস রাখতে পারে বলে মনে হতো না।’
জোবায়েরের নানি বাড়ি এলাকার ছোটবেলার বন্ধু মুবিন বলেন, ‘ছোটবেলায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ব্যাপারীপাড়ার যেই বাসায় আমরা থাকতাম, সেখানে ওর নানী ও খালার বাসা ছিল। ফলে প্রায়ই আমাদের বাসায় আসত জোবায়ের। আমরা চতুর্থ শ্রেণি থেকে এসএসসি পর্যন্ত একসাথে পড়ালেখা করেছি। খুবই মোটা আর শক্তিশালী ছিল সে। কিন্তু শান্তশিষ্ট ছিল অনেক। ওর মতো ছেলে এমন ঘটনা ঘটাবে, তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।’
মুবিন বলেন, ‘আমার সাথে ৫ বছর আগে একটি বাসে শেষ দেখা হয়েছিল। তখন ও আমাকে বলেছিল, ‘‘ভাই আমি চিটাগাং রোড থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত হেঁটেছি নিজে কিছু করা বা চাকরির জন্য। কিন্তু কিছুই পাইনি। আমার ধারণা ব্যক্তিগত জীবনে প্রচণ্ড হতাশ ছিল সে।’
মামলা ডিবিতে হস্তান্তরের নির্দেশ
এদিকে জোড়া খুনের মামলার তদন্তভার পুলিশ থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু।
আমির খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জোবায়েরের ধর্মীয় বিষয়টি নিয়ে প্রথম দিনেই ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বর্তমানে তাঁকে রিমান্ডে এনে তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পাশাপাশি তাঁর ব্যবহৃত ল্যাপটপ, মোবাইল, ঘরে পাওয়া বইগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। তবে উগ্রগোষ্ঠির সাথে কোনো সম্পর্ক বা যোগাযোগের কোন সংশ্লিষ্টতা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।’
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
১৭ মিনিট আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
২৫ মিনিট আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
১ ঘণ্টা আগে