নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিশান মীর্জা ও তাঁর ছোট মেয়ের নামে গুলশানের র্যাংকন আইকন টাওয়ারের ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটটি ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে গতকাল রোববার তাঁর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাংলো বাড়ি ক্রোক করা হয়।
আজ সোমবার দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান।
দুদক সচিব বলেন, বেনজীর আহমেদের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাটের সমন্বয়ে যে ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট রয়েছে, সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের একজন কর্মকর্তাকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। আজ ঢাকা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ও দুদকের একজন পরিচালকসহ একটি টিম বাড়িটির সবকিছুর ইনভেনটরি (তালিকা) করে ডুপ্লেক্সটি সিলগালা করে। পরে সেগুলো তাঁরা কমিশনে জমা দেবেন।
দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক ও গুলশানে বেনজীরের ফ্ল্যাটের রিসিভার মঞ্জুর মোর্শেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালত আমাদের রিসিভার নিয়োগ দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী ফ্ল্যাটের সব মালামাল বুঝে নিয়েছি। ফ্ল্যাটে যা যা পাওয়া গেছে সব জিনিসপত্রের ইভেনটরি করেছি, সেই তালিকা কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রোক করা এসব সম্পত্তির সঠিক ব্যবস্থাপনা জন্য আমাদের নিয়োগ করা হয়েছে। যদি ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়া যায় তাহলে অর্জিত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।’
গত ৩০ জুন বেনজীর আহমেদের স্ত্রী–কন্যাদের নামে থাকা গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাটের তালা খুলতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের আবেদন করে দুদক। সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এর আগে ৬ জুন ফ্ল্যাট চারটি ক্রোক করার আদেশ দেন মহানগর বিশেষ জজ আদালত।
তবে দুদকের দুই দফা তলবে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাড়া দেয়নি। তৃতীয়বার তলবের আইনি সুযোগ না থাকায় গত ২ জুলাই বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী জিশান মীর্জা, বড় কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ও মেজো কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে থাকা স্থাবর–অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় সংস্থাটি।
দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য দুই দফা সুযোগ থাকে অভিযুক্তদের কাছে। প্রথম দফায় ২১ কর্মদিবস। এই সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে আরও ১৫ দিন সময় দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে দ্বিতীয় দফা সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে অভিযুক্তদের ‘নন সাবমিশন’ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা করতে পারবে।
বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি গণমাধ্যমে এলে গত ১৮ এপ্রিল দুদক তাঁর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে। টিমে নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম।
ইতিমধ্যে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী জিশান মীর্জা ও তিন মেয়ের নামে থাকা গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট, বান্দরবান ও সেন্টমার্টিনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১১৩টি দলিলে তাঁদের নামে থাকা ৭০২ বিঘা জমি, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ২৫টি কোম্পানির বিনিয়োগ ক্রোক ও জব্দ করেছে দুদক।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিশান মীর্জা ও তাঁর ছোট মেয়ের নামে গুলশানের র্যাংকন আইকন টাওয়ারের ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটটি ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে গতকাল রোববার তাঁর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাংলো বাড়ি ক্রোক করা হয়।
আজ সোমবার দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান।
দুদক সচিব বলেন, বেনজীর আহমেদের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাটের সমন্বয়ে যে ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট রয়েছে, সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের একজন কর্মকর্তাকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। আজ ঢাকা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ও দুদকের একজন পরিচালকসহ একটি টিম বাড়িটির সবকিছুর ইনভেনটরি (তালিকা) করে ডুপ্লেক্সটি সিলগালা করে। পরে সেগুলো তাঁরা কমিশনে জমা দেবেন।
দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক ও গুলশানে বেনজীরের ফ্ল্যাটের রিসিভার মঞ্জুর মোর্শেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালত আমাদের রিসিভার নিয়োগ দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী ফ্ল্যাটের সব মালামাল বুঝে নিয়েছি। ফ্ল্যাটে যা যা পাওয়া গেছে সব জিনিসপত্রের ইভেনটরি করেছি, সেই তালিকা কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রোক করা এসব সম্পত্তির সঠিক ব্যবস্থাপনা জন্য আমাদের নিয়োগ করা হয়েছে। যদি ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়া যায় তাহলে অর্জিত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।’
গত ৩০ জুন বেনজীর আহমেদের স্ত্রী–কন্যাদের নামে থাকা গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাটের তালা খুলতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের আবেদন করে দুদক। সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এর আগে ৬ জুন ফ্ল্যাট চারটি ক্রোক করার আদেশ দেন মহানগর বিশেষ জজ আদালত।
তবে দুদকের দুই দফা তলবে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাড়া দেয়নি। তৃতীয়বার তলবের আইনি সুযোগ না থাকায় গত ২ জুলাই বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী জিশান মীর্জা, বড় কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ও মেজো কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে থাকা স্থাবর–অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় সংস্থাটি।
দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য দুই দফা সুযোগ থাকে অভিযুক্তদের কাছে। প্রথম দফায় ২১ কর্মদিবস। এই সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে আরও ১৫ দিন সময় দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে দ্বিতীয় দফা সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে অভিযুক্তদের ‘নন সাবমিশন’ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা করতে পারবে।
বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি গণমাধ্যমে এলে গত ১৮ এপ্রিল দুদক তাঁর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে। টিমে নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম।
ইতিমধ্যে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী জিশান মীর্জা ও তিন মেয়ের নামে থাকা গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট, বান্দরবান ও সেন্টমার্টিনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১১৩টি দলিলে তাঁদের নামে থাকা ৭০২ বিঘা জমি, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ২৫টি কোম্পানির বিনিয়োগ ক্রোক ও জব্দ করেছে দুদক।
জামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
৯ মিনিট আগেবেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
২২ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১ ঘণ্টা আগে