নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল মণ্ডল। আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নির্যাতিত রামপাল ও মোংলাবাসীর পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে কেশব লাল বলেন, ‘৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনার পর থেকেই বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে, বিশেষ করে পুরো মোংলা উপজেলায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহারের সশস্ত্র ক্যাডাররা ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহারের কতিপয় নেতা ও ক্যাডার বাহিনীর ধারাবাহিক জুলুম, অত্যাচার, হামলা, মারধর, দখল, ভাঙচুর ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এলাকার সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। বিপুলসংখ্যক হিন্দু পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে বন্দী জীবন যাপন করছে। ইতিমধ্যে কয়েক শ পরিবার ভীতিসন্ত্রস্ত হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে মোংলা থেকে পালিয়ে অন্যত্র বসবাস করছে। শুধু হাবিবুন নাহারকে ভোট না দেওয়ার কারণে এলাকায় এ ধরনের অস্থিতিশীল ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে এই আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় হাবিবুন নাহার অনেক সহজেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু এবার দলীয় কোনো বাধা না থাকায় বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মোংলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়তে হয়। নির্বাচনের শুরু থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের সমর্থক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কর্মী ও নেতাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল বলেন, ‘ভোট গণনা শেষ হতেই সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা চালায়। বসতঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানে ভাঙচুর করে। মাছের ঘের জবর দখল করে ঘেরের মাছ লুট করে নিয়ে যায়। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধ নারীরা। এমনকি তাদের হাতে দুজন মুক্তিযোদ্ধাও মারাত্মক আহত হয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা, মিঠাখালী, সুন্দরবন ও চিলা ইউনিয়নে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালিয়েছে। এসব তাণ্ডবের নেপথ্যে রয়েছে মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, সুন্দরবন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন ও তাঁর সহযোগী আহাদুল মেম্বার, মিঠাখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ইস্রাফিল হাওলাদার, চিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন, চাঁদপাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ভাই হাফিজুল ও তাঁর সহযোগী সেলিম।
‘তাঁরা ধারাবাহিকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর নির্যাতন ও জুলুম চালালেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যে কারণে আমরা নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ওই সব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পাল্টা অভিযোগ করেন সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার। তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকজনও আহত হয়েছে। তারাও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। খুলনা হাসপাতালেও ভর্তি আছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমার নিজের কর্মী-সমর্থক আছে। আমি কোনো বিএনপি-জামায়াতকে আমার দলে ডাকিনি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিধান চন্দ্র রায়, মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মণ্ডল, বুড়িরভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস, ইউপি সদস্য আশীষ মণ্ডল, নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য পিন্টু রায়, নয়ন কুমার মণ্ডল, সঞ্জয় বাছার, নির্মল সরকার, দেবাশীষ মণ্ডল, তপন ফকির, দীপা ফকির, তাপস সরকার, বিবেক মণ্ডল, অমিত সরকার প্রমুখ।
নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল মণ্ডল। আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নির্যাতিত রামপাল ও মোংলাবাসীর পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে কেশব লাল বলেন, ‘৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনার পর থেকেই বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে, বিশেষ করে পুরো মোংলা উপজেলায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহারের সশস্ত্র ক্যাডাররা ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহারের কতিপয় নেতা ও ক্যাডার বাহিনীর ধারাবাহিক জুলুম, অত্যাচার, হামলা, মারধর, দখল, ভাঙচুর ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে এলাকার সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। বিপুলসংখ্যক হিন্দু পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে বন্দী জীবন যাপন করছে। ইতিমধ্যে কয়েক শ পরিবার ভীতিসন্ত্রস্ত হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে মোংলা থেকে পালিয়ে অন্যত্র বসবাস করছে। শুধু হাবিবুন নাহারকে ভোট না দেওয়ার কারণে এলাকায় এ ধরনের অস্থিতিশীল ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে এই আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় হাবিবুন নাহার অনেক সহজেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু এবার দলীয় কোনো বাধা না থাকায় বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মোংলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়তে হয়। নির্বাচনের শুরু থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের সমর্থক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কর্মী ও নেতাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল বলেন, ‘ভোট গণনা শেষ হতেই সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা চালায়। বসতঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানে ভাঙচুর করে। মাছের ঘের জবর দখল করে ঘেরের মাছ লুট করে নিয়ে যায়। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধ নারীরা। এমনকি তাদের হাতে দুজন মুক্তিযোদ্ধাও মারাত্মক আহত হয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা, মিঠাখালী, সুন্দরবন ও চিলা ইউনিয়নে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালিয়েছে। এসব তাণ্ডবের নেপথ্যে রয়েছে মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, সুন্দরবন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন ও তাঁর সহযোগী আহাদুল মেম্বার, মিঠাখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ইস্রাফিল হাওলাদার, চিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন, চাঁদপাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ভাই হাফিজুল ও তাঁর সহযোগী সেলিম।
‘তাঁরা ধারাবাহিকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর নির্যাতন ও জুলুম চালালেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যে কারণে আমরা নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ওই সব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পাল্টা অভিযোগ করেন সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার। তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকজনও আহত হয়েছে। তারাও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। খুলনা হাসপাতালেও ভর্তি আছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমার নিজের কর্মী-সমর্থক আছে। আমি কোনো বিএনপি-জামায়াতকে আমার দলে ডাকিনি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিধান চন্দ্র রায়, মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মণ্ডল, বুড়িরভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস, ইউপি সদস্য আশীষ মণ্ডল, নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য পিন্টু রায়, নয়ন কুমার মণ্ডল, সঞ্জয় বাছার, নির্মল সরকার, দেবাশীষ মণ্ডল, তপন ফকির, দীপা ফকির, তাপস সরকার, বিবেক মণ্ডল, অমিত সরকার প্রমুখ।
জামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
১৬ মিনিট আগেবেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
২৯ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১ ঘণ্টা আগে