নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজ ছাত্রী মোসারত জাহান মুনিয়ার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন বাদীর আইনজীবীরা। আজ বৃহস্পতিবার বাদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের কাছে এই দাবি করেন।
আনভীরকে মুনিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় অব্যাহতি দেওয়ার বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করতে আদালতে এসে এসব কথা বলেন বাদী নুসরাত জাহানের আইনজীবীরা। বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট মইনউদ্দিন ফারুক, মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
তবে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বাদী পক্ষ থেকে কোনো আবেদন করতে পারেননি আইনজীবীরা। আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এই আবেদনের ওপর শুনানি হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
আজ সকাল ১০টার দিকে বাদী নুসরাত জাহান তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হন। বাদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন বলেন, আদালতের নোটিশ পেয়ে বাদী হাজির হয়েছেন। তিনি তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক দাখিলকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন। আজ যদি আদালত শুনানি গ্রহণ করেন তাহলে আমরা দুটি আবেদন দাখিল করব। একটি আবেদন হবে নারাজি দেওয়ার জন্য সময়ের আবেদন, আরেকটি বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য অনুমতি চেয়ে।
ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন আরও বলেন, বাদী মনে করেন, পুলিশ এই মামলা তদন্তে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়নি।
তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান জোনের ডিসির সঙ্গে একাধিকবার বাদী যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু বাদীর বক্তব্য তাঁরা গ্রহণ করেননি। এমনকি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগে বাদীর সঙ্গে চূড়ান্তভাবে তদন্ত কর্মকর্তার বসতে হয়। একই সঙ্গে বাদীকে ঘটনা অবহিত করতে হয়। তার কোনোটিই করেননি তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এই মামলার সাক্ষীরা যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছে তাও ঠিক মতো লিপিবদ্ধ করেননি। অনেকটা একপেশে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী আরও বলেন, এটা স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা–এ ধরনের আলামত রয়েছে। অথচ ঘটনার পরে মামলার এজাহার সেভাবে নেওয়া হয়নি। ঘটনা পরম্পরায় মামলা দায়েরের সময় বাদী এটা বুঝতে পারেননি।
আইনজীবী আবারো বলেন, মুনিয়ার লাশ ঝুলেছিল কিন্তু তাঁর পা বিছানার সঙ্গে লেগেছিল। আত্মহত্যা হলে মৃতদেহ এরকম থাকার কথা নয়।
মামলার এজাহারে এসব কথা লেখা হয়নি কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবী বলেন, এজাহারকারী নুসরাত আইনজীবী নন। আইন সম্পর্কে তাঁর ভালো ধারণা নেই। তাই এজাহার লেখার সময় পুলিশের সহযোগিতায় পুলিশের কথামতো এজাহার লেখা হয়েছে।
আইনজীবী আরও বলেন, মামলা যেকোনোভাবে রজু হতে পারে। কিন্তু তদন্ত খুঁটিনাটি সব বিষয় বিবেচনা করে হতে হবে। সেভাবে তদন্ত হয়নি। এজাহার একটা প্রাথমিক ভিত্তি। এজাহারে সবকিছু থাকতে হবে আইনে এমনটি নেই। তদন্তে সবকিছু শেষ সুস্পষ্ট হতে হবে।
ব্যারিস্টার সারোয়ার আরো বলেন, ধর্ষণের স্পষ্ট আলামত রয়েছে আমরা আদালতে শুনানির সময় বলবো।
এ সময় মামলার বাদী মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইনভেস্টিগেশন সঠিক হয়নি। পুলিশ তদন্তে আমাকে কোনো সহায়তা করেনি। সঠিক তথ্য তদন্ত প্রতিবেদনে নেই। এই কারণে আমি নারাজি দেব।’
গত ১৯ জুলাই রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা এই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ঢাকার মহানগর হাকিম মোরশেদ আল মামুন ভূঞা বাদীর উপস্থিতিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য ২৯ জুলাই দিন ধার্য করেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে আনভীরের বিরুদ্ধে মুনিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যার পর রাজধানীর গুলশান–২–এর ১২০ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বাবা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। তাঁদের বাড়ি কুমিল্লার উজির দিঘিরপাড়। এক লাখ টাকা ভাড়ায় মাস দুয়েক আগে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন মুনিয়া।
পরদিন ২৭ এপ্রিল রাতে গুলশান থানায় মামলা হয়। মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এতে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে একমাত্র আসামি করা হয়। মামলায় বাদী হন ওই মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান।
রাজধানীর একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজ ছাত্রী মোসারত জাহান মুনিয়ার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন বাদীর আইনজীবীরা। আজ বৃহস্পতিবার বাদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের কাছে এই দাবি করেন।
আনভীরকে মুনিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় অব্যাহতি দেওয়ার বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করতে আদালতে এসে এসব কথা বলেন বাদী নুসরাত জাহানের আইনজীবীরা। বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট মইনউদ্দিন ফারুক, মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
তবে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বাদী পক্ষ থেকে কোনো আবেদন করতে পারেননি আইনজীবীরা। আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এই আবেদনের ওপর শুনানি হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
আজ সকাল ১০টার দিকে বাদী নুসরাত জাহান তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হন। বাদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন বলেন, আদালতের নোটিশ পেয়ে বাদী হাজির হয়েছেন। তিনি তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক দাখিলকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন। আজ যদি আদালত শুনানি গ্রহণ করেন তাহলে আমরা দুটি আবেদন দাখিল করব। একটি আবেদন হবে নারাজি দেওয়ার জন্য সময়ের আবেদন, আরেকটি বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য অনুমতি চেয়ে।
ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন আরও বলেন, বাদী মনে করেন, পুলিশ এই মামলা তদন্তে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়নি।
তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান জোনের ডিসির সঙ্গে একাধিকবার বাদী যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু বাদীর বক্তব্য তাঁরা গ্রহণ করেননি। এমনকি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগে বাদীর সঙ্গে চূড়ান্তভাবে তদন্ত কর্মকর্তার বসতে হয়। একই সঙ্গে বাদীকে ঘটনা অবহিত করতে হয়। তার কোনোটিই করেননি তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এই মামলার সাক্ষীরা যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছে তাও ঠিক মতো লিপিবদ্ধ করেননি। অনেকটা একপেশে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী আরও বলেন, এটা স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের ঘটনা–এ ধরনের আলামত রয়েছে। অথচ ঘটনার পরে মামলার এজাহার সেভাবে নেওয়া হয়নি। ঘটনা পরম্পরায় মামলা দায়েরের সময় বাদী এটা বুঝতে পারেননি।
আইনজীবী আবারো বলেন, মুনিয়ার লাশ ঝুলেছিল কিন্তু তাঁর পা বিছানার সঙ্গে লেগেছিল। আত্মহত্যা হলে মৃতদেহ এরকম থাকার কথা নয়।
মামলার এজাহারে এসব কথা লেখা হয়নি কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবী বলেন, এজাহারকারী নুসরাত আইনজীবী নন। আইন সম্পর্কে তাঁর ভালো ধারণা নেই। তাই এজাহার লেখার সময় পুলিশের সহযোগিতায় পুলিশের কথামতো এজাহার লেখা হয়েছে।
আইনজীবী আরও বলেন, মামলা যেকোনোভাবে রজু হতে পারে। কিন্তু তদন্ত খুঁটিনাটি সব বিষয় বিবেচনা করে হতে হবে। সেভাবে তদন্ত হয়নি। এজাহার একটা প্রাথমিক ভিত্তি। এজাহারে সবকিছু থাকতে হবে আইনে এমনটি নেই। তদন্তে সবকিছু শেষ সুস্পষ্ট হতে হবে।
ব্যারিস্টার সারোয়ার আরো বলেন, ধর্ষণের স্পষ্ট আলামত রয়েছে আমরা আদালতে শুনানির সময় বলবো।
এ সময় মামলার বাদী মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইনভেস্টিগেশন সঠিক হয়নি। পুলিশ তদন্তে আমাকে কোনো সহায়তা করেনি। সঠিক তথ্য তদন্ত প্রতিবেদনে নেই। এই কারণে আমি নারাজি দেব।’
গত ১৯ জুলাই রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা এই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ঢাকার মহানগর হাকিম মোরশেদ আল মামুন ভূঞা বাদীর উপস্থিতিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য ২৯ জুলাই দিন ধার্য করেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে আনভীরের বিরুদ্ধে মুনিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যার পর রাজধানীর গুলশান–২–এর ১২০ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বাবা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। তাঁদের বাড়ি কুমিল্লার উজির দিঘিরপাড়। এক লাখ টাকা ভাড়ায় মাস দুয়েক আগে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন মুনিয়া।
পরদিন ২৭ এপ্রিল রাতে গুলশান থানায় মামলা হয়। মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এতে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে একমাত্র আসামি করা হয়। মামলায় বাদী হন ওই মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১০ টাকার একটি চিতই পিঠার সঙ্গে বিনা মূল্যে মিলছে ৩০ রকমের ভর্তা। সুস্বাদু ভর্তার টানে বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পিঠার দোকানে ভিড় লেগে থাকে। আর ভোজন রসিকেরা পরম তৃপ্তির সঙ্গে পিঠার স্বাদ নেন।
৩ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসচাপায় আহনাফ হোসেন (৭) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে মহাসড়কে জকসিন বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু সদর উপজেলার যাদৈয়া এলাকার সফিকুল আলমের ছেলে।
৪ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে