নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি খাত থেকে আত্মসাৎ করা ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা ফেরত দিতে হবে জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকারকে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দিয়েছেন।
আজ সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি রেজাউল করিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৬ মার্চ এ আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশে এটাই প্রমাণিত হয়, অবৈধভাবে সরকারি টাকা উত্তোলন করে জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার আত্মসাৎ করেছিলেন।
এ-সংক্রান্ত মামলার নথি থেকে দেখা যায়, আগামী ৯ জুলাই বা তার আগে জমির উদ্দিন সরকারকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার স্পিকার থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে হৃদ্রোগ চিকিৎসা করেন। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে তিনি চিকিৎসার খরচ বাবদ ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকার ব্যয়ভার সরকারি খাত থেকে পরিশোধের অনুমতি চেয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন না দিয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে স্পিকার নিজ ক্ষমতাবলে বিলটি পরিষদের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে জাতীয় সংসদের তৎকালীন প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম বিল পরিশোধ করেন। এই দুজনে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই টাকার বিল অনুমোদন ও উত্তোলন করে অবৈধভাবে লাভবান হয়ে অপরাধ করেছেন বলে দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপসহকারী পরিচালক এস এম খবীরউদ্দিন ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় পাঁচটি মামলা দায়ের করেন।
২০১২ সালের ৭ নভেম্বর ৫ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এই পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ পৃথক সিদ্ধান্ত দেওয়ায় পরে অন্য একটি বেঞ্চে প্রেরণ করা হয়। ওই বেঞ্চ ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা চলবে বলে রায় দেন। জমির উদ্দিন সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত বছরের ২৫ আগস্ট আপিল বিভাগ পাঁচটি মামলায় বাতিল করেন। তবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে তাঁর উত্তোলন করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
নির্দেশে বলা হয়, আপিল বিভাগের আদেশের কপি বিচারিক আদালতে পৌঁছানোর পর ছয় মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে। বিশেষ জজ আদালত-৭-এ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ পৌঁছায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি।
সরকারি খাত থেকে আত্মসাৎ করা ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা ফেরত দিতে হবে জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকারকে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দিয়েছেন।
আজ সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি রেজাউল করিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৬ মার্চ এ আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশে এটাই প্রমাণিত হয়, অবৈধভাবে সরকারি টাকা উত্তোলন করে জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার আত্মসাৎ করেছিলেন।
এ-সংক্রান্ত মামলার নথি থেকে দেখা যায়, আগামী ৯ জুলাই বা তার আগে জমির উদ্দিন সরকারকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার স্পিকার থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে হৃদ্রোগ চিকিৎসা করেন। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে তিনি চিকিৎসার খরচ বাবদ ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকার ব্যয়ভার সরকারি খাত থেকে পরিশোধের অনুমতি চেয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন না দিয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে স্পিকার নিজ ক্ষমতাবলে বিলটি পরিষদের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে জাতীয় সংসদের তৎকালীন প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম বিল পরিশোধ করেন। এই দুজনে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই টাকার বিল অনুমোদন ও উত্তোলন করে অবৈধভাবে লাভবান হয়ে অপরাধ করেছেন বলে দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপসহকারী পরিচালক এস এম খবীরউদ্দিন ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় পাঁচটি মামলা দায়ের করেন।
২০১২ সালের ৭ নভেম্বর ৫ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এই পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ পৃথক সিদ্ধান্ত দেওয়ায় পরে অন্য একটি বেঞ্চে প্রেরণ করা হয়। ওই বেঞ্চ ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা চলবে বলে রায় দেন। জমির উদ্দিন সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত বছরের ২৫ আগস্ট আপিল বিভাগ পাঁচটি মামলায় বাতিল করেন। তবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে তাঁর উত্তোলন করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
নির্দেশে বলা হয়, আপিল বিভাগের আদেশের কপি বিচারিক আদালতে পৌঁছানোর পর ছয় মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে। বিশেষ জজ আদালত-৭-এ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ পৌঁছায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি।
রাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের বাসায় মাকে বেঁধে রেখে টাকা, গয়নাসহ শিশু সন্তানকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, এটা পরিকল্পিত ঘটনা। ৮ মাসের জাইফাকে অপহরণ ও মূল্যবান সম্পদ চুরি করা ছিল উদ্দেশ্য। এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হননি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাবলেট...
৬ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যৌথবাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ককটেল, দেশীয় অস্ত্রসহ যুবদল, ছাত্রদল ও যুবলীগের তিন নেতাকে আটক করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে আজ শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত উপজেলার পিয়ারপুর ও জগন্নাথপুর গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়।
১৫ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনাটি নতুন মোড় নিয়েছে। উম্মে সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করেছিল র্যাব। তবে পুলিশ বলছে, ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা এ হত্যা ঘটিয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগেনিহত ফয়সাল খান শুভ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর এলাকার মো. সেলিম খানের ছেলে। তিনি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করে নগরীর কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ রোডে বোন জামাইয়ের বাসায় থেকে চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন।
৪৪ মিনিট আগে