আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
কারও হাতে খেলনা, কারও হাতে মুখরোচক কোনো খাবার। গ্রামজুড়ে সাজ সাজ রব। সবার মধ্যে উৎসবের আমেজ। কেউ প্রসাদ খেতে ব্যস্ত। শিশু থেকে বৃদ্ধ, হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত চারপাশ। মনের আশা পূরণের প্রত্যাশায় আয়োজন করা এই উৎসবকে স্থানীয়রা বলেন ‘সম্প্রীতির উৎসব’। বহু বছর ধরে চলে আসা এই উৎসব এখনো জমজমাট।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে শুরু হয় এই উৎসব। চারটি ভাগে চার এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ চার দিন আয়োজন করেন এটি। এটি ছিল প্রথম আয়োজন। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের বাষ্টিয়া গ্রামের কালীবাড়ি বটতলায় এ উৎসব দেখতে আসেন জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে হাজারও মানুষ।
যে বটগাছকে কেন্দ্র করে এই উৎসব, সেই সুবিশাল বটগাছ কবে জন্মেছিল, কবে থেকে এই উৎসবের শুরু, তা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে রয়েছে নানা মত। তবে আয়োজকদের দাবি, ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই উৎসব। স্থানীয় প্রবীণদের মতে, প্রয়াত ভাষান সোম, উপেন্দ্র সরকার, কৃষ্ট সরকার, সুরেশ চন্দ্র গোস্বামী ও ননী গোপাল মৌলিক এই বটতলায় পূজা ও উৎসবের প্রচলন করেন। এরপর থেকে চলে আসছে এটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সম্প্রীতির উৎসবে এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল নেমেছে। স্থানীয় দুর্গাবাড়ি, বাষ্টিয়া, ভালকুটিয়া, জাবরা, বানিয়াজুরী, বালিয়াখোড়া গ্রামবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে এই উৎসব। বিশাল বটতলার আঙিনাজুড়ে নানা জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
উৎসবের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক বানিয়াজুরী দুর্গাবাড়ি গ্রামের বাদল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এটি আমাদের ঐতিহ্য, বড় একটা উৎসব। পূর্বপুরুষেরা পালন করেছেন, আমরাও করছি। পরবর্তী প্রজন্মও পালন করবে। এ উপলক্ষে কয়েক হাজার দর্শনার্থীকে একসঙ্গে খাবার দেওয়া হয়। আশপাশের গ্রামের প্রায় বাড়িতে উৎসব শুরু হয়। মেয়েরা তাঁদের বাবার বাড়িতে নাইওর আসেন। দূরদূরান্ত থেকে আত্মীয়স্বজন বেড়াতে আসেন।’
আয়োজকদের একজন তুষ্ট মোহন রায় বলেন, এখানে কোনো প্রতিমা নেই, এই বটগাছকেই বিগ্রহ মনে করে কালীপূজা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ উপলক্ষে বসে মেলা। এবারও উৎসবে বেশ কয়েকটি দেশের মানুষসহ, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাদ্য বাজিয়ে, মানতের উপকরণ নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীরা ছুটে এসেছেন। মূলত মনের আশা পূরণে এই বটতলায় পূজা, মানত ও প্রসাদ বিতরণের রেওয়াজ সুদীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে।
পূজারি গৌতম চন্দ্র মৌলিক বলেন, ‘আমার দাদা ননী গোপাল মৌলিক এখানের পূজারি ছিলেন। দাদার মুখে শুনেছি, তিনিও তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে এই উৎসবের কথা শুনেছেন। সে সময় শুধু হিন্দু ধর্মের মানুষ এখানে পূজা, মানত ও প্রসাদসেবা নিতে আসতেন। তবে এই উৎসব এখন আর কোনো ধর্মের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সম্প্রীতির এক মেলবন্ধন হয়ে উঠেছে।’
উৎসবে আসা শিক্ষার্থী সোমা সরকার, পূজা সরকার, সানজিদা, রুপম বলেন, ছোটবেলা থেকেই এই উৎসবে আসি। এখানে বন্ধুদের সঙ্গে মেলায় অনেক আনন্দ হয়। ইচ্ছাপূরণে মানত করি। প্রসাদ খাই।
জাবরা গ্রামের ব্যবসায়ী সুমন দাস বলেন, প্রতি বছর এই দিনটার জন্য প্রতীক্ষা করি। মায়ের কাছে মন খুলে প্রার্থনা করে অনেক কিছু প্রত্যাশা করি। এখানে এসে মানত করে কেউ খালি হাতে ফেরে না।’
বাষ্টিয়া গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, এটি সর্বজনীন উৎসব। সব ধর্মের মানুষের উপস্থিতিতে উৎসবটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
স্থানীয় বালিয়াখোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল খান বলেন, এই উৎসব খুব পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী। পৌষের চাঁদে এই উৎসব হলেও এ বছর মাঘ মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থকে মানুষ এসেছে। এখানে সম্প্রীতির এক মিলনমেলা বসে।
কারও হাতে খেলনা, কারও হাতে মুখরোচক কোনো খাবার। গ্রামজুড়ে সাজ সাজ রব। সবার মধ্যে উৎসবের আমেজ। কেউ প্রসাদ খেতে ব্যস্ত। শিশু থেকে বৃদ্ধ, হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত চারপাশ। মনের আশা পূরণের প্রত্যাশায় আয়োজন করা এই উৎসবকে স্থানীয়রা বলেন ‘সম্প্রীতির উৎসব’। বহু বছর ধরে চলে আসা এই উৎসব এখনো জমজমাট।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে শুরু হয় এই উৎসব। চারটি ভাগে চার এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ চার দিন আয়োজন করেন এটি। এটি ছিল প্রথম আয়োজন। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের বাষ্টিয়া গ্রামের কালীবাড়ি বটতলায় এ উৎসব দেখতে আসেন জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে হাজারও মানুষ।
যে বটগাছকে কেন্দ্র করে এই উৎসব, সেই সুবিশাল বটগাছ কবে জন্মেছিল, কবে থেকে এই উৎসবের শুরু, তা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে রয়েছে নানা মত। তবে আয়োজকদের দাবি, ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই উৎসব। স্থানীয় প্রবীণদের মতে, প্রয়াত ভাষান সোম, উপেন্দ্র সরকার, কৃষ্ট সরকার, সুরেশ চন্দ্র গোস্বামী ও ননী গোপাল মৌলিক এই বটতলায় পূজা ও উৎসবের প্রচলন করেন। এরপর থেকে চলে আসছে এটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সম্প্রীতির উৎসবে এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল নেমেছে। স্থানীয় দুর্গাবাড়ি, বাষ্টিয়া, ভালকুটিয়া, জাবরা, বানিয়াজুরী, বালিয়াখোড়া গ্রামবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে এই উৎসব। বিশাল বটতলার আঙিনাজুড়ে নানা জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
উৎসবের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক বানিয়াজুরী দুর্গাবাড়ি গ্রামের বাদল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এটি আমাদের ঐতিহ্য, বড় একটা উৎসব। পূর্বপুরুষেরা পালন করেছেন, আমরাও করছি। পরবর্তী প্রজন্মও পালন করবে। এ উপলক্ষে কয়েক হাজার দর্শনার্থীকে একসঙ্গে খাবার দেওয়া হয়। আশপাশের গ্রামের প্রায় বাড়িতে উৎসব শুরু হয়। মেয়েরা তাঁদের বাবার বাড়িতে নাইওর আসেন। দূরদূরান্ত থেকে আত্মীয়স্বজন বেড়াতে আসেন।’
আয়োজকদের একজন তুষ্ট মোহন রায় বলেন, এখানে কোনো প্রতিমা নেই, এই বটগাছকেই বিগ্রহ মনে করে কালীপূজা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ উপলক্ষে বসে মেলা। এবারও উৎসবে বেশ কয়েকটি দেশের মানুষসহ, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাদ্য বাজিয়ে, মানতের উপকরণ নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীরা ছুটে এসেছেন। মূলত মনের আশা পূরণে এই বটতলায় পূজা, মানত ও প্রসাদ বিতরণের রেওয়াজ সুদীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে।
পূজারি গৌতম চন্দ্র মৌলিক বলেন, ‘আমার দাদা ননী গোপাল মৌলিক এখানের পূজারি ছিলেন। দাদার মুখে শুনেছি, তিনিও তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে এই উৎসবের কথা শুনেছেন। সে সময় শুধু হিন্দু ধর্মের মানুষ এখানে পূজা, মানত ও প্রসাদসেবা নিতে আসতেন। তবে এই উৎসব এখন আর কোনো ধর্মের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সম্প্রীতির এক মেলবন্ধন হয়ে উঠেছে।’
উৎসবে আসা শিক্ষার্থী সোমা সরকার, পূজা সরকার, সানজিদা, রুপম বলেন, ছোটবেলা থেকেই এই উৎসবে আসি। এখানে বন্ধুদের সঙ্গে মেলায় অনেক আনন্দ হয়। ইচ্ছাপূরণে মানত করি। প্রসাদ খাই।
জাবরা গ্রামের ব্যবসায়ী সুমন দাস বলেন, প্রতি বছর এই দিনটার জন্য প্রতীক্ষা করি। মায়ের কাছে মন খুলে প্রার্থনা করে অনেক কিছু প্রত্যাশা করি। এখানে এসে মানত করে কেউ খালি হাতে ফেরে না।’
বাষ্টিয়া গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, এটি সর্বজনীন উৎসব। সব ধর্মের মানুষের উপস্থিতিতে উৎসবটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
স্থানীয় বালিয়াখোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল খান বলেন, এই উৎসব খুব পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী। পৌষের চাঁদে এই উৎসব হলেও এ বছর মাঘ মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থকে মানুষ এসেছে। এখানে সম্প্রীতির এক মিলনমেলা বসে।
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে