ঢাবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির পক্ষের ছাত্রলীগ-সমমনা একদল শিক্ষার্থী। আজ সোমবার বিকেলে উপাচার্যের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) কামরুল হাসান স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলন বিষয়টি জানানো এবং স্মারকলিপি পাঠ করে শোনানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিক আলম, সাগর বিশ্বাস, অরিত্র ঘোষ ও ২১ ব্যাচের অর্ঘ দাস, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর স্বপ্নীল এবং মিশু দত্ত চাঁদসহ প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর দ্বারা আমরা প্রায়ই অনলাইনে ও বাস্তব জীবনে সরাসরি হেনস্তা ও অপমানের শিকার হয়েছি। ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সুনামগঞ্জে আটক হওয়া ২৪ বুয়েট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যেই মামলা হয়, আমরা একটি মানববন্ধনের (আগস্ট ৬,২০২৪) মাধ্যমে তার সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করি মহামান্য আদালতের কাছে। যেখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল, যদি কোনো শিক্ষার্থী আসলেই দোষী হয় তবে তাঁর আমরা শাস্তি চাই, নির্দোষ সকলের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
কিন্তু এই মানববন্ধনের পরেই বিষয়টি বদলাতে শুরু করে। মানববন্ধনে দাঁড়ানোর কারণে হল বা ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ব্যাচ ও নিজ নিজ ব্যাচের সহপাঠীরা আমাদের ডেকে ডেকে নানাভাবে জেরা করে। বিভিন্নভাবে হলের সিট বাতিল অথবা টার্ম বহিষ্কারের ভীতি প্রদর্শন করে। অরিত্র ঘোষ এবং মিশু দত্তকে আনুমানিক রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত আহসান উল্লা হলের কমন রুমে এবং মাঠে জেরা করা হয়। আমাদের ডেকে নিয়ে সবার সামনে জেরা ও বাজে আচরণ করা হয়।
সামাজিকভাবে হেয় ও কালচারাল র্যাগিং নিয়ে বুয়েট উপাচার্য বরাবর দেওয়া অভিযোগের তদন্তের দাবিতে স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, একদিন রাতে একসঙ্গে কাচ্চি খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার হয়েছে এবং সেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসেছিল—এমন বানোয়াট মিথ্যা তথ্য বুয়েট শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপে বেনামে পোস্ট করা হয়। এরপর সবার সামনে আমাদের অপরাধী বানিয়ে আমাদের ওপর যে মব জাস্টিস শুরু করে—তার বিবরণ আমরা আপনার (বুয়েট উপাচার্য) বরাবর জমা দিয়েছিলাম। আপনি আমাদের আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত আমরা তাঁর কোনোরূপ তদন্ত রিপোর্ট বা দোষীদের শাস্তি আওতায় আসতে দেখিনি।
এর ফলে দিন দিন আমাদের সামাজিকভাবে হেনস্তা ও নিপীড়নের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাঁরা নতুন নতুন উপায়ে এসব করতে থাকে। যেমন: প্রথমে সব গ্রুপগুলো থেকে বের করে দেওয়া হয়; যাতে আমরা তথ্যর অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটমানতার সঙ্গে খাপ খেতে না পারি। বিভিন্ন ক্লাব থেকে বের করে দিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়। খেলাধুলা এমনকি ব্যাচ বা ডিপার্টমেন্টের যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে মানসিক নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে আমাদের সঙ্গে পড়াশোনার বিষয়াবলি আদান-প্রদান না করার জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত দলটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিজেদের মতামত চাপিয়ে দেয়। কেউ অমান্য করলে তাঁকেও হেনস্তা করার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়।
স্মারকলিপি পাঠকালে আশিক আলম বলেন, ‘বুয়েট ক্যাম্পাসে হিযবুত তাহ্রির ও শিবিরের মতো মৌলবাদী সংগঠন যে সক্রিয়—তার অভিযোগ করেছিলাম। আজকে আমাদের অভিযোগের সত্যতা বুয়েটের সিসিটিভি ফুটেজে প্রমাণিত হয়েছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গেছে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আপনার নিকট অনুরোধ জানাই। তাঁরা কি বুয়েটের নাকি বাইরের—এই বিষয়টি নিয়ে আমরা সন্দিহান। যদি তাঁরা বুয়েটের বাইরের হয়—তবে তাঁরা বুয়েটের অভ্যন্তরে কীভাবে প্রবেশ করল? আর যদি বুয়েটের হয়—তবে অতি সত্তর পরিচয় উল্লেখ করে তাঁদের ক্যাম্পাসচ্যুত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টাঙ্গুয়ার হাওরের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত মামলার আসামিদের সঙ্গে একই ক্যাম্পাসে সহাবস্থান করা আমাদের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। জঙ্গিবাদের গোপন গ্রুপে আমাদের নাম-পরিচয় দিয়ে আমাদের হুমকির মধ্যে রাখা হয়েছে। আমদের ধারণা, সেখানে আমাদের পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে অবশ্যই বুয়েটের কেউ জড়িত। কে বা কারা এটা করছে—সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই। এসবের সঙ্গে জড়িতদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যত দ্রুত তুলে দেওয়া যায়, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য তা ততই মঙ্গল। আর ক্যাম্পাসে এমন অস্থিতিশীল পরিবেশে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের সঙ্গে থাকা যেহেতু ভীতিকর—তাই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। এ ছাড়া তাদের সহযোগী, মদদদাতা ও পেছন থেকে কাজ করা ব্যক্তিদেরও শনাক্ত করা হোক। তদন্তের জন্য তাঁদের গোয়েন্দা নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।
এই সকল ঘটনার শুরু হয় সিএসবি (কারেন্ট স্টুডেন্টস অব বুয়েট) নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে বেনামে পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে। এই গ্রুপটি স্টুডেন্টদের গভর্নিং বডি হিসেবে দাবি করে—সামাজিক বয়কট ও ক্যান্সেল কালচারের ভাইরাস ছড়ায়। কালচারাল র্যাগিংয়ের পরিকল্পনা ও পরিচালনা এই গ্রুপটি থেকেই হয়। এই গ্রুপটির অ্যাডমিন কারা এবং তাদের এই ম্যান্ডেট কে দিয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কি? এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, যেই বুয়েটে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নের সূচনা হয়—সেই বুয়েটে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধ মতের চর্চা করে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে কালিমা লেপন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করে—তাদের অতি দ্রুত তদন্তের আওতায় আনা হোক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমাদের দেওয়া আগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো যথাযথ পদক্ষেপ আমরা লক্ষ্য করি নি। তাই আপনার (উপাচার্য) নিকট আমাদের সবিনয় নিবেদন এই যে, যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং আগামী একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির পক্ষের ছাত্রলীগ-সমমনা একদল শিক্ষার্থী। আজ সোমবার বিকেলে উপাচার্যের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) কামরুল হাসান স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলন বিষয়টি জানানো এবং স্মারকলিপি পাঠ করে শোনানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিক আলম, সাগর বিশ্বাস, অরিত্র ঘোষ ও ২১ ব্যাচের অর্ঘ দাস, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর স্বপ্নীল এবং মিশু দত্ত চাঁদসহ প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর দ্বারা আমরা প্রায়ই অনলাইনে ও বাস্তব জীবনে সরাসরি হেনস্তা ও অপমানের শিকার হয়েছি। ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সুনামগঞ্জে আটক হওয়া ২৪ বুয়েট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যেই মামলা হয়, আমরা একটি মানববন্ধনের (আগস্ট ৬,২০২৪) মাধ্যমে তার সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করি মহামান্য আদালতের কাছে। যেখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল, যদি কোনো শিক্ষার্থী আসলেই দোষী হয় তবে তাঁর আমরা শাস্তি চাই, নির্দোষ সকলের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
কিন্তু এই মানববন্ধনের পরেই বিষয়টি বদলাতে শুরু করে। মানববন্ধনে দাঁড়ানোর কারণে হল বা ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ব্যাচ ও নিজ নিজ ব্যাচের সহপাঠীরা আমাদের ডেকে ডেকে নানাভাবে জেরা করে। বিভিন্নভাবে হলের সিট বাতিল অথবা টার্ম বহিষ্কারের ভীতি প্রদর্শন করে। অরিত্র ঘোষ এবং মিশু দত্তকে আনুমানিক রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত আহসান উল্লা হলের কমন রুমে এবং মাঠে জেরা করা হয়। আমাদের ডেকে নিয়ে সবার সামনে জেরা ও বাজে আচরণ করা হয়।
সামাজিকভাবে হেয় ও কালচারাল র্যাগিং নিয়ে বুয়েট উপাচার্য বরাবর দেওয়া অভিযোগের তদন্তের দাবিতে স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, একদিন রাতে একসঙ্গে কাচ্চি খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার হয়েছে এবং সেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসেছিল—এমন বানোয়াট মিথ্যা তথ্য বুয়েট শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপে বেনামে পোস্ট করা হয়। এরপর সবার সামনে আমাদের অপরাধী বানিয়ে আমাদের ওপর যে মব জাস্টিস শুরু করে—তার বিবরণ আমরা আপনার (বুয়েট উপাচার্য) বরাবর জমা দিয়েছিলাম। আপনি আমাদের আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত আমরা তাঁর কোনোরূপ তদন্ত রিপোর্ট বা দোষীদের শাস্তি আওতায় আসতে দেখিনি।
এর ফলে দিন দিন আমাদের সামাজিকভাবে হেনস্তা ও নিপীড়নের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাঁরা নতুন নতুন উপায়ে এসব করতে থাকে। যেমন: প্রথমে সব গ্রুপগুলো থেকে বের করে দেওয়া হয়; যাতে আমরা তথ্যর অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটমানতার সঙ্গে খাপ খেতে না পারি। বিভিন্ন ক্লাব থেকে বের করে দিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়। খেলাধুলা এমনকি ব্যাচ বা ডিপার্টমেন্টের যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে মানসিক নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে আমাদের সঙ্গে পড়াশোনার বিষয়াবলি আদান-প্রদান না করার জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত দলটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিজেদের মতামত চাপিয়ে দেয়। কেউ অমান্য করলে তাঁকেও হেনস্তা করার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়।
স্মারকলিপি পাঠকালে আশিক আলম বলেন, ‘বুয়েট ক্যাম্পাসে হিযবুত তাহ্রির ও শিবিরের মতো মৌলবাদী সংগঠন যে সক্রিয়—তার অভিযোগ করেছিলাম। আজকে আমাদের অভিযোগের সত্যতা বুয়েটের সিসিটিভি ফুটেজে প্রমাণিত হয়েছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গেছে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আপনার নিকট অনুরোধ জানাই। তাঁরা কি বুয়েটের নাকি বাইরের—এই বিষয়টি নিয়ে আমরা সন্দিহান। যদি তাঁরা বুয়েটের বাইরের হয়—তবে তাঁরা বুয়েটের অভ্যন্তরে কীভাবে প্রবেশ করল? আর যদি বুয়েটের হয়—তবে অতি সত্তর পরিচয় উল্লেখ করে তাঁদের ক্যাম্পাসচ্যুত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টাঙ্গুয়ার হাওরের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত মামলার আসামিদের সঙ্গে একই ক্যাম্পাসে সহাবস্থান করা আমাদের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। জঙ্গিবাদের গোপন গ্রুপে আমাদের নাম-পরিচয় দিয়ে আমাদের হুমকির মধ্যে রাখা হয়েছে। আমদের ধারণা, সেখানে আমাদের পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে অবশ্যই বুয়েটের কেউ জড়িত। কে বা কারা এটা করছে—সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই। এসবের সঙ্গে জড়িতদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যত দ্রুত তুলে দেওয়া যায়, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য তা ততই মঙ্গল। আর ক্যাম্পাসে এমন অস্থিতিশীল পরিবেশে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের সঙ্গে থাকা যেহেতু ভীতিকর—তাই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। এ ছাড়া তাদের সহযোগী, মদদদাতা ও পেছন থেকে কাজ করা ব্যক্তিদেরও শনাক্ত করা হোক। তদন্তের জন্য তাঁদের গোয়েন্দা নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক।
এই সকল ঘটনার শুরু হয় সিএসবি (কারেন্ট স্টুডেন্টস অব বুয়েট) নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে বেনামে পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে। এই গ্রুপটি স্টুডেন্টদের গভর্নিং বডি হিসেবে দাবি করে—সামাজিক বয়কট ও ক্যান্সেল কালচারের ভাইরাস ছড়ায়। কালচারাল র্যাগিংয়ের পরিকল্পনা ও পরিচালনা এই গ্রুপটি থেকেই হয়। এই গ্রুপটির অ্যাডমিন কারা এবং তাদের এই ম্যান্ডেট কে দিয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কি? এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, যেই বুয়েটে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নের সূচনা হয়—সেই বুয়েটে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধ মতের চর্চা করে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে কালিমা লেপন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করে—তাদের অতি দ্রুত তদন্তের আওতায় আনা হোক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমাদের দেওয়া আগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো যথাযথ পদক্ষেপ আমরা লক্ষ্য করি নি। তাই আপনার (উপাচার্য) নিকট আমাদের সবিনয় নিবেদন এই যে, যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং আগামী একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
২ ঘণ্টা আগে