জাতীয় পর্যায়ে শুরু হলো সমতায় তারুণ্য প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৮: ১৫
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সমতায় তারুণ্য: ইয়ুথ ফর ইকুয়ালিটি’ প্রকল্পের উদ্বোধন হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সমাজে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ, নেতিবাচক জেন্ডার ধারণার পরিবর্তন এবং যুব ও যুব-নেতৃত্বাধীন সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে সমতায় তারুণ্য প্রকল্প। আজ সোমবার (নভেম্বর ২৫) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘সমতায় তারুণ্য: ইয়ুথ ফর ইকুয়ালিটি’ প্রকল্প।

নেদারল্যান্ডসের সরকারের অর্থায়নে চার বছর মেয়াদি এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের আটটি বিভাগে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের মধ্যে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ ও জেন্ডার-সংবেদনশীল সাংবাদিকতা প্রসারে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে সাংবাদিকতা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দিতে কাজ করছে পিআইবি। সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টিতে তাদের ক্ষমতায়ন অত্যন্ত জরুরি এবং বর্তমানের সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করছে।’

সভাপ্রধান প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস বলেন, ‘মাতৃগর্ভে থাকতেই একজন কন্যা শিশু বৈষম্যের শিকার হতে শুরু করে। এ ধারা তার পরবর্তী জীবনে অব্যাহত থাকে। সমাজে সব নারী-পুরুষ ও অন্য পরিচয়ের মানুষ যেন সমান মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বাস করতে পারে আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত মি. আন্দ্রে কারস্টেন্স; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খোরশেদ আলম; বাংলাদেশি লেখক ও সাংবাদিক পলাশ মাহবুব এবং জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান করভি রাকসান্দ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ইনফ্লুয়েন্সিং, ক্যাম্পেইন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর নিশাত সুলতানা। প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ডিরেক্টর নীলিমা ইয়াসমিন যুবদের নিয়ে একটি সেশন পরিচালনা করেন, যেখানে যুব সমাজের প্রতিনিধিরা তাদের কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের আটটি বিভাগে প্রকল্পের লক্ষিত জনগোষ্ঠী সর্বমোট ১৩ হাজার ৫১৫ জন। এদের মধ্যে স্থানীয় ২৫২টি যুব-নেতৃত্বাধীন সংগঠনের ১২ হাজার ৬৯০ জন যুব সদস্য, জাতীয় যুব পরিষদের ৭৫ জন সদস্য, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, কনটেন্ট নির্মাতা এবং গণমাধ্যমকর্মী থাকবেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত