রানা প্লাজা ধস: ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ২১

রানা প্লাজা ভবন ধসের ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর নিষ্পত্তি হয়নি। ভুক্তভোগীরা আজও ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাননি, বেশির ভাগ শ্রমিকের পুনর্বাসনও সম্ভব হয়নি।

আজ মঙ্গলবার রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘রানা প্লাজা ভবন ধস : ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় ১১ বছর’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তাঁরা ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানান। বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এ সভার আয়োজন করে।

সভার মূল উপস্থাপনায় বিভিন্ন আদালতে চলমান রানা প্লাজা সম্পর্কিত সকল মামলার অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন ব্লাস্টের সিনিয়র স্টাফ আইনজীবী সিফাত-ই-নূর খানম। তিনি দ্রুত বিচার নিষ্পত্তিতে মামলাগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর তাগিদ দেন। আইনের পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার ও শ্রমিকদের স্বার্থে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তবায়ন ও তদারকি জোরদার করার আহ্বান জানান।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেন, ‘হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন চারটি রিট মামলা রয়েছে, যার কোনোটিরই শুনানি গত বছরের আগে শুরু হয়নি। এর মধ্যেও আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই এই রিটগুলোর বিপরীতে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা পাওয়া যাবে।’

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমাদ্দার বলেন, ফৌজদারি মামলাসমূহের ৫৯৪ জন সাক্ষী, যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করছেন, তাঁদের আদালতে হাজির করাটা অনেক বড় প্রতিবন্ধকতা। তাঁদের আদালতে যাতায়াতের ভাতা সরবরাহ করা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ব্যবস্থা করা কষ্টসাধ্য। তিনি তাঁর বক্তব্যে সকল সুশীল সমাজ সংগঠনকে, সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিতি নিশ্চিতের জন্য আদালতকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে আহ্বান জানান এবং শ্রমিকনেতাদেরও ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল বলেন, জজ কোর্টের মামলার ৫৯৪ জন সাক্ষ্য গ্রহণের প্রতিবন্ধকতাকে নিরসন করার জন্য শুধু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেও মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব। সর্বোপরি আদালতের সদিচ্ছা থাকলে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাবে। তিনি শ্রম আদালতে চলমান ১১টি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।

সভায় উপস্থিত রানা প্লাজা ভবন ধসের ভুক্তভোগী নিলুফা বেগম, ‍শিলা বেগম, মিনু বেগম এবং দয়াল সূত্রধর জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান, রানা প্লাজার জায়গাটা রক্ষণাবেক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ এবং আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি জানান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ–পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশ ‘মবের মুল্লুক’: সামিনা লুৎফা

বাংলাদেশের বন্দরে পাকিস্তানের কার্গো জাহাজ, ‘ঐতিহাসিক’ বলা হচ্ছে যে কারণে

পরশুরামে ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সংলাপ শুরু কাল, চলবে পুরো নভেম্বর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত