নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের খিলগাঁও সার্কেলের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম এবং তাঁর এক কথিত সোর্সের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশির নামে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
গত ৪ জানুয়ারি শাহ আলমের চক্রটির বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা করেছেন ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট ববি বিন ডিয়াজ নামের এক ব্যবসায়ী।
গত ২৯ ডিসেম্বর তাঁর বাসায় তল্লাশির নামে তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে মাদক দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হয়। এ সময় ২০ লাখ টাকা দাবি করেন শাহ আলম এবং তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা। এত টাকা পরিবারটির কাছে না থাকায় তাদের মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ চার লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায় শাহ আলম ও তাঁর চক্রটি। আরও ১৬ লাখ টাকা এই চক্র দাবি করে। ২ জানুয়ারি বাকি ১৬ লাখ টাকা দাবি করেন এসআই শাহ আলম। এরপর ওই ব্যবসায়ী ৪ জানুয়ারি মামলা করেন।
ববি বিন ডিয়াজ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিংয়ের (সিঅ্যান্ডএফ) একজন এজেন্ট। বসবাস করেন রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন, ‘২৯ ডিসেম্বর রাত ৮টার সময় তাঁরা (চক্র) আমার বাসায় প্রবেশ করে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তল্লাশি করেন। যাঁরা আমার বাসায় এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজনের গায়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইউনিফর্ম পোশাক ছিল। তাঁর ডাবল স্টার র্যাঙ্ক ব্যাজ ছিল। নাম লেখা ছিল শাহ আলম। তাঁরা একটি মাইক্রোবাসে আসে। বাকিদের কোনো ইউনিফর্ম ছিল না। একজন নারীও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অপর একজনের নাম ছিল বাবর। তল্লাশি করে আলমারিতে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা পায়। এরপর বাবর আমার স্ত্রী এলিন রেসেলের কাছ থেকে সবার সামনেই ওই টাকা নিয়ে চলে যান।’
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন এসআই শাহ আলম, কনস্টেবল বাবর এবং তাঁদের সোর্স ফয়জুল ইসলাম ওরফে ভাইস্তা রাসেল। ইতিমধ্যে ফয়জুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে এক দিনের রিমান্ড শেষে গত বৃহস্পতিবার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলায় এই চক্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা সরকারি কর্মচারী পরিচয় দেওয়া, জোরপূর্বক বাসায় প্রবেশ করা, চাঁদাবাজি এবং হুমকি ও ভয় দেখানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে ব্যবসায়ী ববির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের উপপরিচালক মো. মাসুদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘গত ২৯ ডিসেম্বর আমাদের একটি বিশেষ অভিযান ছিল। পরিদর্শক আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে এই অভিযান হয়। এসআই শাহ আলম সেখানে পরে যান। তবে কোন বাসায় অভিযানে যাচ্ছিল, তা আমি জানতাম না। তাঁদের বিষয়ে যে অভিযোগ আসছে, আমাদের সদর দপ্তর তা তদন্ত করছে।’
ব্যবসায়ী ববি বিন ডিয়াজ থানায় মামলা করার পাশাপাশি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরেও একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) কাজী আল আমিন।
এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থানা-পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর একই সময় তদন্ত করছে। তাই এ বিষয় নিয়ে অভিযুক্তদের কথা বলা নিষেধ।
ঘটনার ১৮ দিনেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এ বিষয়ে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। যিনি মূল অপরাধী, সেই ফয়জুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের খিলগাঁও সার্কেলের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম এবং তাঁর এক কথিত সোর্সের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশির নামে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
গত ৪ জানুয়ারি শাহ আলমের চক্রটির বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা করেছেন ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট ববি বিন ডিয়াজ নামের এক ব্যবসায়ী।
গত ২৯ ডিসেম্বর তাঁর বাসায় তল্লাশির নামে তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে মাদক দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হয়। এ সময় ২০ লাখ টাকা দাবি করেন শাহ আলম এবং তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা। এত টাকা পরিবারটির কাছে না থাকায় তাদের মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ চার লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায় শাহ আলম ও তাঁর চক্রটি। আরও ১৬ লাখ টাকা এই চক্র দাবি করে। ২ জানুয়ারি বাকি ১৬ লাখ টাকা দাবি করেন এসআই শাহ আলম। এরপর ওই ব্যবসায়ী ৪ জানুয়ারি মামলা করেন।
ববি বিন ডিয়াজ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিংয়ের (সিঅ্যান্ডএফ) একজন এজেন্ট। বসবাস করেন রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন, ‘২৯ ডিসেম্বর রাত ৮টার সময় তাঁরা (চক্র) আমার বাসায় প্রবেশ করে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তল্লাশি করেন। যাঁরা আমার বাসায় এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজনের গায়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইউনিফর্ম পোশাক ছিল। তাঁর ডাবল স্টার র্যাঙ্ক ব্যাজ ছিল। নাম লেখা ছিল শাহ আলম। তাঁরা একটি মাইক্রোবাসে আসে। বাকিদের কোনো ইউনিফর্ম ছিল না। একজন নারীও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অপর একজনের নাম ছিল বাবর। তল্লাশি করে আলমারিতে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা পায়। এরপর বাবর আমার স্ত্রী এলিন রেসেলের কাছ থেকে সবার সামনেই ওই টাকা নিয়ে চলে যান।’
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন এসআই শাহ আলম, কনস্টেবল বাবর এবং তাঁদের সোর্স ফয়জুল ইসলাম ওরফে ভাইস্তা রাসেল। ইতিমধ্যে ফয়জুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে এক দিনের রিমান্ড শেষে গত বৃহস্পতিবার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলায় এই চক্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা সরকারি কর্মচারী পরিচয় দেওয়া, জোরপূর্বক বাসায় প্রবেশ করা, চাঁদাবাজি এবং হুমকি ও ভয় দেখানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে ব্যবসায়ী ববির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের উপপরিচালক মো. মাসুদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘গত ২৯ ডিসেম্বর আমাদের একটি বিশেষ অভিযান ছিল। পরিদর্শক আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে এই অভিযান হয়। এসআই শাহ আলম সেখানে পরে যান। তবে কোন বাসায় অভিযানে যাচ্ছিল, তা আমি জানতাম না। তাঁদের বিষয়ে যে অভিযোগ আসছে, আমাদের সদর দপ্তর তা তদন্ত করছে।’
ব্যবসায়ী ববি বিন ডিয়াজ থানায় মামলা করার পাশাপাশি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরেও একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) কাজী আল আমিন।
এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থানা-পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর একই সময় তদন্ত করছে। তাই এ বিষয় নিয়ে অভিযুক্তদের কথা বলা নিষেধ।
ঘটনার ১৮ দিনেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এ বিষয়ে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। যিনি মূল অপরাধী, সেই ফয়জুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
৪০ মিনিট আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
১ ঘণ্টা আগে