শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
মাদারীপুরের শিবচরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকে বিএনপির সমাবেশে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। গতকাল সোমবার উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নে এই সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোহসেন উদ্দিন সোহেল ব্যাপারী আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় নেতা এবং স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরীর আস্থাভাজন ছিলেন। পুরোদস্তুর একজন আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে তিনি বেশ সমাদৃত। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ৫৫ দিনের মাথায় তাঁকে বিএনপির মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়েছেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমালোচনার ঝড় বইছে। দুই দলের অনেক নেতা-কর্মীই বিষয়টা নিয়ে বিব্রত।
গতকাল সোমবার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের বাদশা ব্যাপারীর বাড়িতে ওই সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা কামাল জামান নুরুদ্দীন মোল্লা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কাঁঠালবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোহসেন উদ্দিন সোহেল ব্যাপারীও উপস্থিত হন। পরে সভামঞ্চেও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে তাঁকে।
একই অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সজীব হাওলাদারকে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করারও খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে এলাকার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও কিছু নেতারও বিএনপিতে যোগদানের খবর পাওয়া গেছে।
ছাত্রদল নেতা শেখ নূর উদ্দীন বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি লতিফ মোল্লার আপন ভাই কামাল জামান নূরুদ্দীন মোল্লা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এরপর থেকে নিজেকে বিএনপি নেতা বলে পরিচয় দিতে থাকেন। ২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত শিবচরে তাঁর কোনো কার্যক্রম ছিল না।’
শেখ নূর উদ্দীন আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নূরুদ্দীন মোল্লা হঠাৎ প্রকাশ্যে এসে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিএনপিতে পুনর্বাসন করে রাজনীতিতে ফিরতে চেষ্টা করছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলার দুজন আসামি ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল ব্যাপারী ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সজীব হাওলাদারকে গতকাল দলে নিয়ে বিএনপির কর্মিসমাবেশ করেছেন। এটা দুঃখজনক। তাতে শিবচরে বিএনপির ওপর আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ জনগণ। অতিসত্বর হাইকমান্ডকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাই আমরা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থেকে বিগত ১৭ বছর সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন তাঁরা। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা নিজেদের বদলে নিয়েছেন। এটা খুবই লজ্জার।’
এদিকে যোগদান বা সমাবেশে উপস্থিত থাকার বিষয় জানতে সোহেল ব্যাপারী, সজীব হাওলাদারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও বন্ধ পাওয়া যায়। বিএনপি নেতা কামাল জামান নুরুদ্দীন মোল্লার মোবাইলে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন খলিফা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ত্যাগী, আস্থাশীল নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় না করে কিছু দালাল চক্রের সঙ্গে সমন্বয় করে তাঁদের দলে স্থান দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা দলের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। তাঁরা এসেছিলেন ব্যবসা করতে; ব্যবসা শেষ, এখন চলে গেছেন। আমাদের দলের নেতা জননেতা নূর-ই আলম চৌধুরী কোনো সাংগঠনিক সম্পাদক বা দলের কারও সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে তাঁদের দলে এনেছিলেন। এখন তাঁরা সুযোগ পেয়ে চলে গেছে। কোনো ত্যাগী নেতা দল ছাড়েনি। ছেড়েছেন সুযোগসন্ধানীরা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের ছাত্র-জনতা মারা গেছে, তাদের হত্যা করা হয়েছে। সেই আসামিদের সঙ্গে বিএনপি নামধারী প্রেতাত্মারা অপতৎপরতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। আমরা উপজেলা বিএনপি এর তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এ কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে ব্যবস্থা নেবে।’
আরও খবর পড়ুন:
মাদারীপুরের শিবচরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকে বিএনপির সমাবেশে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। গতকাল সোমবার উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নে এই সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোহসেন উদ্দিন সোহেল ব্যাপারী আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় নেতা এবং স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরীর আস্থাভাজন ছিলেন। পুরোদস্তুর একজন আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে তিনি বেশ সমাদৃত। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ৫৫ দিনের মাথায় তাঁকে বিএনপির মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়েছেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমালোচনার ঝড় বইছে। দুই দলের অনেক নেতা-কর্মীই বিষয়টা নিয়ে বিব্রত।
গতকাল সোমবার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের বাদশা ব্যাপারীর বাড়িতে ওই সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা কামাল জামান নুরুদ্দীন মোল্লা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কাঁঠালবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোহসেন উদ্দিন সোহেল ব্যাপারীও উপস্থিত হন। পরে সভামঞ্চেও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে তাঁকে।
একই অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সজীব হাওলাদারকে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করারও খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে এলাকার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও কিছু নেতারও বিএনপিতে যোগদানের খবর পাওয়া গেছে।
ছাত্রদল নেতা শেখ নূর উদ্দীন বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি লতিফ মোল্লার আপন ভাই কামাল জামান নূরুদ্দীন মোল্লা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এরপর থেকে নিজেকে বিএনপি নেতা বলে পরিচয় দিতে থাকেন। ২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত শিবচরে তাঁর কোনো কার্যক্রম ছিল না।’
শেখ নূর উদ্দীন আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নূরুদ্দীন মোল্লা হঠাৎ প্রকাশ্যে এসে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিএনপিতে পুনর্বাসন করে রাজনীতিতে ফিরতে চেষ্টা করছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলার দুজন আসামি ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল ব্যাপারী ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সজীব হাওলাদারকে গতকাল দলে নিয়ে বিএনপির কর্মিসমাবেশ করেছেন। এটা দুঃখজনক। তাতে শিবচরে বিএনপির ওপর আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ জনগণ। অতিসত্বর হাইকমান্ডকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাই আমরা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থেকে বিগত ১৭ বছর সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন তাঁরা। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা নিজেদের বদলে নিয়েছেন। এটা খুবই লজ্জার।’
এদিকে যোগদান বা সমাবেশে উপস্থিত থাকার বিষয় জানতে সোহেল ব্যাপারী, সজীব হাওলাদারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও বন্ধ পাওয়া যায়। বিএনপি নেতা কামাল জামান নুরুদ্দীন মোল্লার মোবাইলে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন খলিফা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ত্যাগী, আস্থাশীল নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় না করে কিছু দালাল চক্রের সঙ্গে সমন্বয় করে তাঁদের দলে স্থান দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা দলের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। তাঁরা এসেছিলেন ব্যবসা করতে; ব্যবসা শেষ, এখন চলে গেছেন। আমাদের দলের নেতা জননেতা নূর-ই আলম চৌধুরী কোনো সাংগঠনিক সম্পাদক বা দলের কারও সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে তাঁদের দলে এনেছিলেন। এখন তাঁরা সুযোগ পেয়ে চলে গেছে। কোনো ত্যাগী নেতা দল ছাড়েনি। ছেড়েছেন সুযোগসন্ধানীরা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের ছাত্র-জনতা মারা গেছে, তাদের হত্যা করা হয়েছে। সেই আসামিদের সঙ্গে বিএনপি নামধারী প্রেতাত্মারা অপতৎপরতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। আমরা উপজেলা বিএনপি এর তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এ কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে ব্যবস্থা নেবে।’
আরও খবর পড়ুন:
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১০ টাকার একটি চিতই পিঠার সঙ্গে বিনা মূল্যে মিলছে ৩০ রকমের ভর্তা। সুস্বাদু ভর্তার টানে বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পিঠার দোকানে ভিড় লেগে থাকে। আর ভোজন রসিকেরা পরম তৃপ্তির সঙ্গে পিঠার স্বাদ নেন।
৩ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসচাপায় আহনাফ হোসেন (৭) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে মহাসড়কে জকসিন বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু সদর উপজেলার যাদৈয়া এলাকার সফিকুল আলমের ছেলে।
৪ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে