নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘এখন বয়স হয়ে গেছে। আগের মতো পারি না। যদি পারতাম, তাহলে নারায়ণগঞ্জের আশপাশের এলাকা একাই কন্ট্রোল করে ফেলতাম। আমরা অনেক সময় ভান ধরে থাকি, ভালো মানুষ সাজি। পরে দেখা যায় আমার পেছনে যে লোকটা আছে, সেই এলাকায় মাদক বিক্রি করছে। আমি পুলিশ ভাইদের কাছে হাত জোড় করে ভিক্ষা চাইছি, আমার নারায়ণগঞ্জটাকে একটু সেভ করেন। এর বিনিময়ে আপনি যে কি পাবেন তা কল্পনা করতে পারবেন না।’
আজ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনসে নারায়ণগঞ্জ জেলা ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার বিশ্বাস পুলিশ যদি নামে তাহলে সকলে তাদের সহযোগিতা করবে। যদি লাঠি নিয়ে নামতে হয় তাহলে লাঠি নিয়ে নামব। আই ডোন্ট কেয়ার কে ভোট দেবে আর কে ভোট দেবে না। আল্লাহকে খুশি করতে চাই মৃত্যুর আগে এবং এই মাদক ব্যবসাটা বন্ধ করতে চাই। আমার এখন একটাই স্বপ্ন, মানুষ একটু শান্তিতে ঘুমাক।’
শামীম ওসমান বলেন, আজকে অনেক বয়স হয়ে গেছে, ‘আমি আজকে যদি ১৯৯৬ এর শামীম ওসমান হইতাম, তাহলে আপনাদের এভাবে বলতাম না। কারণ ৯৬তে নারায়ণগঞ্জে ফেনসিডিল ক্লাব নামে একটি ক্লাব হয়েছিল। তখন প্রতিদিন বিক্রি হতো ৩০ হাজার বোতল ফেনসিডিল। তখনকার এসপি এবং ওসিরা আমাকে নিষিদ্ধ পল্লি ওঠানোর জন্য সাহায্য করেছিল। এই নিষিদ্ধ পল্লিতে প্রায় ৬ হাজার এর ওপরে নারী ছিল, যাদের বয়স ১১ বছরের নিচে। বাংলাদেশের সমস্ত ক্রাইমগুলো কন্ট্রোল করত নিষিদ্ধপল্লিগুলো। আমি তাদের উচ্ছেদ করি নাই শুধু, পুনর্বাসনও করেছি। আমি শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য এই কাজটা করেছিলাম।’
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘মাদক যে খায়, আমি তাকে ঘৃণা করি না। কারণ সে তো অসুস্থ। কিন্তু যে মাদক বেঁচে সে ইবলিস শয়তান। আমি নিজে শীতের মধ্যে চাদর পড়ে রাতে মাদক বন্ধে নেমে পড়েছিলাম। আমাকে গুলি করতেও গেছিল, কারণ চিনতে পারে নাই। যখন চাদর সরিয়েছিলাম, তখন চিনছে আমি শামীম ওসমান। আমার ৩ থেকে ৪ দিন লেগেছিল নারায়ণগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় মাদক বন্ধ করতে। তখনকার আইজি সাহেব আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন জরুরি ভিত্তিতে, বলেছিলেন-আপনাকে মেরে ফেলবে। বলেছিলাম কেন? তিনি বললেন-সারা বাংলাদেশের মাদক ব্যবসায়ীরা এক হয়েছে আপনাকে মারার জন্য।’
পুলিশ প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা দোষ ধরতে অভ্যস্ত। কারণ এটা আমাদের নেচার। ভালোর থেকে খারাপের দিকটা দেখি বেশি। রাজনীতিতে সবাই পারফেক্ট না। সাংবাদিকতা বলেন, শিক্ষকতা বলেন, হুজুর বলেন, পুলিশ বলেন, সেনাবাহিনী বলেন বা প্রশাসন বলেন, কেউ পারফেক্ট না। প্রত্যেকটি জায়গায় ভালো-খারাপ থাকে। আমরা অনেক সময় পুলিশের দোষ ধরি, কিন্তু এদের পার্সোনাল লাইফে ছুটি বলতে কিছু নাই। ঈদে, পূজায়, নববর্ষেও ডিউটি করতে হয়। পরিবারের সাথে গল্প করবে এমন সময় এদের জীবনে খুব কম আসে। যারা ট্রাফিকের কাজ করেন, তাদের খুব মানবেতর দিন কাটে।
দলের বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার দলের লোক যদি খারাপ লোক হয়, তাহলে তার জন্য সাজা হবে ডাবল। কারণ আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে যদি কেউ খারাপ কাজকে প্রশ্রয় দেয়, তার এই দলে থাকার কোনো প্রয়োজন নাই। এখন একজন জমি কিনে আরেকজন গিয়ে সাইনবোর্ড টানায়, মসজিদে বিচার হয়, টাকা নিয়ে ভাগাভাগি করে। এই হলো সমাজের অবস্থা। সো উই হ্যাভ টু স্টপ। যদি কেউ থামাতে না পারে তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা মাঠে নামব।’
অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন—জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, র্যাব-১১ অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘এখন বয়স হয়ে গেছে। আগের মতো পারি না। যদি পারতাম, তাহলে নারায়ণগঞ্জের আশপাশের এলাকা একাই কন্ট্রোল করে ফেলতাম। আমরা অনেক সময় ভান ধরে থাকি, ভালো মানুষ সাজি। পরে দেখা যায় আমার পেছনে যে লোকটা আছে, সেই এলাকায় মাদক বিক্রি করছে। আমি পুলিশ ভাইদের কাছে হাত জোড় করে ভিক্ষা চাইছি, আমার নারায়ণগঞ্জটাকে একটু সেভ করেন। এর বিনিময়ে আপনি যে কি পাবেন তা কল্পনা করতে পারবেন না।’
আজ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনসে নারায়ণগঞ্জ জেলা ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার বিশ্বাস পুলিশ যদি নামে তাহলে সকলে তাদের সহযোগিতা করবে। যদি লাঠি নিয়ে নামতে হয় তাহলে লাঠি নিয়ে নামব। আই ডোন্ট কেয়ার কে ভোট দেবে আর কে ভোট দেবে না। আল্লাহকে খুশি করতে চাই মৃত্যুর আগে এবং এই মাদক ব্যবসাটা বন্ধ করতে চাই। আমার এখন একটাই স্বপ্ন, মানুষ একটু শান্তিতে ঘুমাক।’
শামীম ওসমান বলেন, আজকে অনেক বয়স হয়ে গেছে, ‘আমি আজকে যদি ১৯৯৬ এর শামীম ওসমান হইতাম, তাহলে আপনাদের এভাবে বলতাম না। কারণ ৯৬তে নারায়ণগঞ্জে ফেনসিডিল ক্লাব নামে একটি ক্লাব হয়েছিল। তখন প্রতিদিন বিক্রি হতো ৩০ হাজার বোতল ফেনসিডিল। তখনকার এসপি এবং ওসিরা আমাকে নিষিদ্ধ পল্লি ওঠানোর জন্য সাহায্য করেছিল। এই নিষিদ্ধ পল্লিতে প্রায় ৬ হাজার এর ওপরে নারী ছিল, যাদের বয়স ১১ বছরের নিচে। বাংলাদেশের সমস্ত ক্রাইমগুলো কন্ট্রোল করত নিষিদ্ধপল্লিগুলো। আমি তাদের উচ্ছেদ করি নাই শুধু, পুনর্বাসনও করেছি। আমি শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য এই কাজটা করেছিলাম।’
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘মাদক যে খায়, আমি তাকে ঘৃণা করি না। কারণ সে তো অসুস্থ। কিন্তু যে মাদক বেঁচে সে ইবলিস শয়তান। আমি নিজে শীতের মধ্যে চাদর পড়ে রাতে মাদক বন্ধে নেমে পড়েছিলাম। আমাকে গুলি করতেও গেছিল, কারণ চিনতে পারে নাই। যখন চাদর সরিয়েছিলাম, তখন চিনছে আমি শামীম ওসমান। আমার ৩ থেকে ৪ দিন লেগেছিল নারায়ণগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় মাদক বন্ধ করতে। তখনকার আইজি সাহেব আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন জরুরি ভিত্তিতে, বলেছিলেন-আপনাকে মেরে ফেলবে। বলেছিলাম কেন? তিনি বললেন-সারা বাংলাদেশের মাদক ব্যবসায়ীরা এক হয়েছে আপনাকে মারার জন্য।’
পুলিশ প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা দোষ ধরতে অভ্যস্ত। কারণ এটা আমাদের নেচার। ভালোর থেকে খারাপের দিকটা দেখি বেশি। রাজনীতিতে সবাই পারফেক্ট না। সাংবাদিকতা বলেন, শিক্ষকতা বলেন, হুজুর বলেন, পুলিশ বলেন, সেনাবাহিনী বলেন বা প্রশাসন বলেন, কেউ পারফেক্ট না। প্রত্যেকটি জায়গায় ভালো-খারাপ থাকে। আমরা অনেক সময় পুলিশের দোষ ধরি, কিন্তু এদের পার্সোনাল লাইফে ছুটি বলতে কিছু নাই। ঈদে, পূজায়, নববর্ষেও ডিউটি করতে হয়। পরিবারের সাথে গল্প করবে এমন সময় এদের জীবনে খুব কম আসে। যারা ট্রাফিকের কাজ করেন, তাদের খুব মানবেতর দিন কাটে।
দলের বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার দলের লোক যদি খারাপ লোক হয়, তাহলে তার জন্য সাজা হবে ডাবল। কারণ আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে যদি কেউ খারাপ কাজকে প্রশ্রয় দেয়, তার এই দলে থাকার কোনো প্রয়োজন নাই। এখন একজন জমি কিনে আরেকজন গিয়ে সাইনবোর্ড টানায়, মসজিদে বিচার হয়, টাকা নিয়ে ভাগাভাগি করে। এই হলো সমাজের অবস্থা। সো উই হ্যাভ টু স্টপ। যদি কেউ থামাতে না পারে তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা মাঠে নামব।’
অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন—জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, র্যাব-১১ অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা প্রমুখ।
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
১৮ মিনিট আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
১ ঘণ্টা আগে