নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) নামমাত্র পরিবর্তন এনে ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আগে আইন সংশোধন করে পরে সাইবার নিরাপত্তা বিধিমালা করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও আর্টিকেল নাইনটিন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন-এর যৌথ উদ্যোগে ‘প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা বিধিমালা, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট থেকে পরিবর্তন এসেছে। তবে সেগুলো কোনো সাবসটেনটিভ পরিবর্তন না। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট আগে যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ছিল সেটারই নামান্তর মাত্র। দেশের মানুষের অধিকার লঙ্ঘন। বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মতপ্রকাশের অবারিত যে স্বাধীনতা, সেটি নিয়ন্ত্রণ করার হাতিয়ার হিসেবে দেখতে পাচ্ছি।’
প্রস্তাবিত বিধিমালাটি অনুমোদনের আগে পূর্বশর্ত হিসেবে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ঢেলে সাজানো দরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, সামাজিক সম্পৃক্ততা অপরিহার্য।
প্রস্তাবে সাইবার সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ গঠন করার প্রস্তাব হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো পর্যাপ্তভাবে পরিষ্কার না করার কারণে প্রতিষ্ঠানটি অকার্যকর এবং অপব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ নিবর্তনমূলক। অনেকাংশে অগণতান্ত্রিক এবং মত-প্রকাশের স্বাধীনতার অন্তরায়। মূল আইনে এ ধরনের অসংগতি রেখে অধস্তন আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য অনেকটাই নিষ্ফল হয়ে যাবে। তাই সাইবার নিরাপত্তা বিধিমালা-২০২৪ চূড়ান্ত করার আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও সকল অংশীজনের উদ্বেগ, মতামত ও পরামর্শ বিবেচনায় নিয়ে এবং অর্থপূর্ণ ও কার্যকর অংশগ্রহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ সংশোধন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সাইবার নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ন্যূনতম ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত এবং প্রাযুক্তিক যোগ্যতা বিধিমালা দিয়ে নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত। দেশের ভেতর এবং বাইরে থেকে ডিজিটাল সাক্ষ্য সংগ্রহের জন্য বিধিমালায় আইনি কার্যবিধি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যাতে ডিজিটাল সাক্ষ্য আদালত-কর্তৃক সহজেই গৃহীত হতে পারে। জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির একটি কার্যকর ও অর্থপূর্ণ সাংগঠনিক কাঠামো থাকা দরকার বলে মনে করে টিআইবি।
পর্যালোচনা ও সুপারিশে জানানো হয়, নতুন ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা না করে বর্তমান ফরেনসিক ল্যাবটিকে আধুনিক যন্ত্রপাতি, সফটওয়্যার এবং লোকবল দিয়ে সমৃদ্ধ করা উচিত। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে উপযুক্ত সময়ে নতুন ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা যেতে পারে।
জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি, জাতীয় সাইবার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম এবং ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের কার্যক্রমে যাতে নাগরিকদের মানবাধিকার ক্ষুণ্ন না হয় সে সংক্রান্ত মানবাধিকার সুরক্ষা বিধান প্রস্তাবিত বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা বিধিমালা, ২০২০ এর ১৯টি বিধি ও একটি তফসিলের হুবহু অনুকরণে প্রণীত প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা বিধিমালাটির পরিসর অত্যন্ত সীমিত। একই সঙ্গে বিধিমালাটিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-পরিকাঠামো ও সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ঘটনার সংকীর্ণ ও অসম্পূর্ণ সংজ্ঞায়ন এবং ‘মাথাভারী’ জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি, অস্পষ্ট সাংগঠনিক-কাঠামো এবং জবাবদিহিহীন ও অস্বচ্ছ কার্যপ্রক্রিয়া; সংশ্লিষ্ট লোকবলের যোগ্যতা উল্লেখ না থাকা; আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও তথ্য বিনিময়-সংক্রান্ত বিধান এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব কর্তৃক অনুসরণীয় মানদণ্ডের অনুপস্থিতির কারণে বিধিমালাটি যুগোপযোগী হয়নি। তা ছাড়া, ডিজিটাল সাক্ষ্যের বিভিন্ন শাখা উপেক্ষাসহ ডিজিটাল সাক্ষ্য-বিষয়ক মূল আইনের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ বিধান, আলামত গ্রহণ ও প্রতিবেদন প্রেরণে আইনি শূন্যতা থাকায় আলোচ্য বিধিমালাটি খুব একটা কার্যকর হবে না বলেও মনে করছে সংস্থা দুটি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) নামমাত্র পরিবর্তন এনে ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আগে আইন সংশোধন করে পরে সাইবার নিরাপত্তা বিধিমালা করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও আর্টিকেল নাইনটিন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন-এর যৌথ উদ্যোগে ‘প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা বিধিমালা, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট থেকে পরিবর্তন এসেছে। তবে সেগুলো কোনো সাবসটেনটিভ পরিবর্তন না। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট আগে যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ছিল সেটারই নামান্তর মাত্র। দেশের মানুষের অধিকার লঙ্ঘন। বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মতপ্রকাশের অবারিত যে স্বাধীনতা, সেটি নিয়ন্ত্রণ করার হাতিয়ার হিসেবে দেখতে পাচ্ছি।’
প্রস্তাবিত বিধিমালাটি অনুমোদনের আগে পূর্বশর্ত হিসেবে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ঢেলে সাজানো দরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, সামাজিক সম্পৃক্ততা অপরিহার্য।
প্রস্তাবে সাইবার সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ গঠন করার প্রস্তাব হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো পর্যাপ্তভাবে পরিষ্কার না করার কারণে প্রতিষ্ঠানটি অকার্যকর এবং অপব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ নিবর্তনমূলক। অনেকাংশে অগণতান্ত্রিক এবং মত-প্রকাশের স্বাধীনতার অন্তরায়। মূল আইনে এ ধরনের অসংগতি রেখে অধস্তন আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য অনেকটাই নিষ্ফল হয়ে যাবে। তাই সাইবার নিরাপত্তা বিধিমালা-২০২৪ চূড়ান্ত করার আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও সকল অংশীজনের উদ্বেগ, মতামত ও পরামর্শ বিবেচনায় নিয়ে এবং অর্থপূর্ণ ও কার্যকর অংশগ্রহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ সংশোধন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সাইবার নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ন্যূনতম ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত এবং প্রাযুক্তিক যোগ্যতা বিধিমালা দিয়ে নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত। দেশের ভেতর এবং বাইরে থেকে ডিজিটাল সাক্ষ্য সংগ্রহের জন্য বিধিমালায় আইনি কার্যবিধি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যাতে ডিজিটাল সাক্ষ্য আদালত-কর্তৃক সহজেই গৃহীত হতে পারে। জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির একটি কার্যকর ও অর্থপূর্ণ সাংগঠনিক কাঠামো থাকা দরকার বলে মনে করে টিআইবি।
পর্যালোচনা ও সুপারিশে জানানো হয়, নতুন ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা না করে বর্তমান ফরেনসিক ল্যাবটিকে আধুনিক যন্ত্রপাতি, সফটওয়্যার এবং লোকবল দিয়ে সমৃদ্ধ করা উচিত। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে উপযুক্ত সময়ে নতুন ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা যেতে পারে।
জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি, জাতীয় সাইবার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম এবং ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের কার্যক্রমে যাতে নাগরিকদের মানবাধিকার ক্ষুণ্ন না হয় সে সংক্রান্ত মানবাধিকার সুরক্ষা বিধান প্রস্তাবিত বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা বিধিমালা, ২০২০ এর ১৯টি বিধি ও একটি তফসিলের হুবহু অনুকরণে প্রণীত প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা বিধিমালাটির পরিসর অত্যন্ত সীমিত। একই সঙ্গে বিধিমালাটিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-পরিকাঠামো ও সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ঘটনার সংকীর্ণ ও অসম্পূর্ণ সংজ্ঞায়ন এবং ‘মাথাভারী’ জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি, অস্পষ্ট সাংগঠনিক-কাঠামো এবং জবাবদিহিহীন ও অস্বচ্ছ কার্যপ্রক্রিয়া; সংশ্লিষ্ট লোকবলের যোগ্যতা উল্লেখ না থাকা; আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও তথ্য বিনিময়-সংক্রান্ত বিধান এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব কর্তৃক অনুসরণীয় মানদণ্ডের অনুপস্থিতির কারণে বিধিমালাটি যুগোপযোগী হয়নি। তা ছাড়া, ডিজিটাল সাক্ষ্যের বিভিন্ন শাখা উপেক্ষাসহ ডিজিটাল সাক্ষ্য-বিষয়ক মূল আইনের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ বিধান, আলামত গ্রহণ ও প্রতিবেদন প্রেরণে আইনি শূন্যতা থাকায় আলোচ্য বিধিমালাটি খুব একটা কার্যকর হবে না বলেও মনে করছে সংস্থা দুটি।
জামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
৩ মিনিট আগেবেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
১৫ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১ ঘণ্টা আগে