শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলাসহ কয়েকটি বইমেলা ঘিরে দেশের প্রকাশকদের কর্মতৎপরতা অনেক বেড়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে কেউ কেউ দেশের বাইরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা এবং কলকাতার বাংলাদেশ বইমেলায়ও অংশ নেন। কিন্তু ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন পরিস্থিতিতে প্রকাশনাশিল্পে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রয় ও প্রকাশক সমিতিতে (বাপুস) চলমান অস্থিরতা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
বাপুসের সর্বশেষ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গত ২৫ আগস্ট এক চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। চিঠিতে কারণ হিসেবে ৫ আগস্টের পর ‘কতিপয় সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের’ সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করার কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর আরেকটি পক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি নামে প্রকাশকদের নতুন একটি সমিতি গঠিত হয়েছে। উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, প্রকাশনাশিল্পের সৃজনশীলতা বিকাশের পাশাপাশি সাধারণ প্রকাশকদের প্রতি ‘লুণ্ঠনকারী প্রকাশকদের’ দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও দুর্বৃত্তায়ন রোধ এর লক্ষ্য।
সমিতিসহ পুস্তক প্রকাশকদের মধ্যে অস্থিরতায় সাধারণ প্রকাশকেরা কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। মেলায় ঠিকমত স্টল বরাদ্দ পাওয়া ও প্রকাশিত নির্দিষ্ট কিছু বই নিয়ে সমস্যার আশঙ্কা এবং দ্বন্দ্ব কবলিত সমিতির কোন কোন সদস্যের বিষয় নিয়ে উদ্বেগ এই অনিশ্চয়তাকে ঘনীভূত করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রকাশক বলেছেন, অনেক প্রকাশকই এখন কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। অথচ ফেব্রুয়ারির বইমেলাই তাঁদের মূল ব্যবসা।
বাপুসের সর্বশেষ কমিটির (২০২৩-২৫) সহসভাপতি ও পুঁথিনিলয় প্রকাশনীর কর্ণধার শ্যামল পাল বলেন, ‘প্রকাশনাশিল্পের সমিতিকে একটা দলের তকমা লাগিয়ে দখলের অপচেষ্টা করা হয়েছে। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রশাসক নিয়োগ দিতে বলেছি। ব্যবসায়িক খাতে দলীয় তকমা লাগিয়ে ঢালাওভাবে সবাইকে দোষী করা ঠিক নয়।’
বাপুসের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং অনেকটা হঠাৎ করে প্রকাশকদের নতুন নতুন সংগঠন তৈরি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে প্রকাশনা শিল্পে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তাতে আগামী একুশে বইমেলায় প্রভাব পড়বে কি না, এ প্রশ্নে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘প্রভাব পড়তে পারে। তবে আমরা প্রকাশকদের দিক থেকে এগুলো মীমাংসা করে আসার কথা বলব।’
এদিকে ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের খবরে বলা হয়েছে, এবার বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণ থাকছে না। কলকাতার ‘আজতক বাংলা’ বলছে, ‘এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ, অক্টোবরজুড়ে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। ... এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের কোনো প্রকাশনা সংস্থার তরফে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদনপত্র আসেনি।’
কলকাতায় বাংলাদেশি প্রকাশনাগুলো নিয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ বইমেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। আজতক বাংলা বলছে, ‘২০১১ সাল থেকে কলকাতার বুকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ বইমেলার তাল কাটল এ বছর। এবার হচ্ছে না বাংলাদেশ বইমেলা।’ এ প্রসঙ্গে আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাবেক সভাপতি ওসমান গণি বলেন, ‘এই মেলার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতি এবং সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারিভাবে চেষ্টা হচ্ছে শুনেছি।’
বাপুস নেতা শ্যামল পাল মনে করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতের ভিসা জটিলতার কারণে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক প্রকাশক আবেদনই করেননি।
স্থানীয় প্রকাশকেরা বলেন, ভারতে বাংলাদেশের বই সাধারণভাবে আমদানি করা হয় না। কলকাতার পাঠকেরা মূলত দুটি মেলা থেকে বাংলাদেশের বই সংগ্রহ করেন। তাম্রলিপি প্রকাশনীর কর্ণধার তারিকুল ইসলাম রনি বললেন, তাঁদের কাছে বাংলাদেশের লেখকদের বইয়ের প্রতি আগ্রহও বাড়ছে। অন্যপ্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলাম মনে করেন, কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ করা উচিত। শুধু ব্যবসার জন্য নয়, এটা দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের অংশ বলেও।
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলাসহ কয়েকটি বইমেলা ঘিরে দেশের প্রকাশকদের কর্মতৎপরতা অনেক বেড়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে কেউ কেউ দেশের বাইরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা এবং কলকাতার বাংলাদেশ বইমেলায়ও অংশ নেন। কিন্তু ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন পরিস্থিতিতে প্রকাশনাশিল্পে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রয় ও প্রকাশক সমিতিতে (বাপুস) চলমান অস্থিরতা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
বাপুসের সর্বশেষ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গত ২৫ আগস্ট এক চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। চিঠিতে কারণ হিসেবে ৫ আগস্টের পর ‘কতিপয় সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের’ সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করার কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর আরেকটি পক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি নামে প্রকাশকদের নতুন একটি সমিতি গঠিত হয়েছে। উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, প্রকাশনাশিল্পের সৃজনশীলতা বিকাশের পাশাপাশি সাধারণ প্রকাশকদের প্রতি ‘লুণ্ঠনকারী প্রকাশকদের’ দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও দুর্বৃত্তায়ন রোধ এর লক্ষ্য।
সমিতিসহ পুস্তক প্রকাশকদের মধ্যে অস্থিরতায় সাধারণ প্রকাশকেরা কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। মেলায় ঠিকমত স্টল বরাদ্দ পাওয়া ও প্রকাশিত নির্দিষ্ট কিছু বই নিয়ে সমস্যার আশঙ্কা এবং দ্বন্দ্ব কবলিত সমিতির কোন কোন সদস্যের বিষয় নিয়ে উদ্বেগ এই অনিশ্চয়তাকে ঘনীভূত করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রকাশক বলেছেন, অনেক প্রকাশকই এখন কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। অথচ ফেব্রুয়ারির বইমেলাই তাঁদের মূল ব্যবসা।
বাপুসের সর্বশেষ কমিটির (২০২৩-২৫) সহসভাপতি ও পুঁথিনিলয় প্রকাশনীর কর্ণধার শ্যামল পাল বলেন, ‘প্রকাশনাশিল্পের সমিতিকে একটা দলের তকমা লাগিয়ে দখলের অপচেষ্টা করা হয়েছে। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রশাসক নিয়োগ দিতে বলেছি। ব্যবসায়িক খাতে দলীয় তকমা লাগিয়ে ঢালাওভাবে সবাইকে দোষী করা ঠিক নয়।’
বাপুসের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং অনেকটা হঠাৎ করে প্রকাশকদের নতুন নতুন সংগঠন তৈরি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে প্রকাশনা শিল্পে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তাতে আগামী একুশে বইমেলায় প্রভাব পড়বে কি না, এ প্রশ্নে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘প্রভাব পড়তে পারে। তবে আমরা প্রকাশকদের দিক থেকে এগুলো মীমাংসা করে আসার কথা বলব।’
এদিকে ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের খবরে বলা হয়েছে, এবার বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণ থাকছে না। কলকাতার ‘আজতক বাংলা’ বলছে, ‘এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ, অক্টোবরজুড়ে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। ... এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের কোনো প্রকাশনা সংস্থার তরফে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদনপত্র আসেনি।’
কলকাতায় বাংলাদেশি প্রকাশনাগুলো নিয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ বইমেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। আজতক বাংলা বলছে, ‘২০১১ সাল থেকে কলকাতার বুকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ বইমেলার তাল কাটল এ বছর। এবার হচ্ছে না বাংলাদেশ বইমেলা।’ এ প্রসঙ্গে আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাবেক সভাপতি ওসমান গণি বলেন, ‘এই মেলার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতি এবং সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারিভাবে চেষ্টা হচ্ছে শুনেছি।’
বাপুস নেতা শ্যামল পাল মনে করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতের ভিসা জটিলতার কারণে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক প্রকাশক আবেদনই করেননি।
স্থানীয় প্রকাশকেরা বলেন, ভারতে বাংলাদেশের বই সাধারণভাবে আমদানি করা হয় না। কলকাতার পাঠকেরা মূলত দুটি মেলা থেকে বাংলাদেশের বই সংগ্রহ করেন। তাম্রলিপি প্রকাশনীর কর্ণধার তারিকুল ইসলাম রনি বললেন, তাঁদের কাছে বাংলাদেশের লেখকদের বইয়ের প্রতি আগ্রহও বাড়ছে। অন্যপ্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলাম মনে করেন, কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ করা উচিত। শুধু ব্যবসার জন্য নয়, এটা দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের অংশ বলেও।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেনড়াইলের কালিয়া উপজেলার ধানখেত থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের ধানখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
৮ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের পুকুর থেকে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তার এক সহপাঠীকে আটক করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় দুই শিশুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাপল বুধবার রাতে তাঁদের পৃথক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৯ ঘণ্টা আগে