তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
ভুটান থেকে পাথর আসছে না। দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় পাথর খনিতেও উৎপাদন বন্ধ। এতে মহাসড়ক নির্মাণকাজে পাথরের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে।গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বর্তমানে এলেঙ্গা থেকে হাটিকুমরুল হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ দশমিক ৪০ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। কিন্তু বিশাল এই নির্মাণযজ্ঞে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাথরের সংকট। থমকে গেছে প্রকল্পের অগ্রগতি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই প্রকল্পের ৮০ ভাগ মহাসড়কে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। এখন মূলত পাথরের কাজ হচ্ছে। সেতু নির্মাণের কাজ চলছে, সেখানেও পাথর দরকার। কাজগুলো এমন একটা পর্যায়ে গুছিয়ে এসেছে, যেখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পাথর প্রয়োজন। কিন্তু পাথরের যে উৎসগুলো আছে, সেখান থেকে পর্যাপ্ত পাথর আসছে না। তবে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিকল্প উপায়ে পাথর সরবরাহ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রকল্পের পাথর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিপিসিএলের কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পঞ্চগড়, বুড়িমারী কোথাও থেকে পাথর আসছে না। হিলি ও সোনামসজিদের একই অবস্থা। পাথর দিতে না পারায় বড় প্রকল্পের কাজে খুবই খারাপ অবস্থা দেখা দিয়েছে। তবে এর মধ্যে যেটুকু পাথর আসছে, তার দামও বাড়তি। ভারত থেকে আমদানি করার চেষ্টা করছি, কিন্তু তারাও পাথর দিচ্ছে না। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করতে পারছি না।’
নির্মাণ প্রকল্পগুলোয় সরবরাহ করা পাথরের উৎস ছিল তিনটি—ভুটান, ভারত ও দিনাজপুরের মধ্যপাড়া। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো পাথর পাওয়া যায় ভারতে, কিন্তু সেখান থেকে পাথর আসছে খুবই কম। গত বছর পর্যন্ত ভুটানের পাথর পাওয়া গেছে। কিন্তু এ বছর থেকে ভুটানের পাথরও আসছে না। এর কারণ, ভুটান থেকে ভারত
হয়ে বাংলাদেশের বুড়িমারীতে পাথর আসত। কিন্তু ভারত তাদের বর্ডারে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন বসিয়েছে। ফলে আগে যেখানে প্রতি ট্রাকে ৩৪ টন পাথর আসত, এখন সেখানে আসছে ১৭ টন। পাথর কম আসার কারণে দামও বেশি। এ জন্য ভুটানের পাথর আনছেন না ঠিকাদারেরা। দেশি উৎস মধ্যপাড়া পাথরখনি থেকেও কিছু পাথর আসত। বর্তমানে মধ্যপাড়ায়ও পাথর উৎপাদন বন্ধ। এতে সংকট আরও প্রকট রূপ ধারণ করেছে।
সাসেক সড়ক সংযোগ-২-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ওয়ালিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারত থেকে পাথর আনার বিষয়ে এখন বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। মধ্যপাড়া ও ভুটান থেকে পাথর আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন অন্যতম উৎস হলো ভারত, সেখানে আমরা চেষ্টা করছি। পুরো প্রকল্পের প্রায় ৪৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে পাথরসংকটের বিষয়টি বেশি দিন স্থায়ী হলে প্রকল্পের কাজে প্রভাব পড়বে।’
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ দশমিক ৪০ কিলোমিটারের এই প্রকল্প ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে একনেকে অনুমোদন পায়। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি ১ লাখ টাকা এবং ২০২১ সালের আগস্ট কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল। তবে ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। তখন প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। একই সঙ্গে প্রকল্পটির মেয়াদও বাড়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) যৌথভাবে এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে।
প্রকল্পের আওতায় চার লেনের মহাসড়কসহ সার্ভিস লেনও নির্মাণ করা হচ্ছে। তা ছাড়া ৬টি ফ্লাইওভার, ১১টি ফুটওভারব্রিজ, ২টি রেলওয়ে ওভারপাস, ২৬টি ছোট সেতু, ১৮০টি কালভার্ট, ৩৯টি আন্ডারপাস, হাটিকুমরুলে দেড় কিলোমিটারের ১টি ইন্টারচেঞ্জ, সড়ক গবেষণাগার ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র, এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন ও স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক মনিটরিং ব্যবস্থাপনা নির্মাণ করা হবে। পুরো প্রকল্পটি ১৫টি প্যাকেজের মাধ্যমে শেষ হবে। প্রকল্পে জমি লাগছে প্রায় ৩২৬ হেক্টর। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলায় জমি পেতে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। পাথর ছাড়া বিটুমিনের সংকট আছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে, যা প্রকল্পের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাসেক-২ এবং আরও কিছু প্রকল্পে পাথরের ক্রাইসিস আছে। তাতে কাজ চালানোর ক্ষেত্রে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ভুটান থেকে পাথর আসছে না। দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় পাথর খনিতেও উৎপাদন বন্ধ। এতে মহাসড়ক নির্মাণকাজে পাথরের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে।গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বর্তমানে এলেঙ্গা থেকে হাটিকুমরুল হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ দশমিক ৪০ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। কিন্তু বিশাল এই নির্মাণযজ্ঞে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাথরের সংকট। থমকে গেছে প্রকল্পের অগ্রগতি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই প্রকল্পের ৮০ ভাগ মহাসড়কে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। এখন মূলত পাথরের কাজ হচ্ছে। সেতু নির্মাণের কাজ চলছে, সেখানেও পাথর দরকার। কাজগুলো এমন একটা পর্যায়ে গুছিয়ে এসেছে, যেখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পাথর প্রয়োজন। কিন্তু পাথরের যে উৎসগুলো আছে, সেখান থেকে পর্যাপ্ত পাথর আসছে না। তবে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিকল্প উপায়ে পাথর সরবরাহ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রকল্পের পাথর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিপিসিএলের কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পঞ্চগড়, বুড়িমারী কোথাও থেকে পাথর আসছে না। হিলি ও সোনামসজিদের একই অবস্থা। পাথর দিতে না পারায় বড় প্রকল্পের কাজে খুবই খারাপ অবস্থা দেখা দিয়েছে। তবে এর মধ্যে যেটুকু পাথর আসছে, তার দামও বাড়তি। ভারত থেকে আমদানি করার চেষ্টা করছি, কিন্তু তারাও পাথর দিচ্ছে না। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করতে পারছি না।’
নির্মাণ প্রকল্পগুলোয় সরবরাহ করা পাথরের উৎস ছিল তিনটি—ভুটান, ভারত ও দিনাজপুরের মধ্যপাড়া। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো পাথর পাওয়া যায় ভারতে, কিন্তু সেখান থেকে পাথর আসছে খুবই কম। গত বছর পর্যন্ত ভুটানের পাথর পাওয়া গেছে। কিন্তু এ বছর থেকে ভুটানের পাথরও আসছে না। এর কারণ, ভুটান থেকে ভারত
হয়ে বাংলাদেশের বুড়িমারীতে পাথর আসত। কিন্তু ভারত তাদের বর্ডারে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন বসিয়েছে। ফলে আগে যেখানে প্রতি ট্রাকে ৩৪ টন পাথর আসত, এখন সেখানে আসছে ১৭ টন। পাথর কম আসার কারণে দামও বেশি। এ জন্য ভুটানের পাথর আনছেন না ঠিকাদারেরা। দেশি উৎস মধ্যপাড়া পাথরখনি থেকেও কিছু পাথর আসত। বর্তমানে মধ্যপাড়ায়ও পাথর উৎপাদন বন্ধ। এতে সংকট আরও প্রকট রূপ ধারণ করেছে।
সাসেক সড়ক সংযোগ-২-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ওয়ালিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারত থেকে পাথর আনার বিষয়ে এখন বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। মধ্যপাড়া ও ভুটান থেকে পাথর আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন অন্যতম উৎস হলো ভারত, সেখানে আমরা চেষ্টা করছি। পুরো প্রকল্পের প্রায় ৪৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে পাথরসংকটের বিষয়টি বেশি দিন স্থায়ী হলে প্রকল্পের কাজে প্রভাব পড়বে।’
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ দশমিক ৪০ কিলোমিটারের এই প্রকল্প ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে একনেকে অনুমোদন পায়। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি ১ লাখ টাকা এবং ২০২১ সালের আগস্ট কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল। তবে ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। তখন প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। একই সঙ্গে প্রকল্পটির মেয়াদও বাড়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) যৌথভাবে এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে।
প্রকল্পের আওতায় চার লেনের মহাসড়কসহ সার্ভিস লেনও নির্মাণ করা হচ্ছে। তা ছাড়া ৬টি ফ্লাইওভার, ১১টি ফুটওভারব্রিজ, ২টি রেলওয়ে ওভারপাস, ২৬টি ছোট সেতু, ১৮০টি কালভার্ট, ৩৯টি আন্ডারপাস, হাটিকুমরুলে দেড় কিলোমিটারের ১টি ইন্টারচেঞ্জ, সড়ক গবেষণাগার ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র, এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন ও স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক মনিটরিং ব্যবস্থাপনা নির্মাণ করা হবে। পুরো প্রকল্পটি ১৫টি প্যাকেজের মাধ্যমে শেষ হবে। প্রকল্পে জমি লাগছে প্রায় ৩২৬ হেক্টর। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলায় জমি পেতে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। পাথর ছাড়া বিটুমিনের সংকট আছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে, যা প্রকল্পের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাসেক-২ এবং আরও কিছু প্রকল্পে পাথরের ক্রাইসিস আছে। তাতে কাজ চালানোর ক্ষেত্রে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বিএনপিসমর্থিত কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বজলুর রশিদকে জেলা দায়রা ও জজ আদালতের নতুন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
২১ মিনিট আগেবগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের নয়মাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মেসার্স মণ্ডল ট্রেডার্স নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।
২৭ মিনিট আগেবিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে দুই দিন ধরে চলা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের দাবির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করবে, এমন আশ্বাসে চলমান কর্মসূচি স্থগিত করেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এতে বাধা দিতে গেলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মহাব্যবস্থাপক (অপারেশনস), ছাত্রসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলায় এক ছাত্র আহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন
১ ঘণ্টা আগে