মনসুর আলী মেডিকেলে হামলা-ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগ

 উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০০: ১৬
উত্তরার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর উত্তরার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এতে বাধা দিতে গেলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মহাব্যবস্থাপক (অপারেশনস), ছাত্রসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলায় এক ছাত্র আহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।

উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হামলার ঘটনা ঘটে। চাকরিচ্যুত কয়েকজন চিকিৎসক লোকজন নিয়ে এসে এ হামলা চালিয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষের অভিযোগ।

হাসপাতালটির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশনস) ক্যাপ্টেন (অব.) সাদাফ আবরার রাইয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) গোলাম মাওলা এবং রায়হান, দিনা, লিজা ও জুয়েল নামের চিকিৎসকদের চাকরিচ্যুত করা হয়। তারা এই মেডিকেল কলেজেরই সাবেক শিক্ষার্থী। তারা ৬০ থেকে ৮০ জন লোক নিয়ে এসে নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করে হাসপাতালে প্রবেশ করে। তারা একপর্যায়ে সিইও লে. কর্নেল আবু নওরোজ খুরশিদ আলম স্যারকে পদত্যাগ করতে বলে। কয়েকজন ছাত্র বলেছিল, কেন হাসপাতালে ঝামেলা করছেন? সাথে সাথেই তারা শিক্ষার্থীদের মারতে শুরু করে।’

মহাব্যবস্থাপক সাদাফ আবরার অভিযোগ করেন, পরে হামলাকারীরা অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর করতে চাপ দেন। সিইও রাজি না হলে তাঁরা তাঁকে মারধর করেন। পরে আরও কয়েকজন কর্মচারীর ওপর হামলা করা হয়। সাদাফের অভিযোগ, হামলাকারীরা হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা মোসাদ্দেক হোসেন ডাম্বেলের লোকজন। হামলাকারীরা সিসিটিভির ডিভিআর খুলে নিয়ে গেছে এবং ফার্মেসিতে ভাঙচুর করে ৬-৭ লাখ টাকা লুট করেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

সাদাফ আরও বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকজনও গত ৫ আগস্টের পর থেকে দুবার আমাদের হাসপাতাল দখল করতে এসেছিল। তাতে আমরা উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছিলাম।’

হামলায় আহতরা হলেন—সিইও আবু নওরোজ খুরশিদ আলম, মহাব্যবস্থাপক সাদাফ আবরার রাইয়ান, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্র শাহ আলমসহ (২৬) কয়েকজন। শাহ আলমকে প্রথমে উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে এবং পরে ওই এলাকারই লুবানা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

হামলার বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি দুপুরের পর থেকে থানায় ছিলেন না। অন্য দায়িত্বে ছিলেন। তাই এ বিষয়ে জানতে পারেননি। উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি।’ উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহানও ‘বিষয়টি জানা নেই’ বলে জানান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত