শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা), প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দশমিনা থানার চানপুরা গ্রামের যুবক মিলন। স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে থাকতেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইলের স্বপন মৃধা রোডের, বাইতুস সালাম জামে মসজিদ এলাকার ৪০৬/১ নম্বর বাড়িতে। গত ২০ জুলাই শনিবার দুপুরে স্ত্রীকে বলেছিলেন, ‘একজনের কাছে টাকা পাবো, সেটা আনতে যাচ্ছি। তুমি ঠিকমতো থেকো। খাওয়া-দাওয়া করিও।’
এরপর বাড়ি থেকে বের হয়ে যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন মিলন। সেখানে আন্দোলনের সময় ঘাতকের বুলেট তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটু ছিদ্র করে বেরিয়ে যায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মিলন। এখন পঙ্গু হয়ে বিছানায়।
মিলনের স্ত্রী লাকি বেগম বলেন, ‘গত ২০ জুলাই শনিবার দুপুরে একজনের কাছে টাকা পাবো বলে বেরিয়ে যায়। আমি যেতে নিষেধ করি। কিন্তু সে কথা না শুনে আসতেছি বলে বেরিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ঘণ্টাখানেক পরে আমার ভাশুর আমাকে ফোন দিয়ে জানায় মিলন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তখন আমি আমার খালু শ্বশুরকে ফোন দিলে সে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসছি। এরপর চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় আনা হয়।
লাকি বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার স্বামী কয়েক মাস যাবৎ কোনো কাজ করতে পারে না। ছোট বাচ্চাটাকে নিয়ে এক বেলা খাই, আরেক বেলা না খেয়ে থাকি। অবস্থা বেগতিক দেখে গত কয়েক মাস যাবৎ আমি একটি সমিতিতে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করি। সামান্য বেতন পাই। এই বেতন দিয়ে ঘর ভাড়া, সংসার চালানো ও স্বামীর দামি দামি ওষুধ কেনা সম্ভব হয় না। এদিকে মাদ্রাসার বেতন দিতে না পারায় মেয়েটার লেখাপড়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’
নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন মো. মিলন (৩২)। স্ত্রীসহ থাকেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইলের স্বপন মৃধা রোডের, বাইতুস সালাম জামে মসজিদ এলাকার ৪০৬ / ১ নম্বর বাড়িতে। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার চানপুরা গ্রামে। স্ত্রী, আট বছরের এক মেয়ে নিয়ে মাতুয়াইলে এক কক্ষ নিয়ে থাকেন মিলন। নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে ভালোই চলছিল মিলনের সংসার। কিন্তু কয়েক মাস যাবৎ পঙ্গুত্ববরণ করে কাজ করতে না পারায় খুবই মানবিক জীবন যাপন করতে হচ্ছে মিলনের পুরো পরিবারকে। স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে মিলনের। নিয়মিত বেতন দিতে না পারায় মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ের লেখাপড়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
মিলন বলেন, ‘আমি তো দেশের জন্য আন্দোলনে গিয়েছিলাম। গুলিতে পঙ্গু হয়ে বিছানায় পড়ে আছি। হাঁটতে পারি না। কিন্তু কেউ কোন খবর নেয়নি। কেউ সাহায্য সহযোগিতার হাতও বাড়ায়নি। এখন আমি টাকার অভাবে ওষুধ খাইতে পারি না। কবে থেকে কাজ করতে পারব, তাও বলতে পারছি না। স্ত্রী ও ছোট মেয়েটাকে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সাহায্য সহযোগিতার জন্য বিনীত প্রার্থনা করছি।’
পটুয়াখালীর দশমিনা থানার চানপুরা গ্রামের যুবক মিলন। স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে থাকতেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইলের স্বপন মৃধা রোডের, বাইতুস সালাম জামে মসজিদ এলাকার ৪০৬/১ নম্বর বাড়িতে। গত ২০ জুলাই শনিবার দুপুরে স্ত্রীকে বলেছিলেন, ‘একজনের কাছে টাকা পাবো, সেটা আনতে যাচ্ছি। তুমি ঠিকমতো থেকো। খাওয়া-দাওয়া করিও।’
এরপর বাড়ি থেকে বের হয়ে যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন মিলন। সেখানে আন্দোলনের সময় ঘাতকের বুলেট তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটু ছিদ্র করে বেরিয়ে যায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মিলন। এখন পঙ্গু হয়ে বিছানায়।
মিলনের স্ত্রী লাকি বেগম বলেন, ‘গত ২০ জুলাই শনিবার দুপুরে একজনের কাছে টাকা পাবো বলে বেরিয়ে যায়। আমি যেতে নিষেধ করি। কিন্তু সে কথা না শুনে আসতেছি বলে বেরিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ঘণ্টাখানেক পরে আমার ভাশুর আমাকে ফোন দিয়ে জানায় মিলন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তখন আমি আমার খালু শ্বশুরকে ফোন দিলে সে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসছি। এরপর চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় আনা হয়।
লাকি বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার স্বামী কয়েক মাস যাবৎ কোনো কাজ করতে পারে না। ছোট বাচ্চাটাকে নিয়ে এক বেলা খাই, আরেক বেলা না খেয়ে থাকি। অবস্থা বেগতিক দেখে গত কয়েক মাস যাবৎ আমি একটি সমিতিতে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করি। সামান্য বেতন পাই। এই বেতন দিয়ে ঘর ভাড়া, সংসার চালানো ও স্বামীর দামি দামি ওষুধ কেনা সম্ভব হয় না। এদিকে মাদ্রাসার বেতন দিতে না পারায় মেয়েটার লেখাপড়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’
নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন মো. মিলন (৩২)। স্ত্রীসহ থাকেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইলের স্বপন মৃধা রোডের, বাইতুস সালাম জামে মসজিদ এলাকার ৪০৬ / ১ নম্বর বাড়িতে। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার চানপুরা গ্রামে। স্ত্রী, আট বছরের এক মেয়ে নিয়ে মাতুয়াইলে এক কক্ষ নিয়ে থাকেন মিলন। নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে ভালোই চলছিল মিলনের সংসার। কিন্তু কয়েক মাস যাবৎ পঙ্গুত্ববরণ করে কাজ করতে না পারায় খুবই মানবিক জীবন যাপন করতে হচ্ছে মিলনের পুরো পরিবারকে। স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে মিলনের। নিয়মিত বেতন দিতে না পারায় মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ের লেখাপড়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
মিলন বলেন, ‘আমি তো দেশের জন্য আন্দোলনে গিয়েছিলাম। গুলিতে পঙ্গু হয়ে বিছানায় পড়ে আছি। হাঁটতে পারি না। কিন্তু কেউ কোন খবর নেয়নি। কেউ সাহায্য সহযোগিতার হাতও বাড়ায়নি। এখন আমি টাকার অভাবে ওষুধ খাইতে পারি না। কবে থেকে কাজ করতে পারব, তাও বলতে পারছি না। স্ত্রী ও ছোট মেয়েটাকে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সাহায্য সহযোগিতার জন্য বিনীত প্রার্থনা করছি।’
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক গৃহবধূসহ আহত হয়েছে ৩ জন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)...
১ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে আবাসিক গ্রাহকের বাসাবাড়িতে। কিন্তু অনেকের বাড়ি, এমনকি মূল লাইনেও বিদ্যুতের খুঁটি নেই। স্থায়ী খুঁটিতে সংযোগ টানার কথা বলে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সেটি হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনার পর চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঢাকার কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানান কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মোস্তাকিন মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে মোস্তাকিন মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে