জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
নগরীর আগ্রাবাদ ডেবার ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে পাঁচ বছর আগে। পাহাড়তলীর ভেলুয়ার দিঘির দুই বছর, জোড় ডেবার মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৫ মাস আগে। এসব জলাশয়ের মাছ বিক্রি ও পাড়ের বসতি-দোকান থেকে বছরে অবৈধভাবে আয় হয় কোটি টাকার বেশি। তবে এই তিন জলাশয়ের নিয়ন্ত্রণ নেই রেলওয়ের। ইজারাদারদেরও দাবি, তাঁরা অবৈধ উপার্জনের সঙ্গে জড়িত নন। এতে প্রশ্ন উঠেছে, প্রতি মাসে বসতি থেকে টাকা তোলেন কারা? মাছ বিক্রির টাকাই বা যায় কাদের পকেটে?
পাহাড়তলীর জোড় ডেবার আয়তন ২১ দশমিক ৪৮ একর। এটি মাছ চাষের জন্য ইজারা নেন ইজারাদার আবদুল লতিফ। শর্ত ভেঙে দুই পাড়ের মধ্যে এক পাড় ভাড়া দিয়েছেন। অন্য পাড়ে দুই শতাধিক বসতি থেকে প্রতি মাসে টাকা তুলছেন। শুধু বসতি থেকে তাঁর আয় প্রতি মাসে চার লাখ টাকা। বছরে প্রায় অর্ধকোটি। নির্দিষ্ট সময়ে নবায়ন করতে না পারায় খাতা-কলমে ছয় লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
২০১৫ সালের ২৮ মে পাঁচ বছরের জন্য জলাশয়টি ইজারা নেন বিএনপির নেতা গণি সরদারের ছেলে আবদুল লতিফ। তাঁর ইজারার মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ২৮ মে। লতিফ রেলওয়েতে প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী বলে পরিচিত।
এর আগে ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গণি সরদারের দখলে ছিল জলাশয়টি। এখন ডোবার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে ‘নামাজ-কালামে ব্যস্ত’ বলে দাবি করেন তিনি। তবে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো বেনামে তাঁরই নিয়ন্ত্রণে জলাশয়টি।
রেলওয়ের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ১৯৯৬ সালে মাছ চাষের জন্য জোর ডেবা ইজারা নেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল হাই। ২০০২ সালে তাঁকে আরও ৫ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ডেবার দুই পাড়ে অবৈধ বসতি তুলে ভাড়া দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাহাড়তলী বাজারের শেষে রেলওয়ের জোড় ডেবা। এখান থেকে প্রতি মাসে গণি সরদারের লোকজন এসে আট হাজার টাকা নিয়ে যান বলে জানা গেছে।
জোড় ডেবার প্রবেশমুখ থেকে সোজা পশ্চিম ঝরনাপাড়া পর্যন্ত দুই শতাধিক বসতি ও ১২টি দোকান। প্রতি বসতি থেকে দুই হাজার আর দোকান থেকে দেড় হাজার টাকা ভাড়া আদায় করা হয়। এসব বসতি ও দোকানে বিদ্যুতের অবৈধ লাইনও রয়েছে। এক বাতি, এক ফ্যান ও একটি টেলিভিশনের জন্য মাসে নেওয়া হয় ৬০০ টাকা। এ হিসাবে প্রতি মাসে প্রায় চার লাখ টাকা ভাড়া তোলেন গণি সরদারের লোকজন। তবে এসব অভিযোগ বরাবরের মতোই অস্বীকার করেন গণি সরদার।
স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সাবেক কাউন্সিলর সাবের আহমদ সওদাগর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইজারাদার জলাশয়ের দুই পাড়ে অবৈধ বস্তি তৈরি করে ভাড়া দিচ্ছে। যাঁরা থাকছেন তাঁরা জলাধার দূষিত করছেন। একাধিকবার রেলওয়েকে বলার পর এক পাড় থেকে অবৈধ বসতি সরালেও অন্য পাড়ে অভিযান চালানো হয়নি।
পিডিবির উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ইমতিয়াজ বলেন, ‘বসতিতে বিদ্যুতের সংযোগগুলো অবৈধ। আমরা শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করব।’
আগ্রাবাদ জলাশয়: ১৯ দশমিক ৭৮ একর আয়তনের আগ্রাবাদ জলাশয়ের ইজারাদার মো. হাবিব উল্লাহ চৌধুরী। তাঁর ইজারার মেয়াদ ২০১৬ সালে শেষ হয়েছে। এর পরও এখনো পর্যন্ত নতুন করে জলাশয়টি ইজারা দিতে পারেনি রেলওয়ে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এই জলাশয়ের এক পাড়ে রেলওয়ের বাসা, অন্য পাড়ে বসতি-দোকান। এখান থেকেও প্রতি মাসে টাকা তোলা হয়। প্রতিবছর এখানেও প্রায় অর্ধকোটি টাকার বাণিজ্য হয়। হাবিব উল্লাহ চৌধুরী এই টাকা তোলেন বলে অভিযোগ। তবে তিনি এসব অস্বীকার করেন। এমনকি জলাশয়ের মাছ ধরে কারা বিক্রি করেন, তা-ও জানেন না বলে দাবি করেন।
জাতীয় ও রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রহমত উল্লাহ চৌধুরী ১৯৯৮-২০০২ সাল পর্যন্ত জলাশয়টি ইজারা নিয়েছিলেন। পরে আরও পাঁচ বছরের জন্য ইজারা নেন তিনি। এরপর তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম ২০০৮ সালে ইজারার জন্য আবেদন করলে তাঁকে দেয়নি রেলওয়ে। বর্তমান ইজারাদার হাবিব উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘২০২০ সালে টেন্ডার হলে আমাকে ইজারা দেয়নি রেলওয়ে। অথচ আমি ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত দর বলেছিলাম। খুশি করতে না পারায় হয়তো আমাকে ইজারা দেয়নি। কারণ এখানে কোটি টাকার লেনদেন। আমার ওই পরিমাণ এখন টাকা নেই।’
ভেলুয়া সুন্দরী দিঘি: পাহাড়তলীর ১৩ দশমিক ৭৪ একরের ভেলুয়ার দিঘি ঘিরে প্রায় তিন দশক ধরে চলছে দখলের মহোৎসব। এতে কমে গেছে দিঘির আয়তন। ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটন ও নূর হোসেন বাক্কু এই জলাশয় দখলের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তাঁরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নগরীর আগ্রাবাদ ডেবার ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে পাঁচ বছর আগে। পাহাড়তলীর ভেলুয়ার দিঘির দুই বছর, জোড় ডেবার মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৫ মাস আগে। এসব জলাশয়ের মাছ বিক্রি ও পাড়ের বসতি-দোকান থেকে বছরে অবৈধভাবে আয় হয় কোটি টাকার বেশি। তবে এই তিন জলাশয়ের নিয়ন্ত্রণ নেই রেলওয়ের। ইজারাদারদেরও দাবি, তাঁরা অবৈধ উপার্জনের সঙ্গে জড়িত নন। এতে প্রশ্ন উঠেছে, প্রতি মাসে বসতি থেকে টাকা তোলেন কারা? মাছ বিক্রির টাকাই বা যায় কাদের পকেটে?
পাহাড়তলীর জোড় ডেবার আয়তন ২১ দশমিক ৪৮ একর। এটি মাছ চাষের জন্য ইজারা নেন ইজারাদার আবদুল লতিফ। শর্ত ভেঙে দুই পাড়ের মধ্যে এক পাড় ভাড়া দিয়েছেন। অন্য পাড়ে দুই শতাধিক বসতি থেকে প্রতি মাসে টাকা তুলছেন। শুধু বসতি থেকে তাঁর আয় প্রতি মাসে চার লাখ টাকা। বছরে প্রায় অর্ধকোটি। নির্দিষ্ট সময়ে নবায়ন করতে না পারায় খাতা-কলমে ছয় লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
২০১৫ সালের ২৮ মে পাঁচ বছরের জন্য জলাশয়টি ইজারা নেন বিএনপির নেতা গণি সরদারের ছেলে আবদুল লতিফ। তাঁর ইজারার মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ২৮ মে। লতিফ রেলওয়েতে প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী বলে পরিচিত।
এর আগে ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গণি সরদারের দখলে ছিল জলাশয়টি। এখন ডোবার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে ‘নামাজ-কালামে ব্যস্ত’ বলে দাবি করেন তিনি। তবে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো বেনামে তাঁরই নিয়ন্ত্রণে জলাশয়টি।
রেলওয়ের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ১৯৯৬ সালে মাছ চাষের জন্য জোর ডেবা ইজারা নেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল হাই। ২০০২ সালে তাঁকে আরও ৫ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ডেবার দুই পাড়ে অবৈধ বসতি তুলে ভাড়া দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাহাড়তলী বাজারের শেষে রেলওয়ের জোড় ডেবা। এখান থেকে প্রতি মাসে গণি সরদারের লোকজন এসে আট হাজার টাকা নিয়ে যান বলে জানা গেছে।
জোড় ডেবার প্রবেশমুখ থেকে সোজা পশ্চিম ঝরনাপাড়া পর্যন্ত দুই শতাধিক বসতি ও ১২টি দোকান। প্রতি বসতি থেকে দুই হাজার আর দোকান থেকে দেড় হাজার টাকা ভাড়া আদায় করা হয়। এসব বসতি ও দোকানে বিদ্যুতের অবৈধ লাইনও রয়েছে। এক বাতি, এক ফ্যান ও একটি টেলিভিশনের জন্য মাসে নেওয়া হয় ৬০০ টাকা। এ হিসাবে প্রতি মাসে প্রায় চার লাখ টাকা ভাড়া তোলেন গণি সরদারের লোকজন। তবে এসব অভিযোগ বরাবরের মতোই অস্বীকার করেন গণি সরদার।
স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সাবেক কাউন্সিলর সাবের আহমদ সওদাগর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইজারাদার জলাশয়ের দুই পাড়ে অবৈধ বস্তি তৈরি করে ভাড়া দিচ্ছে। যাঁরা থাকছেন তাঁরা জলাধার দূষিত করছেন। একাধিকবার রেলওয়েকে বলার পর এক পাড় থেকে অবৈধ বসতি সরালেও অন্য পাড়ে অভিযান চালানো হয়নি।
পিডিবির উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ইমতিয়াজ বলেন, ‘বসতিতে বিদ্যুতের সংযোগগুলো অবৈধ। আমরা শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করব।’
আগ্রাবাদ জলাশয়: ১৯ দশমিক ৭৮ একর আয়তনের আগ্রাবাদ জলাশয়ের ইজারাদার মো. হাবিব উল্লাহ চৌধুরী। তাঁর ইজারার মেয়াদ ২০১৬ সালে শেষ হয়েছে। এর পরও এখনো পর্যন্ত নতুন করে জলাশয়টি ইজারা দিতে পারেনি রেলওয়ে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এই জলাশয়ের এক পাড়ে রেলওয়ের বাসা, অন্য পাড়ে বসতি-দোকান। এখান থেকেও প্রতি মাসে টাকা তোলা হয়। প্রতিবছর এখানেও প্রায় অর্ধকোটি টাকার বাণিজ্য হয়। হাবিব উল্লাহ চৌধুরী এই টাকা তোলেন বলে অভিযোগ। তবে তিনি এসব অস্বীকার করেন। এমনকি জলাশয়ের মাছ ধরে কারা বিক্রি করেন, তা-ও জানেন না বলে দাবি করেন।
জাতীয় ও রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রহমত উল্লাহ চৌধুরী ১৯৯৮-২০০২ সাল পর্যন্ত জলাশয়টি ইজারা নিয়েছিলেন। পরে আরও পাঁচ বছরের জন্য ইজারা নেন তিনি। এরপর তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম ২০০৮ সালে ইজারার জন্য আবেদন করলে তাঁকে দেয়নি রেলওয়ে। বর্তমান ইজারাদার হাবিব উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘২০২০ সালে টেন্ডার হলে আমাকে ইজারা দেয়নি রেলওয়ে। অথচ আমি ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত দর বলেছিলাম। খুশি করতে না পারায় হয়তো আমাকে ইজারা দেয়নি। কারণ এখানে কোটি টাকার লেনদেন। আমার ওই পরিমাণ এখন টাকা নেই।’
ভেলুয়া সুন্দরী দিঘি: পাহাড়তলীর ১৩ দশমিক ৭৪ একরের ভেলুয়ার দিঘি ঘিরে প্রায় তিন দশক ধরে চলছে দখলের মহোৎসব। এতে কমে গেছে দিঘির আয়তন। ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটন ও নূর হোসেন বাক্কু এই জলাশয় দখলের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তাঁরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
৪ মিনিট আগেবেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
১৬ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১ ঘণ্টা আগে