কুবি প্রতিনিধি
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ‘ব্যবহার করে’ প্রক্টরবিরোধী আন্দোলনে নামার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের একাংশের বিরুদ্ধে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রক্টর অফিস তালাবদ্ধ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আগামী কমিটিতে পদপ্রত্যাশী এনায়েত উল্লাহর ২৫-৩০ জন অনুসারীকে ক্যাম্পাস গেটে প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে তাঁরা প্রক্টর অফিসে তালা দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়কদের মধ্যে অন্যতম লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ‘১১ জুলাই প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তাঁরা এখনো পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই হামলার বিচার চান এবং কোটাপদ্ধতির সংস্কার চান। এখানে প্রক্টরের পদত্যাগের কোনো বিষয়ে তাঁরা নেই। ছাত্রলীগের যাঁরা আছেন, তাঁরাও আমাদের ভাই। আশা করি, তাঁরা বিষয়টা বুঝবেন।’
আন্দোলনের সমন্বয়কদের অন্যতম মোহাম্মদ সাকিব বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিতে আসছিলাম। ক্যাম্পাসে কী হচ্ছে, সেটা আমরা জানি না। ক্যাম্পাসে গেলে বুঝতে পারব।’
প্রক্টর অফিসে তালা দেওয়া ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। এনায়েত উল্লাহর অনুসারী রবিন দাশ বলেন, ‘প্রক্টরের কাজ আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু ওই দিন তাঁর সামনে আমার ভাইয়েরা হামলার শিকার হয়েছেন। এ জন্য আমরা এই প্রক্টরের অপসারণ চাই। আগেও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছিল। এটা আমরা কোটা আন্দোলন থেকে করছি না, ছাত্রলীগ আন্দোলন থেকে করেছি।’
তবে ছাত্রলীগের আগামী কমিটিতে পদপ্রত্যাশী এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘তিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিলে আজ প্রক্টর অফিসে তালা দিয়েছে। এটা কোনো একক হলের নেতৃত্বে দেওয়া হয়নি। এটা ছাত্রলীগের কোনো অংশ না। এ ছাড়া কোটা আন্দোলনের সঙ্গে এটার সম্পৃক্ততা নেই। বরং ওই দিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা আজ প্রক্টর অফিসে তালা দিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রক্টর অফিসে কে বা কারা তালা দিয়েছে, আমরা এখনো ঠিক বলতে পারছি না। তবে কোটার বিরুদ্ধে যৌক্তিক আন্দোলন যারা করছে, তাদের কেউ এখানে ছিল না।’
উল্লেখ্য, ১১ জুলাই বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে শিক্ষার্থীদের পুলিশ লাঠিপেটা করে। জবাবে শিক্ষার্থীরাও ইট-পাথর নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তাতে তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ‘ব্যবহার করে’ প্রক্টরবিরোধী আন্দোলনে নামার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের একাংশের বিরুদ্ধে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রক্টর অফিস তালাবদ্ধ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আগামী কমিটিতে পদপ্রত্যাশী এনায়েত উল্লাহর ২৫-৩০ জন অনুসারীকে ক্যাম্পাস গেটে প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে তাঁরা প্রক্টর অফিসে তালা দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়কদের মধ্যে অন্যতম লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ‘১১ জুলাই প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তাঁরা এখনো পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই হামলার বিচার চান এবং কোটাপদ্ধতির সংস্কার চান। এখানে প্রক্টরের পদত্যাগের কোনো বিষয়ে তাঁরা নেই। ছাত্রলীগের যাঁরা আছেন, তাঁরাও আমাদের ভাই। আশা করি, তাঁরা বিষয়টা বুঝবেন।’
আন্দোলনের সমন্বয়কদের অন্যতম মোহাম্মদ সাকিব বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিতে আসছিলাম। ক্যাম্পাসে কী হচ্ছে, সেটা আমরা জানি না। ক্যাম্পাসে গেলে বুঝতে পারব।’
প্রক্টর অফিসে তালা দেওয়া ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। এনায়েত উল্লাহর অনুসারী রবিন দাশ বলেন, ‘প্রক্টরের কাজ আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু ওই দিন তাঁর সামনে আমার ভাইয়েরা হামলার শিকার হয়েছেন। এ জন্য আমরা এই প্রক্টরের অপসারণ চাই। আগেও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছিল। এটা আমরা কোটা আন্দোলন থেকে করছি না, ছাত্রলীগ আন্দোলন থেকে করেছি।’
তবে ছাত্রলীগের আগামী কমিটিতে পদপ্রত্যাশী এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘তিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিলে আজ প্রক্টর অফিসে তালা দিয়েছে। এটা কোনো একক হলের নেতৃত্বে দেওয়া হয়নি। এটা ছাত্রলীগের কোনো অংশ না। এ ছাড়া কোটা আন্দোলনের সঙ্গে এটার সম্পৃক্ততা নেই। বরং ওই দিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা আজ প্রক্টর অফিসে তালা দিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রক্টর অফিসে কে বা কারা তালা দিয়েছে, আমরা এখনো ঠিক বলতে পারছি না। তবে কোটার বিরুদ্ধে যৌক্তিক আন্দোলন যারা করছে, তাদের কেউ এখানে ছিল না।’
উল্লেখ্য, ১১ জুলাই বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে শিক্ষার্থীদের পুলিশ লাঠিপেটা করে। জবাবে শিক্ষার্থীরাও ইট-পাথর নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তাতে তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
১৮ মিনিট আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
১ ঘণ্টা আগে