নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্ন ইউনিয়নে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে তুই-আপনি বলা নিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সাজ্জাদ হোসেন সৌরভ (২০) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও চারজন। আজ সোমবার বেলা ২টার দিকে বাঁধের হাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাজ্জাদ হোসেন সৌরভ নোয়ান্ন ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে। আহত ব্যক্তিরা হলেন একই ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের জাফর আহমেদের ছেলে নাজিম উদ্দিন (১৮), মনিরের ছেলে রাকিব (২৫) ও রিয়াজ (২১) এবং হারুনুর রশিদের ছেলে রাকিব (২৪)।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাঁধেরহাট বাজারে সক্রিয় একাধিক কিশোর অপরাধী গ্রুপ। প্রায়ই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এমন দুটি গ্রুপের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র ও তুই-আপনি বলা নিয়ে কয়েক দিন আগে দ্বন্দ্ব হয়। এর জেরে গতকাল রোববার দুপুরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের ১৫-২০ জন বাজারে এসে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ধাওয়া দেয়। কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের সাজ্জাদ হোসেন সৌরভ, নাজিম উদ্দিন, রাকিব হোসেন, রিয়াজ ও রাকিব ছুরিকাঘাতে আহত হয়।

আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সৌরভকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর চারজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কারা মূল গ্রুপিং কিংবা কে ছুরিকাঘাত করেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।