নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ২৫ টন বিপজ্জনক রাসায়নিক পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সামনে রেখে সুনামগঞ্জে অবস্থিত লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কারখানার জিও সাইকেল প্রকল্পে এসব রাসায়নিক ধ্বংস করা হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। বন্দরের পি শেডে পড়ে থাকা এসব পণ্যের কোনো কোনোটি দীর্ঘ ২০ বছরের পুরোনো।
এর মধ্যে লেবানন থেকে ফেরত আসা ত্রুটিযুক্ত প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কেজি প্যারাসিটামল সিরাপও আছে। স্কেপ ফার্মাসিউটিক্যালস এই সিরাপ লেবাননে রপ্তানি করেছিল। কিন্তু ত্রুটি থাকায় তা ফেরত পাঠায় আমদানিকারক। পরে এই সিরাপ স্কেপ ফার্মাসিউটিক্যালস আর ফেরত নেয়নি। এর বাইরে বাকি ৮ হাজার কেজি সোডিয়াম ক্লোরাইড, সালফেট, কস্টিক সোডা, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, ব্যাটারি তৈরির উপকরণ, ওষুধ তৈরির নানা রাসায়নিক, যা অতি দাহ্য পদার্থ।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (নিলাম শাখা) মো. আল আমিন বলেন, বন্দরের পি শেডে থাকা অতি দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ ধ্বংসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব পণ্য তিনবার নিলামে তোলা হয়েছে। কিন্তু কিছু পণ্যের কোনো দরদাতা পাওয়া যায়নি। বাকি কিছু পণ্য নিয়ম অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ায় ধ্বংসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী তিনবার নিলামে তুলতে হয়, এরপর ধ্বংস করা যায়। সচরাচর রাসায়নিক পণ্য যে প্রতিষ্ঠান আমদানি করে, সেই প্রতিষ্ঠানই কাজে লাগাতে পারে। তাই নিলামে অন্যান্য পণ্যের ক্রেতা পাওয়া গেলেও রাসায়নিক পণ্যের ক্রেতা পাওয়া মুশকিল। আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সুনামগঞ্জে অবস্থিত লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কারখানার জিও সাইকেল প্রকল্পে পাঠিয়ে দেব।
আমরা প্রথম চট্টগ্রামের ভেতরে মাটিচাপা দিয়ে ধ্বংসের প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মতি না পাওয়ায় বিস্ফোরণে সক্ষম এসব বিপজ্জনক পণ্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।
গত বছরের ৪ আগস্ট লেবাননের বৈরুত বন্দরে এ ধরনের বিপজ্জনক রাসায়নিকের বিস্ফোরণে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা এসব রাসায়নিক পণ্যের বিষয়টি আলোচনায় ওঠে আসে। এর মধ্যে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই বন্দরের পি শেডে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনাও ঘটে। এরপর বিপজ্জনক এসব পণ্যের তালিকা করা এবং ধ্বংসের উদ্যোগ নিতে শুরু করে বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব রাসায়নিকসহ বন্দরে নিলামযোগ্য প্রায় ৭ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার পণ্য পড়ে আছে। এসব পণ্য নিলাম বা ধ্বংসের দায়িত্ব কাস্টমসের। এসব পণ্য যত দ্রুত নিলাম বা ধ্বংস হবে, বন্দরের সক্ষমতা ততই বাড়বে। কারণ বন্দরের ভেতরে বড় একটি জায়গা দখল করে রেখেছে এসব পণ্য। আমরা আরও অন্তত ৩ লাখ টিইইউএস পণ্য বছরে বেশি হ্যান্ডেলিং করতে পারব, এসব পণ্য নিলাম হয়ে গেলে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, বন্দরের পি-শেড, ১২ ও ১৩ নং শেড, এনসিটি সিএফএস, সিসিটি সিএফএস শেডে রাসায়নিকসহ বিপজ্জনক পণ্যগুলো সংরক্ষণ করা ছিল এত দিন। ধ্বংসের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি চেয়ে গত ১৩ অক্টোবর আবেদন করে কাস্টমস হাউস। পরে গত ২৬ নভেম্বর এই নির্দেশনার কথা কাস্টমস হাউসকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক নুরুল্লাহ নুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা রাসায়নিকগুলো চট্টগ্রামের কোনো এলাকায় ধ্বংসের সুযোগ নেই। এ বিপজ্জনক পণ্য সুনামগঞ্জের ওই কারখানায় একমাত্র ধ্বংস করার প্রযুক্তি আছে। এ পণ্য ধ্বংসের সময় পরিবেশ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের কর্মকর্তারা এ কাজে কাস্টমসকে সহযোগিতা দেবেন।
মূলত পরিবেশ অধিদপ্তরের এরপরই বিপজ্জনক পণ্যগুলো ধাপে ধাপে পাঠানো শুরু হয় সুনামগঞ্জে।
গত ডিসেম্বরেও চট্টগ্রাম কাস্টমসের উদ্যোগে বন্দরের পি শেডে থাকা বিপজ্জনক ৫৯ টন পণ্য সিলেটের সুনামগঞ্জে পাঠানো হয়েছিল ধ্বংসের জন্য। পরে ফেব্রুয়ারি মাসে আরও ১০ হাজার কেজি পণ্য পাঠানো হয়। এবার ২৫ হাজার কেজি ধ্বংসের এ উদ্যোগ নিয়েছে কাস্টম হাউস।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ২৫ টন বিপজ্জনক রাসায়নিক পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সামনে রেখে সুনামগঞ্জে অবস্থিত লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কারখানার জিও সাইকেল প্রকল্পে এসব রাসায়নিক ধ্বংস করা হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। বন্দরের পি শেডে পড়ে থাকা এসব পণ্যের কোনো কোনোটি দীর্ঘ ২০ বছরের পুরোনো।
এর মধ্যে লেবানন থেকে ফেরত আসা ত্রুটিযুক্ত প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কেজি প্যারাসিটামল সিরাপও আছে। স্কেপ ফার্মাসিউটিক্যালস এই সিরাপ লেবাননে রপ্তানি করেছিল। কিন্তু ত্রুটি থাকায় তা ফেরত পাঠায় আমদানিকারক। পরে এই সিরাপ স্কেপ ফার্মাসিউটিক্যালস আর ফেরত নেয়নি। এর বাইরে বাকি ৮ হাজার কেজি সোডিয়াম ক্লোরাইড, সালফেট, কস্টিক সোডা, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, ব্যাটারি তৈরির উপকরণ, ওষুধ তৈরির নানা রাসায়নিক, যা অতি দাহ্য পদার্থ।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (নিলাম শাখা) মো. আল আমিন বলেন, বন্দরের পি শেডে থাকা অতি দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ ধ্বংসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব পণ্য তিনবার নিলামে তোলা হয়েছে। কিন্তু কিছু পণ্যের কোনো দরদাতা পাওয়া যায়নি। বাকি কিছু পণ্য নিয়ম অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ায় ধ্বংসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী তিনবার নিলামে তুলতে হয়, এরপর ধ্বংস করা যায়। সচরাচর রাসায়নিক পণ্য যে প্রতিষ্ঠান আমদানি করে, সেই প্রতিষ্ঠানই কাজে লাগাতে পারে। তাই নিলামে অন্যান্য পণ্যের ক্রেতা পাওয়া গেলেও রাসায়নিক পণ্যের ক্রেতা পাওয়া মুশকিল। আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সুনামগঞ্জে অবস্থিত লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কারখানার জিও সাইকেল প্রকল্পে পাঠিয়ে দেব।
আমরা প্রথম চট্টগ্রামের ভেতরে মাটিচাপা দিয়ে ধ্বংসের প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মতি না পাওয়ায় বিস্ফোরণে সক্ষম এসব বিপজ্জনক পণ্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।
গত বছরের ৪ আগস্ট লেবাননের বৈরুত বন্দরে এ ধরনের বিপজ্জনক রাসায়নিকের বিস্ফোরণে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা এসব রাসায়নিক পণ্যের বিষয়টি আলোচনায় ওঠে আসে। এর মধ্যে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই বন্দরের পি শেডে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনাও ঘটে। এরপর বিপজ্জনক এসব পণ্যের তালিকা করা এবং ধ্বংসের উদ্যোগ নিতে শুরু করে বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব রাসায়নিকসহ বন্দরে নিলামযোগ্য প্রায় ৭ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার পণ্য পড়ে আছে। এসব পণ্য নিলাম বা ধ্বংসের দায়িত্ব কাস্টমসের। এসব পণ্য যত দ্রুত নিলাম বা ধ্বংস হবে, বন্দরের সক্ষমতা ততই বাড়বে। কারণ বন্দরের ভেতরে বড় একটি জায়গা দখল করে রেখেছে এসব পণ্য। আমরা আরও অন্তত ৩ লাখ টিইইউএস পণ্য বছরে বেশি হ্যান্ডেলিং করতে পারব, এসব পণ্য নিলাম হয়ে গেলে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, বন্দরের পি-শেড, ১২ ও ১৩ নং শেড, এনসিটি সিএফএস, সিসিটি সিএফএস শেডে রাসায়নিকসহ বিপজ্জনক পণ্যগুলো সংরক্ষণ করা ছিল এত দিন। ধ্বংসের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি চেয়ে গত ১৩ অক্টোবর আবেদন করে কাস্টমস হাউস। পরে গত ২৬ নভেম্বর এই নির্দেশনার কথা কাস্টমস হাউসকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক নুরুল্লাহ নুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা রাসায়নিকগুলো চট্টগ্রামের কোনো এলাকায় ধ্বংসের সুযোগ নেই। এ বিপজ্জনক পণ্য সুনামগঞ্জের ওই কারখানায় একমাত্র ধ্বংস করার প্রযুক্তি আছে। এ পণ্য ধ্বংসের সময় পরিবেশ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের কর্মকর্তারা এ কাজে কাস্টমসকে সহযোগিতা দেবেন।
মূলত পরিবেশ অধিদপ্তরের এরপরই বিপজ্জনক পণ্যগুলো ধাপে ধাপে পাঠানো শুরু হয় সুনামগঞ্জে।
গত ডিসেম্বরেও চট্টগ্রাম কাস্টমসের উদ্যোগে বন্দরের পি শেডে থাকা বিপজ্জনক ৫৯ টন পণ্য সিলেটের সুনামগঞ্জে পাঠানো হয়েছিল ধ্বংসের জন্য। পরে ফেব্রুয়ারি মাসে আরও ১০ হাজার কেজি পণ্য পাঠানো হয়। এবার ২৫ হাজার কেজি ধ্বংসের এ উদ্যোগ নিয়েছে কাস্টম হাউস।
জামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
৩ মিনিট আগেবেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
১৫ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১ ঘণ্টা আগে