আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার আমতলীতে লোহার ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস ও অটোগাড়ি চাওড়া নদীতে পড়ে গিয়ে কনেপক্ষের নয়জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে এক পরিবারের ৭ জন। অপর নিহতরা সকলেই পরস্পর আত্মীয়স্বজন। আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী নাসির উদ্দিন জানান, গতকাল শুক্রবার কাউনিয়া ইব্রাহিম একাডেমির সহকারী শিক্ষক উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মাসুম বিল্লাহ মনিরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমতলী পৌর শহরের খোন্তাকাটা এলাকার বাসিন্দা সেলিম মাহমুদের ছেলে ডা. সোহাগের বিয়ে হয়। শুক্রবার বিয়ে শেষ কনেকে বরপক্ষ বাড়ি নিয়ে যায়। আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে কনেপক্ষ বরের বাড়িতে মাইক্রোবাস এবং অটো গাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে হলদিয়া ব্রিজ পার হওয়ার সময় ব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙে যায়। এতে মাইক্রোবাস ও অটো গাড়ি চাওড়া নদীতে পড়ে যায়। অটোতে থাকা যাত্রীরা সকলে সাঁতরে কিনারে উঠতে পারলেও মাইক্রোবাসের যাত্রীরা নদীতে তলিয়ে যান। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা ওই মাইক্রোতে থাকা লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান।
খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধার অভিযানে নামে। ততক্ষণে মাইক্রোবাসে থাকা কনে পক্ষের ৯ যাত্রী মারা যান। নিহতরা হলেন—সাবেক সেনা সদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজ, মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামি মুন্নি বেগম (৪০), তাঁর সন্তান তাহিয়া মেহজাবিন আজাদ (৭), তাসফিয়া (১১), আরেক মামি ফাতেমা বেগম (৪০), রুমি বেগম (৪০)। তাঁরা সবাই একই পরিবারের সদস্য ও শিবচরের ভদ্রাসন গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়া এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং কন্যা রিদি (৫)। এই ৯ জনের মধ্যে ২টি শিশু রয়েছে। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। নিহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
খবর পেয়ে বরগুনা-১ আসনের সাংসদ গোলাম সরোয়ার টুকু, জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মাইক্রোবাসে থাকা সোহেল মিয়া বলেন, ‘মাইক্রোবাসে কনে পক্ষের ১৬ জন যাত্রী বরের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে হলদিয়া হাট ব্রিজের ওঠা মাত্রই ব্রিজ মাঝখান দিয়ে ভেঙে মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে যায়। আমিসহ ৩ জন সাঁতরে কিনারে উঠতে পেরেছি। পরে স্থানীয়, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন ও নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মাইক্রোবাস ও অটো গাড়িটি ব্রিজের মাঝখানের আসা মাত্রই ব্রিজ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা স্থানীয়দের নিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।’
একই পরিবারের তিন নিহতের স্বজন আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার কিছুই রইল না। আমার দুই কন্যা ও স্ত্রী মারা গেছে। সব হারিয়ে আমি এখন অসহায়।’
আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. হানিফ বলেন, ‘চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মাইক্রোবাস উদ্ধার করতে পারিনি। উদ্ধার চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ব্রিজ ভেঙে নিহত ৯ জনই হাসপাতালে আনার পূর্বেই মারা গেছেন।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস নদীতে ডুবে নিয়ে বিয়ের কনে পক্ষের ৯ জন মানুষ মারা গেছে। নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উদ্ধার কাজের তদারকি করছি।’
বরগুনার আমতলীতে লোহার ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস ও অটোগাড়ি চাওড়া নদীতে পড়ে গিয়ে কনেপক্ষের নয়জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে এক পরিবারের ৭ জন। অপর নিহতরা সকলেই পরস্পর আত্মীয়স্বজন। আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী নাসির উদ্দিন জানান, গতকাল শুক্রবার কাউনিয়া ইব্রাহিম একাডেমির সহকারী শিক্ষক উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মাসুম বিল্লাহ মনিরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমতলী পৌর শহরের খোন্তাকাটা এলাকার বাসিন্দা সেলিম মাহমুদের ছেলে ডা. সোহাগের বিয়ে হয়। শুক্রবার বিয়ে শেষ কনেকে বরপক্ষ বাড়ি নিয়ে যায়। আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে কনেপক্ষ বরের বাড়িতে মাইক্রোবাস এবং অটো গাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে হলদিয়া ব্রিজ পার হওয়ার সময় ব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙে যায়। এতে মাইক্রোবাস ও অটো গাড়ি চাওড়া নদীতে পড়ে যায়। অটোতে থাকা যাত্রীরা সকলে সাঁতরে কিনারে উঠতে পারলেও মাইক্রোবাসের যাত্রীরা নদীতে তলিয়ে যান। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা ওই মাইক্রোতে থাকা লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান।
খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধার অভিযানে নামে। ততক্ষণে মাইক্রোবাসে থাকা কনে পক্ষের ৯ যাত্রী মারা যান। নিহতরা হলেন—সাবেক সেনা সদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজ, মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামি মুন্নি বেগম (৪০), তাঁর সন্তান তাহিয়া মেহজাবিন আজাদ (৭), তাসফিয়া (১১), আরেক মামি ফাতেমা বেগম (৪০), রুমি বেগম (৪০)। তাঁরা সবাই একই পরিবারের সদস্য ও শিবচরের ভদ্রাসন গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়া এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং কন্যা রিদি (৫)। এই ৯ জনের মধ্যে ২টি শিশু রয়েছে। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। নিহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
খবর পেয়ে বরগুনা-১ আসনের সাংসদ গোলাম সরোয়ার টুকু, জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মাইক্রোবাসে থাকা সোহেল মিয়া বলেন, ‘মাইক্রোবাসে কনে পক্ষের ১৬ জন যাত্রী বরের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে হলদিয়া হাট ব্রিজের ওঠা মাত্রই ব্রিজ মাঝখান দিয়ে ভেঙে মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে যায়। আমিসহ ৩ জন সাঁতরে কিনারে উঠতে পেরেছি। পরে স্থানীয়, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন ও নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মাইক্রোবাস ও অটো গাড়িটি ব্রিজের মাঝখানের আসা মাত্রই ব্রিজ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা স্থানীয়দের নিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।’
একই পরিবারের তিন নিহতের স্বজন আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার কিছুই রইল না। আমার দুই কন্যা ও স্ত্রী মারা গেছে। সব হারিয়ে আমি এখন অসহায়।’
আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. হানিফ বলেন, ‘চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মাইক্রোবাস উদ্ধার করতে পারিনি। উদ্ধার চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ব্রিজ ভেঙে নিহত ৯ জনই হাসপাতালে আনার পূর্বেই মারা গেছেন।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস নদীতে ডুবে নিয়ে বিয়ের কনে পক্ষের ৯ জন মানুষ মারা গেছে। নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উদ্ধার কাজের তদারকি করছি।’
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
২৯ মিনিট আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
১ ঘণ্টা আগে