নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এক মাসের বেশি সময় ধরে নগরে নেই। তিনি কবে ফিরবেন তা কেউ বলতে পারছেন না। তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের তথ্যমতে, মনোনয়ন হারানোর পর দলের শীর্ষ পর্যায়ে একধরনের বোঝাপড়া করতে চান তিনি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছেন।
এদিকে তিনি ঢাকায় বসেই করপোরেশনের কাজকর্ম সারছেন। কিন্তু মেয়র সাদিকের নগরে অনুপস্থিতির সুযোগে নগরে নানা অনিয়ম জেঁকে বসেছে। নগরভবনের কাজকর্মে মন্থরগতি দেখা দিয়েছে। মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষ। গলিপথগুলোর অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে নগরের পাঁচটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। দিনের বেলা নগরে চলাচল করছে বালুর ট্রাক।
জানতে চাইলে বিসিসির প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, মেয়র সাদিক গত ৪ এপ্রিল ঢাকায় যান। এরপর থেকে রাজধানীতেই আছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি বরিশালে ফিরবেন।
প্যানেল মেয়র আরও বলেন, মেয়র না থাকায় নগরভবনে ঢিলেঢালা ভাব থাকতে পারে। তবে সেকশনগুলোতে স্টাফরা যার যার ফিল্ড ওয়ার্কে চলে যান। নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র করপোরেশন পরিচালনা করবে, তাই বন্ধ আছে। বালুর ট্রাক ঢুকে নগরে এখন কিছুটা অরাজকতা হতেই পারে।
নঈমুল হোসেন আরও বলেন, নতুন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগেই অনিয়ম শুরু হয়ে গেছে। মেয়রের ফেরা নিয়ে সমর্থকেরা চিন্তা করতেই পারে। কেউ কেউ মনে করছেন, মেয়র সাদিক আর বরিশালে আসবেন না। আসলে মেয়র ফিরে এলে সব কিছু আগের মতো হয়ে যাবে।
তবে সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বরিশালের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান বলেন, মেয়র কেন এক মাস এলাকায় নাই। এটাও তো কর্তব্যে অবহেলা। তিনি অনুপস্থিত থাকায় সেবা ব্যাহত হচ্ছে। সদর রোডে তোরণ করতে গিয়ে আমার বাসার মধ্যে বাঁশ ঢুকিয়ে দিয়েছে। কেন এমনটা হলো আমি জানতে মেয়রকে খুঁজেও পাইনি।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, নগর চলে জনগণের টাকায়। অথচ সিটি করপোরেশন পানি, হোল্ডিং, সাইনবোর্ডের মোটা অঙ্কের ট্যাক্স নিয়ে জনগণকে চাকর বানিয়ে রেখেছে। আগামী দিনে নগরবাসী কতটা সেবা পাবে, তা জানতে মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে সংলাপ করা হবে।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশালের সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, মেয়র দীর্ঘ সময় নগরের বাইরে থাকায় নাগরিক সেবা অনেকটাই মন্থর গতিতে চলছে। এলাকায় মশার যন্ত্রণায় থাকা যায় না। অলিগলির রাস্তা বেহাল। এই বর্ষায় রাস্তা ও ড্রেন সংস্কার না হলে জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। এখন বালুর ট্রাক নগরে ঢুকছে, খাল দখল হচ্ছে। অথচ তিনি সাতটি খাল খনন করতে দেননি।
এ বিষয়ে জানতে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক হোসেনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
তবে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেয়র কবে নাগাদ বরিশালে ফিরবেন তা জানা নেই। তিনি ঢাকায় আছেন। এক মাসের বেশি সময় ধরে নগরের বাইরে থেকে দাপ্তরিক কাজ কীভাবে চালাচ্ছেন জানতে চাইলে স্বপন বলেন, তিনি ভার্চুয়ালি কিছু কাজ করছেন।
স্বপন কুমার বলেন, স্বাক্ষর লাগলে কাগজপত্র তাঁর কাছে চলে যাচ্ছে। প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে মেয়রের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তাঁর মাধ্যমে কাজকর্ম সারছেন। তবে সুযোগ পেয়ে একটু ঢিলেমি অনেকেই করছেন। তিনি চলে এলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশালের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য, গত সাড়ে চার বছরই মেয়র সাদিকের জনসম্পৃক্ততা ছিল না। এখন মনোনয়ন হারিয়ে এক মাস ধরে ঢাকায় আছেন। ঢাকায় বসে কি করপোরেশন চালানো সম্ভব? এতে যে নগরভবনের কাজকর্ম এবং নাগরিক সেবা ব্যাহত হয়, তা কে বুঝবে। এ রকম চললে স্থবির হয়ে পড়বে বরিশাল নগরী।’
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এক মাসের বেশি সময় ধরে নগরে নেই। তিনি কবে ফিরবেন তা কেউ বলতে পারছেন না। তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের তথ্যমতে, মনোনয়ন হারানোর পর দলের শীর্ষ পর্যায়ে একধরনের বোঝাপড়া করতে চান তিনি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছেন।
এদিকে তিনি ঢাকায় বসেই করপোরেশনের কাজকর্ম সারছেন। কিন্তু মেয়র সাদিকের নগরে অনুপস্থিতির সুযোগে নগরে নানা অনিয়ম জেঁকে বসেছে। নগরভবনের কাজকর্মে মন্থরগতি দেখা দিয়েছে। মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষ। গলিপথগুলোর অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে নগরের পাঁচটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। দিনের বেলা নগরে চলাচল করছে বালুর ট্রাক।
জানতে চাইলে বিসিসির প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, মেয়র সাদিক গত ৪ এপ্রিল ঢাকায় যান। এরপর থেকে রাজধানীতেই আছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি বরিশালে ফিরবেন।
প্যানেল মেয়র আরও বলেন, মেয়র না থাকায় নগরভবনে ঢিলেঢালা ভাব থাকতে পারে। তবে সেকশনগুলোতে স্টাফরা যার যার ফিল্ড ওয়ার্কে চলে যান। নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র করপোরেশন পরিচালনা করবে, তাই বন্ধ আছে। বালুর ট্রাক ঢুকে নগরে এখন কিছুটা অরাজকতা হতেই পারে।
নঈমুল হোসেন আরও বলেন, নতুন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগেই অনিয়ম শুরু হয়ে গেছে। মেয়রের ফেরা নিয়ে সমর্থকেরা চিন্তা করতেই পারে। কেউ কেউ মনে করছেন, মেয়র সাদিক আর বরিশালে আসবেন না। আসলে মেয়র ফিরে এলে সব কিছু আগের মতো হয়ে যাবে।
তবে সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বরিশালের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান বলেন, মেয়র কেন এক মাস এলাকায় নাই। এটাও তো কর্তব্যে অবহেলা। তিনি অনুপস্থিত থাকায় সেবা ব্যাহত হচ্ছে। সদর রোডে তোরণ করতে গিয়ে আমার বাসার মধ্যে বাঁশ ঢুকিয়ে দিয়েছে। কেন এমনটা হলো আমি জানতে মেয়রকে খুঁজেও পাইনি।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, নগর চলে জনগণের টাকায়। অথচ সিটি করপোরেশন পানি, হোল্ডিং, সাইনবোর্ডের মোটা অঙ্কের ট্যাক্স নিয়ে জনগণকে চাকর বানিয়ে রেখেছে। আগামী দিনে নগরবাসী কতটা সেবা পাবে, তা জানতে মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে সংলাপ করা হবে।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশালের সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, মেয়র দীর্ঘ সময় নগরের বাইরে থাকায় নাগরিক সেবা অনেকটাই মন্থর গতিতে চলছে। এলাকায় মশার যন্ত্রণায় থাকা যায় না। অলিগলির রাস্তা বেহাল। এই বর্ষায় রাস্তা ও ড্রেন সংস্কার না হলে জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। এখন বালুর ট্রাক নগরে ঢুকছে, খাল দখল হচ্ছে। অথচ তিনি সাতটি খাল খনন করতে দেননি।
এ বিষয়ে জানতে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক হোসেনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
তবে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেয়র কবে নাগাদ বরিশালে ফিরবেন তা জানা নেই। তিনি ঢাকায় আছেন। এক মাসের বেশি সময় ধরে নগরের বাইরে থেকে দাপ্তরিক কাজ কীভাবে চালাচ্ছেন জানতে চাইলে স্বপন বলেন, তিনি ভার্চুয়ালি কিছু কাজ করছেন।
স্বপন কুমার বলেন, স্বাক্ষর লাগলে কাগজপত্র তাঁর কাছে চলে যাচ্ছে। প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে মেয়রের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তাঁর মাধ্যমে কাজকর্ম সারছেন। তবে সুযোগ পেয়ে একটু ঢিলেমি অনেকেই করছেন। তিনি চলে এলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশালের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য, গত সাড়ে চার বছরই মেয়র সাদিকের জনসম্পৃক্ততা ছিল না। এখন মনোনয়ন হারিয়ে এক মাস ধরে ঢাকায় আছেন। ঢাকায় বসে কি করপোরেশন চালানো সম্ভব? এতে যে নগরভবনের কাজকর্ম এবং নাগরিক সেবা ব্যাহত হয়, তা কে বুঝবে। এ রকম চললে স্থবির হয়ে পড়বে বরিশাল নগরী।’
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
২৯ মিনিট আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
১ ঘণ্টা আগে