জাহাঙ্গীর আলম
যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিরোধের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে তাইওয়ান। ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে প্রাধান্য বজায় রাখতে চায় এবং বেইজিং দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের সন্দেহজনক বেলুন উড়তে থাকা এবং পরে ফাইটার জেট দিয়ে সেটি ধ্বংস করা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এটিকে বারবার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ বেলুন বলে দাবি করা হয়েছে এবং আকাশসীমা লঙ্ঘনের জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাতে আস্থা রাখতে পারেনি। প্রতিবাদ হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন তাঁর নির্ধারিত চীন সফর স্থগিত করেছেন। অপরদিকে বেলুন ধ্বংসের প্রতিবাদে ‘কড়া জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন।
বেইজিং ও ওয়াশিংটন দ্বন্দ্বের এই পরিস্থিতিতে কি তাহলে তাইওয়ান ইস্যু নতুন করে পালে হাওয়া পাবে?
তাইওয়ানকে একীভূতকরণ চীনের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য। বেইজিং বলছে, তাদের আশা এটি শান্তিপূর্ণভাবে ঘটবে, তবে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগও করতে পারে। ওয়াশিংটনের মূল্যায়ন হলো, সি চিন পিং সামরিক বাহিনী তাইওয়ান দখল করার জন্য সক্ষমতা অর্জনের তারিখ নির্ধারণ করেছে ২০২৭ সাল।
যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু এখনো ‘এক চীন’ নীতিতেই রয়েছে। তাইওয়ানের মর্যাদা প্রশ্নে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্য ওয়াশিংটনের। এ কারণে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষায় তারা যুক্ত হবে কি না সে নিয়ে ‘কৌশলগত অস্পষ্টতা’ রেখেছে। কিন্তু বেইজিং যখন ক্রমবর্ধমান শক্তি প্রয়োগ এবং দৃঢ়তার মনোভাব দেখাতে শুরু করে তখনই ওয়াশিংটন কঠোর নীতির নিদর্শন দেখাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু চীনের সামরিক বাহিনী খুব একটা কড়া প্রতিক্রিয়া কখনো দেখায়নি।
গত গ্রীষ্মে পরিস্থিতি ভয়ানক উত্তপ্ত হয়, যখন বিদায়ী ইউএস হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে সফর করেন। পার্লামেন্টে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে পেলোসি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে রিপোর্ট করেন না। বাইডেন প্রশাসন এই সফরকে নিরুৎসাহিত করেছিল বলেই জানা যায়।
কিন্তু বেইজিং আশ্চর্যজনকভাবে পেলোসির সফরকে তাইপেকে সমর্থনের একটি শক্তিশালী বার্তা এবং ‘এক চীন’ নীতির প্রতি মার্কিন প্রতিশ্রুতির ক্ষয় হিসেবে দেখে। প্রতিক্রিয়া হিসেবে, তাইওয়ানের আশপাশে অভূতপূর্ব সামরিক মহড়া করে এবং ‘মধ্য রেখা’ জুড়ে যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে।
চীনের উত্থান সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার দৃঢ় অবস্থান এবং সামরিক সক্ষমতা গড়ে তোলার অঙ্গীকার এখন মার্কিন নীতির মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্কিত করে চীনের প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখা— এটি ওয়াশিংটনে বিরল ঘটনা। সেই দৃষ্টিভঙ্গিই এখন দ্বিদলীয় ঐকমত্য পেয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন এবং কংগ্রেস বিশ্বাস করে, চীনা আগ্রাসন ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতার স্খলন ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র আবার সেই সক্ষমতা তৈরি করতে চায়।
মার্কিন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো— চীন সামরিক অভিযান শুরু করলে তাকে মূল্য দিতে হবে এবং বেইজিং অভিযান না চালালে ওয়াশিংটন কখনো তাইওয়ানের স্থায়ী বিচ্ছিন্নতা চাইবে না— এই দুই বিষয়ে নিশ্চয়তার অবস্থানটি তাইপের সামনে বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।
চীন শিগগিরই আক্রমণ করবে বলে মনে হয় না। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা লঙ্ঘন করা চীনের জন্য অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত হবে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর পশ্চিমের প্রতিক্রিয়া দেখে বেইজিং সম্ভবত আন্তর্জাতিক ক্ষোভ এবং অর্থনৈতিক মূল্য উপলব্ধি করবে। এমনকি এই আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপ না করলেও বেইজিংকে উপরিউক্ত মূল্য দিতে হবে।
এরপরও বিশ্বাসযোগ্য মার্কিন হুমকি অব্যাহত রাখা, তাইওয়ানের আত্মরক্ষার সক্ষমতা জোরদার করা, এশিয়া-প্যাসিফিকের সামরিক অবস্থানকে চীনা আক্রমণের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা এবং মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে শাস্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চিহ্নিত করা— এই সব উদ্যোগ বেইজিংকে আটকাতে সাহায্য করতে পারে।
কিন্তু মার্কিন নীতি অপরিবর্তিত থাকবে এই আশ্বাসের সঙ্গে এই ধরনের পদক্ষেপগুলো অবশ্যই সমান্তরালে এগোতে হবে। যদি বেইজিংয়ের এমন বিশ্বাস জন্মে যে, আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকাটা ওয়াশিংটন এবং তাইপেকে তাইওয়ানের স্থায়ী বিচ্ছিন্নতার শর্ত তৈরির সুযোগ করে দেবে, তাহলে সি কিন্তু যুদ্ধের দিকেই ঝুঁকবেন।
বাইডেন সেই বিপদ সম্পর্কে সচেতন বলেই মনে হয়। যদিও তাইওয়ানকে সামরিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার একটি প্রবণতা তাঁর মধ্যে রয়েছে। যদিও ঘনিষ্ঠরা প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্য দ্রুত ফিরিয়ে নিয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে জি-২০ বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের যখন মুখোমুখি হয়েছিলেন তখন বাইডেন কিন্তু স্ক্রিপ্টের বাইরে যাননি। তিনি শিকে আশ্বস্ত করেছেন যে মার্কিন নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সিও বাইডেনকে বলেছেন, চীন শান্তিপূর্ণ একীভূতকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবুও নিকট ভবিষ্যতে উত্তেজনা বাড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে থেকে, বর্তমান হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি এরই মধ্যেই বলেছেন যে, তিনি স্পিকার হিসেবে পেলোসির স্থলাভিষিক্ত হলে তাইওয়ান সফর করবেন।
ধরে নেওয়া যায়, চীন পেলোসির সফরে যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, ম্যাকার্থির সফরে কমপক্ষে সেই পরিমাণ সামরিক শক্তি প্রদর্শন করবে।
যদি বেইজিংয়ের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা বাড়তে থাকে, তাহলে আরও কঠোর সংকল্প দেখাতে পারেন সি। বিশেষ করে যদি চীনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার সুবিধার জন্য চাপ দেয় তাহলে বেইজিংয়ের প্রতিক্রিয়া হবে আহত নেকড়ের মতো।
এই ধরনের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা যুদ্ধে পর্যবসিত হবে না হয়তো, কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিধর দুই দেশকে সশস্ত্র সংঘাতের আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।
সূত্র: ফরেন পলিসি, ক্রাইসিস গ্রুপ, বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিরোধের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে তাইওয়ান। ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে প্রাধান্য বজায় রাখতে চায় এবং বেইজিং দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের সন্দেহজনক বেলুন উড়তে থাকা এবং পরে ফাইটার জেট দিয়ে সেটি ধ্বংস করা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এটিকে বারবার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ বেলুন বলে দাবি করা হয়েছে এবং আকাশসীমা লঙ্ঘনের জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাতে আস্থা রাখতে পারেনি। প্রতিবাদ হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন তাঁর নির্ধারিত চীন সফর স্থগিত করেছেন। অপরদিকে বেলুন ধ্বংসের প্রতিবাদে ‘কড়া জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন।
বেইজিং ও ওয়াশিংটন দ্বন্দ্বের এই পরিস্থিতিতে কি তাহলে তাইওয়ান ইস্যু নতুন করে পালে হাওয়া পাবে?
তাইওয়ানকে একীভূতকরণ চীনের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য। বেইজিং বলছে, তাদের আশা এটি শান্তিপূর্ণভাবে ঘটবে, তবে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগও করতে পারে। ওয়াশিংটনের মূল্যায়ন হলো, সি চিন পিং সামরিক বাহিনী তাইওয়ান দখল করার জন্য সক্ষমতা অর্জনের তারিখ নির্ধারণ করেছে ২০২৭ সাল।
যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু এখনো ‘এক চীন’ নীতিতেই রয়েছে। তাইওয়ানের মর্যাদা প্রশ্নে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্য ওয়াশিংটনের। এ কারণে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষায় তারা যুক্ত হবে কি না সে নিয়ে ‘কৌশলগত অস্পষ্টতা’ রেখেছে। কিন্তু বেইজিং যখন ক্রমবর্ধমান শক্তি প্রয়োগ এবং দৃঢ়তার মনোভাব দেখাতে শুরু করে তখনই ওয়াশিংটন কঠোর নীতির নিদর্শন দেখাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু চীনের সামরিক বাহিনী খুব একটা কড়া প্রতিক্রিয়া কখনো দেখায়নি।
গত গ্রীষ্মে পরিস্থিতি ভয়ানক উত্তপ্ত হয়, যখন বিদায়ী ইউএস হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে সফর করেন। পার্লামেন্টে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে পেলোসি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে রিপোর্ট করেন না। বাইডেন প্রশাসন এই সফরকে নিরুৎসাহিত করেছিল বলেই জানা যায়।
কিন্তু বেইজিং আশ্চর্যজনকভাবে পেলোসির সফরকে তাইপেকে সমর্থনের একটি শক্তিশালী বার্তা এবং ‘এক চীন’ নীতির প্রতি মার্কিন প্রতিশ্রুতির ক্ষয় হিসেবে দেখে। প্রতিক্রিয়া হিসেবে, তাইওয়ানের আশপাশে অভূতপূর্ব সামরিক মহড়া করে এবং ‘মধ্য রেখা’ জুড়ে যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে।
চীনের উত্থান সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার দৃঢ় অবস্থান এবং সামরিক সক্ষমতা গড়ে তোলার অঙ্গীকার এখন মার্কিন নীতির মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্কিত করে চীনের প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখা— এটি ওয়াশিংটনে বিরল ঘটনা। সেই দৃষ্টিভঙ্গিই এখন দ্বিদলীয় ঐকমত্য পেয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন এবং কংগ্রেস বিশ্বাস করে, চীনা আগ্রাসন ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতার স্খলন ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র আবার সেই সক্ষমতা তৈরি করতে চায়।
মার্কিন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো— চীন সামরিক অভিযান শুরু করলে তাকে মূল্য দিতে হবে এবং বেইজিং অভিযান না চালালে ওয়াশিংটন কখনো তাইওয়ানের স্থায়ী বিচ্ছিন্নতা চাইবে না— এই দুই বিষয়ে নিশ্চয়তার অবস্থানটি তাইপের সামনে বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।
চীন শিগগিরই আক্রমণ করবে বলে মনে হয় না। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা লঙ্ঘন করা চীনের জন্য অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত হবে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর পশ্চিমের প্রতিক্রিয়া দেখে বেইজিং সম্ভবত আন্তর্জাতিক ক্ষোভ এবং অর্থনৈতিক মূল্য উপলব্ধি করবে। এমনকি এই আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপ না করলেও বেইজিংকে উপরিউক্ত মূল্য দিতে হবে।
এরপরও বিশ্বাসযোগ্য মার্কিন হুমকি অব্যাহত রাখা, তাইওয়ানের আত্মরক্ষার সক্ষমতা জোরদার করা, এশিয়া-প্যাসিফিকের সামরিক অবস্থানকে চীনা আক্রমণের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা এবং মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে শাস্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চিহ্নিত করা— এই সব উদ্যোগ বেইজিংকে আটকাতে সাহায্য করতে পারে।
কিন্তু মার্কিন নীতি অপরিবর্তিত থাকবে এই আশ্বাসের সঙ্গে এই ধরনের পদক্ষেপগুলো অবশ্যই সমান্তরালে এগোতে হবে। যদি বেইজিংয়ের এমন বিশ্বাস জন্মে যে, আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকাটা ওয়াশিংটন এবং তাইপেকে তাইওয়ানের স্থায়ী বিচ্ছিন্নতার শর্ত তৈরির সুযোগ করে দেবে, তাহলে সি কিন্তু যুদ্ধের দিকেই ঝুঁকবেন।
বাইডেন সেই বিপদ সম্পর্কে সচেতন বলেই মনে হয়। যদিও তাইওয়ানকে সামরিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার একটি প্রবণতা তাঁর মধ্যে রয়েছে। যদিও ঘনিষ্ঠরা প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্য দ্রুত ফিরিয়ে নিয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে জি-২০ বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের যখন মুখোমুখি হয়েছিলেন তখন বাইডেন কিন্তু স্ক্রিপ্টের বাইরে যাননি। তিনি শিকে আশ্বস্ত করেছেন যে মার্কিন নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সিও বাইডেনকে বলেছেন, চীন শান্তিপূর্ণ একীভূতকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবুও নিকট ভবিষ্যতে উত্তেজনা বাড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে থেকে, বর্তমান হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি এরই মধ্যেই বলেছেন যে, তিনি স্পিকার হিসেবে পেলোসির স্থলাভিষিক্ত হলে তাইওয়ান সফর করবেন।
ধরে নেওয়া যায়, চীন পেলোসির সফরে যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, ম্যাকার্থির সফরে কমপক্ষে সেই পরিমাণ সামরিক শক্তি প্রদর্শন করবে।
যদি বেইজিংয়ের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা বাড়তে থাকে, তাহলে আরও কঠোর সংকল্প দেখাতে পারেন সি। বিশেষ করে যদি চীনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার সুবিধার জন্য চাপ দেয় তাহলে বেইজিংয়ের প্রতিক্রিয়া হবে আহত নেকড়ের মতো।
এই ধরনের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা যুদ্ধে পর্যবসিত হবে না হয়তো, কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিধর দুই দেশকে সশস্ত্র সংঘাতের আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।
সূত্র: ফরেন পলিসি, ক্রাইসিস গ্রুপ, বিবিসি
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
১ দিন আগেপরিশেষে বলা যায়, হাসিনার চীনা ধাঁচের স্বৈরশাসক শাসিত রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রয়াস ব্যর্থ হয় একাধিক কারণে। তাঁর বৈষম্যমূলক এবং এলিটপন্থী বাঙালি-আওয়ামী আদর্শ জনসাধারণ গ্রহণ করেনি, যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গণমুখী আদর্শের বিপরীত। ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা তাঁর শাসনকে দুর্বল করে দেয়, পাশাপাশি
৫ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় মোটামুটি সারা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। বাদ যায়নি তাঁর প্রতিবেশী দেশগুলো। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই জয়ের বড় প্রভাব পড়বে প্রতিবেশী দেশগুলোয়।
৭ দিন আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর বিশ্বের অনেক অঞ্চলে নতুন উদ্বেগ ও প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, ইউক্রেন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, আর ইসরায়েল অনেকটা খুশিতে উদ্বেলিত। তবে বিশেষ নজরে আছে পারস্য উপসাগরীয় তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো।
৮ দিন আগে