আব্দুর রহমান
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক আক্রমণে প্রাথমিকভাবে অনেকটাই দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল ইসরায়েল। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লেগেছে দেশটির। তবে ধাক্কা কাটিয়ে উঠলেও দেশটির শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কেন এই হামলা আগেই টের পেতে ব্যর্থ হয়েছে, তা নিয়ে কথা উঠেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে।
হামাস এতটাই সংগোপনে এই হামলার পরিকল্পনা করেছে যে, গোষ্ঠীটির প্রথম সারির অনেক নেতাও এই হামলার বিষয়ে অবগত ছিল না। এই হামলা চালায় মূলত হামাসের সামরিক শাখা আল-ক্বাসাম ব্রিগেড। গত শনিবার সকালে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলায় মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থান ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে ৫ হাজার রকেট ছোড়ে তারা।
৫ হাজার রকেট নিক্ষেপের সঙ্গে বুলডোজার, গ্লাইডার ও মোটরবাইক নিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে। এটি নিঃসন্দেহে ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় আঘাত। ৫০ বছর আগে সিরিয়া ও মিসর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালিয়ে পুরো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে হামাসের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছে, হামাস কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি অভূতপূর্ব গোয়েন্দা কৌশল ব্যবহার করেছে। হামাস ইসরায়েলকে ধারণা দিয়েছিল, তারা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত নয়, কিন্তু তারা ব্যাপক অভিযানের প্রস্তুতি ঠিকই নিয়েছে। এমনকি এ দুই বছর ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সামরিক নিপীড়ন ঠিকই চলেছে। এর পরও হামাসের পক্ষ থেকে কাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া আসেনি।
বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের শীর্ষ নেতা এবং বর্তমানে লেবাননে নির্বাসিত আলি বারাকাহও একই কথা উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে খুব অল্প কয়েকজনই এই হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে জানতেন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় শীর্ষস্থানীয় নেতারা না জানলেও হামাসের দুই মিত্র লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইরান বিষয়টির সম্পর্কে সামান্য হলেও অবগত ছিল। হামাসের এ দুই মিত্র যুদ্ধ যোগ দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
যা হোক, ইসরায়েলের কঠোর নিরাপত্তাবলয় ভেঙে এমন হামলা আসলেই নজিরবিহীন। প্রশ্ন উঠছে, মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তাবলয় ভেঙে এমন হামলা কী করে চালাল হামাস? মোসাদের মতো গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও হামলার কোনো পূর্ব তথ্য ছিল না! বিষয়টিকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা তৎপরতার বড় ধরনের ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিনিধি ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনার বলছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিভাগ অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিভাগ উভয় দিক থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। এটি শুধু ফিলিস্তিন অঞ্চলে নয়, লেবানন, সিরিয়াসহ অন্যান্য স্থানে জঙ্গিগোষ্ঠীর ভেতরেই গোয়েন্দা নিয়োজিত রয়েছে। তবে যেখানেই নিয়োজিত থাক না কেন, এবার ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হামাসের আক্রমণের পরিকল্পনা জানতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত জার্মান সাংবাদিক অ্যান্থনি লোওয়েনস্টেইন। তিনি বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে বিগত কয়েক ঘণ্টা ইসরায়েলের গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথাই বলছে। গাজায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার সুবাদে বেশ কয়েকবার সীমান্তে ইসরায়েলি চেকপয়েন্ট পার হতে হয়েছে। তাই হামাসের সদস্যরা যেভাবে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে, তা এক কথায় দুঃসাধ্য কাজ।’
লোওয়েনস্টেইন আরও বলেন, ‘অতীতে ইসরায়েলি সীমান্ত পেরোনো এক কথায় প্রায় অসম্ভব ছিল। কারণ, দেশটি সীমান্তে সৈন্যসংখ্যা ও গোয়েন্দা তৎপরতা বজায় রাখত খুবই শক্তিশালীভাবে। কিন্তু এবার হামাস এমন সব কমিউনিকেশন বা যোগাযোগের উপাদান-উপকরণ ব্যবহার করেছে, যা ইসরায়েলি গোয়েন্দারা আঁচ করতে পারেনি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সিও সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
হামাসের সদস্যরা কেবল স্থলপথেই ইসরায়েলে প্রবেশ করেনি। গোষ্ঠীটির সদস্যরা আকাশ, জলপথেও প্রবেশ করেছে। ব্যাপক হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি থানা, সেনাচৌকি খালি করেছে, বন্দী করে নিয়ে এসেছে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা ও সেনাসদস্যকে। এমনটা করতে গিয়ে আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের সদস্যদের ইসরায়েলের গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিতে হয়েছে।
বিষয়টি কীভাবে সম্ভব হয়েছে, তা বলতে গিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের কলামিস্ট গিডিওন লেভি বলেন, ‘এই ব্যর্থতার একটি বড় কারণ হলো ইসরায়েলিদের ঔদ্ধত্য। তারা মনে করে, তারা খুবই শক্তিশালী এবং তাদের সেনাবাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী, যাদের কাছে আছে সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।’
কেবল এই ঔদ্ধত্যই নয়, নিজেদের নিয়ে আত্মতুষ্টিতেও ভোগে ইসরায়েলিরা। এ বিষয়ে লেভি বলেন, ‘ইসরায়েলিরা মনে করে, আমরা যেহেতু কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করে সুদীর্ঘ প্রাচীর, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তৈরি করেছি, তাই আমরা অনেক বেশি সুরক্ষিত।’ লেভির মতে, ইসরায়েলিদের ঔদ্ধত্য ও আত্মতুষ্টিতে ভোগার ঐতিহ্য হামাসের আক্রমণের মুখে ইসরায়েলি গোয়েন্দা ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ।
মোসাদ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতার দ্বিতীয় কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে লেভি বলেন, ‘দ্বিতীয় কারণটি হলো সরকারের প্রাধান্য তালিকা। ইসরায়েলের বর্তমান সরকার পাগলের মতো প্রায় সব সেনাই মোতায়েন করেছে পশ্চিম তীরে, যাতে করে সেখানে যত ইসরায়েলি (অবৈধ) বসতি রয়েছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এর ফলে দক্ষিণ রণাঙ্গন কার্যত খালি হয়ে পড়ে।’ মূলত এ দুই কারণেই ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হামাসের চাল আগাম অনুমান করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক আক্রমণে প্রাথমিকভাবে অনেকটাই দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল ইসরায়েল। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লেগেছে দেশটির। তবে ধাক্কা কাটিয়ে উঠলেও দেশটির শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কেন এই হামলা আগেই টের পেতে ব্যর্থ হয়েছে, তা নিয়ে কথা উঠেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে।
হামাস এতটাই সংগোপনে এই হামলার পরিকল্পনা করেছে যে, গোষ্ঠীটির প্রথম সারির অনেক নেতাও এই হামলার বিষয়ে অবগত ছিল না। এই হামলা চালায় মূলত হামাসের সামরিক শাখা আল-ক্বাসাম ব্রিগেড। গত শনিবার সকালে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলায় মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থান ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে ৫ হাজার রকেট ছোড়ে তারা।
৫ হাজার রকেট নিক্ষেপের সঙ্গে বুলডোজার, গ্লাইডার ও মোটরবাইক নিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে। এটি নিঃসন্দেহে ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় আঘাত। ৫০ বছর আগে সিরিয়া ও মিসর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালিয়ে পুরো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে হামাসের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছে, হামাস কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি অভূতপূর্ব গোয়েন্দা কৌশল ব্যবহার করেছে। হামাস ইসরায়েলকে ধারণা দিয়েছিল, তারা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত নয়, কিন্তু তারা ব্যাপক অভিযানের প্রস্তুতি ঠিকই নিয়েছে। এমনকি এ দুই বছর ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সামরিক নিপীড়ন ঠিকই চলেছে। এর পরও হামাসের পক্ষ থেকে কাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া আসেনি।
বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের শীর্ষ নেতা এবং বর্তমানে লেবাননে নির্বাসিত আলি বারাকাহও একই কথা উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে খুব অল্প কয়েকজনই এই হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে জানতেন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় শীর্ষস্থানীয় নেতারা না জানলেও হামাসের দুই মিত্র লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইরান বিষয়টির সম্পর্কে সামান্য হলেও অবগত ছিল। হামাসের এ দুই মিত্র যুদ্ধ যোগ দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
যা হোক, ইসরায়েলের কঠোর নিরাপত্তাবলয় ভেঙে এমন হামলা আসলেই নজিরবিহীন। প্রশ্ন উঠছে, মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তাবলয় ভেঙে এমন হামলা কী করে চালাল হামাস? মোসাদের মতো গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও হামলার কোনো পূর্ব তথ্য ছিল না! বিষয়টিকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা তৎপরতার বড় ধরনের ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিনিধি ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনার বলছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিভাগ অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিভাগ উভয় দিক থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। এটি শুধু ফিলিস্তিন অঞ্চলে নয়, লেবানন, সিরিয়াসহ অন্যান্য স্থানে জঙ্গিগোষ্ঠীর ভেতরেই গোয়েন্দা নিয়োজিত রয়েছে। তবে যেখানেই নিয়োজিত থাক না কেন, এবার ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হামাসের আক্রমণের পরিকল্পনা জানতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত জার্মান সাংবাদিক অ্যান্থনি লোওয়েনস্টেইন। তিনি বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে বিগত কয়েক ঘণ্টা ইসরায়েলের গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথাই বলছে। গাজায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার সুবাদে বেশ কয়েকবার সীমান্তে ইসরায়েলি চেকপয়েন্ট পার হতে হয়েছে। তাই হামাসের সদস্যরা যেভাবে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে, তা এক কথায় দুঃসাধ্য কাজ।’
লোওয়েনস্টেইন আরও বলেন, ‘অতীতে ইসরায়েলি সীমান্ত পেরোনো এক কথায় প্রায় অসম্ভব ছিল। কারণ, দেশটি সীমান্তে সৈন্যসংখ্যা ও গোয়েন্দা তৎপরতা বজায় রাখত খুবই শক্তিশালীভাবে। কিন্তু এবার হামাস এমন সব কমিউনিকেশন বা যোগাযোগের উপাদান-উপকরণ ব্যবহার করেছে, যা ইসরায়েলি গোয়েন্দারা আঁচ করতে পারেনি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সিও সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
হামাসের সদস্যরা কেবল স্থলপথেই ইসরায়েলে প্রবেশ করেনি। গোষ্ঠীটির সদস্যরা আকাশ, জলপথেও প্রবেশ করেছে। ব্যাপক হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি থানা, সেনাচৌকি খালি করেছে, বন্দী করে নিয়ে এসেছে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা ও সেনাসদস্যকে। এমনটা করতে গিয়ে আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের সদস্যদের ইসরায়েলের গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিতে হয়েছে।
বিষয়টি কীভাবে সম্ভব হয়েছে, তা বলতে গিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের কলামিস্ট গিডিওন লেভি বলেন, ‘এই ব্যর্থতার একটি বড় কারণ হলো ইসরায়েলিদের ঔদ্ধত্য। তারা মনে করে, তারা খুবই শক্তিশালী এবং তাদের সেনাবাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী, যাদের কাছে আছে সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।’
কেবল এই ঔদ্ধত্যই নয়, নিজেদের নিয়ে আত্মতুষ্টিতেও ভোগে ইসরায়েলিরা। এ বিষয়ে লেভি বলেন, ‘ইসরায়েলিরা মনে করে, আমরা যেহেতু কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করে সুদীর্ঘ প্রাচীর, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তৈরি করেছি, তাই আমরা অনেক বেশি সুরক্ষিত।’ লেভির মতে, ইসরায়েলিদের ঔদ্ধত্য ও আত্মতুষ্টিতে ভোগার ঐতিহ্য হামাসের আক্রমণের মুখে ইসরায়েলি গোয়েন্দা ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ।
মোসাদ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতার দ্বিতীয় কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে লেভি বলেন, ‘দ্বিতীয় কারণটি হলো সরকারের প্রাধান্য তালিকা। ইসরায়েলের বর্তমান সরকার পাগলের মতো প্রায় সব সেনাই মোতায়েন করেছে পশ্চিম তীরে, যাতে করে সেখানে যত ইসরায়েলি (অবৈধ) বসতি রয়েছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এর ফলে দক্ষিণ রণাঙ্গন কার্যত খালি হয়ে পড়ে।’ মূলত এ দুই কারণেই ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হামাসের চাল আগাম অনুমান করতে ব্যর্থ হয়েছে।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
১৮ ঘণ্টা আগেপরিশেষে বলা যায়, হাসিনার চীনা ধাঁচের স্বৈরশাসক শাসিত রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রয়াস ব্যর্থ হয় একাধিক কারণে। তাঁর বৈষম্যমূলক এবং এলিটপন্থী বাঙালি-আওয়ামী আদর্শ জনসাধারণ গ্রহণ করেনি, যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গণমুখী আদর্শের বিপরীত। ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা তাঁর শাসনকে দুর্বল করে দেয়, পাশাপাশি
৫ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় মোটামুটি সারা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। বাদ যায়নি তাঁর প্রতিবেশী দেশগুলো। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই জয়ের বড় প্রভাব পড়বে প্রতিবেশী দেশগুলোয়।
৭ দিন আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর বিশ্বের অনেক অঞ্চলে নতুন উদ্বেগ ও প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, ইউক্রেন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, আর ইসরায়েল অনেকটা খুশিতে উদ্বেলিত। তবে বিশেষ নজরে আছে পারস্য উপসাগরীয় তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো।
৮ দিন আগে