মারুফ ইসলাম
২০ ফেব্রুয়ারি আকস্মিকভাবে ইউক্রেন সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর এ সফরকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অকুণ্ঠ সমর্থন হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকেরা। তবে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার পক্ষে মার্কিন নাগরিকদের সমর্থন ধীরে ধীরে কমছে। যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরেও ইউক্রেনকে তাঁরা অস্ত্র দিতে চান না।
বলে রাখা ভালো, আজ ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের এক বছর পূর্তি হলো। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছিল রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ওই দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু হয়েছে। যুদ্ধে জড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না।
ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি মার্কিন নাগরিকের ওপর জরিপ চালিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও প্যারিসভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইপসোস। তাদের জরিপ অনুযায়ী, ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সমর্থন ৫৮ শতাংশে নেমে এসেছে। গত বছরের এপ্রিলে এই সমর্থন ছিল ৭৩ শতাংশ।
এই জরিপ থেকে এটা স্পষ্ট, ইউক্রেনে যত দিন রুশ বাহিনী থাকবে, তত দিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অটুট থাকবে বলে বাইডেন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা হুমকির মুখে পড়েছে। কারণ, আসছে বছর মার্কিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখলে বাইডেন দেশের ভেতরে রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। আবার প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করে ইউক্রেনের ওপর থেকে সমর্থন উঠিয়ে নিলে বৈশ্বিক রাজনীতিতেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন।
বাইডেন এখন কী করবেন? পেছনে তাকালে দেখা যাবে, গত বছর ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা দিয়েছে ইউক্রেনকে। এই সহায়তা আর না বাড়ানোর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকানরা। কারণ, এতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই ঋণ করতে হবে। কিন্তু ঋণের সর্বোচ্চ সীমা কত হবে তা নিয়ে এখন সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে রিপাবলিকানদের।
এরই মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্র হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তাদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
বুঝতে অসুবিধা হয় না, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই ‘ইউক্রেন সহায়তা প্যাকেজ’ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যে এটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট মনোনয়নপ্রত্যাশী ও ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্ডিস দিন কয়েক আগে ইউক্রেন প্রশ্নে বাইডেনের ‘ব্ল্যাংক চেক’ নীতির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।
তবে কোনো কোনো রিপাবলিকান নেতা আপাতত ইউক্রেনে প্রতিরক্ষা সহায়তা পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁরা বেশির ভাগ ইস্যুতে বাইডেনের তীব্র বিরোধিতা করলেও আপাতত ইউক্রেনে আরও শক্তিশালী অস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার কিয়েভ সফরে গিয়ে হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককল বলেছেন, ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান পাঠানোর কথা ভাবছে ওয়াশিংটন।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, ইউক্রেন প্রশ্নে রিপাবলিকানদের মধ্যে ভাঙন স্পষ্ট। এ মাসের শুরুর দিকে কয়েকজন ডানপন্থী রিপাবলিকান ইউক্রেনে সাহায্য বন্ধের জন্য মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাব পেশ করেছেন। তবে সেই প্রস্তাবে যথেষ্ট সমর্থন পড়েনি। হাউসের ২২২ জনের মধ্যে মাত্র ১১ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা প্রস্তাবের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন।
এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাইডেন প্রশাসনের অনুরোধ করা প্রতিটি সাহায্য তহবিল অনুমোদন করেছে মার্কিন কংগ্রেস। বাইডেন প্রশাসন এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে ১১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তার প্রতি জনসমর্থন কমে আসার বিষয়ে রয়টার্সের সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা জানে ইউক্রেনের মানুষেরা কী ঝুঁকিতে আছে। কংগ্রেসের উভয় কক্ষ ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এটিই প্রমাণ করে, আমেরিকানরা কতটা পাশে আছে ইউক্রেনের।
তবে একজন মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেন সরকারকে সাফ বলে দিয়েছে যে তাদের সম্পদ অসীম নয়।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, তাঁর লক্ষ্য হচ্ছে, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের সকল অঞ্চল পুনরুদ্ধার করা। তবে আস্থার অভাবের কারণে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসবেন না।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন জেরেমি শাপিরো। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতার বিষয়টি চাপা পড়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনে সাহায্য দেওয়ার ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষের সমর্থন থাকলেও কয়েকজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা প্রশ্ন তুলেছেন যে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে মার্কিন অর্থনীতি যখন ধুঁকছে, তখন ইউক্রেনকে কোটি কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন কী?
বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান ডেমোক্র্যাট বব মেনেনডেজ বলেছেন, জনগণের অসন্তোষ ও উদ্বেগ মোকাবিলা করেই বাইডেন প্রশাসনকে ইউক্রেনের প্রতি সহায়তা চালিয়ে যেতে হবে।
পেন্টাগনের একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা মার্ক ক্যানসিয়ান বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন কত দিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে, তা নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মিত্রদের ধারাবাহিক সমর্থনের ওপর। ইউক্রেনের বিজয়ও নির্ভর করছে এই সব দেশের গোলাবারুদের সরবরাহ ও প্রশিক্ষণের ওপর।
গত বছরের শেষের দিকে ইপসোস আরও একটি জরিপ চালিয়েছিল। সেই জরিপে কানাডা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডসহ ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ইউক্রেনের প্রতি সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছে। শুধু হাঙ্গেরি ও ইতালির জনগণ বিরোধিতা করেছে।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি ও বিবিসি
২০ ফেব্রুয়ারি আকস্মিকভাবে ইউক্রেন সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর এ সফরকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অকুণ্ঠ সমর্থন হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকেরা। তবে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার পক্ষে মার্কিন নাগরিকদের সমর্থন ধীরে ধীরে কমছে। যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরেও ইউক্রেনকে তাঁরা অস্ত্র দিতে চান না।
বলে রাখা ভালো, আজ ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের এক বছর পূর্তি হলো। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছিল রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ওই দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু হয়েছে। যুদ্ধে জড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না।
ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি মার্কিন নাগরিকের ওপর জরিপ চালিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও প্যারিসভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইপসোস। তাদের জরিপ অনুযায়ী, ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সমর্থন ৫৮ শতাংশে নেমে এসেছে। গত বছরের এপ্রিলে এই সমর্থন ছিল ৭৩ শতাংশ।
এই জরিপ থেকে এটা স্পষ্ট, ইউক্রেনে যত দিন রুশ বাহিনী থাকবে, তত দিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অটুট থাকবে বলে বাইডেন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা হুমকির মুখে পড়েছে। কারণ, আসছে বছর মার্কিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখলে বাইডেন দেশের ভেতরে রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। আবার প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করে ইউক্রেনের ওপর থেকে সমর্থন উঠিয়ে নিলে বৈশ্বিক রাজনীতিতেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন।
বাইডেন এখন কী করবেন? পেছনে তাকালে দেখা যাবে, গত বছর ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা দিয়েছে ইউক্রেনকে। এই সহায়তা আর না বাড়ানোর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকানরা। কারণ, এতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই ঋণ করতে হবে। কিন্তু ঋণের সর্বোচ্চ সীমা কত হবে তা নিয়ে এখন সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে রিপাবলিকানদের।
এরই মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্র হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তাদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
বুঝতে অসুবিধা হয় না, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই ‘ইউক্রেন সহায়তা প্যাকেজ’ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যে এটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট মনোনয়নপ্রত্যাশী ও ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্ডিস দিন কয়েক আগে ইউক্রেন প্রশ্নে বাইডেনের ‘ব্ল্যাংক চেক’ নীতির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।
তবে কোনো কোনো রিপাবলিকান নেতা আপাতত ইউক্রেনে প্রতিরক্ষা সহায়তা পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁরা বেশির ভাগ ইস্যুতে বাইডেনের তীব্র বিরোধিতা করলেও আপাতত ইউক্রেনে আরও শক্তিশালী অস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার কিয়েভ সফরে গিয়ে হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককল বলেছেন, ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান পাঠানোর কথা ভাবছে ওয়াশিংটন।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, ইউক্রেন প্রশ্নে রিপাবলিকানদের মধ্যে ভাঙন স্পষ্ট। এ মাসের শুরুর দিকে কয়েকজন ডানপন্থী রিপাবলিকান ইউক্রেনে সাহায্য বন্ধের জন্য মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাব পেশ করেছেন। তবে সেই প্রস্তাবে যথেষ্ট সমর্থন পড়েনি। হাউসের ২২২ জনের মধ্যে মাত্র ১১ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা প্রস্তাবের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন।
এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাইডেন প্রশাসনের অনুরোধ করা প্রতিটি সাহায্য তহবিল অনুমোদন করেছে মার্কিন কংগ্রেস। বাইডেন প্রশাসন এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে ১১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তার প্রতি জনসমর্থন কমে আসার বিষয়ে রয়টার্সের সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা জানে ইউক্রেনের মানুষেরা কী ঝুঁকিতে আছে। কংগ্রেসের উভয় কক্ষ ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এটিই প্রমাণ করে, আমেরিকানরা কতটা পাশে আছে ইউক্রেনের।
তবে একজন মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেন সরকারকে সাফ বলে দিয়েছে যে তাদের সম্পদ অসীম নয়।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, তাঁর লক্ষ্য হচ্ছে, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের সকল অঞ্চল পুনরুদ্ধার করা। তবে আস্থার অভাবের কারণে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসবেন না।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন জেরেমি শাপিরো। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতার বিষয়টি চাপা পড়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনে সাহায্য দেওয়ার ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষের সমর্থন থাকলেও কয়েকজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা প্রশ্ন তুলেছেন যে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে মার্কিন অর্থনীতি যখন ধুঁকছে, তখন ইউক্রেনকে কোটি কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন কী?
বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান ডেমোক্র্যাট বব মেনেনডেজ বলেছেন, জনগণের অসন্তোষ ও উদ্বেগ মোকাবিলা করেই বাইডেন প্রশাসনকে ইউক্রেনের প্রতি সহায়তা চালিয়ে যেতে হবে।
পেন্টাগনের একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা মার্ক ক্যানসিয়ান বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন কত দিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে, তা নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মিত্রদের ধারাবাহিক সমর্থনের ওপর। ইউক্রেনের বিজয়ও নির্ভর করছে এই সব দেশের গোলাবারুদের সরবরাহ ও প্রশিক্ষণের ওপর।
গত বছরের শেষের দিকে ইপসোস আরও একটি জরিপ চালিয়েছিল। সেই জরিপে কানাডা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডসহ ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ইউক্রেনের প্রতি সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছে। শুধু হাঙ্গেরি ও ইতালির জনগণ বিরোধিতা করেছে।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি ও বিবিসি
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
১ দিন আগেপরিশেষে বলা যায়, হাসিনার চীনা ধাঁচের স্বৈরশাসক শাসিত রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রয়াস ব্যর্থ হয় একাধিক কারণে। তাঁর বৈষম্যমূলক এবং এলিটপন্থী বাঙালি-আওয়ামী আদর্শ জনসাধারণ গ্রহণ করেনি, যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গণমুখী আদর্শের বিপরীত। ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা তাঁর শাসনকে দুর্বল করে দেয়, পাশাপাশি
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় মোটামুটি সারা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। বাদ যায়নি তাঁর প্রতিবেশী দেশগুলো। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই জয়ের বড় প্রভাব পড়বে প্রতিবেশী দেশগুলোয়।
৮ দিন আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর বিশ্বের অনেক অঞ্চলে নতুন উদ্বেগ ও প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, ইউক্রেন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, আর ইসরায়েল অনেকটা খুশিতে উদ্বেলিত। তবে বিশেষ নজরে আছে পারস্য উপসাগরীয় তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো।
৮ দিন আগে