সাহস মোস্তাফিজ
‘আমি যেই দিকেতে চাই, দেখে অবাক বনে যাই! আমি অর্থ কোনো খুঁজে নাহি পাইরে। ভাইরে, ভাইরে কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়।’
সত্যজিৎ রায় কি জানতেন এই দুনিয়ায় একদিন ইন্টারনেট আসবে? ফেসবুক আসবে? এমনিতেই তো দুনিয়ায় কত রঙ্গ! এরপর প্রত্যেকের হাতে এখন একটা করে রঙ্গশালা।
ডেটা রিপোর্টাল নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। ওই সংস্থার জুলাই-এর প্রতিবেদন বলছে, এরই মধ্যে পৃথিবীর প্রায় সাড়ে চার শ কোটি মানুষ সামাজিক মাধ্যমের দুনিয়ায় প্রবেশ করেছে। মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশের বেশি।
বিপুলসংখ্যক মানুষ নিয়ে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’ নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে বাস্তব পৃথিবীর। ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, তথ্য, পারস্পরিক সম্পর্ক সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ এখন সামাজিক মাধ্যমের হাতে।
ডেটা রিপোর্টাল বলছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯৯ শতাংশ থাকেন মোবাইল ফোনে। আবার পড়ুন। ৯৯ শতাংশ! হাতে রাখা মোবাইলই এখন তাই আমাদের পরম বন্ধু। ঘুম থেকে উঠে চোখ মেলে হাত বাড়িয়েই মোবাইলের দিকে হাত বাড়ান না, এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর।
অমর পালের গাওয়া সেই গানে সত্যজিৎ রায় বলেছেন, ‘দেখো ভাল-জনে রইল ভাঙা ঘরে, মন্দ যে সে সিংহাসন চড়ে! সোনার ফসল ফলায় যে তার, দুই বেলা জোটে না আহার! হিরার খনির মজুর হয়ে কানা-কড়ি নাই!’ ভার্চ্যুয়াল এই পৃথিবীতে এসে এ যে কী বিপুল সত্য বচন!
সেদিন একজন তরুণ ইউটিউবার দুঃখ জড়ানো কণ্ঠে বলছিলেন, ‘এত যত্ন নিয়ে ভিডিও বানাই, ইংরেজি শেখার ভিডিও। মানুষকে ইনবক্সে লিংক পাঠাই, তাও এক হাজার ভিউ হয় না। কেউ চেনে না আমাকে। আর শ্যামল সাহেব ভুল ইংরেজি বলেই বনে যায় স্টার।’ এই অভিযোগ আজকাল সৃজনশীল নির্মাতাদের অনেকেই করে থাকেন। আজকাল নাকি মানুষ ভালো জিনিস দেখে না।
‘এত যত্ন নিয়ে ভিডিও বানাই, ইংরেজি শেখার ভিডিও। মানুষকে ইনবক্সে লিংক পাঠাই, তাও এক হাজার ভিউ হয় না। কেউ চেনে না আমাকে। আর শ্যামল সাহেব ভুল ইংরেজি বলেই বনে যায় স্টার।’
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্যামল নামের ওই ব্যক্তির ফেসবুক পেজটি ঘুরে এলাম আর তাজ্জব বলে গেলাম। একের পর এক লাইভ। পাড়ার মোড়ে, ট্রেনের বগিতে, ড্রয়িং রুমে- সব জায়গায় দাঁড়িয়ে বা বসে লাইভে চলে আসছেন। সেসব ভিডিওতে যুক্ত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ।
শ্যামল খ্যাতি পান ‘সি ইউ নট ফর মাইন্ড, হ্যাভ এ রিলাক্স’- এরকম একটি বাক্য বলে। বামনডাঙা রেল স্টেশনে দেওয়া একটি অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকারমূলক ভিডিওতে বলা সেই বাক্য নিয়ে পরে গান হয়েছে, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও হয়েছে। শ্যামলকে কেন্দ্র করেই। তাঁকে তুলনা করা হচ্ছে হিরো আলমের সঙ্গে। বলে রাখি, গুগল সার্চে ‘হিরো অব বাংলাদেশ’ লিখলে যার নাম দেখতে পাওয়া যায়, তিনি হিরো আলম।
আহা! যথার্থ তুলনাই বটে। সেই শ্যামল কিছুদিন আগে ঘুরে গেলেন ঢাকায়। গানে কণ্ঠ দিলেন। হোক সে বেসুর বা অসুর। রেকর্ডিং সেশনের ভিডিও ফেসবুকে লাইভ প্রচার করলেন। ভিউ হলো লাখ লাখ। পাড়ার মোড়ে মোড়ে ভক্তদের সঙ্গে সেলফি তুললেন। আহা জীবন! আহারে জীবন!
প্রচারের জন্য আজকাল মেধা লাগছে না, নির্মাণশৈলী লাগছে না। শুধু পকেটে একটা মোবাইল আর নির্লজ্জ হওয়ার প্রবল সক্ষমতা থাকলেই হয়। যত ভুল, তত ভিউ। আর ভিউ মানেই পয়সা।
আর সংবাদমাধ্যমের সংবাদের বিষয়বস্তু এখন ‘ভাইরাল’। এই শব্দটিই এখন সবচেয়ে বেশি আগ্রহের জায়গা। সবচেয়ে বেশি সার্চ হয় যে এই শব্দই। যখন যেটা ভাইরাল, তখন সেটাই সংবাদ। সংবাদ করে একটি হালকা চটুল বিষয়কে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার এই প্রবণতা সৃজনশীলদের আহত করছে ভীষণভাবে। ভালো কাজ ধোপে কুলোচ্ছে না। খারাপরা ঢুকে যাচ্ছে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
এক ভদ্রলোক চাঁদের জমি স্ত্রীকে উপহার দেওয়ার দাবি করলেন। সংবাদমাধ্যম সংবাদ করল স্ত্রীকে চাঁদে জমি কিনে দিলেন অমুক। তার মানে তো এই দাঁড়ায় যে, আপনি ওই কাজকে স্বীকৃতি দিলেন। আসলে কি চাঁদে জমি কেনা যায়?
না, চাঁদে জমি কেনা যায় না। কিন্তু ভাইরাল হওয়ার লোভে একের পর এক মানুষ চাঁদে জমি কিনছে। কিনছে বলতে কোনো একটা জায়গায় টাকা অপচয় করছে। সংবাদমাধ্যমগুলো শিরোনাম করছেন, ‘এবার চাঁদে জমি কিনলেন অমুক!’ আর আমরা মেতে উঠছি ক্লিক নামের আজব এই খেলায়।
শ্যামলকে বলা হচ্ছে ‘ভাইরাল শ্যামল’। একটা মানুষের নামের আগে ভাইরাল শব্দটি বসে গেছে। কী ভয়ানক ব্যাপার। ভাইরাল শব্দটি কি কোনোভাবে ইতিবাচক শব্দ? শ্যামলদের গৌরব কি তাতে বাড়ছে?
বামনডাঙার শ্যামলকে ধরে এই লেখার আলোচনা এগুলো। তবে শ্যামল আমার লেখার আলোচ্য বিষয় নয়। এমন হাজার হাজার ভাইরাল বিষয় দিয়েই এখন আপনার মোবাইল ভরা। আপনি নিজেই বাড়াচ্ছেন আপনার এই ভাইরাল প্রবৃত্তি। অপচয় করছে আপনার মূল্যবান সময়।
শ্যামলদের দোষ দিয়েই বা কী হবে। শ্যামলরা সময়টাকে ধরতে পারছে। বাণিজ্যটা বুঝতে পারছে। দোষ মূলত আপনার, যিনি এই লেখাটি পড়ছেন। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনে শুনি, ‘বাবু ভাই, মুরগি কিনতে গিয়ে মুরগি হচ্ছেন না তো?’ আপনি নিজের পকেটের ‘এমবি’ খরচ করে প্রতিনিয়ত মুরগি হচ্ছেন আর বারোটা বাজাচ্ছেন সমাজের।
‘আমি যেই দিকেতে চাই, দেখে অবাক বনে যাই! আমি অর্থ কোনো খুঁজে নাহি পাইরে। ভাইরে, ভাইরে কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়।’
সত্যজিৎ রায় কি জানতেন এই দুনিয়ায় একদিন ইন্টারনেট আসবে? ফেসবুক আসবে? এমনিতেই তো দুনিয়ায় কত রঙ্গ! এরপর প্রত্যেকের হাতে এখন একটা করে রঙ্গশালা।
ডেটা রিপোর্টাল নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। ওই সংস্থার জুলাই-এর প্রতিবেদন বলছে, এরই মধ্যে পৃথিবীর প্রায় সাড়ে চার শ কোটি মানুষ সামাজিক মাধ্যমের দুনিয়ায় প্রবেশ করেছে। মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশের বেশি।
বিপুলসংখ্যক মানুষ নিয়ে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’ নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে বাস্তব পৃথিবীর। ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, তথ্য, পারস্পরিক সম্পর্ক সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ এখন সামাজিক মাধ্যমের হাতে।
ডেটা রিপোর্টাল বলছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯৯ শতাংশ থাকেন মোবাইল ফোনে। আবার পড়ুন। ৯৯ শতাংশ! হাতে রাখা মোবাইলই এখন তাই আমাদের পরম বন্ধু। ঘুম থেকে উঠে চোখ মেলে হাত বাড়িয়েই মোবাইলের দিকে হাত বাড়ান না, এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর।
অমর পালের গাওয়া সেই গানে সত্যজিৎ রায় বলেছেন, ‘দেখো ভাল-জনে রইল ভাঙা ঘরে, মন্দ যে সে সিংহাসন চড়ে! সোনার ফসল ফলায় যে তার, দুই বেলা জোটে না আহার! হিরার খনির মজুর হয়ে কানা-কড়ি নাই!’ ভার্চ্যুয়াল এই পৃথিবীতে এসে এ যে কী বিপুল সত্য বচন!
সেদিন একজন তরুণ ইউটিউবার দুঃখ জড়ানো কণ্ঠে বলছিলেন, ‘এত যত্ন নিয়ে ভিডিও বানাই, ইংরেজি শেখার ভিডিও। মানুষকে ইনবক্সে লিংক পাঠাই, তাও এক হাজার ভিউ হয় না। কেউ চেনে না আমাকে। আর শ্যামল সাহেব ভুল ইংরেজি বলেই বনে যায় স্টার।’ এই অভিযোগ আজকাল সৃজনশীল নির্মাতাদের অনেকেই করে থাকেন। আজকাল নাকি মানুষ ভালো জিনিস দেখে না।
‘এত যত্ন নিয়ে ভিডিও বানাই, ইংরেজি শেখার ভিডিও। মানুষকে ইনবক্সে লিংক পাঠাই, তাও এক হাজার ভিউ হয় না। কেউ চেনে না আমাকে। আর শ্যামল সাহেব ভুল ইংরেজি বলেই বনে যায় স্টার।’
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্যামল নামের ওই ব্যক্তির ফেসবুক পেজটি ঘুরে এলাম আর তাজ্জব বলে গেলাম। একের পর এক লাইভ। পাড়ার মোড়ে, ট্রেনের বগিতে, ড্রয়িং রুমে- সব জায়গায় দাঁড়িয়ে বা বসে লাইভে চলে আসছেন। সেসব ভিডিওতে যুক্ত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ।
শ্যামল খ্যাতি পান ‘সি ইউ নট ফর মাইন্ড, হ্যাভ এ রিলাক্স’- এরকম একটি বাক্য বলে। বামনডাঙা রেল স্টেশনে দেওয়া একটি অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকারমূলক ভিডিওতে বলা সেই বাক্য নিয়ে পরে গান হয়েছে, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও হয়েছে। শ্যামলকে কেন্দ্র করেই। তাঁকে তুলনা করা হচ্ছে হিরো আলমের সঙ্গে। বলে রাখি, গুগল সার্চে ‘হিরো অব বাংলাদেশ’ লিখলে যার নাম দেখতে পাওয়া যায়, তিনি হিরো আলম।
আহা! যথার্থ তুলনাই বটে। সেই শ্যামল কিছুদিন আগে ঘুরে গেলেন ঢাকায়। গানে কণ্ঠ দিলেন। হোক সে বেসুর বা অসুর। রেকর্ডিং সেশনের ভিডিও ফেসবুকে লাইভ প্রচার করলেন। ভিউ হলো লাখ লাখ। পাড়ার মোড়ে মোড়ে ভক্তদের সঙ্গে সেলফি তুললেন। আহা জীবন! আহারে জীবন!
প্রচারের জন্য আজকাল মেধা লাগছে না, নির্মাণশৈলী লাগছে না। শুধু পকেটে একটা মোবাইল আর নির্লজ্জ হওয়ার প্রবল সক্ষমতা থাকলেই হয়। যত ভুল, তত ভিউ। আর ভিউ মানেই পয়সা।
আর সংবাদমাধ্যমের সংবাদের বিষয়বস্তু এখন ‘ভাইরাল’। এই শব্দটিই এখন সবচেয়ে বেশি আগ্রহের জায়গা। সবচেয়ে বেশি সার্চ হয় যে এই শব্দই। যখন যেটা ভাইরাল, তখন সেটাই সংবাদ। সংবাদ করে একটি হালকা চটুল বিষয়কে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার এই প্রবণতা সৃজনশীলদের আহত করছে ভীষণভাবে। ভালো কাজ ধোপে কুলোচ্ছে না। খারাপরা ঢুকে যাচ্ছে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
এক ভদ্রলোক চাঁদের জমি স্ত্রীকে উপহার দেওয়ার দাবি করলেন। সংবাদমাধ্যম সংবাদ করল স্ত্রীকে চাঁদে জমি কিনে দিলেন অমুক। তার মানে তো এই দাঁড়ায় যে, আপনি ওই কাজকে স্বীকৃতি দিলেন। আসলে কি চাঁদে জমি কেনা যায়?
না, চাঁদে জমি কেনা যায় না। কিন্তু ভাইরাল হওয়ার লোভে একের পর এক মানুষ চাঁদে জমি কিনছে। কিনছে বলতে কোনো একটা জায়গায় টাকা অপচয় করছে। সংবাদমাধ্যমগুলো শিরোনাম করছেন, ‘এবার চাঁদে জমি কিনলেন অমুক!’ আর আমরা মেতে উঠছি ক্লিক নামের আজব এই খেলায়।
শ্যামলকে বলা হচ্ছে ‘ভাইরাল শ্যামল’। একটা মানুষের নামের আগে ভাইরাল শব্দটি বসে গেছে। কী ভয়ানক ব্যাপার। ভাইরাল শব্দটি কি কোনোভাবে ইতিবাচক শব্দ? শ্যামলদের গৌরব কি তাতে বাড়ছে?
বামনডাঙার শ্যামলকে ধরে এই লেখার আলোচনা এগুলো। তবে শ্যামল আমার লেখার আলোচ্য বিষয় নয়। এমন হাজার হাজার ভাইরাল বিষয় দিয়েই এখন আপনার মোবাইল ভরা। আপনি নিজেই বাড়াচ্ছেন আপনার এই ভাইরাল প্রবৃত্তি। অপচয় করছে আপনার মূল্যবান সময়।
শ্যামলদের দোষ দিয়েই বা কী হবে। শ্যামলরা সময়টাকে ধরতে পারছে। বাণিজ্যটা বুঝতে পারছে। দোষ মূলত আপনার, যিনি এই লেখাটি পড়ছেন। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনে শুনি, ‘বাবু ভাই, মুরগি কিনতে গিয়ে মুরগি হচ্ছেন না তো?’ আপনি নিজের পকেটের ‘এমবি’ খরচ করে প্রতিনিয়ত মুরগি হচ্ছেন আর বারোটা বাজাচ্ছেন সমাজের।
কোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
২ দিন আগেনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
৬ দিন আগেপরিশেষে বলা যায়, হাসিনার চীনা ধাঁচের স্বৈরশাসক শাসিত রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রয়াস ব্যর্থ হয় একাধিক কারণে। তাঁর বৈষম্যমূলক এবং এলিটপন্থী বাঙালি-আওয়ামী আদর্শ জনসাধারণ গ্রহণ করেনি, যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গণমুখী আদর্শের বিপরীত। ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা তাঁর শাসনকে দুর্বল করে দেয়, পাশাপাশি
১০ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় মোটামুটি সারা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। বাদ যায়নি তাঁর প্রতিবেশী দেশগুলো। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই জয়ের বড় প্রভাব পড়বে প্রতিবেশী দেশগুলোয়।
১২ দিন আগে