আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুনানির সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম। এ সময় বিচারপতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আজ তার এখানে দাঁড়িয়ে থাকার কথা ছিল না। তিনি নির্দোষ, তাকে যেন বাঁচানো হয়।

অন্যদিকে এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ফোন-ফাঁস ও আয়না ঘর নিয়ে যে অভিযোগ, এসবের সঙ্গে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজ বুধবার শুনানির সময় চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ট্রাইব্যুনালের সামনে উপস্থাপন করেন। এ সময় অভিযোগ শুনে তাঁরা এসব প্রতিক্রিয়া দেন।

প্রথমে চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলামে আদালতের সামনে অভিযোগ উপস্থাপনার সময় মাজহারুল ইসলামকে সাভার থানার ওসি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন এবং আন্দোলন দমনে সাভার থানার ওসির যে ভূমিকা ছিল, সে বিষয়ে বর্ণনা দিতে থাকেন। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মাজহারুল ইসলাম।

তিনি বলতে থাকেন, তিনি গুলশান থানার ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভুল। সেই সঙ্গে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে প্রকৃত বিচার চান তিনি। তাঁর মন্তব্যের বিপরীতে সুবিচারের আশ্বাস দেন বিচারপতি।

পরে গুলশান থানার ওসি হিসেবে আন্দোলন দমাতে তাঁর ভূমিকা উল্লেখ তুলে ধরা হলে ওসি মাজহার চুপ থাকেন।

অন্যদিকে চাকরিচ্যুত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সময় তিনি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। আদালত তার কথা না শুনতে চাইলে তিনি বলতে থাকেন, এনটিএমসির কাজ টেকনিক্যাল। এই কাজ দেশের সাধারণ জনগণ বোঝে না। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মোবাইলে আড়িপাতা এবং ফোন কল রেকর্ড ফাঁস করার যে অভিযোগ আনা হয়, সেটিই এখন মূল অভিযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পরে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের এই শুনানি হয়। টার্মিনাল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন ১৯ ডিসেম্বর।