অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের নিজ বাড়িতে গতকাল বুধবার মারা গেছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্ড নিক্সন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন কিসিঞ্জার। এই যুদ্ধে তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের সমর্থন দিয়েছিলেন। যুদ্ধে বাংলার নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারান। ধর্ষণের শিকার হন প্রায় চার লাখ মা-বোন।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের শেষের দিকে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সেই সম্পর্কের বলি হয় বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) নিরপরাধ মানুষ। পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জনগোষ্ঠী পশ্চিম পাকিস্তানের যুদ্ধাপরাধের দিকে ভ্রুক্ষেপই করেনি। সে সময় দক্ষিণ এশিয়ায় সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দাবার ঘুঁটি ছিল পশ্চিম পাকিস্তান।
নিজ স্বার্থ রক্ষার প্রয়াসে তৎকালীন নিক্সন-কিসিঞ্জার প্রশাসন বাঙালিদের নির্মূলে পশ্চিম পাকিস্তানের নৃশংসতার নিন্দা জানাতে অস্বীকার করে। এমনকি তাঁরা পশ্চিম পাকিস্তানে সম্ভাব্য অবৈধ অস্ত্রের চালানের অনুমোদন দেন।
ভারতের সহায়তায় একপর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে বাঙালিরা; সৃষ্টি হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। তবে তার আগে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা বাংলার ৩০ লাখ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করে। প্রায় চার লাখ নারী ধর্ষণের শিকার হন। লাখ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
এই বর্বরতা ও নৃশংসতা কিসিঞ্জারকে টলাতে পারেনি। সিদ্ধান্তের জন্য কখনো তিনি অনুশোচনাও প্রকাশ করেননি। তবু ১৯৭৩ সালে তাঁকে ভিয়েতনামের লি ডাক থোর সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। থো সেই পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। এই ঘটনায় নোবেল কমিটির দুই সদস্য পদত্যাগও করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল ছিলেন মার্কিন কূটনীতিক আর্চার ব্লাড। তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানি নৃশংসতার বিবরণ দিয়ে তিনি ওয়াশিংটনে কূটনীতিক বার্তা (মেমো) পাঠিয়েছিলেন। যুদ্ধের শুরুর দিকে আর্চার ব্লাড কূটনীতিক বার্তায় বলেছিলেন, পাকিস্তান ভিটেমাটি ছাড়া করে, গুলি করে কৌশলে বাংলাদেশিদের নির্মূল করছে।
এক মাস পর আর্চার ব্লাড ওয়াশিংটনে আরেকটি টেলিগ্রাম পাঠান। এতে পূর্ব পাকিস্তানে সহিংস দমন-পীড়নের নিন্দা জানানো বা সহিংস দমন-পীড়ন নিয়ন্ত্রণ চেষ্টায় অস্বীকৃতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নৈতিক দেউলিয়াত্বের অভিযোগ তোলেন তিনি।
টেলিগ্রামে আর্চার ব্লাড বলেন, ‘গণতন্ত্র দমনের বিষয়ে আমাদের সরকার নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সরকার নৃশংসতার নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে।’
পাকিস্তান নিয়ে এমন মেমো পাঠানোর অল্প সময়ের মাথায় আর্চার ব্লাডকে ঢাকা থেকে ওয়াশিংটনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তাঁকে ওয়াশিংটনে অন্য একটি কূটনৈতিক পদে দায়িত্ব দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে সমর্থন দেওয়ার বিনিময়ে দেশটির সহায়তায় চীনের সঙ্গে স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন কিসিঞ্জার। পাকিস্তানের ওপর ভর করেই নিক্সন পরবর্তী সময় চীন সফরে গিয়েছিলেন।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার প্রকাশিত বার্তা অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে কিসিঞ্জার নিক্সনকে বলেছিলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানে আমরা কী করেছি, তা এখনো কেউ বুঝতে পারেনি এবং চিরশত্রু রাশিয়াকে দমাতে আমাদের চীনকে প্রয়োজন। এখানে বাংলাদেশিদের নিয়ে আমাদের কিসের মাথাব্যথা!’
বাংলাদেশের সাবেক পরাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, চীন নিয়ে মার্কিন ঘোরের বলি হয়েছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ। চীন-মার্কিন যোগাযোগে দুতিয়ালি করেছিল পাকিস্তানের সামরিক জান্তা। এর বিনিময়ে হেনরি কিসিঞ্জার এবং তদানীন্তন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বাংলাদেশে ঘটমান গণহত্যা বন্ধে কোনো প্রয়াস তো নেয়ইনি, বরং গণহত্যাকারীদের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন দিয়ে গেছে। বৃহত্তর প্রেক্ষাপটও যদি বিবেচনায় নেওয়া হয়, কিসিঞ্জারের এই পাকিস্তানপ্রীতি, অনন্যোপায় ভারতকে অনেকটাই ঠেলে দিয়েছিল মস্কোর প্রভাব বলয়ে।
শেষমেশ তার নীতি ব্যর্থ হয়েছিল বলা যায়। বাংলাদেশের সৃষ্টিতে নিজের নৈতিক পরাজয়ের শোধ নিয়েছিলেন কিসিঞ্জার সদ্য স্বাধীন দেশটিকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ আখ্যা দিয়ে।
তথ্যসূত্র: হাফপোস্ট, প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের নিজ বাড়িতে গতকাল বুধবার মারা গেছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্ড নিক্সন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন কিসিঞ্জার। এই যুদ্ধে তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের সমর্থন দিয়েছিলেন। যুদ্ধে বাংলার নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারান। ধর্ষণের শিকার হন প্রায় চার লাখ মা-বোন।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের শেষের দিকে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সেই সম্পর্কের বলি হয় বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) নিরপরাধ মানুষ। পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জনগোষ্ঠী পশ্চিম পাকিস্তানের যুদ্ধাপরাধের দিকে ভ্রুক্ষেপই করেনি। সে সময় দক্ষিণ এশিয়ায় সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দাবার ঘুঁটি ছিল পশ্চিম পাকিস্তান।
নিজ স্বার্থ রক্ষার প্রয়াসে তৎকালীন নিক্সন-কিসিঞ্জার প্রশাসন বাঙালিদের নির্মূলে পশ্চিম পাকিস্তানের নৃশংসতার নিন্দা জানাতে অস্বীকার করে। এমনকি তাঁরা পশ্চিম পাকিস্তানে সম্ভাব্য অবৈধ অস্ত্রের চালানের অনুমোদন দেন।
ভারতের সহায়তায় একপর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে বাঙালিরা; সৃষ্টি হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। তবে তার আগে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা বাংলার ৩০ লাখ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করে। প্রায় চার লাখ নারী ধর্ষণের শিকার হন। লাখ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
এই বর্বরতা ও নৃশংসতা কিসিঞ্জারকে টলাতে পারেনি। সিদ্ধান্তের জন্য কখনো তিনি অনুশোচনাও প্রকাশ করেননি। তবু ১৯৭৩ সালে তাঁকে ভিয়েতনামের লি ডাক থোর সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। থো সেই পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। এই ঘটনায় নোবেল কমিটির দুই সদস্য পদত্যাগও করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল ছিলেন মার্কিন কূটনীতিক আর্চার ব্লাড। তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানি নৃশংসতার বিবরণ দিয়ে তিনি ওয়াশিংটনে কূটনীতিক বার্তা (মেমো) পাঠিয়েছিলেন। যুদ্ধের শুরুর দিকে আর্চার ব্লাড কূটনীতিক বার্তায় বলেছিলেন, পাকিস্তান ভিটেমাটি ছাড়া করে, গুলি করে কৌশলে বাংলাদেশিদের নির্মূল করছে।
এক মাস পর আর্চার ব্লাড ওয়াশিংটনে আরেকটি টেলিগ্রাম পাঠান। এতে পূর্ব পাকিস্তানে সহিংস দমন-পীড়নের নিন্দা জানানো বা সহিংস দমন-পীড়ন নিয়ন্ত্রণ চেষ্টায় অস্বীকৃতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নৈতিক দেউলিয়াত্বের অভিযোগ তোলেন তিনি।
টেলিগ্রামে আর্চার ব্লাড বলেন, ‘গণতন্ত্র দমনের বিষয়ে আমাদের সরকার নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সরকার নৃশংসতার নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে।’
পাকিস্তান নিয়ে এমন মেমো পাঠানোর অল্প সময়ের মাথায় আর্চার ব্লাডকে ঢাকা থেকে ওয়াশিংটনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তাঁকে ওয়াশিংটনে অন্য একটি কূটনৈতিক পদে দায়িত্ব দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে সমর্থন দেওয়ার বিনিময়ে দেশটির সহায়তায় চীনের সঙ্গে স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন কিসিঞ্জার। পাকিস্তানের ওপর ভর করেই নিক্সন পরবর্তী সময় চীন সফরে গিয়েছিলেন।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার প্রকাশিত বার্তা অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে কিসিঞ্জার নিক্সনকে বলেছিলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানে আমরা কী করেছি, তা এখনো কেউ বুঝতে পারেনি এবং চিরশত্রু রাশিয়াকে দমাতে আমাদের চীনকে প্রয়োজন। এখানে বাংলাদেশিদের নিয়ে আমাদের কিসের মাথাব্যথা!’
বাংলাদেশের সাবেক পরাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, চীন নিয়ে মার্কিন ঘোরের বলি হয়েছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ। চীন-মার্কিন যোগাযোগে দুতিয়ালি করেছিল পাকিস্তানের সামরিক জান্তা। এর বিনিময়ে হেনরি কিসিঞ্জার এবং তদানীন্তন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বাংলাদেশে ঘটমান গণহত্যা বন্ধে কোনো প্রয়াস তো নেয়ইনি, বরং গণহত্যাকারীদের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন দিয়ে গেছে। বৃহত্তর প্রেক্ষাপটও যদি বিবেচনায় নেওয়া হয়, কিসিঞ্জারের এই পাকিস্তানপ্রীতি, অনন্যোপায় ভারতকে অনেকটাই ঠেলে দিয়েছিল মস্কোর প্রভাব বলয়ে।
শেষমেশ তার নীতি ব্যর্থ হয়েছিল বলা যায়। বাংলাদেশের সৃষ্টিতে নিজের নৈতিক পরাজয়ের শোধ নিয়েছিলেন কিসিঞ্জার সদ্য স্বাধীন দেশটিকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ আখ্যা দিয়ে।
তথ্যসূত্র: হাফপোস্ট, প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
১৩ ঘণ্টা আগেপরিশেষে বলা যায়, হাসিনার চীনা ধাঁচের স্বৈরশাসক শাসিত রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রয়াস ব্যর্থ হয় একাধিক কারণে। তাঁর বৈষম্যমূলক এবং এলিটপন্থী বাঙালি-আওয়ামী আদর্শ জনসাধারণ গ্রহণ করেনি, যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গণমুখী আদর্শের বিপরীত। ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা তাঁর শাসনকে দুর্বল করে দেয়, পাশাপাশি
৫ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় মোটামুটি সারা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। বাদ যায়নি তাঁর প্রতিবেশী দেশগুলো। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই জয়ের বড় প্রভাব পড়বে প্রতিবেশী দেশগুলোয়।
৭ দিন আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর বিশ্বের অনেক অঞ্চলে নতুন উদ্বেগ ও প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, ইউক্রেন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, আর ইসরায়েল অনেকটা খুশিতে উদ্বেলিত। তবে বিশেষ নজরে আছে পারস্য উপসাগরীয় তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো।
৭ দিন আগে