আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সৌদি আরবের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে অগ্রগতি ঘটছে দ্রুত। চীন চাইছে, সৌদি আরব থেকে ঐতিহ্যগত তেল ও গ্যাসের আমদানি আরও বাড়াতে। তার বিনিময়ে সৌদি আরব চাইছে সবুজ জ্বালানি, অর্থ, অবকাঠামো ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চীনের সহযোগিতা বাড়ুক। এর কারণ হিসেবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিজেদের উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি ‘আদর্শ অংশীদার’ খুঁজছে।
বিশ্লেষকেরা আরও বলছেন, রিয়াদের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বেইজিংয়ের দৃষ্টি দেওয়াটা সৌদি আরবকে, বিশেষ করে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের রেখে যাওয়া শূন্যস্থান পূরণে সাহায্য করবে। কারণ, কৌশলগত কারণে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যকে বাদ দিয়ে এখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দিকে দৃষ্টি দিয়েছে।
চলতি বছরের মার্চে বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় হওয়া ইরান-সৌদি শান্তিচুক্তির পর গত মঙ্গলবার চীনের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী লি ফেই সৌদি আরবের সর্ববৃহৎ তেল-গ্যাস কোম্পানি আরামকোর নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে সৌদি আরব থেকে আরও বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে চীনের ‘বিশাল বাজার ও সুযোগগুলো’ তুলে ধরেছেন লি ফেই।
‘জ্বালানি তেলের নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিতই চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ’ উল্লেখ করে ওয়াশিংটনভিত্তিক মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের অনাবাসিক গবেষক অলিভার জন বলেন, ‘আরামকোর দৃষ্টিকোণ থেকে তেল রপ্তানির জন্য চীন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বর্ধিঞ্চু বাজার। কোম্পানিটি চীনের অপরিশোধিত তেল রপ্তানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশই দখলে নিতে চায়।’
চীনের শুল্ক বিভাগের তথ্য বলছে, গত বছর দেশটিতে রিয়াদ ছিল অপরিশোধিত তেলের সর্ববৃহৎ সরবরাহকারী। গত বছর সৌদি আরব থেকে চীন ৬৪১ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে, যা দেশটির মোট তেল আমদানির ১৭ দশমিক ২ শতাংশ।
এদিকে আরামকো গত মার্চে চীনের উত্তর-পূর্বাংশে তেল শোধনাগার নির্মাণে দেশটির অংশীদারদের সঙ্গে চুক্তি করেছে। একই সঙ্গে কোম্পানিটি শেনঝেন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রোংশেং পেট্রোকেমিক্যালের ১০ শতাংশ শেয়ার কেনার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা দিয়েছে।
তবে বেইজিংয়ের রেনমিন ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ওয়াং ইয়েওয়েই বলেন, তেল ও গ্যাসের মতো গতানুগতিক জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো স্বল্প কার্বন নিঃসরণকারী অর্থনীতিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সৌদি আরবকে সাহায্য করতে পারে চীন।
ওয়াং আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল অর্থনীতি, নতুন জ্বালানি এবং মহাকাশ গবেষণার জন্য একটি আদর্শ অংশীদার খুঁজতে হবে। কেননা, মধ্যপ্রাচ্যের দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখন ইন্দো-প্যাসিফিকের ওপর বেশি মনোযোগ দেওয়ায় অঞ্চলটির দেশগুলো নিজস্ব উন্নয়ন অভিলাষ পূরণে প্রাচ্যের
দিকে ঝুঁকছে। সেখানে চীনই তাদের জন্য জুতসই।’
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক ঝা দাওজিয়ংয়ের মতে, গত শতকের আশির দশকে শুরু হওয়া সৌদি আরবের অর্থনৈতিক ও শিল্প বৈচিত্র্য কর্মসূচি তেলের বাইরেও সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করবে। তাঁর মধ্যে একটা বড় ক্ষেত্র নবায়নযোগ্য জ্বালানি, যা সৌদি আরব চায় এবং চাওয়ার সঙ্গে চীনের সক্ষমতা পরিষ্কারভাবে মিলে যায়।
অধ্যাপক ঝা দাওজিয়ং আরও বলেন, সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি ছাড়াও গ্রিন হাইড্রোজেন সহযোগিতার আরেকটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হতে পারে।
গত বছরের ডিসেম্বরে সির সফরের পর চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানোর বিষয়ে বেইজিংয়ের প্রাধিকার দেওয়ার পর থেকে আরব রাষ্ট্রগুলো এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের (জিসিসি) সঙ্গে একটা ‘কৌশলগত ভূমিকায়’ রূপ নিচ্ছে চীনের সম্পর্ক।
মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের জন উল্লেখ করেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যায়ণ ও বিভিন্ন স্মার্ট শহর প্রকল্পের জন্য চীনা তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে আগ্রহী। তিনি বলেন, দেশীয় গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয়ও তারা চীনা বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছে।
শুধু তা-ই নয়, সৌদি আরব জ্বালানি চুক্তিগুলো এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের ব্যবহার বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে। একই সঙ্গে দেশটির সাংহাইভিত্তিক নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে যোগ দেওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে।
সৌদি আরবের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে অগ্রগতি ঘটছে দ্রুত। চীন চাইছে, সৌদি আরব থেকে ঐতিহ্যগত তেল ও গ্যাসের আমদানি আরও বাড়াতে। তার বিনিময়ে সৌদি আরব চাইছে সবুজ জ্বালানি, অর্থ, অবকাঠামো ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চীনের সহযোগিতা বাড়ুক। এর কারণ হিসেবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিজেদের উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি ‘আদর্শ অংশীদার’ খুঁজছে।
বিশ্লেষকেরা আরও বলছেন, রিয়াদের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বেইজিংয়ের দৃষ্টি দেওয়াটা সৌদি আরবকে, বিশেষ করে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের রেখে যাওয়া শূন্যস্থান পূরণে সাহায্য করবে। কারণ, কৌশলগত কারণে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যকে বাদ দিয়ে এখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দিকে দৃষ্টি দিয়েছে।
চলতি বছরের মার্চে বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় হওয়া ইরান-সৌদি শান্তিচুক্তির পর গত মঙ্গলবার চীনের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী লি ফেই সৌদি আরবের সর্ববৃহৎ তেল-গ্যাস কোম্পানি আরামকোর নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে সৌদি আরব থেকে আরও বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে চীনের ‘বিশাল বাজার ও সুযোগগুলো’ তুলে ধরেছেন লি ফেই।
‘জ্বালানি তেলের নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিতই চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ’ উল্লেখ করে ওয়াশিংটনভিত্তিক মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের অনাবাসিক গবেষক অলিভার জন বলেন, ‘আরামকোর দৃষ্টিকোণ থেকে তেল রপ্তানির জন্য চীন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বর্ধিঞ্চু বাজার। কোম্পানিটি চীনের অপরিশোধিত তেল রপ্তানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশই দখলে নিতে চায়।’
চীনের শুল্ক বিভাগের তথ্য বলছে, গত বছর দেশটিতে রিয়াদ ছিল অপরিশোধিত তেলের সর্ববৃহৎ সরবরাহকারী। গত বছর সৌদি আরব থেকে চীন ৬৪১ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে, যা দেশটির মোট তেল আমদানির ১৭ দশমিক ২ শতাংশ।
এদিকে আরামকো গত মার্চে চীনের উত্তর-পূর্বাংশে তেল শোধনাগার নির্মাণে দেশটির অংশীদারদের সঙ্গে চুক্তি করেছে। একই সঙ্গে কোম্পানিটি শেনঝেন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রোংশেং পেট্রোকেমিক্যালের ১০ শতাংশ শেয়ার কেনার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা দিয়েছে।
তবে বেইজিংয়ের রেনমিন ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ওয়াং ইয়েওয়েই বলেন, তেল ও গ্যাসের মতো গতানুগতিক জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো স্বল্প কার্বন নিঃসরণকারী অর্থনীতিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সৌদি আরবকে সাহায্য করতে পারে চীন।
ওয়াং আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল অর্থনীতি, নতুন জ্বালানি এবং মহাকাশ গবেষণার জন্য একটি আদর্শ অংশীদার খুঁজতে হবে। কেননা, মধ্যপ্রাচ্যের দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখন ইন্দো-প্যাসিফিকের ওপর বেশি মনোযোগ দেওয়ায় অঞ্চলটির দেশগুলো নিজস্ব উন্নয়ন অভিলাষ পূরণে প্রাচ্যের
দিকে ঝুঁকছে। সেখানে চীনই তাদের জন্য জুতসই।’
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক ঝা দাওজিয়ংয়ের মতে, গত শতকের আশির দশকে শুরু হওয়া সৌদি আরবের অর্থনৈতিক ও শিল্প বৈচিত্র্য কর্মসূচি তেলের বাইরেও সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করবে। তাঁর মধ্যে একটা বড় ক্ষেত্র নবায়নযোগ্য জ্বালানি, যা সৌদি আরব চায় এবং চাওয়ার সঙ্গে চীনের সক্ষমতা পরিষ্কারভাবে মিলে যায়।
অধ্যাপক ঝা দাওজিয়ং আরও বলেন, সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি ছাড়াও গ্রিন হাইড্রোজেন সহযোগিতার আরেকটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হতে পারে।
গত বছরের ডিসেম্বরে সির সফরের পর চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানোর বিষয়ে বেইজিংয়ের প্রাধিকার দেওয়ার পর থেকে আরব রাষ্ট্রগুলো এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের (জিসিসি) সঙ্গে একটা ‘কৌশলগত ভূমিকায়’ রূপ নিচ্ছে চীনের সম্পর্ক।
মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের জন উল্লেখ করেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যায়ণ ও বিভিন্ন স্মার্ট শহর প্রকল্পের জন্য চীনা তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে আগ্রহী। তিনি বলেন, দেশীয় গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয়ও তারা চীনা বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছে।
শুধু তা-ই নয়, সৌদি আরব জ্বালানি চুক্তিগুলো এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের ব্যবহার বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে। একই সঙ্গে দেশটির সাংহাইভিত্তিক নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে যোগ দেওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
১ দিন আগেপরিশেষে বলা যায়, হাসিনার চীনা ধাঁচের স্বৈরশাসক শাসিত রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রয়াস ব্যর্থ হয় একাধিক কারণে। তাঁর বৈষম্যমূলক এবং এলিটপন্থী বাঙালি-আওয়ামী আদর্শ জনসাধারণ গ্রহণ করেনি, যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গণমুখী আদর্শের বিপরীত। ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা তাঁর শাসনকে দুর্বল করে দেয়, পাশাপাশি
৫ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় মোটামুটি সারা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। বাদ যায়নি তাঁর প্রতিবেশী দেশগুলো। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই জয়ের বড় প্রভাব পড়বে প্রতিবেশী দেশগুলোয়।
৭ দিন আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর বিশ্বের অনেক অঞ্চলে নতুন উদ্বেগ ও প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, ইউক্রেন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, আর ইসরায়েল অনেকটা খুশিতে উদ্বেলিত। তবে বিশেষ নজরে আছে পারস্য উপসাগরীয় তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো।
৮ দিন আগে