অনলাইন ডেস্ক
চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রধান দুই দল ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টি তাঁদের প্রার্থী মনোনীত করেছে। রিপাবলিকান পার্টি থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এবারের নির্বাচনে মূলত চারটি বিষয় ফল নির্ধারক হিসেবে ভূমিকা রাখবে। সেগুলো হলো—নির্দিষ্ট কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট, অর্থনীতি, অভিবাসন ও গর্ভপাত ইস্যু এবং দুই প্রেসিডেন্টের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা।
ছোট মানচিত্রে বড় নির্বাচন
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম আনুষ্ঠানিক ধাপ প্রাইমারি বা ককাসে বেশ তেজিভাব দেখিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিপরীতে জো বাইডেন ছিলেন অনেকটাই ম্রিয়মাণ। কিন্তু বিভিন্ন জরিপ অনুসারে, ডোনাল্ড ট্রাম্পও আসলে সাধারণ ভোটারদের খুব একটা আস্থায় নেই। সব মিলিয়ে নভেম্বরের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
তবে শেষ পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের দৌড়ে কে জিতবেন, তার অনেকটাই নির্ধারিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মানচিত্র থেকে। যদিও সব অঙ্গরাজ্যের ভোটার ভোট দিলেও চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণ করে দেবে গুটিকয়েক অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট।
ঐতিহাসিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যে হয় রিপাবলিকান, নয়তো ডেমোক্র্যাটদের প্রভাব বেশি। কিছু অঙ্গরাজ্যের ভোট প্রায় সব সময়ই দোদুল্যমান থাকে। সেগুলোকে বলা হয় ‘সুইং স্টেট’। ফলে দেখা যায়, এই সুইং স্টেটগুলোই শেষ পর্যন্ত ফলাফল নির্ধারণ করে দেয়। সাধারণত কলোরাডো, ফ্লোরিডা, আইওয়া, মিশিগান, নেভাডা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, ভার্জিনিয়া ও উইসকনসিন—এই ১১টি অঙ্গরাজ্যকে বারবার সুইং স্টেট হিসেবে আবির্ভূত হতে দেখা যায়।
এবারের নির্বাচনে উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া ও মিশিগানের মতো অঙ্গরাজ্যগুলো সুইং স্টেট হতে পারে। সেসব অঙ্গরাজ্য এবার ট্রাম্পের অনুকূলে থাকবে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা। ২০২০ সালের নির্বাচনে অপর দুই সুইং স্টেট অ্যারিজোনা ও জর্জিয়ার ভোট টানতে পারলেও এবার বাইডেনের পক্ষে না-ও যেতে পারে।
নেভাডাকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হলেও অঙ্গরাজ্যটির জনসংখ্যা কম হওয়ায় এটিকে কোনো প্রার্থীই এবার অতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। আগের নির্বাচনে ফ্লোরিডা ও নর্থ ক্যারোলিনা ডেমোক্র্যাটদের অনুকূলে গেলেও এবার রাজ্যগুলো রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকে গেছে। তবে ভার্জিনিয়া ও কলোরাডোতে ডেমোক্রেটিক পার্টি দৃঢ় অবস্থান ধরে রেখেছে বলেই মনে হয়।
অর্থনীতি
একটা সময়ে মার্কিন রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক থাকত। এবার নির্বাচনেও সেই বিষয়টি ফিরে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রে কথিত আছে যে অর্থনীতিতে যখন মন্দা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তখন মার্কিনরা ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজের পকেট হাতড়ে দেখে। এবারও তেমন ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
১৯৯২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় বিল ক্লিনটন একটি স্লোগান চালু করেছিলেন, ‘ইটস ইকোনমি, স্টুপিড!’ মূলত প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই স্লোগান চালু করা হয়। এর পর থেকেই এই স্লোগান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম মন্ত্রে পরিণত হয়।
এই বিষয়টি বর্তমান শাসক দল ডেমোক্রেটিক পার্টির অনুকূলেই যেতে পারে। কারণ, মার্কিন অর্থনীতির সব সূচকই কমবেশি ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর গতির হলেও ইতিবাচক, বেকারত্বের হারও কম, শেয়ারবাজারও চাঙা। তবে এখনো কিছুদিন বাকি, আর অর্থনৈতিক সংকটের বাজে স্মৃতি মার্কিনদের মন থেকে এখনো দূর হয়নি।
কারণ, দেশটিতে মূল্যস্ফীতি, আবাসন ব্যয় অনেকটাই বেড়ে গেছে। আবাসন খাতের ব্যবসাতেও দীর্ঘ মন্দা চলছে। এই বিষয়টি বাইডেন প্রশাসনের প্রতি মার্কিনদের অসন্তুষ্ট করতে পারে। তবে এরপরও বাইডেন ও তাঁর দলের জন্য কিছু আশার আলো এখনো আছে। মিশিগান ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা বলছে, মার্কিন ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি, গ্যাসের মূল্য কিছুটা কমেছে।
অভিবাসন ও গর্ভপাত
আসন্ন নির্বাচন গর্ভপাত ও অভিবাসন একটি বড় ইস্যু হবে। বাইডেনের তরফ থেকে ভোটারদের বোঝানোর চেষ্টা করা হতে পারে যে ট্রাম্প গর্ভপাতের পক্ষে না। মজার ব্যাপার হলো, এবার শীর্ষ রিপাবলিকানদের চাপে ট্রাম্প গর্ভপাতের বিষয়ে তাঁর অবস্থানকে তুলনামূলক উদার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁর নিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি গর্ভপাত আইনের সুরক্ষার বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন। ডেমোক্র্যাট তথা বাইডেনশিবির এই বিষয়টিকেও আমলে নিতে পারে।
ডেমোক্র্যাটরা যদি গর্ভপাতের বিষয়টিকে নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করে, তবে ট্রাম্প, রিপাবলিকান ও রক্ষণশীলেরা ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে অভিবাসনের বিষয়টিকেও জোরালোভাবে তুলে আনতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ২০২৩ সালে কেবল মেক্সিকো সীমান্ত থেকেই ২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ট্রাম্প শুরু থেকেই অভিবাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এই বিষয়টি ট্রাম্পশিবিরের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে পারে। কারণ, এ বিষয়টি নিয়ে খোদ ডেমোক্র্যাট শিবিরের মধ্যেই বিভাজন রয়েছে।
এ ছাড়া, গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বাইডেন প্রশাসনের জন্য গলার কাঁটা হিসেবে দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে, ইউক্রেন ও ন্যাটোতে মার্কিন সহায়তার বিষয়টিও নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু করতে পারে ট্রাম্পশিবির। এই ইস্যুগুলো বাইডেন শিবিরের জন্য অস্বস্তিকর।
অন্যান্য
এর বাইরে অন্য যে বিষয়গুলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর বয়স। সাম্প্রতিক অতীতে ট্রাম্প ও বাইডেন উভয়ের বক্তব্যেই বয়সের ভার পরিলক্ষিত হয়েছে।
এই বিকল্পহীন অবস্থা নিয়ে খোদ দুই দলের সমর্থকেরাও ক্ষুব্ধ। রবার্ট এফ কেনেডির ভাতিজা রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এবার নির্বাচনে লড়ছেন। ভোটারদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তাঁকে সমর্থনও দিচ্ছে। এ ছাড়া, বাম ঘরানার শিক্ষাবিদ কর্নেল ওয়েস্টও লড়ছেন নির্বাচনে। বরাবরের মতো থাকছেন তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় বার্নি স্যান্ডার্স। লিবার্টারিয়ান ও গ্রিন পার্টিও প্রার্থী দেবে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলাও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে হাজির হতে পারে। তবে বিভিন্ন জরিপ বলছে, ট্রাম্প অন্য প্রার্থীর তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। নিউ হ্যাম্পশায়ারে প্রাইমারির বুথফেরত জরিপ থেকে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ ভোটার মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি দোষী সাব্যস্ত না হন, তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
বিবিসি থেকে সংক্ষেপিত। অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রধান দুই দল ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টি তাঁদের প্রার্থী মনোনীত করেছে। রিপাবলিকান পার্টি থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এবারের নির্বাচনে মূলত চারটি বিষয় ফল নির্ধারক হিসেবে ভূমিকা রাখবে। সেগুলো হলো—নির্দিষ্ট কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট, অর্থনীতি, অভিবাসন ও গর্ভপাত ইস্যু এবং দুই প্রেসিডেন্টের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা।
ছোট মানচিত্রে বড় নির্বাচন
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম আনুষ্ঠানিক ধাপ প্রাইমারি বা ককাসে বেশ তেজিভাব দেখিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিপরীতে জো বাইডেন ছিলেন অনেকটাই ম্রিয়মাণ। কিন্তু বিভিন্ন জরিপ অনুসারে, ডোনাল্ড ট্রাম্পও আসলে সাধারণ ভোটারদের খুব একটা আস্থায় নেই। সব মিলিয়ে নভেম্বরের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
তবে শেষ পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের দৌড়ে কে জিতবেন, তার অনেকটাই নির্ধারিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মানচিত্র থেকে। যদিও সব অঙ্গরাজ্যের ভোটার ভোট দিলেও চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণ করে দেবে গুটিকয়েক অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট।
ঐতিহাসিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যে হয় রিপাবলিকান, নয়তো ডেমোক্র্যাটদের প্রভাব বেশি। কিছু অঙ্গরাজ্যের ভোট প্রায় সব সময়ই দোদুল্যমান থাকে। সেগুলোকে বলা হয় ‘সুইং স্টেট’। ফলে দেখা যায়, এই সুইং স্টেটগুলোই শেষ পর্যন্ত ফলাফল নির্ধারণ করে দেয়। সাধারণত কলোরাডো, ফ্লোরিডা, আইওয়া, মিশিগান, নেভাডা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, ভার্জিনিয়া ও উইসকনসিন—এই ১১টি অঙ্গরাজ্যকে বারবার সুইং স্টেট হিসেবে আবির্ভূত হতে দেখা যায়।
এবারের নির্বাচনে উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া ও মিশিগানের মতো অঙ্গরাজ্যগুলো সুইং স্টেট হতে পারে। সেসব অঙ্গরাজ্য এবার ট্রাম্পের অনুকূলে থাকবে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা। ২০২০ সালের নির্বাচনে অপর দুই সুইং স্টেট অ্যারিজোনা ও জর্জিয়ার ভোট টানতে পারলেও এবার বাইডেনের পক্ষে না-ও যেতে পারে।
নেভাডাকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হলেও অঙ্গরাজ্যটির জনসংখ্যা কম হওয়ায় এটিকে কোনো প্রার্থীই এবার অতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। আগের নির্বাচনে ফ্লোরিডা ও নর্থ ক্যারোলিনা ডেমোক্র্যাটদের অনুকূলে গেলেও এবার রাজ্যগুলো রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকে গেছে। তবে ভার্জিনিয়া ও কলোরাডোতে ডেমোক্রেটিক পার্টি দৃঢ় অবস্থান ধরে রেখেছে বলেই মনে হয়।
অর্থনীতি
একটা সময়ে মার্কিন রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক থাকত। এবার নির্বাচনেও সেই বিষয়টি ফিরে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রে কথিত আছে যে অর্থনীতিতে যখন মন্দা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তখন মার্কিনরা ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজের পকেট হাতড়ে দেখে। এবারও তেমন ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
১৯৯২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় বিল ক্লিনটন একটি স্লোগান চালু করেছিলেন, ‘ইটস ইকোনমি, স্টুপিড!’ মূলত প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই স্লোগান চালু করা হয়। এর পর থেকেই এই স্লোগান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম মন্ত্রে পরিণত হয়।
এই বিষয়টি বর্তমান শাসক দল ডেমোক্রেটিক পার্টির অনুকূলেই যেতে পারে। কারণ, মার্কিন অর্থনীতির সব সূচকই কমবেশি ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর গতির হলেও ইতিবাচক, বেকারত্বের হারও কম, শেয়ারবাজারও চাঙা। তবে এখনো কিছুদিন বাকি, আর অর্থনৈতিক সংকটের বাজে স্মৃতি মার্কিনদের মন থেকে এখনো দূর হয়নি।
কারণ, দেশটিতে মূল্যস্ফীতি, আবাসন ব্যয় অনেকটাই বেড়ে গেছে। আবাসন খাতের ব্যবসাতেও দীর্ঘ মন্দা চলছে। এই বিষয়টি বাইডেন প্রশাসনের প্রতি মার্কিনদের অসন্তুষ্ট করতে পারে। তবে এরপরও বাইডেন ও তাঁর দলের জন্য কিছু আশার আলো এখনো আছে। মিশিগান ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা বলছে, মার্কিন ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি, গ্যাসের মূল্য কিছুটা কমেছে।
অভিবাসন ও গর্ভপাত
আসন্ন নির্বাচন গর্ভপাত ও অভিবাসন একটি বড় ইস্যু হবে। বাইডেনের তরফ থেকে ভোটারদের বোঝানোর চেষ্টা করা হতে পারে যে ট্রাম্প গর্ভপাতের পক্ষে না। মজার ব্যাপার হলো, এবার শীর্ষ রিপাবলিকানদের চাপে ট্রাম্প গর্ভপাতের বিষয়ে তাঁর অবস্থানকে তুলনামূলক উদার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁর নিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি গর্ভপাত আইনের সুরক্ষার বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন। ডেমোক্র্যাট তথা বাইডেনশিবির এই বিষয়টিকেও আমলে নিতে পারে।
ডেমোক্র্যাটরা যদি গর্ভপাতের বিষয়টিকে নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করে, তবে ট্রাম্প, রিপাবলিকান ও রক্ষণশীলেরা ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে অভিবাসনের বিষয়টিকেও জোরালোভাবে তুলে আনতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ২০২৩ সালে কেবল মেক্সিকো সীমান্ত থেকেই ২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ট্রাম্প শুরু থেকেই অভিবাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। এই বিষয়টি ট্রাম্পশিবিরের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে পারে। কারণ, এ বিষয়টি নিয়ে খোদ ডেমোক্র্যাট শিবিরের মধ্যেই বিভাজন রয়েছে।
এ ছাড়া, গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বাইডেন প্রশাসনের জন্য গলার কাঁটা হিসেবে দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে, ইউক্রেন ও ন্যাটোতে মার্কিন সহায়তার বিষয়টিও নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু করতে পারে ট্রাম্পশিবির। এই ইস্যুগুলো বাইডেন শিবিরের জন্য অস্বস্তিকর।
অন্যান্য
এর বাইরে অন্য যে বিষয়গুলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর বয়স। সাম্প্রতিক অতীতে ট্রাম্প ও বাইডেন উভয়ের বক্তব্যেই বয়সের ভার পরিলক্ষিত হয়েছে।
এই বিকল্পহীন অবস্থা নিয়ে খোদ দুই দলের সমর্থকেরাও ক্ষুব্ধ। রবার্ট এফ কেনেডির ভাতিজা রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এবার নির্বাচনে লড়ছেন। ভোটারদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তাঁকে সমর্থনও দিচ্ছে। এ ছাড়া, বাম ঘরানার শিক্ষাবিদ কর্নেল ওয়েস্টও লড়ছেন নির্বাচনে। বরাবরের মতো থাকছেন তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় বার্নি স্যান্ডার্স। লিবার্টারিয়ান ও গ্রিন পার্টিও প্রার্থী দেবে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলাও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে হাজির হতে পারে। তবে বিভিন্ন জরিপ বলছে, ট্রাম্প অন্য প্রার্থীর তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। নিউ হ্যাম্পশায়ারে প্রাইমারির বুথফেরত জরিপ থেকে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ ভোটার মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি দোষী সাব্যস্ত না হন, তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
বিবিসি থেকে সংক্ষেপিত। অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
১৬ ঘণ্টা আগেপরিশেষে বলা যায়, হাসিনার চীনা ধাঁচের স্বৈরশাসক শাসিত রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রয়াস ব্যর্থ হয় একাধিক কারণে। তাঁর বৈষম্যমূলক এবং এলিটপন্থী বাঙালি-আওয়ামী আদর্শ জনসাধারণ গ্রহণ করেনি, যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গণমুখী আদর্শের বিপরীত। ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা তাঁর শাসনকে দুর্বল করে দেয়, পাশাপাশি
৫ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় মোটামুটি সারা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। বাদ যায়নি তাঁর প্রতিবেশী দেশগুলো। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই জয়ের বড় প্রভাব পড়বে প্রতিবেশী দেশগুলোয়।
৭ দিন আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর বিশ্বের অনেক অঞ্চলে নতুন উদ্বেগ ও প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, ইউক্রেন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, আর ইসরায়েল অনেকটা খুশিতে উদ্বেলিত। তবে বিশেষ নজরে আছে পারস্য উপসাগরীয় তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো।
৮ দিন আগে