তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর)
২০২২ সালে পীরগাছার নগরজিৎপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ৬ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ৪ জন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। ওই বছর নগরজিৎপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পীরগাছা উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষা পদক পায়।
একটি পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ স্কুল লেখাপড়ায় এমন সাফল্য পাবে, এটা তেমন কেউ ভাবেনি। কিন্তু এই অসাধ্য সাধনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মোছা. রেহেনা বেগম। শুধু লেখাপড়াই নয়, শিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধ, পড়াশোনায় মনোযোগী করা, সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করা, নৈতিক মূল্যবোধ শেখানোসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তিনি যুক্ত। এর স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩’-এ জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকার পদক পেয়েছেন। এর আগে তিনি উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা নির্বাচিত হন। তবে এখন তিনি পীরগাছা উপজেলার পবিত্র ঝাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
গত ২৭ জুন ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রেহেনা বেগমের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান, খেলাধুলা, সংগীত, বিদ্যালয় পরিচালনা, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, শিক্ষার্থীসহ ১২৬ জনের হাতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পদক তুলে দেওয়া হয়।
১৯৮০ সালে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সুখানপুকুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রেহেনা বেগম। তাঁর বাবা আজাহার আলী পেশায় ব্যবসায়ী। চার ভাইবোনের মধ্যে রেহেনা সবার ছোট। তিনি ২০০৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। ২০০৭ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৯ বছরের এক ছেলেসন্তানের মা।
রেহেনা বেগম জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পাওয়ার পর তিনি ভেবেছিলেন, ভালো শিক্ষা, জ্ঞান ও মেধাবী শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে পারলে তারাই একদিন তাঁকে মনে রাখবে। এ চিন্তা থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ভালোর থেকেও ভালো কিছু করতে মন ছটফট করতে থাকত। অনেক দিন গভীর রাত পর্যন্ত স্কুলের কাজ করেছি। এতে আমার পরিবার আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে।’
রেহেনার উদ্যমের কথা জানেন পীরগাছা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন। তিনি জাতীয় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকার পদক পাওয়ায় রেহেনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার তাঁর অসামান্য অর্জনে অত্যন্ত আনন্দিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক সুমনও রেহেনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘তিনি পীরগাছাবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে পীরগাছার সব শিক্ষক আরও ভালো শিক্ষক হয়ে উঠবেন, সেই প্রত্যাশা করছি।’
২০২২ সালে পীরগাছার নগরজিৎপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ৬ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ৪ জন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। ওই বছর নগরজিৎপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পীরগাছা উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষা পদক পায়।
একটি পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ স্কুল লেখাপড়ায় এমন সাফল্য পাবে, এটা তেমন কেউ ভাবেনি। কিন্তু এই অসাধ্য সাধনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মোছা. রেহেনা বেগম। শুধু লেখাপড়াই নয়, শিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধ, পড়াশোনায় মনোযোগী করা, সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করা, নৈতিক মূল্যবোধ শেখানোসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তিনি যুক্ত। এর স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩’-এ জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকার পদক পেয়েছেন। এর আগে তিনি উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা নির্বাচিত হন। তবে এখন তিনি পীরগাছা উপজেলার পবিত্র ঝাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
গত ২৭ জুন ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রেহেনা বেগমের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান, খেলাধুলা, সংগীত, বিদ্যালয় পরিচালনা, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, শিক্ষার্থীসহ ১২৬ জনের হাতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পদক তুলে দেওয়া হয়।
১৯৮০ সালে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সুখানপুকুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রেহেনা বেগম। তাঁর বাবা আজাহার আলী পেশায় ব্যবসায়ী। চার ভাইবোনের মধ্যে রেহেনা সবার ছোট। তিনি ২০০৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। ২০০৭ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৯ বছরের এক ছেলেসন্তানের মা।
রেহেনা বেগম জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পাওয়ার পর তিনি ভেবেছিলেন, ভালো শিক্ষা, জ্ঞান ও মেধাবী শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে পারলে তারাই একদিন তাঁকে মনে রাখবে। এ চিন্তা থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ভালোর থেকেও ভালো কিছু করতে মন ছটফট করতে থাকত। অনেক দিন গভীর রাত পর্যন্ত স্কুলের কাজ করেছি। এতে আমার পরিবার আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে।’
রেহেনার উদ্যমের কথা জানেন পীরগাছা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন। তিনি জাতীয় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকার পদক পাওয়ায় রেহেনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার তাঁর অসামান্য অর্জনে অত্যন্ত আনন্দিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক সুমনও রেহেনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘তিনি পীরগাছাবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে পীরগাছার সব শিক্ষক আরও ভালো শিক্ষক হয়ে উঠবেন, সেই প্রত্যাশা করছি।’
প্রবাদ আছে, দুঃসাহসে দুঃখ হয়। কিন্তু বাগেরহাটের প্রজাপতি স্কোয়াড দুঃসাহসে ভর করে আলোর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আমাদের সমাজ বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া এখনো যে কতটা কঠিন কাজ, তা কারও অজানা নয়। সেই কঠিন কাজই করে চলেছে বাগেরহাটের কিশোরীরা। প্রজাপতি স্কোয়াড নামে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছে তার
৩ দিন আগেগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে নিহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন বা ওএইচসিএইচআর এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের
৩ দিন আগেআপনি শিক্ষিত ও সচেতন একজন মানুষ। সম্পর্কের একটি সুন্দর পর্যায়ে আছেন। তবে আপনার সঙ্গীর যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, তা কিন্তু বড় ধরনের আবেগীয়
৩ দিন আগেশওকত আরা খন্দকার ওরফে ঝর্ণা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ঘর-সংসার সামলে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
৩ দিন আগে