কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
জাহ্নবী রহমানের কথা উঠলেই ‘বিষণ্নতা’ বিষয়টি কোনো না কোনোভাবে চলে আসে। বিষণ্নতায় ভোগা, তাকে অতিক্রম করে আবার শুরু করা এবং শেষ পর্যন্ত সফল হওয়া—সবকিছু নিয়েই জাহ্নবী রহমান। ‘মানসিকভাবে সুস্থ থাকা’ বিষয়টি আমাদের সমাজে বা জীবনচর্চায় বরাবরই উপেক্ষিত। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন কাজের সূত্র ধরে জাহ্নবী সফল হয়েছেন। অন্যদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে ‘ফোর্বস ৩০ আন্ডার ৩০’ তালিকার সেরা সাতের একজন তিনি।
ছিল চমক
এ সফলতার সংবাদ ই-মেইলে ফোর্বসের পক্ষ থেকে পান ভোর ৫টা ২৪ মিনিটে। এটা বুঝতে মিনিট পাঁচেক সময় লেগেছিল তাঁর। সেই অনুভূতি বলতে গিয়ে জাহ্নবী বলেছেন, ‘মেইল পেয়ে বারবার তালিকা চেক করছিলাম, আসলেই আমার নাম কি না, ছবিটা আমার কি না। পরে যখন বুঝলাম এটা সত্য, তখন আমার দুই পার্টনার আর পরিবারকে জানিয়েছি।’
রুয়েট এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
ঢাকায় বেড়ে ওঠা জাহ্নবী রহমান রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে হুট করেই একা হয়ে পড়েন। লেখাপড়া আর কাজের চাপের মধ্যে পরিবার থেকে দূরে থাকা তাঁর বিষণ্নতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। ২০২০ সালের দিকে গিয়েছিলেন থেরাপিস্টের কাছে। সেশনে বসে কিছু বলতে পারেননি, শুধু কেঁদেছেন। শিক্ষক, বন্ধুবান্ধব—কেউ ছিলেন না তাঁকে এ বিষয়ে সাহায্য করার মতো। উল্টো থেরাপিস্টের কথা শুনে অনেকে তাঁকে পাগল ভাবেন। এই কঠিন সময়ের কথা জানিয়েছেন জাহ্নবী। বলেছেন, ‘আমি যখন এই সমস্যায় ভুগছিলাম, তখন কাউকে বলতে পারিনি যে আমি এই সমস্যায় ভুগছি কিংবা থেরাপিস্টের সাহায্য নিচ্ছি। বাসায় বলিনি। কারণ, মা-বাবা দূরে থাকেন, তাঁদের আমি চিন্তায় ফেলতে চাইনি।’
প্রথা ভাঙার উদ্যোগ
জাহ্নবী খেয়াল করেন, শুধু তিনি একা নন। তাঁর আশপাশে অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা একাকিত্ব ও বিষণ্নতায় ভুগছেন। এই বিষণ্নতার সাগরে হয়তো একটু খড়কুটো পেলে তাঁরা সেটাকে আঁকড়ে ধরেই তীরে উঠতে পারবেন। সেখান থেকেই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার কথা মাথায় আসে জাহ্নবীর। এরপর বন্ধু নাইমুল হক জয় ও সামিউল ইসলাম স্বপ্নীলের সঙ্গে মিলে তাঁরা ২০২১ সালের শেষ দিকে শুরু করেন ‘রিলাক্সি’ নামের মানসিক স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক একটি ফেসবুক পেজ। বর্তমানে তাঁদের একটি অ্যাপও আছে প্লে স্টোরে। রিলাক্সিতে তিনজন সাইকোলজিস্ট ছাড়াও যাবতীয় কাজ দেখাশোনার দলে আছেন ১০ জন সদস্য।
একজন বিষণ্ন মানুষ থেকে নিজেকে বদলে নিয়ে সামাজিক ট্যাবু ভেঙে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করা খুব সহজ ছিল না জাহ্নবীর জন্য। অনেকে বলেছেন, ‘এখানে ভবিষ্যৎ নেই, ছেড়ে দে।’ এত নেতিবাচকতার মধ্যেও হাল ছাড়েননি তিনি। ফেসবুকে পডকাস্ট, বিভিন্ন মানসিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা, থেরাপি সেশন শুরু করা হয় রিলাক্সি থেকে। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রেখে মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেওয়া শুরু করেন জাহ্নবী ও তাঁর দল। এ ছাড়া বিভিন্ন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শের জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় রিলাক্সি থেকে। এভাবেই দিন দিন মানসিক সমস্যার সেবাপ্রার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
অভিজ্ঞতা
কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে জাহ্নবী রহমান জানান, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, যাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশ এর জন্য কোনো সাহায্য নিতে চান না। কারণ, বেশির ভাগ মানুষ জানেন না কোথায় গেলে তাঁরা সাহায্য পাবেন। রিলাক্সিতে অনেক মানুষের নানা ধরনের সমস্যা শুনেছেন জাহ্নবী। আত্মহত্যার মানসিকতা থেকে ফিরে আসা মানুষও দেখেছেন অনেক। তাঁদের শুধু রিলাক্সি টিম সাহায্য করেছে এমন নয়। তাঁদের পোস্টে মন্তব্য করে পাশে থেকেছেন রিলাক্সির সেবা গ্রহণকারী অনেকে।
শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের নানা বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সচেতন? জাহ্নবী রহমান অভিজ্ঞতা থেকে জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মেন্টাল হেলথ অফিসার থাকেন। কিন্তু সরাসরি গিয়ে সমস্যাগুলো বলা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। আবার অনেকে যেতেও চান না। কিন্তু এখন অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। অ্যাপের মাধ্যমে সেবা দেওয়ার এটাও একটা বিশেষ কারণ বলে জানান জাহ্নবী রহমান। তাই অনেকে নিজের পরিচয় আড়াল করে সমস্যার সমাধান চাইতে পারেন। দেশের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ক্যাম্পাস প্রতিনিধিদের মাধ্যমে রিলাক্সি শিক্ষার্থীদের সেবা দিয়ে থাকে। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে বলে মনে করেন জাহ্নবী রহমান।
সেই পুরোনো গল্প
একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পক্ষপাতের শিকার হয়েছেন জাহ্নবী রহমান। দল গঠন ও নেতৃত্ব দেওয়া নিয়েও সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেক সময়। তবে তাঁর বন্ধু ও রিলাক্সির অন্য দুই সহপ্রতিষ্ঠাতার সাহায্যে আবারও এগিয়ে গেছেন তিনি। জাহ্নবী বলেন, ‘চলার পথে আমি দুটো দিকই দেখেছি। সহকর্মীরা যেমন পিছিয়ে দিতে পারেন, তেমন এগিয়েও নিতে পারেন। দুই সহপ্রতিষ্ঠাতার সহযোগিতা না পেলে এ যাত্রাটা সম্পূর্ণ হতো না।’ শুধু তা-ই নয়, তাঁর পরিবারে কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী। সেখানে রুয়েট থেকে লেখাপড়া শেষ করে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করা প্রথমে মেনে নিতে পারেননি জাহ্নবীর পরিবারের অনেকে। তবে ধীরে ধীরে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন তাঁর কাজের গুরুত্ব।
ফোর্বস অনুপ্রেরণা
ফোর্বসের তালিকাভুক্ত হওয়াকে প্রতিষ্ঠান এবং কাজের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন জাহ্নবী রহমান। ফেসবুক পেজ ও অ্যাপ মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের কাছে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতার নানা দিক তুলে ধরেছেন। আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরির জন্য ফিজিক্যাল হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস ক্লিনিকের (পিএইচডব্লিউসি) সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ করছে রিলাক্সি। সম্প্রতি সাজিদা ফাউন্ডেশনের কাছ থেকেও বিনিয়োগ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ভবিষ্যতে গুণগত মানের সেবা দেওয়ার দিকে মনোযোগ দেবেন জাহ্নবী রহমান ও তাঁর দল।
জাহ্নবী রহমানের কথা উঠলেই ‘বিষণ্নতা’ বিষয়টি কোনো না কোনোভাবে চলে আসে। বিষণ্নতায় ভোগা, তাকে অতিক্রম করে আবার শুরু করা এবং শেষ পর্যন্ত সফল হওয়া—সবকিছু নিয়েই জাহ্নবী রহমান। ‘মানসিকভাবে সুস্থ থাকা’ বিষয়টি আমাদের সমাজে বা জীবনচর্চায় বরাবরই উপেক্ষিত। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন কাজের সূত্র ধরে জাহ্নবী সফল হয়েছেন। অন্যদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে ‘ফোর্বস ৩০ আন্ডার ৩০’ তালিকার সেরা সাতের একজন তিনি।
ছিল চমক
এ সফলতার সংবাদ ই-মেইলে ফোর্বসের পক্ষ থেকে পান ভোর ৫টা ২৪ মিনিটে। এটা বুঝতে মিনিট পাঁচেক সময় লেগেছিল তাঁর। সেই অনুভূতি বলতে গিয়ে জাহ্নবী বলেছেন, ‘মেইল পেয়ে বারবার তালিকা চেক করছিলাম, আসলেই আমার নাম কি না, ছবিটা আমার কি না। পরে যখন বুঝলাম এটা সত্য, তখন আমার দুই পার্টনার আর পরিবারকে জানিয়েছি।’
রুয়েট এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
ঢাকায় বেড়ে ওঠা জাহ্নবী রহমান রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে হুট করেই একা হয়ে পড়েন। লেখাপড়া আর কাজের চাপের মধ্যে পরিবার থেকে দূরে থাকা তাঁর বিষণ্নতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। ২০২০ সালের দিকে গিয়েছিলেন থেরাপিস্টের কাছে। সেশনে বসে কিছু বলতে পারেননি, শুধু কেঁদেছেন। শিক্ষক, বন্ধুবান্ধব—কেউ ছিলেন না তাঁকে এ বিষয়ে সাহায্য করার মতো। উল্টো থেরাপিস্টের কথা শুনে অনেকে তাঁকে পাগল ভাবেন। এই কঠিন সময়ের কথা জানিয়েছেন জাহ্নবী। বলেছেন, ‘আমি যখন এই সমস্যায় ভুগছিলাম, তখন কাউকে বলতে পারিনি যে আমি এই সমস্যায় ভুগছি কিংবা থেরাপিস্টের সাহায্য নিচ্ছি। বাসায় বলিনি। কারণ, মা-বাবা দূরে থাকেন, তাঁদের আমি চিন্তায় ফেলতে চাইনি।’
প্রথা ভাঙার উদ্যোগ
জাহ্নবী খেয়াল করেন, শুধু তিনি একা নন। তাঁর আশপাশে অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা একাকিত্ব ও বিষণ্নতায় ভুগছেন। এই বিষণ্নতার সাগরে হয়তো একটু খড়কুটো পেলে তাঁরা সেটাকে আঁকড়ে ধরেই তীরে উঠতে পারবেন। সেখান থেকেই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার কথা মাথায় আসে জাহ্নবীর। এরপর বন্ধু নাইমুল হক জয় ও সামিউল ইসলাম স্বপ্নীলের সঙ্গে মিলে তাঁরা ২০২১ সালের শেষ দিকে শুরু করেন ‘রিলাক্সি’ নামের মানসিক স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক একটি ফেসবুক পেজ। বর্তমানে তাঁদের একটি অ্যাপও আছে প্লে স্টোরে। রিলাক্সিতে তিনজন সাইকোলজিস্ট ছাড়াও যাবতীয় কাজ দেখাশোনার দলে আছেন ১০ জন সদস্য।
একজন বিষণ্ন মানুষ থেকে নিজেকে বদলে নিয়ে সামাজিক ট্যাবু ভেঙে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করা খুব সহজ ছিল না জাহ্নবীর জন্য। অনেকে বলেছেন, ‘এখানে ভবিষ্যৎ নেই, ছেড়ে দে।’ এত নেতিবাচকতার মধ্যেও হাল ছাড়েননি তিনি। ফেসবুকে পডকাস্ট, বিভিন্ন মানসিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা, থেরাপি সেশন শুরু করা হয় রিলাক্সি থেকে। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রেখে মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেওয়া শুরু করেন জাহ্নবী ও তাঁর দল। এ ছাড়া বিভিন্ন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শের জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় রিলাক্সি থেকে। এভাবেই দিন দিন মানসিক সমস্যার সেবাপ্রার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
অভিজ্ঞতা
কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে জাহ্নবী রহমান জানান, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, যাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশ এর জন্য কোনো সাহায্য নিতে চান না। কারণ, বেশির ভাগ মানুষ জানেন না কোথায় গেলে তাঁরা সাহায্য পাবেন। রিলাক্সিতে অনেক মানুষের নানা ধরনের সমস্যা শুনেছেন জাহ্নবী। আত্মহত্যার মানসিকতা থেকে ফিরে আসা মানুষও দেখেছেন অনেক। তাঁদের শুধু রিলাক্সি টিম সাহায্য করেছে এমন নয়। তাঁদের পোস্টে মন্তব্য করে পাশে থেকেছেন রিলাক্সির সেবা গ্রহণকারী অনেকে।
শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের নানা বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সচেতন? জাহ্নবী রহমান অভিজ্ঞতা থেকে জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মেন্টাল হেলথ অফিসার থাকেন। কিন্তু সরাসরি গিয়ে সমস্যাগুলো বলা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। আবার অনেকে যেতেও চান না। কিন্তু এখন অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। অ্যাপের মাধ্যমে সেবা দেওয়ার এটাও একটা বিশেষ কারণ বলে জানান জাহ্নবী রহমান। তাই অনেকে নিজের পরিচয় আড়াল করে সমস্যার সমাধান চাইতে পারেন। দেশের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ক্যাম্পাস প্রতিনিধিদের মাধ্যমে রিলাক্সি শিক্ষার্থীদের সেবা দিয়ে থাকে। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে বলে মনে করেন জাহ্নবী রহমান।
সেই পুরোনো গল্প
একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পক্ষপাতের শিকার হয়েছেন জাহ্নবী রহমান। দল গঠন ও নেতৃত্ব দেওয়া নিয়েও সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেক সময়। তবে তাঁর বন্ধু ও রিলাক্সির অন্য দুই সহপ্রতিষ্ঠাতার সাহায্যে আবারও এগিয়ে গেছেন তিনি। জাহ্নবী বলেন, ‘চলার পথে আমি দুটো দিকই দেখেছি। সহকর্মীরা যেমন পিছিয়ে দিতে পারেন, তেমন এগিয়েও নিতে পারেন। দুই সহপ্রতিষ্ঠাতার সহযোগিতা না পেলে এ যাত্রাটা সম্পূর্ণ হতো না।’ শুধু তা-ই নয়, তাঁর পরিবারে কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী। সেখানে রুয়েট থেকে লেখাপড়া শেষ করে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করা প্রথমে মেনে নিতে পারেননি জাহ্নবীর পরিবারের অনেকে। তবে ধীরে ধীরে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন তাঁর কাজের গুরুত্ব।
ফোর্বস অনুপ্রেরণা
ফোর্বসের তালিকাভুক্ত হওয়াকে প্রতিষ্ঠান এবং কাজের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন জাহ্নবী রহমান। ফেসবুক পেজ ও অ্যাপ মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের কাছে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতার নানা দিক তুলে ধরেছেন। আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরির জন্য ফিজিক্যাল হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস ক্লিনিকের (পিএইচডব্লিউসি) সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ করছে রিলাক্সি। সম্প্রতি সাজিদা ফাউন্ডেশনের কাছ থেকেও বিনিয়োগ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ভবিষ্যতে গুণগত মানের সেবা দেওয়ার দিকে মনোযোগ দেবেন জাহ্নবী রহমান ও তাঁর দল।
প্রবাদ আছে, দুঃসাহসে দুঃখ হয়। কিন্তু বাগেরহাটের প্রজাপতি স্কোয়াড দুঃসাহসে ভর করে আলোর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আমাদের সমাজ বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া এখনো যে কতটা কঠিন কাজ, তা কারও অজানা নয়। সেই কঠিন কাজই করে চলেছে বাগেরহাটের কিশোরীরা। প্রজাপতি স্কোয়াড নামে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছে তার
২ দিন আগেগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে নিহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন বা ওএইচসিএইচআর এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের
২ দিন আগেআপনি শিক্ষিত ও সচেতন একজন মানুষ। সম্পর্কের একটি সুন্দর পর্যায়ে আছেন। তবে আপনার সঙ্গীর যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, তা কিন্তু বড় ধরনের আবেগীয়
২ দিন আগেশওকত আরা খন্দকার ওরফে ঝর্ণা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ঘর-সংসার সামলে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
২ দিন আগে