কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর (যশোর)
জীবনের জন্য যুদ্ধ কত ধরনের হতে পারে, সে ধারণা আমাদের সামান্যই আছে। ঐতিহাসিক পেশা হিসেবে আমরা ভিস্তিওয়ালার কথা জানি। এই পেশার মানুষেরা শহরে খাওয়ার পানি সরবরাহের কাজ করতেন। কালে কালে শহরে পানি সরবরাহের পদ্ধতি আধুনিক হয়ে উঠলে ভিস্তিওয়ালা পেশাটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু কোথাও কোথাও এই একুশ শতকেও সেই পেশার ছাপ রয়ে গেছে। তেমনই একজন ষাটোর্ধ্ব নারী আঞ্জুয়ারা বেগম।
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যেও থেমে নেই যশোরের কেশবপুরের আঞ্জুয়ারা। গভীর নলকূপের বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি কলসি ও ড্রামে করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। এক বা দুদিন নয়, টানা ৪২ বছর ধরে এ কাজ করে চালাচ্ছেন নিজের সংসার! সেই সংসারের সদস্যসংখ্যা ছয়। সকাল হলেই কলসি ও ড্রাম নিয়ে গভীর নলকূপের কাছে ছুটতে হয় তাঁকে। গ্রীষ্ম, বর্ষা কিংবা শীত—কোনো ঋতুতে বন্ধ থাকে না তাঁর কাজ। কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল আমতলা এলাকার আবদুস সাত্তারের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা।
কেশবপুর পৌর শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভ্যানে করে পানি নিয়ে যাওয়ার সময় কথা হয় আঞ্জুয়ারার সঙ্গে। সূর্য তখন তেতে উঠেছে। খানিক জিরানোর জন্যই তিনি দাঁড়িয়েছিলেন গাছের ছায়ায়। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই একথা-সেকথায় অনেক কথা জানা যায় আঞ্জুয়ারার। ১৯৮২ সালে সংসার চালানোর জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এলাকার অগভীর নলকূপে আর্সেনিকযুক্ত পানি উঠত তখন। ফলে গভীর নলকূপের পানির চাহিদা বাড়তে থাকে। কিন্তু তা আনতে পাড়ি দিতে হয় বেশখানিক দূরের পথ। প্রথমে কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গভীর নলকূপের আর্সেনিকমুক্ত খাওয়ার পানি কলসে ভরে কাঁখে করে মানুষের বাড়ি পৌঁছে দিতেন। প্রতি কলসির জন্য পেতেন ২ টাকা। এভাবে পানি বিক্রি করা অনেক কষ্টসাধ্য হওয়ায় ধারদেনা করে একটি ভ্যান কেনেন। ধীরে ধীরে চাহিদা বাড়ায় হাসাডাঙ্গা, পাঁজিয়া, নতুনহাট, আলতাপোল ও পাইলট স্কুল এলাকার গভীর নলকূপ থেকে পানি এনে বিক্রি করতে থাকেন আঞ্জুয়ারা। বয়স বাড়ার কারণে একা ভ্যানে করে পানি ওঠানো-নামানো তাঁর পক্ষে কষ্টকর হওয়ায় সহযোগিতার জন্য স্বামীকে সঙ্গে নেন।
আঞ্জুয়ারা এখন প্রতিদিন ৩০ ড্রাম বিশুদ্ধ পানি মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দেন। প্রতি ড্রাম পানি বাবদ তিনি ১০ টাকা করে পান। স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে পানি বিক্রির ৩০০ টাকায় চালান ছয়জনের সংসার।
আঞ্জুয়ারা কথা প্রসঙ্গে বলেন, ‘সংসারের ঘানি টানতে গিয়ে ভ্যানটাও এখন অকেজো হওয়ার পথে।’ ভ্যানটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় এখন আগের মতো চলে না। পেছন থেকে ভ্যান ঠেলে দিলেও এগিয়ে নিতে কষ্ট হয়। সংসারের ঘানি টেনে ভ্যান মেরামতের মতো টাকা থাকে না হাতে। অথচ গরম, শীত, বর্ষা উপেক্ষা করে মানুষের বাড়িতে পানি পৌঁছে দিতে হচ্ছে। একটি ভালো ভ্যান থাকলে যে আঞ্জুয়ারার কষ্ট খানিক হলেও লাঘব হতো, সেটা না বলে দিলেও চলে।
জীবনের জন্য যুদ্ধ কত ধরনের হতে পারে, সে ধারণা আমাদের সামান্যই আছে। ঐতিহাসিক পেশা হিসেবে আমরা ভিস্তিওয়ালার কথা জানি। এই পেশার মানুষেরা শহরে খাওয়ার পানি সরবরাহের কাজ করতেন। কালে কালে শহরে পানি সরবরাহের পদ্ধতি আধুনিক হয়ে উঠলে ভিস্তিওয়ালা পেশাটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু কোথাও কোথাও এই একুশ শতকেও সেই পেশার ছাপ রয়ে গেছে। তেমনই একজন ষাটোর্ধ্ব নারী আঞ্জুয়ারা বেগম।
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যেও থেমে নেই যশোরের কেশবপুরের আঞ্জুয়ারা। গভীর নলকূপের বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি কলসি ও ড্রামে করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। এক বা দুদিন নয়, টানা ৪২ বছর ধরে এ কাজ করে চালাচ্ছেন নিজের সংসার! সেই সংসারের সদস্যসংখ্যা ছয়। সকাল হলেই কলসি ও ড্রাম নিয়ে গভীর নলকূপের কাছে ছুটতে হয় তাঁকে। গ্রীষ্ম, বর্ষা কিংবা শীত—কোনো ঋতুতে বন্ধ থাকে না তাঁর কাজ। কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল আমতলা এলাকার আবদুস সাত্তারের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা।
কেশবপুর পৌর শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভ্যানে করে পানি নিয়ে যাওয়ার সময় কথা হয় আঞ্জুয়ারার সঙ্গে। সূর্য তখন তেতে উঠেছে। খানিক জিরানোর জন্যই তিনি দাঁড়িয়েছিলেন গাছের ছায়ায়। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই একথা-সেকথায় অনেক কথা জানা যায় আঞ্জুয়ারার। ১৯৮২ সালে সংসার চালানোর জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এলাকার অগভীর নলকূপে আর্সেনিকযুক্ত পানি উঠত তখন। ফলে গভীর নলকূপের পানির চাহিদা বাড়তে থাকে। কিন্তু তা আনতে পাড়ি দিতে হয় বেশখানিক দূরের পথ। প্রথমে কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গভীর নলকূপের আর্সেনিকমুক্ত খাওয়ার পানি কলসে ভরে কাঁখে করে মানুষের বাড়ি পৌঁছে দিতেন। প্রতি কলসির জন্য পেতেন ২ টাকা। এভাবে পানি বিক্রি করা অনেক কষ্টসাধ্য হওয়ায় ধারদেনা করে একটি ভ্যান কেনেন। ধীরে ধীরে চাহিদা বাড়ায় হাসাডাঙ্গা, পাঁজিয়া, নতুনহাট, আলতাপোল ও পাইলট স্কুল এলাকার গভীর নলকূপ থেকে পানি এনে বিক্রি করতে থাকেন আঞ্জুয়ারা। বয়স বাড়ার কারণে একা ভ্যানে করে পানি ওঠানো-নামানো তাঁর পক্ষে কষ্টকর হওয়ায় সহযোগিতার জন্য স্বামীকে সঙ্গে নেন।
আঞ্জুয়ারা এখন প্রতিদিন ৩০ ড্রাম বিশুদ্ধ পানি মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দেন। প্রতি ড্রাম পানি বাবদ তিনি ১০ টাকা করে পান। স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে পানি বিক্রির ৩০০ টাকায় চালান ছয়জনের সংসার।
আঞ্জুয়ারা কথা প্রসঙ্গে বলেন, ‘সংসারের ঘানি টানতে গিয়ে ভ্যানটাও এখন অকেজো হওয়ার পথে।’ ভ্যানটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় এখন আগের মতো চলে না। পেছন থেকে ভ্যান ঠেলে দিলেও এগিয়ে নিতে কষ্ট হয়। সংসারের ঘানি টেনে ভ্যান মেরামতের মতো টাকা থাকে না হাতে। অথচ গরম, শীত, বর্ষা উপেক্ষা করে মানুষের বাড়িতে পানি পৌঁছে দিতে হচ্ছে। একটি ভালো ভ্যান থাকলে যে আঞ্জুয়ারার কষ্ট খানিক হলেও লাঘব হতো, সেটা না বলে দিলেও চলে।
প্রবাদ আছে, দুঃসাহসে দুঃখ হয়। কিন্তু বাগেরহাটের প্রজাপতি স্কোয়াড দুঃসাহসে ভর করে আলোর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আমাদের সমাজ বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া এখনো যে কতটা কঠিন কাজ, তা কারও অজানা নয়। সেই কঠিন কাজই করে চলেছে বাগেরহাটের কিশোরীরা। প্রজাপতি স্কোয়াড নামে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছে তার
৩ দিন আগেগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে নিহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন বা ওএইচসিএইচআর এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের
৩ দিন আগেআপনি শিক্ষিত ও সচেতন একজন মানুষ। সম্পর্কের একটি সুন্দর পর্যায়ে আছেন। তবে আপনার সঙ্গীর যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, তা কিন্তু বড় ধরনের আবেগীয়
৩ দিন আগেশওকত আরা খন্দকার ওরফে ঝর্ণা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ঘর-সংসার সামলে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
৩ দিন আগে