মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
রাজিয়া নামটির সঙ্গে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে। ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক ছিলেন রাজিয়া সুলতানা। বাংলাদেশের সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র নারী সদস্য ছিলেন আরেক রাজিয়া। কিন্তু আমাদের রাজিয়া বানুর (৪৫) জীবনে তেমন কোনো ইতিহাস নেই। আছে জীবনের উত্থান-পতনের নিদারুণ দুঃখগাথা।
রোদ-বৃষ্টিময় শরতের এক দুপুরে ফুলবাড়ীর বেতদিঘী ইউনিয়নের ফরিদাবাদ এলাকায় দেখা হয় তাঁর সঙ্গে। তখন তিনি বাইসাইকেলে মালপত্র নিয়ে চলছিলেন গ্রামের মেঠো পথ ধরে। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল, বাইসাইকেলের পুঁটলিতে আছে শাড়ি, থ্রিপিস, ওড়না, নিকাব, শিশুদের গেঞ্জি, প্যান্ট ও থান কাপড়।
রাজিয়া বানুর বাবার বাড়ি বেতদিঘী ইউনিয়নের জামাদান্নী গ্রামে। বিয়ে হয়েছিল পাশের ইউনিয়ন কাজিহালের রসুলপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের সঙ্গে। ভালোই কাটছিল তাঁদের সংসারজীবন। এরপর দুই ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়। কিন্তু ২০০০ সালে তাঁর স্বামী বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। পরে আর খোঁজ রাখেননি রাজিয়ার। এ সময় রাজিয়া বানু সংসার চালাতে এবং সন্তানদের বড় করে তুলতে বিপাকে পড়েন। হাল না ছেড়ে তিনি নেমে পড়েন জীবনসংগ্রামে। ২০০১ সালের দিকে বেছে নেন কাপড় ফেরি করার কাজ। তিন-চার বছর এ কাজ করে কোনোমতে সংসার চালান। তারপর একটা সাইকেল কিনে শুরু করেন গ্রামে গ্রামে ফেরি করে কাপড় বিক্রি। এভাবে চলছে প্রায় ১৮ বছর! এখন তিনি থাকেন ফুলবাড়ী পৌর এলাকার সুজাপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে।
রাজিয়ার বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাজু একটি মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া শেষ করে চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসায় চাকরি করছেন। তিনি মাঝে মাঝে মায়ের জন্য কিছু টাকা পাঠান। মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌস সুমি। বেসরকারিভাবে নার্সিং পাস করে ইন্টার্ন করছেন। ছোট ছেলে আশরাফুল আল সাজু। হাফেজি পাস করে স্থানীয় একটি মসজিদে থাকেন এবং মাঝে মাঝে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
নারীদের সহায়তার সরকারি কোনো প্রণোদনা নেওয়ার চেষ্টা করেননি রাজিয়া; বরং কাপড় ফেরি করে জীবন চালাতেই তিনি স্বচ্ছন্দবোধ করেন। রাজিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন আমাকে কাজে বের হতে হয়। সপ্তাহের একেক দিন একেক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সাইকেল নিয়ে যাই এবং ফেরি করে কাপড় বিক্রি করি। এতেই সংসার চলে। সন্তানদের লেখাপড়া শেখানোর চেষ্টা করেছি।’
রাজিয়া বলেন, ‘প্রত্যেক নারীর নিজের পায়ে দাঁড়ানো জরুরি। তা না হলে আমার মতো পরিস্থিতি হলে কষ্ট পেতে হবে।’
স্বামীর প্রতি আক্ষেপ আছে রাজিয়া বানুর। কিন্তু সাইকেলে প্রায় দুই দশক ছুটে চলে তিন সন্তানকে বড় করেছেন যে নারী, তাঁকে আটকানোর মতো ‘কষ্ট’ কী আছে পৃথিবীতে!
রাজিয়া নামটির সঙ্গে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে। ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক ছিলেন রাজিয়া সুলতানা। বাংলাদেশের সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র নারী সদস্য ছিলেন আরেক রাজিয়া। কিন্তু আমাদের রাজিয়া বানুর (৪৫) জীবনে তেমন কোনো ইতিহাস নেই। আছে জীবনের উত্থান-পতনের নিদারুণ দুঃখগাথা।
রোদ-বৃষ্টিময় শরতের এক দুপুরে ফুলবাড়ীর বেতদিঘী ইউনিয়নের ফরিদাবাদ এলাকায় দেখা হয় তাঁর সঙ্গে। তখন তিনি বাইসাইকেলে মালপত্র নিয়ে চলছিলেন গ্রামের মেঠো পথ ধরে। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল, বাইসাইকেলের পুঁটলিতে আছে শাড়ি, থ্রিপিস, ওড়না, নিকাব, শিশুদের গেঞ্জি, প্যান্ট ও থান কাপড়।
রাজিয়া বানুর বাবার বাড়ি বেতদিঘী ইউনিয়নের জামাদান্নী গ্রামে। বিয়ে হয়েছিল পাশের ইউনিয়ন কাজিহালের রসুলপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের সঙ্গে। ভালোই কাটছিল তাঁদের সংসারজীবন। এরপর দুই ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়। কিন্তু ২০০০ সালে তাঁর স্বামী বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। পরে আর খোঁজ রাখেননি রাজিয়ার। এ সময় রাজিয়া বানু সংসার চালাতে এবং সন্তানদের বড় করে তুলতে বিপাকে পড়েন। হাল না ছেড়ে তিনি নেমে পড়েন জীবনসংগ্রামে। ২০০১ সালের দিকে বেছে নেন কাপড় ফেরি করার কাজ। তিন-চার বছর এ কাজ করে কোনোমতে সংসার চালান। তারপর একটা সাইকেল কিনে শুরু করেন গ্রামে গ্রামে ফেরি করে কাপড় বিক্রি। এভাবে চলছে প্রায় ১৮ বছর! এখন তিনি থাকেন ফুলবাড়ী পৌর এলাকার সুজাপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে।
রাজিয়ার বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাজু একটি মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া শেষ করে চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসায় চাকরি করছেন। তিনি মাঝে মাঝে মায়ের জন্য কিছু টাকা পাঠান। মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌস সুমি। বেসরকারিভাবে নার্সিং পাস করে ইন্টার্ন করছেন। ছোট ছেলে আশরাফুল আল সাজু। হাফেজি পাস করে স্থানীয় একটি মসজিদে থাকেন এবং মাঝে মাঝে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
নারীদের সহায়তার সরকারি কোনো প্রণোদনা নেওয়ার চেষ্টা করেননি রাজিয়া; বরং কাপড় ফেরি করে জীবন চালাতেই তিনি স্বচ্ছন্দবোধ করেন। রাজিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন আমাকে কাজে বের হতে হয়। সপ্তাহের একেক দিন একেক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সাইকেল নিয়ে যাই এবং ফেরি করে কাপড় বিক্রি করি। এতেই সংসার চলে। সন্তানদের লেখাপড়া শেখানোর চেষ্টা করেছি।’
রাজিয়া বলেন, ‘প্রত্যেক নারীর নিজের পায়ে দাঁড়ানো জরুরি। তা না হলে আমার মতো পরিস্থিতি হলে কষ্ট পেতে হবে।’
স্বামীর প্রতি আক্ষেপ আছে রাজিয়া বানুর। কিন্তু সাইকেলে প্রায় দুই দশক ছুটে চলে তিন সন্তানকে বড় করেছেন যে নারী, তাঁকে আটকানোর মতো ‘কষ্ট’ কী আছে পৃথিবীতে!
প্রবাদ আছে, দুঃসাহসে দুঃখ হয়। কিন্তু বাগেরহাটের প্রজাপতি স্কোয়াড দুঃসাহসে ভর করে আলোর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আমাদের সমাজ বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া এখনো যে কতটা কঠিন কাজ, তা কারও অজানা নয়। সেই কঠিন কাজই করে চলেছে বাগেরহাটের কিশোরীরা। প্রজাপতি স্কোয়াড নামে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছে তার
২ দিন আগেগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে নিহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন বা ওএইচসিএইচআর এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের
২ দিন আগেআপনি শিক্ষিত ও সচেতন একজন মানুষ। সম্পর্কের একটি সুন্দর পর্যায়ে আছেন। তবে আপনার সঙ্গীর যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, তা কিন্তু বড় ধরনের আবেগীয়
২ দিন আগেশওকত আরা খন্দকার ওরফে ঝর্ণা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ঘর-সংসার সামলে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
২ দিন আগে