মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
কখনো শুনেছেন, একটি প্রতিষ্ঠান তাদের মূল পণ্যের নাম রেখেছে নদীর নামে? এভাবে পণ্যের নাম রাখার প্রচলন আমাদের দেশে নেই বললেই চলে। তাই বেশির ভাগ মানুষের সেটা না শোনারই কথা। কিন্তু কালিন্দীর ওয়েবসাইট বা আউটলেটে গেলে দেখা যাবে নদীর নামে রয়েছে একটি করে ব্যাগের নাম। পাটের তৈরি সেই ব্যাগগুলোর কোনোটার নাম চিত্রা, শীতলক্ষ্যা, গড়াই, রূপসা, পদ্মা আবার কোনোটার নাম ইছামতী, তিস্তা, কাজলা কিংবা তিতাস।
আমাদের নদী অববাহিকাগুলো, বিশেষ করা ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকা পাট চাষের জন্য খুবই উর্বর। পাট চাষে নদীর এই গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে ব্যাগ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কালিন্দী তাদের প্রতিটি ব্যাগের নাম রেখেছে নদীর নামে। কালিন্দীর কর্ণধার মুনিয়া জামান সে রকমই জানালেন।
মুনিয়া জামানের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল চাকরি দিয়ে। সালটা ২০১৫। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ডিভিশন ম্যানেজার হিসেবে কর্ম শুরু করেন তিনি। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেলের ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি বিভাগের প্রশাসনিক পদে কাজ করেন মুনিয়া। দায়িত্ব আর কাজের চাপ মিলে নিজের জন্য সময় খুঁজে পেতেন না। এর মধ্যে এল করোনাকাল। ঘরবন্দী সময়ে মনেপ্রাণে চাইলেন নিজের একটি কর্মক্ষেত্র হোক, যেখানে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। এর পরই চাকরিকে বিদায় জানিয়ে তিনি কালিন্দী নামে অনলাইনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করান। এর প্রধান পণ্য পাটের ব্যাগ।
পারিবারিকভাবে মুনিয়া জামানদের পাটের ব্যবসা রয়েছে। রয়েছে নিজস্ব কারখানা। সেখানে রপ্তানির জন্য তৈরি হয় পাটের বিভিন্ন পণ্য। সেই কারখানার অবশিষ্ট কাঁচামাল দিয়ে তৈরি শুরু হয় কালিন্দীর জন্য ব্যাগ। কারখানার অবশিষ্ট কাঁচামাল থেকে তৈরি হয় বলে এগুলো তৈরিতে খরচ কম হয়।
পাটের তৈরি বলে ব্যাগগুলো ওজনে হালকা। কাঁধে ঝোলানোর জন্য আছে লেদারের স্ট্রাইপ, তাই বহন করা সহজ ও আরামদায়ক। যেকোনো পোশাকের সঙ্গে মানানসই এই ব্যাগগুলো। বর্তমান প্রজন্মের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাগের নকশা করা হয়। এখানে পাট দিয়ে তৈরি হচ্ছে ল্যাপটপ ব্যাগ, মানিব্যাগ, লেডিস ব্যাগসহ আরও বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ। টেকসই ও ফ্যাশনেবল পাটের ব্যাগের পাশাপাশি কালিন্দীতে পাটের ফ্লোর ম্যাটও তৈরি হয়।
পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে বিশ্ববাজারে পাটপণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। তবে বিশ্ববাজারের চাহিদার তুলনায় দেশের বাজার অনেকটাই পিছিয়ে আছে বলে মনে করেন মুনিয়া। পাটপণ্যের প্রচার বাড়লেও দৈনন্দিন কাজে এর ব্যবহার তেমন বাড়েনি। কালিন্দীর স্বত্বাধিকারী মুনিয়া বলেন, ‘আমাদের দেশে পাটপণ্যের কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগে। এর কাজ বেড়েছে অনেক গুণ। যেটা বাড়েনি তা হলো বৈচিত্র্য।’
ঢাকার লালমাটিয়ার শান্তিবাড়ি ও বনানী এবং খুলনার শিববাড়িতে আছে কালিন্দীর নিজস্ব পণ্যের ডিসপ্লে কর্নার। মুনিয়া চান প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ ভালো মানের পাটের ব্যাগ বলতে কালিন্দীকে চিনবে। সবার দৈনন্দিন ব্যবহারে পছন্দের সঙ্গী হবে কালিন্দীর পণ্য।
সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যেতে চান মুনিয়া। চাকরি না করে হয়েছেন উদ্যোক্তা। ব্যবসার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন এদিক-সেদিক। নিজের মতো করে কালিন্দীকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। মুনিয়া মনে করেন, উদ্যোক্তা হতে হলে প্রথমে নিজেকে সময় দেওয়া উচিত। এরপর কোন বিষয়ে নিজের আগ্রহ বেশি তা খুঁজে বের করে সেই অনুযায়ী ব্যবসার কাজ শুরু করা। সময়ের সঙ্গে নিজেকে এগিয়ে নিতে চাইলে দরকার নিজের শক্ত অবস্থান।
কখনো শুনেছেন, একটি প্রতিষ্ঠান তাদের মূল পণ্যের নাম রেখেছে নদীর নামে? এভাবে পণ্যের নাম রাখার প্রচলন আমাদের দেশে নেই বললেই চলে। তাই বেশির ভাগ মানুষের সেটা না শোনারই কথা। কিন্তু কালিন্দীর ওয়েবসাইট বা আউটলেটে গেলে দেখা যাবে নদীর নামে রয়েছে একটি করে ব্যাগের নাম। পাটের তৈরি সেই ব্যাগগুলোর কোনোটার নাম চিত্রা, শীতলক্ষ্যা, গড়াই, রূপসা, পদ্মা আবার কোনোটার নাম ইছামতী, তিস্তা, কাজলা কিংবা তিতাস।
আমাদের নদী অববাহিকাগুলো, বিশেষ করা ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকা পাট চাষের জন্য খুবই উর্বর। পাট চাষে নদীর এই গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে ব্যাগ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কালিন্দী তাদের প্রতিটি ব্যাগের নাম রেখেছে নদীর নামে। কালিন্দীর কর্ণধার মুনিয়া জামান সে রকমই জানালেন।
মুনিয়া জামানের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল চাকরি দিয়ে। সালটা ২০১৫। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ডিভিশন ম্যানেজার হিসেবে কর্ম শুরু করেন তিনি। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেলের ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি বিভাগের প্রশাসনিক পদে কাজ করেন মুনিয়া। দায়িত্ব আর কাজের চাপ মিলে নিজের জন্য সময় খুঁজে পেতেন না। এর মধ্যে এল করোনাকাল। ঘরবন্দী সময়ে মনেপ্রাণে চাইলেন নিজের একটি কর্মক্ষেত্র হোক, যেখানে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। এর পরই চাকরিকে বিদায় জানিয়ে তিনি কালিন্দী নামে অনলাইনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করান। এর প্রধান পণ্য পাটের ব্যাগ।
পারিবারিকভাবে মুনিয়া জামানদের পাটের ব্যবসা রয়েছে। রয়েছে নিজস্ব কারখানা। সেখানে রপ্তানির জন্য তৈরি হয় পাটের বিভিন্ন পণ্য। সেই কারখানার অবশিষ্ট কাঁচামাল দিয়ে তৈরি শুরু হয় কালিন্দীর জন্য ব্যাগ। কারখানার অবশিষ্ট কাঁচামাল থেকে তৈরি হয় বলে এগুলো তৈরিতে খরচ কম হয়।
পাটের তৈরি বলে ব্যাগগুলো ওজনে হালকা। কাঁধে ঝোলানোর জন্য আছে লেদারের স্ট্রাইপ, তাই বহন করা সহজ ও আরামদায়ক। যেকোনো পোশাকের সঙ্গে মানানসই এই ব্যাগগুলো। বর্তমান প্রজন্মের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাগের নকশা করা হয়। এখানে পাট দিয়ে তৈরি হচ্ছে ল্যাপটপ ব্যাগ, মানিব্যাগ, লেডিস ব্যাগসহ আরও বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ। টেকসই ও ফ্যাশনেবল পাটের ব্যাগের পাশাপাশি কালিন্দীতে পাটের ফ্লোর ম্যাটও তৈরি হয়।
পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে বিশ্ববাজারে পাটপণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। তবে বিশ্ববাজারের চাহিদার তুলনায় দেশের বাজার অনেকটাই পিছিয়ে আছে বলে মনে করেন মুনিয়া। পাটপণ্যের প্রচার বাড়লেও দৈনন্দিন কাজে এর ব্যবহার তেমন বাড়েনি। কালিন্দীর স্বত্বাধিকারী মুনিয়া বলেন, ‘আমাদের দেশে পাটপণ্যের কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগে। এর কাজ বেড়েছে অনেক গুণ। যেটা বাড়েনি তা হলো বৈচিত্র্য।’
ঢাকার লালমাটিয়ার শান্তিবাড়ি ও বনানী এবং খুলনার শিববাড়িতে আছে কালিন্দীর নিজস্ব পণ্যের ডিসপ্লে কর্নার। মুনিয়া চান প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ ভালো মানের পাটের ব্যাগ বলতে কালিন্দীকে চিনবে। সবার দৈনন্দিন ব্যবহারে পছন্দের সঙ্গী হবে কালিন্দীর পণ্য।
সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যেতে চান মুনিয়া। চাকরি না করে হয়েছেন উদ্যোক্তা। ব্যবসার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন এদিক-সেদিক। নিজের মতো করে কালিন্দীকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। মুনিয়া মনে করেন, উদ্যোক্তা হতে হলে প্রথমে নিজেকে সময় দেওয়া উচিত। এরপর কোন বিষয়ে নিজের আগ্রহ বেশি তা খুঁজে বের করে সেই অনুযায়ী ব্যবসার কাজ শুরু করা। সময়ের সঙ্গে নিজেকে এগিয়ে নিতে চাইলে দরকার নিজের শক্ত অবস্থান।
প্রবাদ আছে, দুঃসাহসে দুঃখ হয়। কিন্তু বাগেরহাটের প্রজাপতি স্কোয়াড দুঃসাহসে ভর করে আলোর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আমাদের সমাজ বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া এখনো যে কতটা কঠিন কাজ, তা কারও অজানা নয়। সেই কঠিন কাজই করে চলেছে বাগেরহাটের কিশোরীরা। প্রজাপতি স্কোয়াড নামে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছে তার
৩ দিন আগেগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে নিহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন বা ওএইচসিএইচআর এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের
৩ দিন আগেআপনি শিক্ষিত ও সচেতন একজন মানুষ। সম্পর্কের একটি সুন্দর পর্যায়ে আছেন। তবে আপনার সঙ্গীর যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, তা কিন্তু বড় ধরনের আবেগীয়
৩ দিন আগেশওকত আরা খন্দকার ওরফে ঝর্ণা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ঘর-সংসার সামলে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
৩ দিন আগে