আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
প্রকাশ ঝা পরিচালিত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র। নাম ‘রাজনীতি’। ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানেন, রাজনীতির অন্দর ও বাহির থাকে। অন্দরে থাকে একটি রাজনৈতিক পরিবারের উত্থান-পতন এবং একান্ত কষ্ট আর সংগ্রামের গল্প। বাইরে থাকে তাদের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতার গল্প। সেই চলচ্চিত্রের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয় আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের গল্প। তিনি মাত্র ২১ দিনে নিজের পুরো নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়িয়ে ছিনিয়ে এনেছেন বিজয়।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একেবারে ‘নির্বাচনী মাঠ গরম করে’ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার। সংসদে তিনি একেবারে নতুন মুখ। অথচ তিনি এসেছিলেন এবারের নির্বাচনে তাঁর মা আফরুজা বারীকে সহায়তা করার জন্য। আসনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন তাঁর মা। কিন্তু রাজনীতি ও নির্বাচনের ছকের খেলায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হলে মঞ্চে আসেন আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, ভোটের মাত্র ২১ দিন আগে। এই অল্প সময়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের আগ্রহ ও ইচ্ছার কারণে আর ফিরে যাওয়া হয়নি তাঁর। বদলে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিপক্ষকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়লাভ করে তিনি এখন সংসদ সদস্য। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। তাঁর স্বামী প্রকৌশলী ড. তারিকুল ইসলাম।
নিগার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য বিদেশে যান। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে লেখাপড়া শেষ করেন। মা আফরুজা বারীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আনন্দ শিপইয়ার্ড দেখাশোনা করতেন নিগার। তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে। থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রে। এবার ভোটের আগে তিনি দেশে আসেন মূলত মাকে নির্বাচনী প্রচারে সহায়তা করতে। কিন্তু তিনি যে নিজেই নির্বাচনের অংশ হয়ে যাবেন, ভাবেননি ঘুণাক্ষরেও।
‘সেখান থেকে রাজনীতির জন্য অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করছি।’ আমরা যখন তাঁর সঙ্গে কথা বলতে যাই, তখন তিনি নির্বাচনী প্রচারে ভীষণ ব্যস্ত। দ্রুত কথা বলতে হচ্ছিল। নিগারের এই কথার ‘সেখান থেকে’ শব্দবন্ধ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নিজে রাজনীতি না করলেও নিগার আসলে একটি রাজনৈতিক পরিবারের মানুষ। তাঁর নানা আশরাফ আলী, নানি আলতাফুন্নেছা, মামা শহীদ এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এবং মা আফরুজা বারী ছিলেন সরাসরি মাঠের রাজনীতির মানুষ। ফলে ছোটবেলা থেকে রাজনীতি ও রাজনৈতিক পরিবেশে তিনি বেড়ে ওঠেন। সেটাই ছিল তাঁর হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসার পেছনের চালিকা শক্তির গল্প। সে কারণে মাত্র ২১ দিনের তৎপরতায় তিনি নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য।
২১ দিনের হিসাবটা আসলে সরল। নিগারের মা আফরুজা বারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হন। কিন্তু গত ১৭ ডিসেম্বর রাজনৈতিক দলটির কেন্দ্রীয় নির্দেশে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। পরদিন থেকে পরিবার, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় মানুষদের অনুপ্রেরণায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ময়দানে নামেন। সব প্রক্রিয়া শেষে বরাদ্দ পান ঢেঁকি প্রতীক। সেই প্রতীক নিয়ে তিনি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জিতে যান।
নির্বাচনের রাজনীতি এক দারুণ বিষয়। সেখানে ছক কষে চলতে না পারলে টিকে থাকা বেশ কঠিন। রাজনৈতিক পরিবারের মানুষ হিসেবে নিগার বিষয়টি জানেন। আর জেনেশুনেই তিনি রাজনীতির কঠিন পথে পা বাড়িয়েছেন। নিগার বলেছেন, ‘১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আমি রাজনীতির পথে পা বাড়াই। ঠিক ওই দিন থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে আমার যাত্রা শুরু হয়। পরে তফসিল অনুযায়ী মাত্র ১৮ দিন সময়ে পুরো উপজেলায় জনসংযোগ ও উঠান বৈঠক করি। এতেই সাধারণ মানুষ আমার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ঢেঁকি প্রতীকে ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেন।’ তিনি বারবার যে বিষয়ে জোর দিয়েছেন, তা হলো ‘জনগণের ভালোবাসা’। তিনি মনে করেন, পরিবারের দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিচয় তাঁকে এগিয়ে দিয়েছে অনেকখানি। এখন বাকিটা তিনি অর্জন করে নিতে চান।
প্রকাশ ঝা পরিচালিত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র। নাম ‘রাজনীতি’। ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানেন, রাজনীতির অন্দর ও বাহির থাকে। অন্দরে থাকে একটি রাজনৈতিক পরিবারের উত্থান-পতন এবং একান্ত কষ্ট আর সংগ্রামের গল্প। বাইরে থাকে তাদের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতার গল্প। সেই চলচ্চিত্রের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয় আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের গল্প। তিনি মাত্র ২১ দিনে নিজের পুরো নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়িয়ে ছিনিয়ে এনেছেন বিজয়।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একেবারে ‘নির্বাচনী মাঠ গরম করে’ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার। সংসদে তিনি একেবারে নতুন মুখ। অথচ তিনি এসেছিলেন এবারের নির্বাচনে তাঁর মা আফরুজা বারীকে সহায়তা করার জন্য। আসনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন তাঁর মা। কিন্তু রাজনীতি ও নির্বাচনের ছকের খেলায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হলে মঞ্চে আসেন আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, ভোটের মাত্র ২১ দিন আগে। এই অল্প সময়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের আগ্রহ ও ইচ্ছার কারণে আর ফিরে যাওয়া হয়নি তাঁর। বদলে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিপক্ষকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়লাভ করে তিনি এখন সংসদ সদস্য। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। তাঁর স্বামী প্রকৌশলী ড. তারিকুল ইসলাম।
নিগার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য বিদেশে যান। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে লেখাপড়া শেষ করেন। মা আফরুজা বারীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আনন্দ শিপইয়ার্ড দেখাশোনা করতেন নিগার। তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে। থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রে। এবার ভোটের আগে তিনি দেশে আসেন মূলত মাকে নির্বাচনী প্রচারে সহায়তা করতে। কিন্তু তিনি যে নিজেই নির্বাচনের অংশ হয়ে যাবেন, ভাবেননি ঘুণাক্ষরেও।
‘সেখান থেকে রাজনীতির জন্য অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করছি।’ আমরা যখন তাঁর সঙ্গে কথা বলতে যাই, তখন তিনি নির্বাচনী প্রচারে ভীষণ ব্যস্ত। দ্রুত কথা বলতে হচ্ছিল। নিগারের এই কথার ‘সেখান থেকে’ শব্দবন্ধ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নিজে রাজনীতি না করলেও নিগার আসলে একটি রাজনৈতিক পরিবারের মানুষ। তাঁর নানা আশরাফ আলী, নানি আলতাফুন্নেছা, মামা শহীদ এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এবং মা আফরুজা বারী ছিলেন সরাসরি মাঠের রাজনীতির মানুষ। ফলে ছোটবেলা থেকে রাজনীতি ও রাজনৈতিক পরিবেশে তিনি বেড়ে ওঠেন। সেটাই ছিল তাঁর হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসার পেছনের চালিকা শক্তির গল্প। সে কারণে মাত্র ২১ দিনের তৎপরতায় তিনি নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য।
২১ দিনের হিসাবটা আসলে সরল। নিগারের মা আফরুজা বারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হন। কিন্তু গত ১৭ ডিসেম্বর রাজনৈতিক দলটির কেন্দ্রীয় নির্দেশে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। পরদিন থেকে পরিবার, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় মানুষদের অনুপ্রেরণায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ময়দানে নামেন। সব প্রক্রিয়া শেষে বরাদ্দ পান ঢেঁকি প্রতীক। সেই প্রতীক নিয়ে তিনি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জিতে যান।
নির্বাচনের রাজনীতি এক দারুণ বিষয়। সেখানে ছক কষে চলতে না পারলে টিকে থাকা বেশ কঠিন। রাজনৈতিক পরিবারের মানুষ হিসেবে নিগার বিষয়টি জানেন। আর জেনেশুনেই তিনি রাজনীতির কঠিন পথে পা বাড়িয়েছেন। নিগার বলেছেন, ‘১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আমি রাজনীতির পথে পা বাড়াই। ঠিক ওই দিন থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে আমার যাত্রা শুরু হয়। পরে তফসিল অনুযায়ী মাত্র ১৮ দিন সময়ে পুরো উপজেলায় জনসংযোগ ও উঠান বৈঠক করি। এতেই সাধারণ মানুষ আমার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ঢেঁকি প্রতীকে ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেন।’ তিনি বারবার যে বিষয়ে জোর দিয়েছেন, তা হলো ‘জনগণের ভালোবাসা’। তিনি মনে করেন, পরিবারের দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিচয় তাঁকে এগিয়ে দিয়েছে অনেকখানি। এখন বাকিটা তিনি অর্জন করে নিতে চান।
প্রবাদ আছে, দুঃসাহসে দুঃখ হয়। কিন্তু বাগেরহাটের প্রজাপতি স্কোয়াড দুঃসাহসে ভর করে আলোর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আমাদের সমাজ বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া এখনো যে কতটা কঠিন কাজ, তা কারও অজানা নয়। সেই কঠিন কাজই করে চলেছে বাগেরহাটের কিশোরীরা। প্রজাপতি স্কোয়াড নামে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছে তার
২ দিন আগেগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে নিহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন বা ওএইচসিএইচআর এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের
২ দিন আগেআপনি শিক্ষিত ও সচেতন একজন মানুষ। সম্পর্কের একটি সুন্দর পর্যায়ে আছেন। তবে আপনার সঙ্গীর যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, তা কিন্তু বড় ধরনের আবেগীয়
২ দিন আগেশওকত আরা খন্দকার ওরফে ঝর্ণা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ঘর-সংসার সামলে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
২ দিন আগে