ইমতিয়াজ মাহমুদ
আগের মতো এখন হয়তো সে রকম অভিশাপ হিসেবে বিবেচিত হয় না। কিন্তু বাংলাদেশে কন্যাশিশু হয়ে জন্মানো খুব আনন্দদায়ক কিছুও নয়। সমাজে নারীর কল্যাণের জন্য নানা ধরনের সুবিধার প্রবর্তন হয়েছে বটে, কিন্তু সমাজ যেহেতু রয়ে গেছে পুরোদস্তুর পিতৃতান্ত্রিক, তাই নারীর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্যের সূচনা হয় একটি শিশুর শৈশব থেকেই। নারীকে এখানে দেখা হয় পুরুষের তুলনায় অধম হিসেবে, একপ্রকার ঊনমানুষ হিসেবে এবং কেবলই পুরুষের মালিকানাধীন পুরুষের ভোগের নিমিত্তে সৃষ্ট প্রাণী হিসেবে। নারীর জন্য সমাজের নির্ধারিত ভূমিকা হচ্ছে পুরুষের সেবা করা, পুরুষের শারীরিক তৃপ্তি দেওয়া, পুরুষের জন্য সন্তান উৎপাদন করা এবং সন্তান দেখাশোনা করা। এই শিক্ষা প্রতিটি শিশুই পরিবার থেকে পায়—কন্যা ও পুত্ররাও। একটি ছেলেশিশু যেহেতু পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিতে পৃথিবীকে দেখতে শেখে, নারীকে দেখে সে নিতান্তই ভোগের বস্তু হিসেবে। এ কারণেই নারীকে হয়রানি করা, যৌন হয়রানি বা অন্য যেকোনো প্রকার হয়রানি, সেটাকে আমাদের সমাজে খুব গুরুতর কোনো অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় না। ফলে নারীদের হয়রানি করা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে আর সেটা এখনো বিদ্যমান আছে।
আর এখন যেহেতু অনায়াস যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইন্টারনেট মূল জায়গা দখল করে নিয়েছে, নারীকে হয়রানি করার প্রবণতা বাস্তব জগতের পাশাপাশি অনলাইনেও ছড়িয়ে গেছে। বছর দেড়েক আগে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের এক জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ৫০ ভাগ নারী জানিয়েছেন, তাঁরা কোনো না কোনো সময় অনলাইনে হেনস্তা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শতকরা ৬২ ভাগের বয়স ২৫ বছরের কম। অনলাইনে নারীকে হয়রানি করার এই ভয়াবহ বিস্তার সবাই উপলব্ধি করেন এবং এ রকম হয়রানি রোধে বিভিন্ন আইন করা, পুলিশের বিশেষ ইউনিট গঠন করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এসব ব্যবস্থা কাজ করে হয়রানির ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে। আইন করে হয়রানি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। আর এই যে আইন করে শাস্তির বিধান করা বা পুলিশের বিশেষ ইউনিট ইত্যাদি গঠন করা, তাতে কিছু কাজ হয়তো হচ্ছে, অল্প কিছু অপরাধী পাকড়াও হচ্ছে, শাস্তিও পাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধের সংখ্যার তুলনায় তা অতিসামান্য। ওই একই জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ২৫ ভাগ ভিকটিম কখনো তাঁদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপরাধের পর প্রতিকার পাওয়ার কোনো চেষ্টা করেননি এবং শতকরা ৪৮ জন মনে করেন, আইনের কাছে কোনো প্রতিকার পাওয়া যাবে না।
পুলিশের কাছে নারী বা শিশুদের পিতা-মাতারা হয়রানির অভিযোগ নিয়ে না যাওয়ার আরেকটা কারণ নিহিত আছে—নারীকে ভোগের পণ্য হিসেবে দেখার পিতৃতান্ত্রিক প্রথার মধ্যেই। ফেসবুক বা ভার্চুয়াল বা অন্য কোনো মাধ্যমে হয়রানি বা হেনস্তার শিকার হলেও কম বয়সী নারীরা বা তাঁদের পিতা-মাতা অনেক সময় বিষয়টা গোপন রাখতে বেশি আগ্রহী হন।
কেননা হয়রানির কথা প্রকাশ হয়ে গেলে সমাজে নারীটিকেই দোষারোপ করা হয়। তাহলে অনলাইনে নারী হয়রানির প্রতিরোধ করার উপায় কী? সাধারণভাবে বলা যায়, পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ভেঙে নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠার আগে পর্যন্ত মানুষ হিসেবে নারীর পূর্ণ মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে না এবং এসব হয়রানি, হেনস্তাও বন্ধ হবে না। এ কথা যেমন সত্যি, তেমনি সত্যি যে সমাজ বদলে নারীর জন্য অনুকূল হয়ে ওঠা পর্যন্ত আপনি বসে থাকতে পারবেন না। বিদ্যমান সমাজকাঠামোর মধ্যেই কি প্রতিরোধের কোনো পথ নেই? নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু সেই পথ খুব সংক্ষিপ্তও নয় বা খুব সহজও নয়।
প্রথমেই বলে নিতে হয় অনলাইনে নারীর উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না, বন্ধ করা তো নয়ই। কেননা শুধু প্রতিদিনের ব্যবহারিক প্রয়োজনই নয়, জ্ঞান-বিজ্ঞানের তথ্য বা সাধারণভাবে পাঠাভ্যাসও ধীরে ধীরে অনলাইনভিত্তিক হয়ে যাবে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের পূর্ণ সুযোগ রেখেই নারীর জন্য অনলাইনে সুরক্ষার ব্যবস্থা ভাবতে হবে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে শাস্তি দেওয়ার জন্য আমাদের সাইবার সিকিউরিটি আইনসহ দণ্ডবিধি এবং অন্যান্য আইনে যেসব বিধান আছে, সেগুলো মোটামুটি পর্যাপ্ত। কিন্তু প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে সম্ভাব্য অপরাধীর সংখ্যা কমাতে হবে। সেটা কীভাবে করবেন? শৈশব থেকেই স্কুলে নারী অধিকার বিষয়টা শেখাতে হবে ছেলেমেয়েদের। শেখাতে হবে যে নারী কোনোভাবেই পুরুষের তুলনায় কম নয়, ঊন নয় বা ছোট নয়। তাহলেই দেখবেন কয়েক বছরের মধ্যে সাইবার হয়রানি করে এমন লোকের সংখ্যা কমে যাবে।
আর নারী অধিকারের শিক্ষা যদি ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েদের শেখানো হয়, তাহলে সেই সব বাজে ধারণাও কেটে যাবে যে নারী হচ্ছেন রসগোল্লার মতো বা পাকা ফলের মতো, কেউ তাঁকে স্পর্শ করলে বা ধর্ষণ করলে বা যৌন হয়রানি করলে তিনি ‘বাতিল’ বলে গণ্য হবেন। একজন নারী যদি নির্যাতনের বা হয়রানির শিকার হন, হোক তা ধর্ষণ বা নগ্ন ছবি প্রকাশ করে দেওয়া বা এ রকম কিছু, এর ফলে যদি নারীর মনে এবং সাধারণভাবে সমাজের সবার মধ্যে তাঁকে দোষারোপ করা বা তিনি নষ্ট হয়ে গেছেন, এ রকম ধারণা পোষণ করা বন্ধ হয়, তাহলে দেখা যাবে নির্যাতনের বিরুদ্ধে সব নারী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বাবা-মায়েরা পুলিশের সহযোগিতা নিতে মোটেই দ্বিধা করবেন না। সেই সঙ্গে বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনাটাও জরুরি। অ্যাকশনএইডের সেই জরিপে শতকরা ৩০ ভাগ নারী মনে করেন, পুলিশে রিপোর্ট করে কোনো লাভ হবে না। এ ধারণাটা ভাঙাতে হবে।
বিদ্যমান সমাজে বিরাজমান নারীর প্রতি বৈষম্য চূড়ান্তভাবে দূর না হলে নারীর প্রতি নির্যাতন দূর হবে না, হোক সে ভার্চুয়াল জগতে বা বস্তুগত জগতে। কিন্তু শিক্ষা ও চর্চার মাধ্যমে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি খানিকটা পরিবর্তন করা যায়। তাতেও প্রতিরোধ করা যাবে অনেকখানি।
লেখক: আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট
আগের মতো এখন হয়তো সে রকম অভিশাপ হিসেবে বিবেচিত হয় না। কিন্তু বাংলাদেশে কন্যাশিশু হয়ে জন্মানো খুব আনন্দদায়ক কিছুও নয়। সমাজে নারীর কল্যাণের জন্য নানা ধরনের সুবিধার প্রবর্তন হয়েছে বটে, কিন্তু সমাজ যেহেতু রয়ে গেছে পুরোদস্তুর পিতৃতান্ত্রিক, তাই নারীর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্যের সূচনা হয় একটি শিশুর শৈশব থেকেই। নারীকে এখানে দেখা হয় পুরুষের তুলনায় অধম হিসেবে, একপ্রকার ঊনমানুষ হিসেবে এবং কেবলই পুরুষের মালিকানাধীন পুরুষের ভোগের নিমিত্তে সৃষ্ট প্রাণী হিসেবে। নারীর জন্য সমাজের নির্ধারিত ভূমিকা হচ্ছে পুরুষের সেবা করা, পুরুষের শারীরিক তৃপ্তি দেওয়া, পুরুষের জন্য সন্তান উৎপাদন করা এবং সন্তান দেখাশোনা করা। এই শিক্ষা প্রতিটি শিশুই পরিবার থেকে পায়—কন্যা ও পুত্ররাও। একটি ছেলেশিশু যেহেতু পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিতে পৃথিবীকে দেখতে শেখে, নারীকে দেখে সে নিতান্তই ভোগের বস্তু হিসেবে। এ কারণেই নারীকে হয়রানি করা, যৌন হয়রানি বা অন্য যেকোনো প্রকার হয়রানি, সেটাকে আমাদের সমাজে খুব গুরুতর কোনো অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় না। ফলে নারীদের হয়রানি করা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে আর সেটা এখনো বিদ্যমান আছে।
আর এখন যেহেতু অনায়াস যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইন্টারনেট মূল জায়গা দখল করে নিয়েছে, নারীকে হয়রানি করার প্রবণতা বাস্তব জগতের পাশাপাশি অনলাইনেও ছড়িয়ে গেছে। বছর দেড়েক আগে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের এক জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ৫০ ভাগ নারী জানিয়েছেন, তাঁরা কোনো না কোনো সময় অনলাইনে হেনস্তা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শতকরা ৬২ ভাগের বয়স ২৫ বছরের কম। অনলাইনে নারীকে হয়রানি করার এই ভয়াবহ বিস্তার সবাই উপলব্ধি করেন এবং এ রকম হয়রানি রোধে বিভিন্ন আইন করা, পুলিশের বিশেষ ইউনিট গঠন করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এসব ব্যবস্থা কাজ করে হয়রানির ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে। আইন করে হয়রানি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। আর এই যে আইন করে শাস্তির বিধান করা বা পুলিশের বিশেষ ইউনিট ইত্যাদি গঠন করা, তাতে কিছু কাজ হয়তো হচ্ছে, অল্প কিছু অপরাধী পাকড়াও হচ্ছে, শাস্তিও পাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধের সংখ্যার তুলনায় তা অতিসামান্য। ওই একই জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ২৫ ভাগ ভিকটিম কখনো তাঁদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপরাধের পর প্রতিকার পাওয়ার কোনো চেষ্টা করেননি এবং শতকরা ৪৮ জন মনে করেন, আইনের কাছে কোনো প্রতিকার পাওয়া যাবে না।
পুলিশের কাছে নারী বা শিশুদের পিতা-মাতারা হয়রানির অভিযোগ নিয়ে না যাওয়ার আরেকটা কারণ নিহিত আছে—নারীকে ভোগের পণ্য হিসেবে দেখার পিতৃতান্ত্রিক প্রথার মধ্যেই। ফেসবুক বা ভার্চুয়াল বা অন্য কোনো মাধ্যমে হয়রানি বা হেনস্তার শিকার হলেও কম বয়সী নারীরা বা তাঁদের পিতা-মাতা অনেক সময় বিষয়টা গোপন রাখতে বেশি আগ্রহী হন।
কেননা হয়রানির কথা প্রকাশ হয়ে গেলে সমাজে নারীটিকেই দোষারোপ করা হয়। তাহলে অনলাইনে নারী হয়রানির প্রতিরোধ করার উপায় কী? সাধারণভাবে বলা যায়, পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ভেঙে নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠার আগে পর্যন্ত মানুষ হিসেবে নারীর পূর্ণ মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে না এবং এসব হয়রানি, হেনস্তাও বন্ধ হবে না। এ কথা যেমন সত্যি, তেমনি সত্যি যে সমাজ বদলে নারীর জন্য অনুকূল হয়ে ওঠা পর্যন্ত আপনি বসে থাকতে পারবেন না। বিদ্যমান সমাজকাঠামোর মধ্যেই কি প্রতিরোধের কোনো পথ নেই? নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু সেই পথ খুব সংক্ষিপ্তও নয় বা খুব সহজও নয়।
প্রথমেই বলে নিতে হয় অনলাইনে নারীর উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না, বন্ধ করা তো নয়ই। কেননা শুধু প্রতিদিনের ব্যবহারিক প্রয়োজনই নয়, জ্ঞান-বিজ্ঞানের তথ্য বা সাধারণভাবে পাঠাভ্যাসও ধীরে ধীরে অনলাইনভিত্তিক হয়ে যাবে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের পূর্ণ সুযোগ রেখেই নারীর জন্য অনলাইনে সুরক্ষার ব্যবস্থা ভাবতে হবে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে শাস্তি দেওয়ার জন্য আমাদের সাইবার সিকিউরিটি আইনসহ দণ্ডবিধি এবং অন্যান্য আইনে যেসব বিধান আছে, সেগুলো মোটামুটি পর্যাপ্ত। কিন্তু প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে সম্ভাব্য অপরাধীর সংখ্যা কমাতে হবে। সেটা কীভাবে করবেন? শৈশব থেকেই স্কুলে নারী অধিকার বিষয়টা শেখাতে হবে ছেলেমেয়েদের। শেখাতে হবে যে নারী কোনোভাবেই পুরুষের তুলনায় কম নয়, ঊন নয় বা ছোট নয়। তাহলেই দেখবেন কয়েক বছরের মধ্যে সাইবার হয়রানি করে এমন লোকের সংখ্যা কমে যাবে।
আর নারী অধিকারের শিক্ষা যদি ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েদের শেখানো হয়, তাহলে সেই সব বাজে ধারণাও কেটে যাবে যে নারী হচ্ছেন রসগোল্লার মতো বা পাকা ফলের মতো, কেউ তাঁকে স্পর্শ করলে বা ধর্ষণ করলে বা যৌন হয়রানি করলে তিনি ‘বাতিল’ বলে গণ্য হবেন। একজন নারী যদি নির্যাতনের বা হয়রানির শিকার হন, হোক তা ধর্ষণ বা নগ্ন ছবি প্রকাশ করে দেওয়া বা এ রকম কিছু, এর ফলে যদি নারীর মনে এবং সাধারণভাবে সমাজের সবার মধ্যে তাঁকে দোষারোপ করা বা তিনি নষ্ট হয়ে গেছেন, এ রকম ধারণা পোষণ করা বন্ধ হয়, তাহলে দেখা যাবে নির্যাতনের বিরুদ্ধে সব নারী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বাবা-মায়েরা পুলিশের সহযোগিতা নিতে মোটেই দ্বিধা করবেন না। সেই সঙ্গে বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনাটাও জরুরি। অ্যাকশনএইডের সেই জরিপে শতকরা ৩০ ভাগ নারী মনে করেন, পুলিশে রিপোর্ট করে কোনো লাভ হবে না। এ ধারণাটা ভাঙাতে হবে।
বিদ্যমান সমাজে বিরাজমান নারীর প্রতি বৈষম্য চূড়ান্তভাবে দূর না হলে নারীর প্রতি নির্যাতন দূর হবে না, হোক সে ভার্চুয়াল জগতে বা বস্তুগত জগতে। কিন্তু শিক্ষা ও চর্চার মাধ্যমে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি খানিকটা পরিবর্তন করা যায়। তাতেও প্রতিরোধ করা যাবে অনেকখানি।
লেখক: আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট
প্রবাদ আছে, দুঃসাহসে দুঃখ হয়। কিন্তু বাগেরহাটের প্রজাপতি স্কোয়াড দুঃসাহসে ভর করে আলোর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আমাদের সমাজ বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া এখনো যে কতটা কঠিন কাজ, তা কারও অজানা নয়। সেই কঠিন কাজই করে চলেছে বাগেরহাটের কিশোরীরা। প্রজাপতি স্কোয়াড নামে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছে তার
২ দিন আগেগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে নিহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন বা ওএইচসিএইচআর এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের
২ দিন আগেআপনি শিক্ষিত ও সচেতন একজন মানুষ। সম্পর্কের একটি সুন্দর পর্যায়ে আছেন। তবে আপনার সঙ্গীর যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, তা কিন্তু বড় ধরনের আবেগীয়
২ দিন আগেশওকত আরা খন্দকার ওরফে ঝর্ণা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ঘর-সংসার সামলে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
২ দিন আগে