মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা
লোকে বলে, মেয়ে হয়ে জন্মালে নাকি অনেক কিছু সহ্য করতে হয়। মানিয়ে নিতে হয় পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার সঙ্গে। জন্মলগ্ন থেকে একটি কন্যাশিশুকে আবদ্ধ করা হয় বৈষম্যের বাক্সে। সেটি শুরু হয় পোশাক কিংবা খাবারের থালা থেকে। সমাজের আধুনিকায়ন নিয়ে উঠেপড়ে লাগলেও আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মস্তিষ্ক ও মননে কন্যাশিশুদের বিষয়ে কতটা আধুনিক, সেটিই এক বিরাট প্রশ্ন।
একুশ শতকে কন্যাশিশুরা বিশ্বে বাধাহীন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এ সময়েও আমাদের সমাজে কন্যাদের মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার গতি যেন খানিক ধীরই রয়ে গেছে। পুত্রসন্তানকাঙ্ক্ষী সংসারে জন্ম নেওয়া অধিকাংশ কন্যাশিশু এখনো অবহেলার শিকার। অসচ্ছল পরিবারগুলোতে তারা হয়ে ওঠে বোঝা। কন্যাসন্তান পরিবারের জন্য অভিশাপ—সমাজের এ ধারণা এখনো বদলায়নি। এর দায় প্রথমত পরিবারের। সমাজের বিভিন্ন ট্যাবুর কারণে বাবা-মা থেকে শুরু হয় পুত্র-কন্যার মধ্যে পার্থক্য। ভালো স্কুলে পড়ানো কিংবা উৎসবে ভালো পোশাক—এসবে গুরুত্ব পায় পুত্ররা। একুশ শতকে এসেও কন্যাকে যে পর্যন্ত না পাত্রস্থ করা হচ্ছে, সে পর্যন্ত যেন মা-বাবার স্বস্তি নেই।
শুধু কি তাই! এ সমাজে আজও ‘বাবার বাড়ির’ সম্পদে শতভাগ অধিকার পুত্রের। সেখানে কন্যারা করুণারই পাত্র হয়ে থাকে এখনো।
আইনকানুন সবই এখানে হেরে যায় শুধু পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে। শুধু পুরুষ মস্তিষ্ক যে এমন চিন্তার উৎস, এমনটা নয়। নারীরাও এ ক্ষেত্রে একই নৌকার মাঝি। যে মায়ের তার মেয়ের অধিকার নিয়ে কথা বলার কথা, তিনি সমাজের শেখানো বুলিতে নিজের কন্যার বিপক্ষে অবস্থান নেন। এ ক্ষেত্রেও কারণ কিন্তু ওই—পুরুষতন্ত্র। পুত্রই পরিবারের কর্তা হয়ে উঠবে, আর মেয়ে যাবে অন্য পুরুষের বাড়ি।
নারীদের ক্ষমতায়ন বেড়েছে। অর্থনীতিতে তাদের দখল এসেছে আগের তুলনায় বেশি। সবই ঠিক আছে। কিন্তু মননে? এখনো সেই আদিম তিমিরেই পড়ে আছি আমরা। সবকিছুই বাড়ছে। শুধু বাড়ছে না কন্যার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার, কন্যাকে মেনে নেওয়ার প্রবণতা।
‘কন্যাশিশুর স্বপ্নে গড়ি আগামীর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত হবে। অতীতের মতো এ প্রতিপাদ্যও কি সেমিনারের আলোচনায় আটকে থাকবে?
লোকে বলে, মেয়ে হয়ে জন্মালে নাকি অনেক কিছু সহ্য করতে হয়। মানিয়ে নিতে হয় পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার সঙ্গে। জন্মলগ্ন থেকে একটি কন্যাশিশুকে আবদ্ধ করা হয় বৈষম্যের বাক্সে। সেটি শুরু হয় পোশাক কিংবা খাবারের থালা থেকে। সমাজের আধুনিকায়ন নিয়ে উঠেপড়ে লাগলেও আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মস্তিষ্ক ও মননে কন্যাশিশুদের বিষয়ে কতটা আধুনিক, সেটিই এক বিরাট প্রশ্ন।
একুশ শতকে কন্যাশিশুরা বিশ্বে বাধাহীন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এ সময়েও আমাদের সমাজে কন্যাদের মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার গতি যেন খানিক ধীরই রয়ে গেছে। পুত্রসন্তানকাঙ্ক্ষী সংসারে জন্ম নেওয়া অধিকাংশ কন্যাশিশু এখনো অবহেলার শিকার। অসচ্ছল পরিবারগুলোতে তারা হয়ে ওঠে বোঝা। কন্যাসন্তান পরিবারের জন্য অভিশাপ—সমাজের এ ধারণা এখনো বদলায়নি। এর দায় প্রথমত পরিবারের। সমাজের বিভিন্ন ট্যাবুর কারণে বাবা-মা থেকে শুরু হয় পুত্র-কন্যার মধ্যে পার্থক্য। ভালো স্কুলে পড়ানো কিংবা উৎসবে ভালো পোশাক—এসবে গুরুত্ব পায় পুত্ররা। একুশ শতকে এসেও কন্যাকে যে পর্যন্ত না পাত্রস্থ করা হচ্ছে, সে পর্যন্ত যেন মা-বাবার স্বস্তি নেই।
শুধু কি তাই! এ সমাজে আজও ‘বাবার বাড়ির’ সম্পদে শতভাগ অধিকার পুত্রের। সেখানে কন্যারা করুণারই পাত্র হয়ে থাকে এখনো।
আইনকানুন সবই এখানে হেরে যায় শুধু পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে। শুধু পুরুষ মস্তিষ্ক যে এমন চিন্তার উৎস, এমনটা নয়। নারীরাও এ ক্ষেত্রে একই নৌকার মাঝি। যে মায়ের তার মেয়ের অধিকার নিয়ে কথা বলার কথা, তিনি সমাজের শেখানো বুলিতে নিজের কন্যার বিপক্ষে অবস্থান নেন। এ ক্ষেত্রেও কারণ কিন্তু ওই—পুরুষতন্ত্র। পুত্রই পরিবারের কর্তা হয়ে উঠবে, আর মেয়ে যাবে অন্য পুরুষের বাড়ি।
নারীদের ক্ষমতায়ন বেড়েছে। অর্থনীতিতে তাদের দখল এসেছে আগের তুলনায় বেশি। সবই ঠিক আছে। কিন্তু মননে? এখনো সেই আদিম তিমিরেই পড়ে আছি আমরা। সবকিছুই বাড়ছে। শুধু বাড়ছে না কন্যার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার, কন্যাকে মেনে নেওয়ার প্রবণতা।
‘কন্যাশিশুর স্বপ্নে গড়ি আগামীর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত হবে। অতীতের মতো এ প্রতিপাদ্যও কি সেমিনারের আলোচনায় আটকে থাকবে?
প্রবাদ আছে, দুঃসাহসে দুঃখ হয়। কিন্তু বাগেরহাটের প্রজাপতি স্কোয়াড দুঃসাহসে ভর করে আলোর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আমাদের সমাজ বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া এখনো যে কতটা কঠিন কাজ, তা কারও অজানা নয়। সেই কঠিন কাজই করে চলেছে বাগেরহাটের কিশোরীরা। প্রজাপতি স্কোয়াড নামে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছে তার
২ দিন আগেগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে নিহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন বা ওএইচসিএইচআর এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের
২ দিন আগেআপনি শিক্ষিত ও সচেতন একজন মানুষ। সম্পর্কের একটি সুন্দর পর্যায়ে আছেন। তবে আপনার সঙ্গীর যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, তা কিন্তু বড় ধরনের আবেগীয়
২ দিন আগেশওকত আরা খন্দকার ওরফে ঝর্ণা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ঘর-সংসার সামলে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
২ দিন আগে