প্রশ্ন: অন্তর্বর্তী সরকার এক মাস অতিক্রম করেছে, তাদের কর্মপরিকল্পনায় কতটুকু সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন?
নাজিফা: পুরো সময়ে আমরা চেয়েছি পরিবর্তন। আর এই সময়ের মধ্যে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। পাশাপাশি বেশ কিছু জায়গায় পরিবর্তন লক্ষ করেছি। যেমন বিভিন্ন পদে পুনর্বহাল হচ্ছে। আগের সরকারের আমলে তারা বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট স্বৈরাচারী সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল, সেসব জায়গায় নিয়োগ হচ্ছে। এটি পজিটিভ দিক। বাংলা একাডেমি এবং শিল্পকলায় ডিজি নিয়োগ হয়েছে। তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করছেন। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বলতে হলে আমি মনে করি, মব জাস্টিসের জায়গাটা এখনো আশঙ্কাজনক হয়ে রয়েছে। আমরা ল অ্যান্ড অর্ডার যেভাবে ফিরে পাওয়ার আশা করেছিলাম, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে চাওয়া, সেটা পূরণ হয়নি। সিন্ডিকেট ভাঙার একটা দাবি ছিল। সেটা হয়নি। মাজার ভাঙার মতো ঘটনা ঘটছে। এক মাস বিবেচনা করে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন নিয়ে বলতে গেলে রাষ্ট্র শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে, এটা একটা পজিটিভ দিক। তবে নেগেটিভ দিক হলো, জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখনো সম্ভব হয়নি।
প্রশ্ন: গত এক মাসের কাজগুলো কতটা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করছেন?
নাজিফা: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কথা বলতে গেলে, আমরা জানি একটা শ্বেতপত্র প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। এটা গত সরকারের আমলের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিকে তুলে ধরার জন্য করা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে এমন একটি শ্বেতপত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখনো আমরা আসলে বিগত সরকারের আমলে কী হয়েছিল, কী কী হওয়া উচিত ছিল, সেই প্রক্রিয়াতেই আছি। এই অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস হয়েছে দায়িত্ব নেওয়ার। তারা সেভাবে গুছিয়ে উঠতে পারেনি। ফলে কাজের রূপরেখা দেওয়া এবং জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করার বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে দু-একটি জায়গায় তারা চেষ্টা করছে। যেমন প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে পুরোপুরি একটি রোডম্যাপ দিয়েছেন। তাঁরা কী করছেন, তাঁদের পরিকল্পনা কী, এগুলো তিনি বলেছেন। জনগণ জানতে চায়, তাঁরা কী করছেন। সে জায়গা থেকে তাঁর ভাষণটাকে আমি জবাবদিহির একটা অংশ বলে ধরে নিতে পারি। তবে জনগণের জিজ্ঞাসার জন্য তাঁদের আরও এনগেজ থাকতে হবে বলে মনে করি।
প্রশ্ন: পূর্ববর্তী সরকারের কাজকর্ম নাকি সাধারণ জনগণের বেসিক সমস্যা নিয়ে কাজ করা বর্তমানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আপনি মনে করেন?
নাজিফা: দুটিই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই গণ-অভ্যুত্থানের সিরিজটা ছিল স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থাকে বিলুপ্ত করা। স্বৈরাচার কীভাবে গড়ে উঠেছিল, এর এলিমেন্টগুলো কী, এ সময় এসে যদি আমরা সেগুলোকে চিহ্নিত করতে না পারি, কীভাবে এটাকে সরিয়ে রাখব, এটা যদি ঠিক করতে না পারি, তাহলে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের যে লক্ষ্য, সেটা পূরণ হবে না। এই বিষয়টি সামনে রাখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমন প্রায়োরিটি সেট করাও গুরুত্বপূর্ণ। এখন মানুষ হাঁপ ছেড়ে বাঁচতে চায়। তাদের কিছু চাওয়া আছে, সাধারণ জনগণের এই সাধারণ চাওয়াগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। এতে জনগণের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। ওই সমস্যাগুলোর পাশাপাশি বর্তমানে গণমানুষের চাওয়াকে গুরুত্ব দিতে হবে। মানুষের স্বাভাবিক জীবন যে জিনিসগুলোর কারণে ব্যাহত হচ্ছে, যেমন যানজট, লোডশেডিং, সিন্ডিকেট—এগুলোকে ফার্স্ট প্রায়োরিটি বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করতে হবে।
প্রশ্ন: অন্তর্বর্তী সরকার এক মাস অতিক্রম করেছে, তাদের কর্মপরিকল্পনায় কতটুকু সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন?
নাজিফা: পুরো সময়ে আমরা চেয়েছি পরিবর্তন। আর এই সময়ের মধ্যে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। পাশাপাশি বেশ কিছু জায়গায় পরিবর্তন লক্ষ করেছি। যেমন বিভিন্ন পদে পুনর্বহাল হচ্ছে। আগের সরকারের আমলে তারা বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট স্বৈরাচারী সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল, সেসব জায়গায় নিয়োগ হচ্ছে। এটি পজিটিভ দিক। বাংলা একাডেমি এবং শিল্পকলায় ডিজি নিয়োগ হয়েছে। তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করছেন। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বলতে হলে আমি মনে করি, মব জাস্টিসের জায়গাটা এখনো আশঙ্কাজনক হয়ে রয়েছে। আমরা ল অ্যান্ড অর্ডার যেভাবে ফিরে পাওয়ার আশা করেছিলাম, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে চাওয়া, সেটা পূরণ হয়নি। সিন্ডিকেট ভাঙার একটা দাবি ছিল। সেটা হয়নি। মাজার ভাঙার মতো ঘটনা ঘটছে। এক মাস বিবেচনা করে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন নিয়ে বলতে গেলে রাষ্ট্র শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে, এটা একটা পজিটিভ দিক। তবে নেগেটিভ দিক হলো, জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখনো সম্ভব হয়নি।
প্রশ্ন: গত এক মাসের কাজগুলো কতটা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করছেন?
নাজিফা: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কথা বলতে গেলে, আমরা জানি একটা শ্বেতপত্র প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। এটা গত সরকারের আমলের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিকে তুলে ধরার জন্য করা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে এমন একটি শ্বেতপত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখনো আমরা আসলে বিগত সরকারের আমলে কী হয়েছিল, কী কী হওয়া উচিত ছিল, সেই প্রক্রিয়াতেই আছি। এই অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস হয়েছে দায়িত্ব নেওয়ার। তারা সেভাবে গুছিয়ে উঠতে পারেনি। ফলে কাজের রূপরেখা দেওয়া এবং জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করার বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে দু-একটি জায়গায় তারা চেষ্টা করছে। যেমন প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে পুরোপুরি একটি রোডম্যাপ দিয়েছেন। তাঁরা কী করছেন, তাঁদের পরিকল্পনা কী, এগুলো তিনি বলেছেন। জনগণ জানতে চায়, তাঁরা কী করছেন। সে জায়গা থেকে তাঁর ভাষণটাকে আমি জবাবদিহির একটা অংশ বলে ধরে নিতে পারি। তবে জনগণের জিজ্ঞাসার জন্য তাঁদের আরও এনগেজ থাকতে হবে বলে মনে করি।
প্রশ্ন: পূর্ববর্তী সরকারের কাজকর্ম নাকি সাধারণ জনগণের বেসিক সমস্যা নিয়ে কাজ করা বর্তমানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আপনি মনে করেন?
নাজিফা: দুটিই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই গণ-অভ্যুত্থানের সিরিজটা ছিল স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থাকে বিলুপ্ত করা। স্বৈরাচার কীভাবে গড়ে উঠেছিল, এর এলিমেন্টগুলো কী, এ সময় এসে যদি আমরা সেগুলোকে চিহ্নিত করতে না পারি, কীভাবে এটাকে সরিয়ে রাখব, এটা যদি ঠিক করতে না পারি, তাহলে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের যে লক্ষ্য, সেটা পূরণ হবে না। এই বিষয়টি সামনে রাখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমন প্রায়োরিটি সেট করাও গুরুত্বপূর্ণ। এখন মানুষ হাঁপ ছেড়ে বাঁচতে চায়। তাদের কিছু চাওয়া আছে, সাধারণ জনগণের এই সাধারণ চাওয়াগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। এতে জনগণের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। ওই সমস্যাগুলোর পাশাপাশি বর্তমানে গণমানুষের চাওয়াকে গুরুত্ব দিতে হবে। মানুষের স্বাভাবিক জীবন যে জিনিসগুলোর কারণে ব্যাহত হচ্ছে, যেমন যানজট, লোডশেডিং, সিন্ডিকেট—এগুলোকে ফার্স্ট প্রায়োরিটি বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করতে হবে।
প্রবাদ আছে, দুঃসাহসে দুঃখ হয়। কিন্তু বাগেরহাটের প্রজাপতি স্কোয়াড দুঃসাহসে ভর করে আলোর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আমাদের সমাজ বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া এখনো যে কতটা কঠিন কাজ, তা কারও অজানা নয়। সেই কঠিন কাজই করে চলেছে বাগেরহাটের কিশোরীরা। প্রজাপতি স্কোয়াড নামে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছে তার
২ দিন আগেগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে নিহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন বা ওএইচসিএইচআর এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের
২ দিন আগেআপনি শিক্ষিত ও সচেতন একজন মানুষ। সম্পর্কের একটি সুন্দর পর্যায়ে আছেন। তবে আপনার সঙ্গীর যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, তা কিন্তু বড় ধরনের আবেগীয়
২ দিন আগেশওকত আরা খন্দকার ওরফে ঝর্ণা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ঘর-সংসার সামলে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
২ দিন আগে