কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
বেশির ভাগ শিক্ষার্থী জীবন ও জগৎ সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা পাওয়ার আগেই বাড়ি ছেড়ে লেখাপড়ার জন্য চলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সেগুলোতে অভিভাবক হিসেবে পান শিক্ষকদের। অভিভাবকেরাও অলিখিতভাবে শিক্ষকদের হাতে ছেড়ে দেন সন্তানদের। অনেকে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে এসে শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে বলেও ফেলেন, ‘একটু দেখে রাখবেন স্যার!’ কিন্তু এই ভরসার জায়গাটা কি শিক্ষকেরা ধরে রাখতে পারছেন?
গত কয়েক মাসে বেশ কিছু ঘটনা শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে জটিলভাবে। ঘটনার পটভূমি একেবারেই নতুন কিছু নয়। শিক্ষকের কাছে হয়রানির শিকার হয়ে অনেকে বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ। অনেকেই সাহস করে লিখছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)-এর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ৭৬ শতাংশ ছাত্রী কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ হার ৮৭ শতাংশ, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলোতে ৭৬ শতাংশ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৬ শতাংশ এবং মেডিকেল কলেজে যৌন হয়রানির শিকার হন ৫৪ শতাংশ ছাত্রী।
সংবিধানের ২৮ (৪) ও ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদে নারী অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ সালে উচ্চ আদালত ১১ দফা নির্দেশনা দিলেও তার কার্যকর বাস্তবায়ন নেই। সে নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে অভিযোগ কেন্দ্র থাকবে। এই অভিযোগ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য ন্যূনতম পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে, যার প্রধান হবেন একজন নারী। এ ছাড়া কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী সদস্য থাকবেন। অভিযোগ কমিটি যৌন হয়রানির কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত ও অনুসন্ধান করবেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সেই অভিযোগ কমিটি নিয়েই থাকে ভুক্তভোগীদের বিস্তর অভিযোগ।
ব্লাস্টের এই গবেষণা ফলাফল বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেছেন, ‘ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আমার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। ঈদের পর ক্যাম্পাস খুললে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা স্পেস দিয়ে দিব। আর প্রতিটি ভবনে অভিযোগ বক্স নতুন করে লাগানো হয়েছে। এসবের চাবিও আমার কাছে। তা ছাড়া এখন নারী শিক্ষার্থীরা সরাসরিই বিভিন্ন অভিযোগ আমার কাছে নিয়ে আসে, আমি প্রক্টরিয়াল টিম নিয়ে অভিযোগগুলো সমাধান করি। এ বছর যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হবে তাদের মাঝে লিফলেটও বিতরণ করা হবে।’
উপাচার্য সাদেকা হালিম আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য তো ইউজিসি থেকে শিক্ষার্থীদের গুণগত মানের উন্নয়নের জন্য কোনো বাজেট দেওয়া হয় না। এ রকম বাজেট বরাদ্দ হওয়া দরকার। তাহলে সারা বছর বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রোগ্রামের আয়োজন করা যায়। তাহলে দেখা যাবে এ নিপীড়নের হারও কমবে।’
২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের কাজ চলমান বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার। যৌন হয়রানির বিষয় থেকে বেরিয়ে আসতে হলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি। উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থী-শিক্ষকের সম্মানের সম্পর্কটা আরও বাড়াতে হবে। এই সম্পর্ক বাড়াতে প্রত্যেক শিক্ষককে উদার হতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উভয়কেই সচেতন থাকতে হবে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেল গঠন করা আছে। কোনো শিক্ষার্থী এই সেলে অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ত্বরিত গতিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো যৌন নিপীড়কের জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না।’
সব বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আছে জিরো টলারেন্স মনোভাব। হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে অভিযোগ সেল গঠনের কথাও জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকেও হাইকোর্টের নীতিমালা মেনে চলার কথা জানান কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ইউজিসির আলাদা কোনো নীতিমালা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশই ইউজিসি মেনে চলে। এ বিষয়ে আলাদা করে কোনো নীতিমালা নেই। উচ্চশিক্ষা লেভেলে কেউ যৌন হয়রানির শিকার হলে সে এখন আর চুপ করে থাকে না। এখন আর সেই দিন নেই যে মেয়েরা নীরবে-নিভৃতে চুপ করে সবকিছু সহ্য করবে।’ শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক গুণগত মান উন্নয়নের জন্য ইউজিসির কোনো নীতিমালা বা বাজেট আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবকিছুই শিক্ষার্থীদের গুণগত মান উন্নয়নের জন্য। ল্যাব, রিসার্চের জন্য সে বাজেট দেওয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার জন্য যা কিছু বরাদ্দ করা হচ্ছে, সবই গুণগত মান উন্নয়নের জন্য। ভৌত অবকাঠামো, লাইব্রেরি, বই, ভাতা এগুলোও এই গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্যই করা হচ্ছে। হল, হোস্টেল করা এগুলো শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নের জন্যই।’
এই নীতিকথা কিংবা আইন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আছে নেতিবাচক মনোভাব। অনেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, আইন, অবকাঠামো কিংবা রূপরেখা যা-ই থাক না কেন, এই ব্যাপক নির্যাতন যদি বন্ধ না হয় মানসিকভাবে সুস্থ মানুষ কখনোই বের হবে না উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে।
বেশির ভাগ শিক্ষার্থী জীবন ও জগৎ সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা পাওয়ার আগেই বাড়ি ছেড়ে লেখাপড়ার জন্য চলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সেগুলোতে অভিভাবক হিসেবে পান শিক্ষকদের। অভিভাবকেরাও অলিখিতভাবে শিক্ষকদের হাতে ছেড়ে দেন সন্তানদের। অনেকে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে এসে শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে বলেও ফেলেন, ‘একটু দেখে রাখবেন স্যার!’ কিন্তু এই ভরসার জায়গাটা কি শিক্ষকেরা ধরে রাখতে পারছেন?
গত কয়েক মাসে বেশ কিছু ঘটনা শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে জটিলভাবে। ঘটনার পটভূমি একেবারেই নতুন কিছু নয়। শিক্ষকের কাছে হয়রানির শিকার হয়ে অনেকে বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ। অনেকেই সাহস করে লিখছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)-এর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ৭৬ শতাংশ ছাত্রী কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ হার ৮৭ শতাংশ, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলোতে ৭৬ শতাংশ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৬ শতাংশ এবং মেডিকেল কলেজে যৌন হয়রানির শিকার হন ৫৪ শতাংশ ছাত্রী।
সংবিধানের ২৮ (৪) ও ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদে নারী অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ সালে উচ্চ আদালত ১১ দফা নির্দেশনা দিলেও তার কার্যকর বাস্তবায়ন নেই। সে নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে অভিযোগ কেন্দ্র থাকবে। এই অভিযোগ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য ন্যূনতম পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে, যার প্রধান হবেন একজন নারী। এ ছাড়া কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী সদস্য থাকবেন। অভিযোগ কমিটি যৌন হয়রানির কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত ও অনুসন্ধান করবেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সেই অভিযোগ কমিটি নিয়েই থাকে ভুক্তভোগীদের বিস্তর অভিযোগ।
ব্লাস্টের এই গবেষণা ফলাফল বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেছেন, ‘ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আমার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। ঈদের পর ক্যাম্পাস খুললে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা স্পেস দিয়ে দিব। আর প্রতিটি ভবনে অভিযোগ বক্স নতুন করে লাগানো হয়েছে। এসবের চাবিও আমার কাছে। তা ছাড়া এখন নারী শিক্ষার্থীরা সরাসরিই বিভিন্ন অভিযোগ আমার কাছে নিয়ে আসে, আমি প্রক্টরিয়াল টিম নিয়ে অভিযোগগুলো সমাধান করি। এ বছর যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হবে তাদের মাঝে লিফলেটও বিতরণ করা হবে।’
উপাচার্য সাদেকা হালিম আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য তো ইউজিসি থেকে শিক্ষার্থীদের গুণগত মানের উন্নয়নের জন্য কোনো বাজেট দেওয়া হয় না। এ রকম বাজেট বরাদ্দ হওয়া দরকার। তাহলে সারা বছর বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রোগ্রামের আয়োজন করা যায়। তাহলে দেখা যাবে এ নিপীড়নের হারও কমবে।’
২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের কাজ চলমান বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার। যৌন হয়রানির বিষয় থেকে বেরিয়ে আসতে হলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি। উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থী-শিক্ষকের সম্মানের সম্পর্কটা আরও বাড়াতে হবে। এই সম্পর্ক বাড়াতে প্রত্যেক শিক্ষককে উদার হতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উভয়কেই সচেতন থাকতে হবে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেল গঠন করা আছে। কোনো শিক্ষার্থী এই সেলে অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ত্বরিত গতিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো যৌন নিপীড়কের জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না।’
সব বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আছে জিরো টলারেন্স মনোভাব। হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে অভিযোগ সেল গঠনের কথাও জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকেও হাইকোর্টের নীতিমালা মেনে চলার কথা জানান কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ইউজিসির আলাদা কোনো নীতিমালা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশই ইউজিসি মেনে চলে। এ বিষয়ে আলাদা করে কোনো নীতিমালা নেই। উচ্চশিক্ষা লেভেলে কেউ যৌন হয়রানির শিকার হলে সে এখন আর চুপ করে থাকে না। এখন আর সেই দিন নেই যে মেয়েরা নীরবে-নিভৃতে চুপ করে সবকিছু সহ্য করবে।’ শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক গুণগত মান উন্নয়নের জন্য ইউজিসির কোনো নীতিমালা বা বাজেট আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবকিছুই শিক্ষার্থীদের গুণগত মান উন্নয়নের জন্য। ল্যাব, রিসার্চের জন্য সে বাজেট দেওয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার জন্য যা কিছু বরাদ্দ করা হচ্ছে, সবই গুণগত মান উন্নয়নের জন্য। ভৌত অবকাঠামো, লাইব্রেরি, বই, ভাতা এগুলোও এই গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্যই করা হচ্ছে। হল, হোস্টেল করা এগুলো শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নের জন্যই।’
এই নীতিকথা কিংবা আইন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আছে নেতিবাচক মনোভাব। অনেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, আইন, অবকাঠামো কিংবা রূপরেখা যা-ই থাক না কেন, এই ব্যাপক নির্যাতন যদি বন্ধ না হয় মানসিকভাবে সুস্থ মানুষ কখনোই বের হবে না উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে।
প্রবাদ আছে, দুঃসাহসে দুঃখ হয়। কিন্তু বাগেরহাটের প্রজাপতি স্কোয়াড দুঃসাহসে ভর করে আলোর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আমাদের সমাজ বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া এখনো যে কতটা কঠিন কাজ, তা কারও অজানা নয়। সেই কঠিন কাজই করে চলেছে বাগেরহাটের কিশোরীরা। প্রজাপতি স্কোয়াড নামে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছে তার
৩ দিন আগেগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে নিহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন বা ওএইচসিএইচআর এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের
৩ দিন আগেআপনি শিক্ষিত ও সচেতন একজন মানুষ। সম্পর্কের একটি সুন্দর পর্যায়ে আছেন। তবে আপনার সঙ্গীর যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, তা কিন্তু বড় ধরনের আবেগীয়
৩ দিন আগেশওকত আরা খন্দকার ওরফে ঝর্ণা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ঘর-সংসার সামলে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
৩ দিন আগে