আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
উত্তরের জনপদ গাইবান্ধা। সাতটি উপজেলা নিয়ে তৈরি গাইবান্ধা জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট-বড় ১২টি নদ-নদী। এগুলোর মধ্যে চারটি উপজেলায় আছে ২০০-র বেশি চর। এসব চরে কমপক্ষে ৭ লাখ লোকের বসবাস। এসব চরে শুকনো মৌসুমে খরা আর বর্ষা মৌসুমে পানির আধিক্য দেখা যায়। তার ওপর নদীভাঙনে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে ফসলি জমি বিলীন হয়ে যায় প্রতিনিয়ত। ফলে এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য, বাসস্থান, খাদ্য ও শিক্ষা নিয়ে পড়তে হয় চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায়। এই চরাঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়া গল্পের নাম তারাবানু।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের পূর্ব বাটকেমারীচরে বাড়ি আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী তারাবানুর। ১২ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয় একই গ্রামের সোলেমানের সঙ্গে। এখন তাঁদের তিন সন্তান। প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্রের করাল গ্রাসে ফসলি জমি বিলীন হয়ে যায়। স্বামী সোলেমান অন্য জমিতে কাজ করে সংসার চালাতেন। তিন বছর আগে স্বামী মারা গেলে ছেলেমেয়ে নিয়ে তারাবানু অসহায় হয়ে পড়েন। সংসার চালানোর জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ সময় লোকমুখে শুনতে পান, ফ্রেন্ডশিপ এএসডি প্রকল্পের আওতায় ভেড়া ও সবজি চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পরে তিনি এ প্রকল্পের একজন সদস্য হয়ে প্রশিক্ষণ নেন। ফ্রেন্ডশিপ এএসডি প্রকল্প থেকে তারাবানুকে আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি উন্নত মানের একটি ভেড়া ও শাকসবজির বীজ দেওয়া হয়। সেখান থেকে ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠেন তিনি। নিজের পরিশ্রমের অর্থে বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন আর বাকি দুই মেয়েকে স্কুলে পড়াচ্ছেন তারাবানু। এখন তিনি ভেড়া পালনের পাশাপাশি শাকসবজি চাষাবাদ করছেন।
গাইবান্ধা জেলার সদর, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ—এই তিন উপজেলার আটটি চরে গ্রুপভিত্তিক ৩০ জন করে ২৪০ নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে ফ্রেন্ডশিপ এএসডি প্রকল্প। চরাঞ্চলের হতদরিদ্র, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের প্রাধান্য দিয়ে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রজেক্টের ফ্যাসিলিটেটর কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, চরের প্রায় ৮০ শতাংশ নারী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এসব পিছিয়ে পড়া নারী আর্থিকভাবে লাভবান হলে কষ্টের কথা ভুলে যান। তখন কাজ করার আগ্রহ আরও বেড়ে যায় তাঁদের।
ফ্রেন্ডশিপ এএসডি প্রজেক্ট ম্যানেজার দিবাকর বিশ্বাস বলেন, মূলত প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের স্বাবলম্বী করতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। পশুপালন ও শাকসবজি চাষের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান বাড়াতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন তাঁরা।
উত্তরের জনপদ গাইবান্ধা। সাতটি উপজেলা নিয়ে তৈরি গাইবান্ধা জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট-বড় ১২টি নদ-নদী। এগুলোর মধ্যে চারটি উপজেলায় আছে ২০০-র বেশি চর। এসব চরে কমপক্ষে ৭ লাখ লোকের বসবাস। এসব চরে শুকনো মৌসুমে খরা আর বর্ষা মৌসুমে পানির আধিক্য দেখা যায়। তার ওপর নদীভাঙনে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে ফসলি জমি বিলীন হয়ে যায় প্রতিনিয়ত। ফলে এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য, বাসস্থান, খাদ্য ও শিক্ষা নিয়ে পড়তে হয় চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায়। এই চরাঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়া গল্পের নাম তারাবানু।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের পূর্ব বাটকেমারীচরে বাড়ি আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী তারাবানুর। ১২ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয় একই গ্রামের সোলেমানের সঙ্গে। এখন তাঁদের তিন সন্তান। প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্রের করাল গ্রাসে ফসলি জমি বিলীন হয়ে যায়। স্বামী সোলেমান অন্য জমিতে কাজ করে সংসার চালাতেন। তিন বছর আগে স্বামী মারা গেলে ছেলেমেয়ে নিয়ে তারাবানু অসহায় হয়ে পড়েন। সংসার চালানোর জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ সময় লোকমুখে শুনতে পান, ফ্রেন্ডশিপ এএসডি প্রকল্পের আওতায় ভেড়া ও সবজি চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পরে তিনি এ প্রকল্পের একজন সদস্য হয়ে প্রশিক্ষণ নেন। ফ্রেন্ডশিপ এএসডি প্রকল্প থেকে তারাবানুকে আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি উন্নত মানের একটি ভেড়া ও শাকসবজির বীজ দেওয়া হয়। সেখান থেকে ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠেন তিনি। নিজের পরিশ্রমের অর্থে বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন আর বাকি দুই মেয়েকে স্কুলে পড়াচ্ছেন তারাবানু। এখন তিনি ভেড়া পালনের পাশাপাশি শাকসবজি চাষাবাদ করছেন।
গাইবান্ধা জেলার সদর, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ—এই তিন উপজেলার আটটি চরে গ্রুপভিত্তিক ৩০ জন করে ২৪০ নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে ফ্রেন্ডশিপ এএসডি প্রকল্প। চরাঞ্চলের হতদরিদ্র, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের প্রাধান্য দিয়ে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রজেক্টের ফ্যাসিলিটেটর কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, চরের প্রায় ৮০ শতাংশ নারী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এসব পিছিয়ে পড়া নারী আর্থিকভাবে লাভবান হলে কষ্টের কথা ভুলে যান। তখন কাজ করার আগ্রহ আরও বেড়ে যায় তাঁদের।
ফ্রেন্ডশিপ এএসডি প্রজেক্ট ম্যানেজার দিবাকর বিশ্বাস বলেন, মূলত প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের স্বাবলম্বী করতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। পশুপালন ও শাকসবজি চাষের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান বাড়াতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন তাঁরা।
প্রবাদ আছে, দুঃসাহসে দুঃখ হয়। কিন্তু বাগেরহাটের প্রজাপতি স্কোয়াড দুঃসাহসে ভর করে আলোর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আমাদের সমাজ বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া এখনো যে কতটা কঠিন কাজ, তা কারও অজানা নয়। সেই কঠিন কাজই করে চলেছে বাগেরহাটের কিশোরীরা। প্রজাপতি স্কোয়াড নামে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছে তার
২ দিন আগেগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে নিহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন বা ওএইচসিএইচআর এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের
২ দিন আগেআপনি শিক্ষিত ও সচেতন একজন মানুষ। সম্পর্কের একটি সুন্দর পর্যায়ে আছেন। তবে আপনার সঙ্গীর যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন, তা কিন্তু বড় ধরনের আবেগীয়
২ দিন আগেশওকত আরা খন্দকার ওরফে ঝর্ণা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ঘর-সংসার সামলে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
২ দিন আগে