রজত কান্তি রায়
শরৎকালে কোকিলপুরাণ লিখিবার সমস্যা এই যে, কোকিল ডাকে না। কোকিলের কুহুধ্বনি কর্ণকুহরে প্রবেশ না করিলে লেখার জোশ আইসে না। তাহার জন্যই লেখা হয় না।
কিন্তু ইদানীং একটা চরিত্র পাইয়াছি। তিনি রতন’স ডাইনের স্বত্বাধিকারী রতন সাহেব। একদা তিনি নাকি এফডিসিতে নায়ক-নায়িকা-ভিলেন-ক্রুসহ সবাইকে রসেবশে রাখিতেন। এক্ষণে আসিয়া জুটিয়াছেন আমাদের স্কন্ধে এবং তাঁহার সাতিশয় ওজনে আমাদের স্কন্ধ ক্রমাগত নিম্নগামী হইতেছে। আমরা উপলব্ধি করিতে পারিতেছি, রতন’স ডাইনের স্বত্বাধিকারী রতন সাহেব আমাদের স্কন্ধে দীর্ঘদিন সওয়ার করিয়া থাকিবেন।
কী করিয়াছেন তিনি? না, বিশেষ কোনো দুষ্টু কাজ করিয়াছেন বলিয়া কেহই প্রমাণ দাখিল করিতে পারিবেন না। এমনকি আমি স্বয়ং তাঁহার বিরুদ্ধে প্রমাণসাপেক্ষ কোনো অভিযোগ উত্থাপন করিতে পারিব বলিয়া মনে হয় না। তাহাই আমি কোনো অভিযোগ উত্থাপন না করিয়া শুধুই লিখিয়া রাখিতেছি। যাহা হউক, বলি। ধরুন, আপনি সান্ধ্য নাশতার জন্য তাঁহাকে বলিলেন, ভাইসাহেব, এক বাটি ডাল সবজি বা ডাল, একখানা আটার রুটি এবং একখানা ডিম উত্তমরূপে প্রস্তুত করিয়া আমার সামনে লইয়া আসুন। তিনি প্রবল বেগে মাথা নাড়িতে নাড়িতে বলিবেন, একখানা রুটি, একখানা ডিমের মামলেট আর এক কাপ চা। এক্ষণই দিতেছি জনাব। আপনি তখন বলিবেন, বাপুহে, উহা নহে। রুটি ও ডিমের মামলেটের সহিত আমি আপনার কাছে এক বাটি ডাল-সবজি চাহিয়াছিলাম।
এইবার তিনি বুঝিবেন এবং রুটি সেঁকিতে বসিবেন। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। দেওয়ার সময় দেখা গেল আরও কয়েকজন খদ্দের আসিয়া উপস্থিত। এইবার শুরু হইবে আসল খেলা। রতন’স ডাইনের স্বত্বাধিকারী রতন সাহেব এইবার আপনার অনুমোদিত নাশতা ভিন্নজনের কাছে পাঠাইবেন। তিনি সে নাশতা দেখিয়া আঁৎকাইয়া উঠিবেন, নারী হইলে চমকাইয়া উঠিবেন। রতন সাহেব তাঁহার সহকারীদিগের চতুর্দশাধিক গুষ্টি উদ্ধার করিয়া বলিবেন, অমুক স্যারের টেবিলে লইয়া যাও। তাঁহার সহকারী যখন তাহা আপনার সামনে পেশ করিবেন, তখন তাহা কয়েক হাত ঘুরিয়া আসিয়া ক্লান্ত। আপনি ভক্ষণ করিতে শুরু করিবেন।
এইবার রতন’স ডাইনের স্বত্বাধিকারী রতন সাহেব পাকশালা হইতে চিৎকার করিয়া আপনাকে বলিবেন, ‘স্যার, পাইয়াছেন তো সবকিছু?’ আপনি হয়তো হাত নাড়িয়া বলিবেন, ‘অল রাইট।’ এর কিয়ৎক্ষণ পর আপনার সামনে আর একখানা গরম রুটি উপস্থিত হইবে। এইবার আপনি আঁৎকাইয়া উঠিয়া বলিবেন, ‘আর চাহি না।’ তাঁহার সহকারীটি ফিরাইয়া লইয়া যাইতে যাইতে বিড়বিড় করিয়া কিছু একটা বলিবেন। আমি নিশ্চিত, হয় রতন’স ডাইনের স্বত্বাধিকারী রতন সাহেবের বাপান্ত হইতেছে নচেৎ ভক্ষণ করিতে গিয়া আমার বাপান্ত হইতেছে। যাহা হউক। এইবার আপনার কিছু প্রয়োজন হইলে আপনি তাহাকে ডাকিয়াও পাইবেন না। তিনি সকলই শুনিবেন। কিন্তু উত্তর করিবেন না। উচ্চনাদে ডাকিলে অবশ্য ভিন্ন বিষয়। তখন তিনি আপনাকে লইয়া বড়ই বিচলিত হইবেন এবং আপনাকে উত্তমরূপে খেদমত করিবার চেষ্টা করিবেন।
আপনার ভক্ষণ শেষ। বলিলেন, ‘বিল কত হইয়াছে বাপু?’ রতন’স ডাইনের স্বত্বাধিকারী রতন সাহেব তখন হিসাব করিতে বসিবেন। ‘ডাইল ১০ টাকা, রুটি এত, অমুক এত, তমুক তত, মোট এত।’ বলিলেন, ‘এই আইটেমখানা বাদ রহিয়াছে।’ তিনি পুনরায় প্রথম হইতে হিসাব শুরু করিবেন। সব শেষে বলিবেন এত হইয়াছে। আপনি অর্থ পরিশোধ করিতে গিয়া আরও বিপত্তিতে পড়িবেন। তাহার কাছে ৫ টাকার কয়েন বা নোট থাকিবে না। তিনি আপনাকে এক গ্লাস পানিও আগাইয়া দিয়া বলিতে পারেন, জনাব, ‘৫ টাকা পরিশোধ হইয়াছে।’
শরৎকালে কোকিলপুরাণ লিখিবার সমস্যা এই যে, কোকিল ডাকে না। কোকিলের কুহুধ্বনি কর্ণকুহরে প্রবেশ না করিলে লেখার জোশ আইসে না। তাহার জন্যই লেখা হয় না।
কিন্তু ইদানীং একটা চরিত্র পাইয়াছি। তিনি রতন’স ডাইনের স্বত্বাধিকারী রতন সাহেব। একদা তিনি নাকি এফডিসিতে নায়ক-নায়িকা-ভিলেন-ক্রুসহ সবাইকে রসেবশে রাখিতেন। এক্ষণে আসিয়া জুটিয়াছেন আমাদের স্কন্ধে এবং তাঁহার সাতিশয় ওজনে আমাদের স্কন্ধ ক্রমাগত নিম্নগামী হইতেছে। আমরা উপলব্ধি করিতে পারিতেছি, রতন’স ডাইনের স্বত্বাধিকারী রতন সাহেব আমাদের স্কন্ধে দীর্ঘদিন সওয়ার করিয়া থাকিবেন।
কী করিয়াছেন তিনি? না, বিশেষ কোনো দুষ্টু কাজ করিয়াছেন বলিয়া কেহই প্রমাণ দাখিল করিতে পারিবেন না। এমনকি আমি স্বয়ং তাঁহার বিরুদ্ধে প্রমাণসাপেক্ষ কোনো অভিযোগ উত্থাপন করিতে পারিব বলিয়া মনে হয় না। তাহাই আমি কোনো অভিযোগ উত্থাপন না করিয়া শুধুই লিখিয়া রাখিতেছি। যাহা হউক, বলি। ধরুন, আপনি সান্ধ্য নাশতার জন্য তাঁহাকে বলিলেন, ভাইসাহেব, এক বাটি ডাল সবজি বা ডাল, একখানা আটার রুটি এবং একখানা ডিম উত্তমরূপে প্রস্তুত করিয়া আমার সামনে লইয়া আসুন। তিনি প্রবল বেগে মাথা নাড়িতে নাড়িতে বলিবেন, একখানা রুটি, একখানা ডিমের মামলেট আর এক কাপ চা। এক্ষণই দিতেছি জনাব। আপনি তখন বলিবেন, বাপুহে, উহা নহে। রুটি ও ডিমের মামলেটের সহিত আমি আপনার কাছে এক বাটি ডাল-সবজি চাহিয়াছিলাম।
এইবার তিনি বুঝিবেন এবং রুটি সেঁকিতে বসিবেন। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। দেওয়ার সময় দেখা গেল আরও কয়েকজন খদ্দের আসিয়া উপস্থিত। এইবার শুরু হইবে আসল খেলা। রতন’স ডাইনের স্বত্বাধিকারী রতন সাহেব এইবার আপনার অনুমোদিত নাশতা ভিন্নজনের কাছে পাঠাইবেন। তিনি সে নাশতা দেখিয়া আঁৎকাইয়া উঠিবেন, নারী হইলে চমকাইয়া উঠিবেন। রতন সাহেব তাঁহার সহকারীদিগের চতুর্দশাধিক গুষ্টি উদ্ধার করিয়া বলিবেন, অমুক স্যারের টেবিলে লইয়া যাও। তাঁহার সহকারী যখন তাহা আপনার সামনে পেশ করিবেন, তখন তাহা কয়েক হাত ঘুরিয়া আসিয়া ক্লান্ত। আপনি ভক্ষণ করিতে শুরু করিবেন।
এইবার রতন’স ডাইনের স্বত্বাধিকারী রতন সাহেব পাকশালা হইতে চিৎকার করিয়া আপনাকে বলিবেন, ‘স্যার, পাইয়াছেন তো সবকিছু?’ আপনি হয়তো হাত নাড়িয়া বলিবেন, ‘অল রাইট।’ এর কিয়ৎক্ষণ পর আপনার সামনে আর একখানা গরম রুটি উপস্থিত হইবে। এইবার আপনি আঁৎকাইয়া উঠিয়া বলিবেন, ‘আর চাহি না।’ তাঁহার সহকারীটি ফিরাইয়া লইয়া যাইতে যাইতে বিড়বিড় করিয়া কিছু একটা বলিবেন। আমি নিশ্চিত, হয় রতন’স ডাইনের স্বত্বাধিকারী রতন সাহেবের বাপান্ত হইতেছে নচেৎ ভক্ষণ করিতে গিয়া আমার বাপান্ত হইতেছে। যাহা হউক। এইবার আপনার কিছু প্রয়োজন হইলে আপনি তাহাকে ডাকিয়াও পাইবেন না। তিনি সকলই শুনিবেন। কিন্তু উত্তর করিবেন না। উচ্চনাদে ডাকিলে অবশ্য ভিন্ন বিষয়। তখন তিনি আপনাকে লইয়া বড়ই বিচলিত হইবেন এবং আপনাকে উত্তমরূপে খেদমত করিবার চেষ্টা করিবেন।
আপনার ভক্ষণ শেষ। বলিলেন, ‘বিল কত হইয়াছে বাপু?’ রতন’স ডাইনের স্বত্বাধিকারী রতন সাহেব তখন হিসাব করিতে বসিবেন। ‘ডাইল ১০ টাকা, রুটি এত, অমুক এত, তমুক তত, মোট এত।’ বলিলেন, ‘এই আইটেমখানা বাদ রহিয়াছে।’ তিনি পুনরায় প্রথম হইতে হিসাব শুরু করিবেন। সব শেষে বলিবেন এত হইয়াছে। আপনি অর্থ পরিশোধ করিতে গিয়া আরও বিপত্তিতে পড়িবেন। তাহার কাছে ৫ টাকার কয়েন বা নোট থাকিবে না। তিনি আপনাকে এক গ্লাস পানিও আগাইয়া দিয়া বলিতে পারেন, জনাব, ‘৫ টাকা পরিশোধ হইয়াছে।’
হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে যদি আবিষ্কার করেন বিশাল একটি সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে কী অবস্থা হবে বলুন তো? ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার এক নারীর ক্ষেত্রে। ভোরে বাথরুমে ঢুকতেই তিনি আবিষ্কার টয়লেটের পেছনে আরাম করে বিশ্রাম নিচ্ছে সরীসৃপটি।
৫ দিন আগেসিভি বা কোনো লেখার সারসংক্ষেপ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করার কথা শুনে থাকবেন। তবে চ্যাটবটটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিলি অ্যালেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে করেন তিনি।
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১১ বছর বয়স্ক এক বালিকার পোষা ছাগলকে ধরে পরে জবাই করা হয়। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেরিফ অফিসকে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৮ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিচিত্র সব পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এগুলোর কিছু কিছু এতটাই অস্বাভাবিক যে বিশ্বাসই করতে চাইবে না মন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব এমনই ১০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁদের বিচিত্র পেশার সঙ্গে। লেখাটি কোনো পেশাই যে
১০ দিন আগে