রজত কান্তি রায়
‘দেশ ও জাতির খবর কী?’
‘সকালে নাশতা। সাড়ে এগারোটার দিকে শিঙাড়া। তারপর দুটোর মধ্যে ভাত।’
কিছুটা চুপচাপ অনুভব করলাম চারপাশ। বুঝলাম ঝড় আসার আগে যে নৈঃশব্দ্য ভর করে প্রকৃতিতে, এখন সে অবস্থা চলছে। আমি প্রস্তুত হলাম লেখার অযোগ্য কিছু খিস্তিখেউড় শোনার জন্য। এক সেকেন্ড, দুই সেকেন্ড, তিন সেকেন্ড…
প্রায় ত্রিশ সেকেন্ড পর আমার দিকে একটি হাত এগিয়ে এল। সেটাতে ধরা কটনবাড।
‘তুই ইদানীং কানে কম শুনছিস। ভালো করে কান পরিষ্কার কর আমার সামনে।’
‘না মানে, সামনে না করে একটু পরে করি?’
‘না। এখনই করতে হবে।’
খুব অস্বস্তিতে পড়ে গেলাম, বিব্রতও খানিক। আমি জানি, এই মুহূর্তে আমার কান থেকে কী বের হতে পারে। একেকটা কানে কমপক্ষে পাঁচটা কটনবাড খরচ হবে। এসব কাজ একান্তে করাই ভালো। তাই মরিয়া হয়ে বললাম, ‘থাক না। না হয় পরেই করি।’
‘সে করতেই পারিস। চাকরি তো করিস খবরের কাগজে। ছাপাখানাকে পাছাখানা শুনে ফেললে চাকরি থাকবে?’
‘ডুড, কেউ আর ছাপাখানা বলে না। বলে, প্রেস।’
‘তোর মতো পোলাপাইনের শোনার ভুলের জন্যই এ রকম হয়েছে।’
‘যাই হোক, যা বলছিলেন বলেন।’
‘বলছিলাম, দেশ ও জাতির খবর কী?’
‘ভেরি গুড। বুদ্ধিবৃত্তিতে জাতি অনেক এগিয়ে গেছে। সমালোচক হয়ে উঠেছে পুরো জাতি। এটা ভালো লক্ষণ।’
‘সমালোচক! আমি তো জানতাম, নিজেরটা খারাপ হয় বলে সবাই পিঠ চুলকায়।’
হে হে করে একটু ক্যাবলা হাসি দিই। এ বিষয়টা মিথ্যা নয় মনে হয়। তারপরও বলি, ‘না না। সব সময় সেরকম নয়।’
‘তা এখন কী রকম হচ্ছে শুনি। কী নিয়ে সমালোচনা করছ তোমরা চাঁদের দল?’
‘বহু কিছু। এই ধরেন পরীমণি, রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি, এই সব নিয়ে।’
‘পরীমণির ব্যাপারটা বুঝলাম। ওটা নিয়ে তোমরা সত্য কথা মুখ খুলে বলতে পারবা না ব্রো। রবীন্দ্রনাথের বিষয়টা কী কও তো?’
‘বিশাল ব্যাপার। এইটা একটা উপন্যাস। রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস। এটা নিয়ে এক ডাইরেক্টর একটা ওয়েব সিরিজ বানাইছেন। এর পরেই বাঙালি বলে যে জাতিটা আছে, তারা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় ব্যাপক উৎসাহী হয়ে উঠেছে আরকি।’
‘নায়িকা কয়টা’ তিনি কানে কানে বললেন। ‘বন্ড ব্যাটার মতো নায়ক আছে? আর ওইরকম সিনটিন আছে…’
‘ইয়ে মানে, জ্যেঠু, ঠিক তেমন নয়। ধরেন, নায়িকা স্নান করতেছে। ঘোলা কাচের ওপর দিয়া তারে দেখানো হইতেছে। বন্ডের মতন ঠিক…’
‘হুর হুর। এইটা নিয়া এত বুদ্ধি খরচ করার মানে কী! হুঁশ। হতাশাজনক ব্যাপার।’
‘ব্যাপারটা ঠিক ওটাও না। ব্যাপারটা হইলো, একদল বাঙালি বলতেয়াছে, তাদের ওপর দাদাগিরি ফলানো হইছে। আর একদল বাঙালি বলতেয়াছে, ও গো এত পাত্তা দেওয়ার কী আছে। এইখানে হইলো সমিস্যা।’
‘দুই দলই বেঙ্গলি!’
‘ইয়েস মাই পূর্বপুরুষ। আবার সমিস্যা আরও আছে।’
‘কী?
‘যে ডাইরেক্টর এইটা বানাইছেন, সেই ডাইরেক্টররে বিয়া করছেন ঢাকার এক অভিনেত্রী। সেই সূত্রে সেই ডাইরেক্টর আমগো আবার দুলাভাই। মানে জাতীয় ভগ্নিপতি। তো মাইয়ার দল কইতেয়াছে, তিনি আমগো দুলাভাই হইয়াও মেইন ক্যারেক্টারের ক্যারেক্টার নষ্ট করল ক্যান?’
‘ক্যারেক্টারের ক্যারেক্টার নষ্ট!’
‘হে হে হে।’
‘তারপর আসলে হইলোটা কী? হাসপাতাল টাসপাতাল হয় নাই এখনো?’
‘সম্ভবত দুই দলেরই কনস্টিপেশন। কোঁকাইতেছে। আবার কোক শাস্ত্রের প্রভাবও হইতে পারে। কওন যায় না।’
‘তাগো দিক থাইকা কী কওয়া হইলো?’
‘তারা কইতেয়াছে, এই উপন্যাসখানই তো ফালতু। তাও আমগো ডাইরেক্টর বানাইছে বইলা রইক্ষা।’
‘এক কাম কর। তুইও একখান বানায়া ফ্যাল। পরীমণিরে এখন আর নিতে পারবি না মেইন ক্যারেক্টারে। অন্য কাউরে খুঁইজা ল। তারপর বানায়া ফালা, রবীন্দ্রনাথ এইখানে খাইতে আইছিল, খায়াইছেও।’
‘দেশ ও জাতির খবর কী?’
‘সকালে নাশতা। সাড়ে এগারোটার দিকে শিঙাড়া। তারপর দুটোর মধ্যে ভাত।’
কিছুটা চুপচাপ অনুভব করলাম চারপাশ। বুঝলাম ঝড় আসার আগে যে নৈঃশব্দ্য ভর করে প্রকৃতিতে, এখন সে অবস্থা চলছে। আমি প্রস্তুত হলাম লেখার অযোগ্য কিছু খিস্তিখেউড় শোনার জন্য। এক সেকেন্ড, দুই সেকেন্ড, তিন সেকেন্ড…
প্রায় ত্রিশ সেকেন্ড পর আমার দিকে একটি হাত এগিয়ে এল। সেটাতে ধরা কটনবাড।
‘তুই ইদানীং কানে কম শুনছিস। ভালো করে কান পরিষ্কার কর আমার সামনে।’
‘না মানে, সামনে না করে একটু পরে করি?’
‘না। এখনই করতে হবে।’
খুব অস্বস্তিতে পড়ে গেলাম, বিব্রতও খানিক। আমি জানি, এই মুহূর্তে আমার কান থেকে কী বের হতে পারে। একেকটা কানে কমপক্ষে পাঁচটা কটনবাড খরচ হবে। এসব কাজ একান্তে করাই ভালো। তাই মরিয়া হয়ে বললাম, ‘থাক না। না হয় পরেই করি।’
‘সে করতেই পারিস। চাকরি তো করিস খবরের কাগজে। ছাপাখানাকে পাছাখানা শুনে ফেললে চাকরি থাকবে?’
‘ডুড, কেউ আর ছাপাখানা বলে না। বলে, প্রেস।’
‘তোর মতো পোলাপাইনের শোনার ভুলের জন্যই এ রকম হয়েছে।’
‘যাই হোক, যা বলছিলেন বলেন।’
‘বলছিলাম, দেশ ও জাতির খবর কী?’
‘ভেরি গুড। বুদ্ধিবৃত্তিতে জাতি অনেক এগিয়ে গেছে। সমালোচক হয়ে উঠেছে পুরো জাতি। এটা ভালো লক্ষণ।’
‘সমালোচক! আমি তো জানতাম, নিজেরটা খারাপ হয় বলে সবাই পিঠ চুলকায়।’
হে হে করে একটু ক্যাবলা হাসি দিই। এ বিষয়টা মিথ্যা নয় মনে হয়। তারপরও বলি, ‘না না। সব সময় সেরকম নয়।’
‘তা এখন কী রকম হচ্ছে শুনি। কী নিয়ে সমালোচনা করছ তোমরা চাঁদের দল?’
‘বহু কিছু। এই ধরেন পরীমণি, রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেন নি, এই সব নিয়ে।’
‘পরীমণির ব্যাপারটা বুঝলাম। ওটা নিয়ে তোমরা সত্য কথা মুখ খুলে বলতে পারবা না ব্রো। রবীন্দ্রনাথের বিষয়টা কী কও তো?’
‘বিশাল ব্যাপার। এইটা একটা উপন্যাস। রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস। এটা নিয়ে এক ডাইরেক্টর একটা ওয়েব সিরিজ বানাইছেন। এর পরেই বাঙালি বলে যে জাতিটা আছে, তারা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় ব্যাপক উৎসাহী হয়ে উঠেছে আরকি।’
‘নায়িকা কয়টা’ তিনি কানে কানে বললেন। ‘বন্ড ব্যাটার মতো নায়ক আছে? আর ওইরকম সিনটিন আছে…’
‘ইয়ে মানে, জ্যেঠু, ঠিক তেমন নয়। ধরেন, নায়িকা স্নান করতেছে। ঘোলা কাচের ওপর দিয়া তারে দেখানো হইতেছে। বন্ডের মতন ঠিক…’
‘হুর হুর। এইটা নিয়া এত বুদ্ধি খরচ করার মানে কী! হুঁশ। হতাশাজনক ব্যাপার।’
‘ব্যাপারটা ঠিক ওটাও না। ব্যাপারটা হইলো, একদল বাঙালি বলতেয়াছে, তাদের ওপর দাদাগিরি ফলানো হইছে। আর একদল বাঙালি বলতেয়াছে, ও গো এত পাত্তা দেওয়ার কী আছে। এইখানে হইলো সমিস্যা।’
‘দুই দলই বেঙ্গলি!’
‘ইয়েস মাই পূর্বপুরুষ। আবার সমিস্যা আরও আছে।’
‘কী?
‘যে ডাইরেক্টর এইটা বানাইছেন, সেই ডাইরেক্টররে বিয়া করছেন ঢাকার এক অভিনেত্রী। সেই সূত্রে সেই ডাইরেক্টর আমগো আবার দুলাভাই। মানে জাতীয় ভগ্নিপতি। তো মাইয়ার দল কইতেয়াছে, তিনি আমগো দুলাভাই হইয়াও মেইন ক্যারেক্টারের ক্যারেক্টার নষ্ট করল ক্যান?’
‘ক্যারেক্টারের ক্যারেক্টার নষ্ট!’
‘হে হে হে।’
‘তারপর আসলে হইলোটা কী? হাসপাতাল টাসপাতাল হয় নাই এখনো?’
‘সম্ভবত দুই দলেরই কনস্টিপেশন। কোঁকাইতেছে। আবার কোক শাস্ত্রের প্রভাবও হইতে পারে। কওন যায় না।’
‘তাগো দিক থাইকা কী কওয়া হইলো?’
‘তারা কইতেয়াছে, এই উপন্যাসখানই তো ফালতু। তাও আমগো ডাইরেক্টর বানাইছে বইলা রইক্ষা।’
‘এক কাম কর। তুইও একখান বানায়া ফ্যাল। পরীমণিরে এখন আর নিতে পারবি না মেইন ক্যারেক্টারে। অন্য কাউরে খুঁইজা ল। তারপর বানায়া ফালা, রবীন্দ্রনাথ এইখানে খাইতে আইছিল, খায়াইছেও।’
হঠাৎ বাথরুমে ঢুকে যদি আবিষ্কার করেন বিশাল একটি সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছে কী অবস্থা হবে বলুন তো? ঠিক এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার এক নারীর ক্ষেত্রে। ভোরে বাথরুমে ঢুকতেই তিনি আবিষ্কার টয়লেটের পেছনে আরাম করে বিশ্রাম নিচ্ছে সরীসৃপটি।
৫ দিন আগেসিভি বা কোনো লেখার সারসংক্ষেপ তৈরির মতো বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করার কথা শুনে থাকবেন। তবে চ্যাটবটটি অদ্ভুতভাবে ব্যবহার করেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিলি অ্যালেন। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে করেন তিনি।
৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১১ বছর বয়স্ক এক বালিকার পোষা ছাগলকে ধরে পরে জবাই করা হয়। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠে শাস্টা কাউন্টি শেরিফ অফিসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শেরিফ অফিসকে তিন লাখ ডলার বা তিন কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৮ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিচিত্র সব পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এগুলোর কিছু কিছু এতটাই অস্বাভাবিক যে বিশ্বাসই করতে চাইবে না মন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব এমনই ১০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁদের বিচিত্র পেশার সঙ্গে। লেখাটি কোনো পেশাই যে
১০ দিন আগে