দেশের বেশির ভাগ এলাকায় চলছে দাবদাহ। এ পরিস্থিতিতে রংপুরের মিঠাপুকুরের পদাগঞ্জে প্রচণ্ড খরায় ঝরছে আমের মুকুল। ওষুধ স্প্রে করে ও পানি দিয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ফলাফল। এমন অবস্থায় ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় আছেন আম চাষিরা। একমাত্র বৃষ্টি ছাড়া আমের গুটি ঝরা বন্ধের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিসংশ্লিষ্ট ব্যক্
দিনাজপুরের লিচুর খ্যাতি দেশজুড়ে। এ বছর গাছে গাছে মুকুলের ব্যাপক সমারোহের কারণে লিচুর চমৎকার ফলনের আশা করছেন দিনাজপুরে কৃষকেরা। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছেন বাগান মালিক ও লিচু চাষিরা।
গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ। ম-ম গন্ধে মাতোয়ারা চারপাশ। সেই মুকুলে মৌমাছির আনাগোনায় সৃষ্টি হয়েছে আলাদা সৌন্দর্য। রঙিন বন ফুলের সমারোহে প্রকৃতি যেমন সেজেছে বর্ণিল সাজে, তেমনি আম ও লিচুর মুকুলে সেজেছে দিনাজপুরের বিরামপুর ও পাবনার সদর এবং ঈশ্বরদী উপজেলার বেশ কিছু এলাকা। তাই চাষিদের ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি। এখন
রাজশাহীর গাছে গাছে আমের মুকুল। কোনো কোনো গাছে মটরদানার মতো গুটি বেঁধেছে ছোট ছোট আম। গুটির ঝরেপড়া রোধে গাছের গোড়ায় পানি দিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা। এ অবস্থায় আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহীতে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টি উপকার করেছে আমের।
গাছগুলোতে মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ আর হলুদ বর্ণে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সৌন্দর্যে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন আমচাষি ও স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
প্রকৃতিতে এখনো ফাল্গুন আসেনি। কিন্তু এরই মধ্যে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার আম বাগানগুলোর গাছে গাছে ফুটেছে মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এই মুকুলের ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। আর এই মিষ্টি গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে শোনাচ্ছে মধুমাসের আগমনী বার্তা।
সুস্বাদু আমের জন্য বিখ্যাত রাজশাহী জেলা। এ জেলার চারঘাট ও বাঘা এই দুই উপজেলায় অধিকাংশ আম চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরোলেও এই দুই উপজেলার আমবাগানগুলোতে আসেনি কাঙ্ক্ষিত মুকুল। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাগানমালিকেরা। তাঁরা বলছেন, বাগানের ৩০ শতাংশ গাছে মুকুল আসেনি।
নওগাঁয় গাছে গাছে আমের মুকুল। আর এ মুকুলের ম-ম গন্ধ ছড়াচ্ছে চারদিকে। এতে বুকভরা আশা নিয়ে গত বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন আমচাষি ও বাগানমালিকেরা।
মুকুলে ছেয়ে গেছে রাঙামাটির নানিয়ারচরের আমবাগানগুলো। থোকা থোকা মুকুলের ভারে নুয়ে পড়েছে ডাল। বাতাসে অনেক দূরে থেকে পাওয়া যায় সেই ঘ্রাণ। উপজেলার বগাছড়ি, ডাকবাংলো, ইসলামপুর খাইল্লা বাড়ি এলাকায় এই চিত্র দেখা যায়। মুকুলের গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন।
দিনাজপুর সদর থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণে মাশিমপুর গ্রাম। এই গ্রামের বেদানা লিচুর খ্যাতি দেশজুড়ে। এখানকার লিচুর বাগান ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। ফাল্গুনের শেষে লিচুর মুকুল থেকে কুঁড়ি আসা শুরু হবে।
মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে হাঁড়িভাঙা আমের গাছ। ভারে নুয়ে পড়েছে ডাল। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে সুবাস। মধু আহরণে উড়ে উড়ে আসছে মৌমাছি। এবার আবহাওয়া অনুকূল। তাই ডালভরা মুকুল দেখেই আমের ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন বাগানমালিকেরা।
ড্রাগন চাষে সাফল্যের পর এবার আমবাগানেও চমক দেখিয়েছেন মানিকগঞ্জের ঘিওরের তরুণ পলাশ সরকার। বসন্তের এ সময় গাছে মুকুল ধরার কথা থাকলেও তাঁর বাগানে মুকুলের সঙ্গে শোভা পাচ্ছে আম। গাছের এক ডালে মুকুল তো অন্য ডালে আম ঝুলছে। আমের আকার এবং রংও হয়েছে বেশ আকর্ষণীয়।
স্বর্ণালি মুকুলে এবার রাজশাহীর সব আমগাছ ভরে ওঠেনি। গত বছরের চেয়েও এবার গাছে মুকুলের পরিমাণ কম। এই কম মুকুলই যেন ঝরে না পড়ে, তার জন্য পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমবাগানে দেখা দিয়েছে সোনালি মুকুল। সবুজ পাতার ফাঁকে আমচাষিদের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে। মুকুলের মনমাতানো গন্ধে ভরে উঠেছে প্রকৃতি। জেলার বিভিন্ন আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। সেখানকার বাতাসে মুকুলের ম-ম গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
বাগানে সারি সারি আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। আর সেই মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের ডালপালা। বাতাসে মিশে ছড়াচ্ছে ম ম ঘ্রাণ। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা জানাচ্ছে আমের মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা আম বাগান মালিকদের। ছোট ও মাঝারি আকারের আম গাছে বেশি মুকুল দেখা দিয়েছে।
ফাল্গুন এখনো আসেনি, তবে মাঘ মাসেই চারঘাট ও বাঘায় আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আগাম মুকুল দেখে চাষিরা খুশি হয়ে উঠেছেন। তাঁরা এখন আমগাছ ও মুকুলের পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন।
চলছে মাঘ মাস, শীতের তীব্রতাও বেশ। এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিছু এলাকায় আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। বাতাসে মুকুলের ম-ম সুভাস বইছে। ইতিমধ্যে বাগানমালিকেরা পরিচর্যা শুরু করে দিয়েছেন।