আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
দিনাজপুর সদর থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণে মাশিমপুর গ্রাম। এই গ্রামের বেদানা লিচুর খ্যাতি দেশজুড়ে। এখানকার লিচুর বাগান ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। ফাল্গুনের শেষে লিচুর মুকুল থেকে কুঁড়ি আসা শুরু হবে। আর চৈত্রের শুরুতে ফুটবে গুটি লিচু। সবুজ গুটি থেকে বৈশাখ মাসের শেষে গাছে দেখা যাবে লাল টকটকে থোকা থোকা লিচু।
জানা যায়, গত তিন বছর নানা কারণে লিচুর কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে তেমন লাভের মুখ দেখতে পারেননি চাষিরা। গত বছর বৈরী আবহাওয়া আর করোনার কারণে হতাশ হতে হয়েছে তাঁদের। তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছে মুকুলের পরিমাণও বেশি। চাষিরা লাভের আশায় বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর ৫ হাজার ৪৮১ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। গড়ে একটি গাছের জন্য ১ শতাংশ জমির দরকার হয়। সে হিসাবে ৫ হাজার ৪৮১ হেক্টর জমিতে গাছের পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ। গড়ে একটি গাছে লিচুর পরিমাণ প্রায় ৪ হাজারটি। গড়ে একটি লিচুর দাম সাড়ে তিন টাকা হলে সে হিসাবে লিচুতে বার্ষিক বিপণনের পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি। আর লিচুবাগানে কর্মরত শ্রমিক, বাজারজাতকরণ, পরিবহন খাতসহ অন্য সব হিসাব করলে এটি ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। অথচ বার্ষিক বিশাল অঙ্কের বাজার হলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন না লিচুচাষি ও সংশ্লিষ্টরা।
একাধিক বাগানের মালিক বিরলের পুরিয়া গ্রামের কৃষক মতিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, সারা দেশে উৎপন্ন হলেও দিনাজপুরের লিচুর কদর বেশি। তিনি ১৫ একর জমিতে দুটি বাগানে ৬০০ গাছ লাগিয়েছেন। প্রতিটি গাছের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর। তাঁর বাগানে মাদ্রাজি, বোম্বাই ও চায়না-থ্রি আর বেদানার গাছ আছে।
তিনি আরও জানান, লিচু দিনাজপুরের একটি অন্যতম অর্থকরী ফসল। কিন্তু এটিতে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। সরকার যদি একটি সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা আর পাকা লিচু ১৫ দিন থেকে এক মাস সংরক্ষণের ব্যবস্থা করত, তাহলে কৃষকেরা অনেক লাভবান হতেন।
সদরের লিচুচাষি আব্দুস সালাম জানান, ‘এ বছর গাছে গাছে যথেষ্ট মুকুল এসেছে। আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি। আশা করছি, গতবারের চেয়ে এবার ভালো ফলন পাব।’
দিনাজপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ বলেন, ‘লিচু দিনাজপুরের একটি অন্যতম অর্থকরী ফসল। বিশ্বব্যাপী লিচু নিয়ে গবেষণা চলছে। এর সংরক্ষণে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে আমরা এটি প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করতে পারলে কৃষকেরা লাভবান হবেন।
দিনাজপুর সদর থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণে মাশিমপুর গ্রাম। এই গ্রামের বেদানা লিচুর খ্যাতি দেশজুড়ে। এখানকার লিচুর বাগান ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। ফাল্গুনের শেষে লিচুর মুকুল থেকে কুঁড়ি আসা শুরু হবে। আর চৈত্রের শুরুতে ফুটবে গুটি লিচু। সবুজ গুটি থেকে বৈশাখ মাসের শেষে গাছে দেখা যাবে লাল টকটকে থোকা থোকা লিচু।
জানা যায়, গত তিন বছর নানা কারণে লিচুর কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে তেমন লাভের মুখ দেখতে পারেননি চাষিরা। গত বছর বৈরী আবহাওয়া আর করোনার কারণে হতাশ হতে হয়েছে তাঁদের। তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছে মুকুলের পরিমাণও বেশি। চাষিরা লাভের আশায় বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর ৫ হাজার ৪৮১ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। গড়ে একটি গাছের জন্য ১ শতাংশ জমির দরকার হয়। সে হিসাবে ৫ হাজার ৪৮১ হেক্টর জমিতে গাছের পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ। গড়ে একটি গাছে লিচুর পরিমাণ প্রায় ৪ হাজারটি। গড়ে একটি লিচুর দাম সাড়ে তিন টাকা হলে সে হিসাবে লিচুতে বার্ষিক বিপণনের পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি। আর লিচুবাগানে কর্মরত শ্রমিক, বাজারজাতকরণ, পরিবহন খাতসহ অন্য সব হিসাব করলে এটি ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। অথচ বার্ষিক বিশাল অঙ্কের বাজার হলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন না লিচুচাষি ও সংশ্লিষ্টরা।
একাধিক বাগানের মালিক বিরলের পুরিয়া গ্রামের কৃষক মতিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, সারা দেশে উৎপন্ন হলেও দিনাজপুরের লিচুর কদর বেশি। তিনি ১৫ একর জমিতে দুটি বাগানে ৬০০ গাছ লাগিয়েছেন। প্রতিটি গাছের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর। তাঁর বাগানে মাদ্রাজি, বোম্বাই ও চায়না-থ্রি আর বেদানার গাছ আছে।
তিনি আরও জানান, লিচু দিনাজপুরের একটি অন্যতম অর্থকরী ফসল। কিন্তু এটিতে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। সরকার যদি একটি সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা আর পাকা লিচু ১৫ দিন থেকে এক মাস সংরক্ষণের ব্যবস্থা করত, তাহলে কৃষকেরা অনেক লাভবান হতেন।
সদরের লিচুচাষি আব্দুস সালাম জানান, ‘এ বছর গাছে গাছে যথেষ্ট মুকুল এসেছে। আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি। আশা করছি, গতবারের চেয়ে এবার ভালো ফলন পাব।’
দিনাজপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ বলেন, ‘লিচু দিনাজপুরের একটি অন্যতম অর্থকরী ফসল। বিশ্বব্যাপী লিচু নিয়ে গবেষণা চলছে। এর সংরক্ষণে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে আমরা এটি প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করতে পারলে কৃষকেরা লাভবান হবেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে