পুষ্টিগুণে ভরপুর খাওয়ার দুধ। ভিটামিন সি ও আয়রন ছাড়া প্রায় সব পুষ্টি উপাদানই দুধে উপস্থিত থাকে। ফলে এটিকে আদর্শ খাবার বলা হয়। প্রত্যেক মানুষের পুষ্টির বড় অংশ পূরণে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটার দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খাওয়া উচিত।
তেল শুধু রোস্টিং বা সিজনিংয়ের মাধ্যম নয়। এটি খাবারের স্বাদ, টেক্সচার ও ঘ্রাণ পরিবর্তন এবং উন্নত করার কাজ করে। একেক তেলের গুণাগুণ, সুবিধা-অসুবিধা একেক রকম। জেনে রাখা ভালো, পুষ্টিগুণের পাশাপাশি কোন তেল শরীরে কোন ধরনের সুবিধা দিতে পারে।
আধুনিক সমাজে খাবারের বৈচিত্র্য বেড়েছে। মানুষ পুষ্টিগুণ বিবেচনায় রেখে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করে। সে কারণে দিনে দিনে আমাদের চিয়া সিড খাওয়ার প্রচলন বাড়ছে। এই বিদেশি শস্য এখন বাংলাদেশেও চাষ হচ্ছে।
বাদাম দুধ এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় উদ্ভিদ দুধ। এটি পুষ্টিকর ও কম ক্যালরিযুক্ত। বাদাম দুধ হাড় মজবুত করে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকর পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এই দুধ ইফতারে খেতে পারেন। পেটের কোনো সমস্যা হবে না, ডায়বেটিস থাকলেও এই দুধ খাওয়া যায়। ঘরে বানানো বাদাম দুধ নিরাপদ ও
স্বাদে অতুলনীয় শীতের সবজি ফুলকপি। এই সবজির পুষ্টিগুণও অনেক। হৃদ্রোগ, ক্যানসারসহ জটিল কিছু রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে ফুলকপিতে থাকা খনিজ।
অপ্রচলিত ডাল জাতীয় ফসল অড়হর। ডাল ছাড়াও সবুজ সবজি হিসেবে অড়হর বীজ খাওয়া যায়। এবার অড়হর বীজ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মুখরোচক সাতটি পণ্য উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক
ক্যালরি, প্রোটিন, শর্করা, ক্যালসিয়াম, আঁশ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিংক, ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ, ক্যারোটিনসহ আরও অনেক ভিটামিন ও খনিজ থাকে জামরুলে।
‘পাকা জামের শাখায় উঠি/ রঙিন করি মুখ।…’ এখন আর শাখায় বা ডালে উঠে পাকা জাম খেতে হয় না। বাজারেই পাওয়া যায়। বাজারে উঠতেও শুরু করেছে পাকা জাম। এটি ভিটামিন এ ও সি-তে ভরপুর। এতে রয়েছে আঁশ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, গ্লুকোজ, পানি, আমিষ, শর্করা, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, থায়ামিন
নোয়াখালীর চাটখিল পৌরবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে। গরমে স্বস্তি পেতে প্রায় সবার পছন্দের তালিকায় রয়েছে কচি তালের শাঁস। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি সুস্বাদু হওয়ায় এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে দাম ও কদর বেড়েছে তালের শাঁসের। গরমে স্বস্তি পেতে প্রায় সবারই পছন্দের তালিকায় আছে তালের শাঁস। কচি তালের শাঁস যেমন পুষ্টিকর, তেমনি প্রশান্তিদায়ক।
স্বাস্থ্যসচেতনদের খাবারের টেবিলে ইসবগুলের ভুসি ও তোকমার বয়ামের পাশে চিয়া সিডসের বয়ামও থাকে। সালাদ ও স্মুদিতে এই চিয়া সিডস মেশানো যায়। আকারে খুবই ছোট হলেও চিয়া সিডস কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর।
মিষ্টিকুমড়া একটি অতি উপকারী পুষ্টি গুণাগুণ এবং ঔষধি গুণাগুণসম্পন্ন সবজি। এই সবজি আমাদের দেশে সারা বছর পাওয়া যায়। মিষ্টিকুমড়ার পাতা, খোসা থেকে শুরু করে বীজ পর্যন্ত সব উপাদানই শরীরের জন্য উপকারী।
গ্রীষ্মের গরমে যখন আর কিছুই খেতে মন চায় না, তখন মুখে রুচি ফিরিয়ে আনে কাঁচা আম। কাঁচা আম কেটে তার ওপর লবণ ও মরিচ ছড়িয়ে মুখে পুড়ে নেওয়া ছাড়াও ডাল রান্নায়, শরবত তৈরিতে ও আচার বানাতে এটি ব্যবহার করা হয়।
রোজা প্রায় চলেই এসেছে। বাজারের লিস্টে ছোলার নাম উঠে গেছে নিশ্চয়ই। ইফতারে যে খাবারটি সব সময় থাকে তা হলো ছোলা। ছোলা খেতে খুব সুস্বাদু, পাশাপাশি এটি ভিটামিন, খনিজ ও আঁশের খুব ভালো উৎস। ছোলা খেলে হজমশক্তি বাড়ে ও ওজন ঠিক থাকে। নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ছোলার রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা।
বরই পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল। প্রতি ১০০ গ্রাম বরইয়ে ৭৯ ক্যালরি, ১ গ্রাম প্রোটিন, ২০ গ্রাম শর্করা ও ১০ গ্রাম আঁশ আছে। সঙ্গে আছে ৭৭ শতাংশ ভিটামিন সি ও ৫ শতাংশ পটাশিয়াম।
বিশ্বের সেরা খাবারগুলোর মধ্য়ে আখরোট একটি। বাজারে মিক্সড বাদামের কৌটায় আমন্ড, কাজু ও অন্যান্য বাদামের সঙ্গে আখরোটও থাকে। এই বাদাম দেখতে মস্তিষ্কের আকৃতির মতো। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আখরোট খেলে মস্তিস্ক ভালো থাকে। আখরোটে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ, যা কিনা সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য সুফল
মটরশুঁটির গাছ শুধু এক বছর বাঁচে। চীনে এই গাছের পাতা রান্নায় দেওয়া হয়। মটরশুঁটি শুকিয়ে স্ন্যাক্স হিসেবে খাওয়া হয় জাপান, চীন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায়। আমাদের দেশে মটরশুঁটি সেদ্ধ ও কাঁচা দুভাবেই খাওয়া হয়।