প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে আরো অগ্রসর হয়ে আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পুরী ও সাগর দ্বীপের মাঝখান দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও দক্ষিণ-পশ্চিমের ১৪টি জেলায় ২-৩ ফুট জলোচ্ছ্বাস ও ভারী বৃষ্টিসহ বেশকিছু প্রভাব পড়বে।
দেশে বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, মহামারিসহ যেকোনো দুর্যোগে মানবিক সহায়তায় এগিয়ে আসেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। ফ্রিল্যান্সাররাও এর বাইরে নন। তাঁদের অনেকে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় সাধ্যমতো দান করেছেন। আবার কয়েকজন মিলে দল করে শুকনো খাবার, পানিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে ছুটে গেছেন বন্যাকবলিত এলাকায়।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনা উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে খুলনার দাকোপ উপজেলায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাগেরহাটে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের পানিতে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়। এর ফলে জেলার অন্তত ৩৫ হাজার মৎস্য ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে আংশিক এবং সম্পূর্ণ মিলিয়ে এক লাখ ৫০ হাজার ৪৭৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে
পিরোজপুরের নেছারাবাদে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আজ সোমবার ভোর ৪টা থেকে প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাসসহ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে গতকাল রোববার রাত ১২টা থেকে শুরু হয় জলোচ্ছ্বাস। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভার নিম্নাঞ্চলের শত শত ঘর-বাড়ি দুই থেকে আড়াই ফুট উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বরগুনার পাথরঘাটায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। রাতে যখন ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলে আঘাত হানবে, তখন জোয়ার থাকবে। এতে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে উপকূলীয় এই অঞ্চলে। রাত নয়টার পর থেকে বাতাসের গতিবেগ বাড়তে শুরু করে। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে এবং বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাতও বেড়েছে। যে ক
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাগেরহাটে সকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধ্যা নাগাদ বৃদ্ধি পায় ঝড়ের গতিবেগ। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী রাত ৮টা পর্যন্ত শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা থেকে ৭০ হাজার মানুষ ও ৩ হাজার গবাদিপশু আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে উপকূলের ১৪ জেলা ও পার্শ্ববর্তী দ্বীপগুলোতে ৮ থেকে ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ রোববার দুপুরে ১২টায় ঘূর্ণিঝড়টি মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার (২৫ মে) দিবাগত মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার
বছরের প্রথম দিনই একের পর এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। এর মধ্যে একটির মাত্রা ছিল ৭.৬। এই অবস্থায় দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে ভূমিকম্পের ১০ মিনিটের মধ্যে ১২ ফুট উচ্চতার একটি ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে দেশটির ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের ওয়াজিমা বন্দরে।
বিশ্বের রোমাঞ্চকর অরণ্যগুলোর মধ্যে সুন্দরবন অন্যতম একটি বন। অথচ এই বন দুষ্কৃতকারীদের মাধ্যমে তছরুপের শিকার হচ্ছে যেমন, তেমনি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলেও পড়ছে বারবার। বিভিন্নভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সুন্দরবন। যেমন ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, বৃক্ষনিধন, অগ্নিকাণ্ড, চোরাকারবারির আধিপত্যসহ নানাভাবে বন তছরুপের শিকার হচ্
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু টানেল। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এই টানেল ব্যবস্থাপনায় বড় তিন চ্যালেঞ্জকে সামনে রাখা হয়েছে। এগুলো মোকাবিলায় নিখুঁত ব্যবস্থাপনা শেষে যান চলাচলের জন্য টানেল খুলে দেওয়া হচ্ছে ২৯ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে টানেলের ভেতরে অগ্নিকাণ্ড, বন্যা বা
ভূমধ্যসাগর থেকে ধেয়ে আসা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস গুঁড়িয়ে দিয়েছে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেরনা শহর। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। আকস্মিক বন্যায় সমুদ্রে ভেসে গেছে শহরটির অসংখ্য বাসিন্দাও।
সমুদ্রের তীরে ভেসে আসছে একের পর এক লাশ। গত রোববার লিবিয়ার দেরনা শহরে প্রলয়ংকরী একটি ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্রে ভেসে গিয়েছিলেন এই মানুষগুলো। এখন পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে আরও ১০ হাজারের বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ভোলায় ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা আছে। ফলে অনেকটা অজানা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে উপকূলবাসী। তবে এখন পর্যন্ত মোখার ভয়াবহতা না থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যেতে রাজি নন তাঁরা।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ সকাল ৬টা থেকে কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন ও মিয়ানমারের সিটুয়ে উপকূল অতিক্রম শুরু করে।