বিয়ে মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক শিক্ষিকা চেয়েছিলেন, তাঁর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে এটি উদ্যাপন করতে। অতএব সবাইকে চমকে দিয়ে বিয়ে করলেন স্কুলেই।
প্রচণ্ড গরমের কারণে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় দেশজুড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে একেবারে কোমলমতি শিশুদের বিদ্যাপীঠ কিন্ডারগার্টেন বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিচালনা পর্ষদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে সরকার।
দেয়ালে আঁকা বিড়ালের বড় একটি ছবি। সেই দেয়ালজুড়ে রয়েছে ছোট ছোট মাছ আর ফুল। ছোট্ট সোনামণিদের খেলার ছোট্ট তাঁবুও সেখানে। সেই কক্ষের মেঝেতে শুয়ে আপনমনে খেলা করছে শিশুরা। তাদের গল্প শোনাচ্ছেন এক নারী। সেই গল্প শুনে হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে একেকজন। কেউবা নিজেরা নিজেরা গল্প করছে। কারও চোখে নেই ভয়ের কোনো ছাপ।
যশোরে ৩০০ শিশুর শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি হয়েছে তালপাতায়। পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে যশোরে এক যুগের বেশি সময় ধরে ভিন্নধর্মী এই আয়োজন হয়ে আসছে।
করোনা মহামারির প্রভাবে শেরপুরে শতাধিক কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে। যেগুলো চালু আছে তাও চলছে ধুঁকে ধুঁকে। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর একে একে বন্ধ হতে শুরু করে কিন্ডারগার্টেনগুলো।
করোনা মহামারির কারণে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে ঝরে গেছে কিন্ডারগার্টেন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। হাওরাঞ্চল কিন্ডারগার্টেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ বলছে শিক্ষার্থী ঝরে পড়াসহ নানা সংকটে ইতিমধ্যে
করোনা মহামারির কারণে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে ঝরে গেছে কিন্ডারগার্টেন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। হাওরাঞ্চল কিন্ডারগার্টেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ বলছে শিক্ষার্থী ঝরে পড়াসহ নানা সংকটে ইতিমধ্যে ছয়টি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধের পথে রয়েছে আরও পাঁচ কিন্ডারগার্টেন। কিন্ডারগার্টেনের সংশ্লিষ্টরা বলছ
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের তিন তলা বিশিষ্ট একটি ভবন ৪ বছর ধরে দখল করে কিন্ডারগার্টেন গড়েছেন স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা।
করোনা সংক্রমণের মাত্রা কমে আসায় গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস এখনো বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ছাড়া নিষ্প্রাণ স্কুলের প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ। বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেনগুলো অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শহর বা গ্রাম—সবখানেই কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সবচেয়ে বিপাকে। করোনাকালে দেশজুড়ে বহু কিন্ডারগার্টেন বন্ধই হয়ে গেছে।
সারা দেশে কিন্ডারগার্টেনের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। করোনা মহামারিতে গত দেড় বছরে আর্থিক সংকটে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ১০ হাজার। বাকিগুলোর মধ্যে সরকারি নির্দেশনা মেনে খোলার মতো অবস্থা নেই কমপক্ষে ১০ হাজার প্রতিষ্ঠানের। সব মিলিয়ে
বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
ঢাকার রামপুরার কিন্ডারগার্টেনটি বন্ধ করে নিজ গ্রামের মসজিদে ইমামতি করেন আবুল কালাম সিকদার। মেহেরপুরের শাফিউর রহমান সুরুজ কিন্ডারগার্টেন বন্ধ করে দিয়ে এখন পান-সিগারেট বিক্রি করেন। বাবার হাতে গড়া স্কুলটিকে আরও বড় করার স্বপ্ন দেখা আনোয়ার হোসেন সুমন স্কুল বন্ধ করে দিয়ে চাকরি খুঁজছেন।
আমার তিলে তিলে তৈরি করা স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। একদিকে শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছি না তার ওপর ১৫ হাজার টাকায় নেওয়া ভাড়াবাড়ির বকেয়া পরে আছে বেশ কয়েক মাস। এক রকম বাধ্য হয়েই ভাড়া বাড়ি ছেড়ে স্কুলের সরঞ্জামসহ বাচ্চাদের খেলার সামগ্রী বাসায় এনে রেখেছি। নিয়মিত বাড়িওয়ালার কাছ থেক
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক বলেন, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা ঠিকমতো বেতন পাচ্ছি না। এই ক্রান্তিলগ্নে সরকার আমাদের পাশা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে এমন প্রত্যাশা প্রতিটি শিক্ষকের।